১৯ বছরে পা রাখল দুদক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যাত্রা শুরু ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর। লক্ষ্য একটাই ব্যাহতভাবে দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশ। এরপর কেটে গেছে ১৮ বছর।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ১৯তম বছরে পদার্পণ করবে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি।

কমিশনের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সংস্থাটি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল দশটায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের প্রধানগণ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যগণের সাথে আলোচনা সভায় অংশ  নিবেন।

দিনটি উপলক্ষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচিতে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক, কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন, সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মহাপরিচালকগণসহ কমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করবেন।

সীমিত জনবল নিয়ে দুর্নীতির কয়েক হাজার অনুসন্ধান ও মামলার চাপে রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি। দিন দিন বাড়ছে মামলা ও অনুসন্ধান। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুদকে ৮৭ টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৪৪ জনকে। আর ৯১২ টি চার্জশিট অনুমোদন করা হয়েছে। আলোচ্য সময়ে আসামিদের ২২ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার ৫২৪ টাকার সম্পদ ক্রোক ও ৮ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৫২৬ টাকার সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

   

স্বাদু পানির সংকট চরমে, কলস নিয়ে প্রতিবাদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরা ও এর আশেপাশের উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ স্বাদু পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। সাম্প্রতিক সময়ে এসব অঞ্চলে নিরাপদ পানির প্রধান উৎস গভীর নলকূপ থেকেও চাহিদামত পানি পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। সুপেয় পানির অন্য উৎসগুলোয় লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা।

বর্ষা মৌসুমে নানা উপায়ে বাড়িতে বাড়িতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা গেলেও সম্প্রতি শীতের আগমনে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় এসব রিজার্ভ ট্যাংকে সংগৃহীত পানিও ফুরিয়ে এসছে। এছাড়া পুকুরের পানিও তলানীতে ঠেকেছে। এমতাবস্থায় সুপেয় স্বাদু পানির অভাবে হাহাকার দেখা দিয়েছে সাতক্ষীরায়। পানির জন্য কলসি নিয়ে মাইলের পর মাইল হেটেও পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। সাধারণত শীতের মৌসুম থেকে বর্ষা আসার আগ পর্যন্ত একটা লম্বা সময় এই দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় উপকূলের সাধারণ মানুষকে।

সংকট নিরসনে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি করে আসছেন উপকূলবাসী। নিরাপদ পানির বিকল্প উৎস খোঁজতে কাজ করছে বিভিন্ন বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।

নিরাপদ ও সুপেয় পানির দাবিতে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকা হরিশখালিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় কলস নিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের হরিশখালিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, স্থানীয় সরকার, যুব সংগঠন কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম (এসএসএসটি) ও উপকূলীয় শিক্ষা বৈচিত্র্য উন্নয়ন সংস্থা (সিডিও) জলবায়ু সংকটে উপকূলীয় কলসবন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শ্যামনগর এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করে টিকে থাকে। এর মধ্যে বর্ষা মৌসুমের পরবর্তীকালীন সময়ে শুরু হয়ে যায় স্বাদু পানির চরম সংকট। দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার চারদিক লবণ পানি দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় পান করার উপযোগী না হলেও অনেকটা বাধ্য হয়ে এলাকার অনেকে মৃদু লবণ পানি পান করে থাকে। ভূ-পৃষ্ঠের সুপেয় পানির উৎসগুলো বাড়াতে সরকারি উদ্যোগে পুকুর খননসহ এ অঞ্চলের সমস্যা সমাধান করা জরুরি।

স্থানীয় নারীরা জানান, অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। দস্তার কলসে দূর থেকে এই পানি সংগ্রহ করার ফলে আমরা কোমরে ব্যথা, মাজার হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, কিডনির সমস্যাসহ অনেক রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকি। বাধ্য হয়ে লবণাক্ত পানি পান করায় আমাদের আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। অতি লবণাক্ত পানির ব্যবহারের ফলে শিশু ও নারীদের চর্মরোগ, স্ক্রীন কালো হওয়া, গর্ভপাত, অপরিপক্ক সন্তান জন্ম, প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম, জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যাসহ ক্যান্সারেরমত নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

তারা বলেন, পানি কোন পণ্য নয় এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার। নারীদের গোসল থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেচরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নিরাপদ পানি আমাদের প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার। তবে আমরা কেন এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হই। আমরা এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।

