সাংবাদিকের গায়ে হাত: মোস্তাফিজের মনোনয়ন বাতিলের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে সাংবাদিকদের উপর হামলাকারী চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে টিভি জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে সাংবাদিক নেতারা৷

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

টিভি জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হকের সঞ্চালনায় শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশের ভেতরেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে এই সাংসদ। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই হামলায় জড়িত মোস্তাফিজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি হামিদ উল্লা্হ বলেন, বাঁশখালীর মতো একটি সমৃদ্ধ জনপদে এই ধরনের হীন মানসিকতা কেউ রাজনীতির নেতৃত্ব দিতে পারে না। এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডকে ভাবতে হবে। অন্যথায় এই সাংসদের অপকর্মের ভার দলকে বহন করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরি ফরিদ। তিনি বলেন, হামলা চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান এখনও নানাভাবে হামলার শিকারদের হেনস্তা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর এই হীন চেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি আমাকে নিয়েও নানা অমূলক-আপত্তিকর কথা প্রচার করছেন। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দীন মোহাম্মদ রেজা। তিনি এই ঘটনায় সাংসদ মোস্তাফিজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, মাঠে-ঘাটে কাজ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা এভাবে মার খাবে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এমপি মোস্তাফিজ বর্তমান ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছেন। নিজে দোষ করে এখন সাংবাদিকদের গায়ে কালিমা লেপনের চেষ্টা করছেন। যা চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা কিছুতেই হতে দিবে না।

মোস্তাফিজুর রহমান ভোটের ভেতর এইরকম ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি তৈরি করে পুরো প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম বলেন, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। আওয়ামী লীগে নেতার অভাব নেই। এই রকম নেতা একজন না থাকলেও অসুবিধা নেই। তিনি মোস্তাফিজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, মোস্তাফিজুর রহমানের এই ধরনের অপকর্ম এবারই প্রথম নয়। এর আগে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের মারধর করেছেন, নির্বাচনী কর্মকতাদের মারধর করেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন। বার বার ছাড় পেয়ে এখন ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন।

সভায় টিভি জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ছাড়াও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের যুগ্মমহাসচিব কাজী মহসিন বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর সীমা লঙ্ঘন করেছেন। তিনি আইনপ্রণেতা হয়ে এই ধরনের আচরণ করতে পারেন না।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সহসভাপতি শহীদুল আলম বলেন, অতি দ্রুত এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার করা না হলে সাংবাদিকরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আচরণবিধি ভঙ্গ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করলে তাঁদের মারধর, ক্যামেরা-ট্রাইপড ভাঙচুরে করেন মোস্তাফিজ ও তাঁর অনুসারীরা। এসময় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিবেদক রাকিব উদ্দীন, ভিডিওগ্রাফার তারাচরণ দাশগুপ্ত, আরটিভির ভিডিওগ্রাফার এমরাউল কায়েস মিঠু, চ্যানেল আইয়ের বিভাগীয় প্রধান চৌধুরী ফরিদ, ক্যামেরাম্যান মো. সোলায়মানসহ বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন।

 

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;