ময়মনসিংহে রাকিব হত্যা, আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম, ময়মনসিংহ 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ নগরীতে আব্দুর রাজ্জাক রাকিব (২৫) নামে এক যুবক হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী শাওনসহ আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়। এতে নেতৃত্ব দেন মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নিহতের চাচা আবু বক্কর সিদ্দিক সাগর।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবিএম আবু বক্কর সিদ্দিক, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমদাদুল হক মন্ডল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর ফারজানা ববি কাকলি, মহানগর আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক প্রমুখ।

এর আগে নগরীর চায়না মোড় থেকে নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ মিছিল নিয়ে রাকিব হত্যাকারীদের গ্রেফতার চাই, ফাঁসি চাই স্লোগানে স্লোগানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে মিছিলটি শেষে করেন।

স্মারকলিপি দেয়া শেষে নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, ইতিমধ্যে ৯ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত অন্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। গ্রেফতার হওয়া আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নয়তো এরা আবারও অন্য কাউকে হত্যা করে অন্য কোনো মায়ের বুক খালি করবে, সন্তান হবে বাবা হারা, স্রী হবে স্বামী ছাড়া। পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইয়াছিন আরাফাত শাওন ও তার কর্মীরা তিনটি হাইয়েজ গাড়ি দিয়ে ময়মনসিংহ শহরে ফিরছিল। পথে নগরীর চায়না মোড়ের টুলবক্স এলাকা পর্যন্ত আসতেই একটি ট্রাকের পেছনে আটকা পড়ে হায়েজ। ওই ট্রাকটি সাইড না দেয়ায় ওভারটেকের সময় হাইয়েজ গাড়িতে ঘষা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়িতে থাকা ট্রাকচালকের সাথে তর্কে জড়ান শাওন ও তার কর্মীরা।

একপর্যায়ে ট্রাকচালককে মারধর শুরু করেন। এসময় স্থানীয় বাসচালকসহ অন্যরা তাদের থামাতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে আব্দুর রাজ্জাক রাকিব, সাদেক আলী, শহিদ মিয়া নামে তিনজন রক্তাক্ত জখম হন। এ অবস্থায় আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে রাকিব হত্যার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাতেই স্থানীয়রা চায়না মোড়ে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং একজনকে আটক করে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

এঘটনায় পরদিন নিহতের মা হাসি বেগম মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত সদস্য শাওনসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাভারের আমিনবাজার থেকে মামলার প্রধান আসামি ইয়াছিন আরাফাত শাওন তার ভাই মাসুদ পারভেজসহ আনিছুর রহমান ফারুক, মো. মানিক, মো. মবিন ও মো. শান্তকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন শুক্রবার ভোরে ত্রিশালের উজানভাটিপাড়া এলাকা থেকে ইয়াছিন আরাফাত শাওনের ছোট ভাই মো. প্রান্ত ও মো. রাহাত নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, গ্রেফতার হওয়া ইয়াছিন আরাফাত শাওনের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা, মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা, আনিছুর রহমান ফারুকের বিরুদ্ধে ২টি মামলা, মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা, মো. মমিন ও মো. শান্তর বিরুদ্ধে ৩টি করে মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারের পর গত শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য দুই আসামিরও সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

   

প্রার্থীদের ভিড় নেই ডিসি কার্যালয়ে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম। ঢাকা জেলার ৫টি আসনের মনোনয়ন ফরম ও দাখিলের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা ঢাকা জেলার প্রশাসক।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে নেই প্রার্থীদের দেখা। দুপুর পর্যন্ত মাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত ঢাকা জেলার ৫টি আসনে ৩৯জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। 

ঢাকা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, সকাল থেকে মাত্র ১জন প্রার্থী এসে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। বাংলাদেশ কংগ্রেস দল থেকে ঢাকা-১৯ আসনে অ্যাডডভোকেট মিলন কুমার ভঞ্জ মনোনয়ন নিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রার্থীরা তাদের অনুসারীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে বেশি জমা দিচ্ছেন। পুরান ঢাকার জ্যামের কারণে অনেকে আসতে চান না। অনেক প্রার্থী এখান থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন কিন্ত জমা দিয়েছেন তাদের উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে। কাল যেহেতু শেষ দিন আজ বিকেলে বা আগামীকাল প্রার্থীরা আসবেন।