মানববন্ধনে মনন্ঞ্জয় মণ্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহিলা ইউপি সদস্য ফরিদা খাতুন, আজমুননাহার বেগম, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুদা মালি, কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের রাইসুল ইসলাম, সিডিও ইয়থ টিমের সদস্য শাহিন হোসেন, এসএসএসটি যুব টিমের মো. সাইদুল ইসলাম, বারসিক এর বরষা গাইন, লিপিকা গাইন, মুকুন্দ ঘোষ প্রমুখ।

;

প্রার্থীদের ভিড় নেই ডিসি কার্যালয়ে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম। ঢাকা জেলার ৫টি আসনের মনোনয়ন ফরম ও দাখিলের জন্য রয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঢাকা জেলার প্রশাসক।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে নেই প্রার্থীদের দেখা। দুপুর পর্যন্ত মাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত ঢাকা জেলার ৫টি আসনে ৩৯জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। 

ঢাকা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, সকাল থেকে মাত্র ১জন প্রার্থী এসে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। বাংলাদেশ কংগ্রেস দল থেকে ঢাকা-১৯ আসনে অ্যাডডভোকেট মিলন কুমার ভঞ্জ মনোনয়ন নিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রার্থীরা তাদের অনুসারীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে বেশি জমা দিচ্ছেন। পুরান ঢাকার জ্যামের কারণে অনেকে আসতে চান না। অনেক প্রার্থী এখান থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন কিন্ত জমা দিয়েছেন তাদের উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে। কাল যেহেতু শেষ দিন আজ বিকেলে বা আগামীকাল প্রার্থীরা আসবেন।

জানা যায়, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঁচটি আসনের মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। এর মধ্যে— ঢাকা ১, ঢাকা ২, ঢাকা ৩, ঢাকা ১৯ ও ঢাকা ২০ নির্বাচনী আসন রয়েছে। যা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে।

;

পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করে মাটিচাপা, ঘাতক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘাশুর পশ্চিম পাড়া এলাকার সিংহ নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সংস্থাটি বলছে, পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার পরকীয়া প্রেমিকার পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরবর্তীতে ঘাতকরা সিংহ নদীতে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে দেয়।

হত্যা ও লাশ গুমে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। তারা হলেন-আঁখি আক্তার (২৪) ও আলাল মোল্লা (৩৫)। এই ঘটনায় আঁখির স্বামী ওমর ফারুক আগেই থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

গ্রেফতার দুই আসামি রুমান শিকদারকে (৩৯) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। নিহত রুমান শিকদার একই এলাকার আবু শিকদারের ছেলে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা এ তথ্য জানান।


ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার কুদরত বলেন, ঘাতক আঁখি আক্তার ও নিহত রোমান শিকদার প্রতিবেশী। আঁখির স্বামী ওমর ফারুক প্রবাসী। এই সুযোগে প্রতিবেশী রুমানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন আঁখি। বিদেশ থাকাবস্থায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে দেশে চলে আসেন ওমর ফারুক। দেশে এসে আঁখিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে দুই স্বজনদের মধ্যস্থতায় মীমাংসা করে আঁখি ও ওমর ফারুক সংসার শুরু করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই আঁখি আবারও রুমানেরব সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে রুমানের হাত ধরে পালিয়ে অন্যত্র কিছুদিন বসবাস করেন আঁখি। পরবর্তীতে ফারুক অনেক খোঁজাখুঁজির পর আঁখি ও তার প্রেমিক রুমানের সন্ধান পায়। পরে স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা রুমানকে তার প্রেমিকা আঁখিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রুমান তা অস্বীকার করেন। যার ফলে আঁখি আক্তার তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য স্বামী ফারুকের নিকট ক্ষমা চেয়ে সংসারে ফিরে যান। আঁখি আক্তার তাদের বাসাভাড়া করে থাকা ও পরকীয়ার বিষয়টি রুমানকে গোপন রাখতে অনুরোধ করেন। রুমান অনুরোধ উপেক্ষা করে বিষয়টি এলাকায় বিভিন্ন জনের কাছে বলাবলি করে আসছেন। আর এতে আঁখি ও ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে রুমান হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের ২২ মার্চ গভীর রাতে মোবাইলে আঁখি আক্তার প্রেমিক রুমানকে ঘরে ডাকে। এরপর কথা বলার একপর্যায়ে পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে রুমানকে আঘাত করে হত্যা করেন আঁখি ও তার স্বামী ফারুক। নিহতের লাশ বস্তাবন্দি করে গুমের উদ্দেশে প্রতিবেশী আলাল মোল্লার সহযোগিতায় বাড়ির পাশের সিংহ নদীতে লাশটি মাটিচাপা দিয়ে দেয়।

যেভাবে লাশ উদ্ধার ও পরিচয় নিশ্চিত

রুমনকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়ার এক মাস পর চলতি বছরের ২১ মে সিংহ নদীতে নদী খননের কাজ চলার সময়ে নদীতে কাদামাটি কাটার সময়ে ভেকুতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির কঙ্কাল উঠে আসে। বিষয়টা স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জানালে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ কঙ্কালের সঙ্গে একটি অস্পষ্ট নেভীব্লু রংয়ের শার্টের অংশ বিশেষ পায়। কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনরা গিয়ে প্রাথমিকভাবে কঙ্কালের সঙ্গে থাকা নেভি ব্লু রংয়ের শার্টের অংশবিশেষ দেখে এটি রুমানের বলে দাবি করেন।

পরবর্তীতে উপপরিদর্শক (এসআই) মাইদুল ইসলাম কঙ্কালের সুরতহাল প্রস্তুত করেন এবং ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য কঙ্কালটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পাশাপাশি এসআই মাইদুল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ৫ মাস থানা পুলিশ তদন্ত শেষে দায়িত্ব পায় পিবিআই। গত আগস্টের ২২ তারিখ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই'র ঢাকা জেলার একটি দল।

এর আগে কঙ্কাল উদ্ধারের পর নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন। পরবর্তীতে নিহতের মেয়ে নুছরাত (১২) ও ছেলে সাইফের (৬) ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষায় রুমানের পরিচয় নিশ্চিত হয়।

;

সিরাজগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিরাজগঞ্জ
অধ্যাপক ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না

অধ্যাপক ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত দুই বারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। 

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করেন তিনি । জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের একাংশ ও কামারখন্দ উপজেলা) আসন থেকে ২০১৪ সালে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এবং ২০১৮ সালে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না।

ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না বিগত সময়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও দলের প্রতি আস্থাশীল হিসেবে আশাবাদী ছিলেন এবারও তিনি দল থেকে মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে পড়েন। আসনটিতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরী। তিনি ২০০৮ সালে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি প্রার্থী রুমানা মাহমুদের কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন কোন মন্তব্য করতে পারব না, পরে জানাবো।

এদিকে, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলার ৬ টি সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, তৃনমূল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্প ধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপ্ত্র সংগ্রহ করেছেন।

এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত তানভীর শাকিল জয়, জাকের পার্টির রেজাউল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা তালুকদার ও জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগ মনোনীত মোছা. জান্নাত আরা হেনরী, জাতীয় পার্টির আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, তৃনমূল বিএনপির সোহেল রানা, জাকের পার্টির রুবেল সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আব্দুল আজিজ, স্বতন্ত্র মোজাফফর হোসেন, জাতীয় পার্টির জাকির হোসেন, বিএনএম পার্টির গোলাম মোস্তফা, স্বতন্ত্র শরিফুল আলম খন্দকার, স্বতন্ত্র সাখাওয়াত হোসেন, স্বতন্ত্র আব্দুল হালিম খান দুলাল, স্বতন্ত্র নুরুল ইসলাম ও জাকের পার্টির আলমগীর হোসেন।

সিরাজগঞ্জ-৪ আসন থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মোস্তফা কামাল বকুল, বিকল্পধারা বাংলাদেশের আইনুল হক ও জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল হাসেম। সিরাজগঞ্জ-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল মমিন মন্ডল, স্বতন্ত্র সাবেক বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বতন্ত্র নুরুল ইসলাম সাজেদুল, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতালীগের নাজমুল হক। 

সিরাজগঞ্জ-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চয়ন ইসলাম, স্বতন্ত্র হালিমুল হক মিরু, জাসদের মোজাম্মেল হক, বাসদের রেজাউর রশীদ খান ও জাকের পার্টির রেজাউল করিম বিপ্লব মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

;