জানা যায়, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঁচটি আসনের মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। এর মধ্যে— ঢাকা ১, ঢাকা ২, ঢাকা ৩, ঢাকা ১৯ ও ঢাকা ২০ নির্বাচনী আসন রয়েছে। যা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে।

;

পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করে মাটিচাপা, ঘাতক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘাশুর পশ্চিম পাড়া এলাকার সিংহ নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সংস্থাটি বলছে, পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার পরকীয়া প্রেমিকার পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরবর্তীতে ঘাতকরা সিংহ নদীতে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে দেয়।

হত্যা ও লাশ গুমে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। তারা হলেন-আঁখি আক্তার (২৪) ও আলাল মোল্লা (৩৫)। এই ঘটনায় আঁখির স্বামী ওমর ফারুক আগেই থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

গ্রেফতার দুই আসামি রুমান শিকদারকে (৩৯) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। নিহত রুমান শিকদার একই এলাকার আবু শিকদারের ছেলে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা এ তথ্য জানান।


ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার কুদরত বলেন, ঘাতক আঁখি আক্তার ও নিহত রোমান শিকদার প্রতিবেশী। আঁখির স্বামী ওমর ফারুক প্রবাসী। এই সুযোগে প্রতিবেশী রুমানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন আঁখি। বিদেশ থাকাবস্থায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে দেশে চলে আসেন ওমর ফারুক। দেশে এসে আঁখিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে দুই স্বজনদের মধ্যস্থতায় মীমাংসা করে আঁখি ও ওমর ফারুক সংসার শুরু করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই আঁখি আবারও রুমানেরব সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে রুমানের হাত ধরে পালিয়ে অন্যত্র কিছুদিন বসবাস করেন আঁখি। পরবর্তীতে ফারুক অনেক খোঁজাখুঁজির পর আঁখি ও তার প্রেমিক রুমানের সন্ধান পায়। পরে স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা রুমানকে তার প্রেমিকা আঁখিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রুমান তা অস্বীকার করেন। যার ফলে আঁখি আক্তার তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য স্বামী ফারুকের নিকট ক্ষমা চেয়ে সংসারে ফিরে যান। আঁখি আক্তার তাদের বাসাভাড়া করে থাকা ও পরকীয়ার বিষয়টি রুমানকে গোপন রাখতে অনুরোধ করেন। রুমান অনুরোধ উপেক্ষা করে বিষয়টি এলাকায় বিভিন্ন জনের কাছে বলাবলি করে আসছেন। আর এতে আঁখি ও ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে রুমান হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের ২২ মার্চ গভীর রাতে মোবাইলে আঁখি আক্তার প্রেমিক রুমানকে ঘরে ডাকে। এরপর কথা বলার একপর্যায়ে পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে রুমানকে আঘাত করে হত্যা করেন আঁখি ও তার স্বামী ফারুক। নিহতের লাশ বস্তাবন্দি করে গুমের উদ্দেশে প্রতিবেশী আলাল মোল্লার সহযোগিতায় বাড়ির পাশের সিংহ নদীতে লাশটি মাটিচাপা দিয়ে দেয়।

যেভাবে লাশ উদ্ধার ও পরিচয় নিশ্চিত

রুমনকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়ার এক মাস পর চলতি বছরের ২১ মে সিংহ নদীতে নদী খননের কাজ চলার সময়ে নদীতে কাদামাটি কাটার সময়ে ভেকুতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির কঙ্কাল উঠে আসে। বিষয়টা স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জানালে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ কঙ্কালের সঙ্গে একটি অস্পষ্ট নেভীব্লু রংয়ের শার্টের অংশ বিশেষ পায়। কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনরা গিয়ে প্রাথমিকভাবে কঙ্কালের সঙ্গে থাকা নেভি ব্লু রংয়ের শার্টের অংশবিশেষ দেখে এটি রুমানের বলে দাবি করেন।

পরবর্তীতে উপপরিদর্শক (এসআই) মাইদুল ইসলাম কঙ্কালের সুরতহাল প্রস্তুত করেন এবং ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য কঙ্কালটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পাশাপাশি এসআই মাইদুল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ৫ মাস থানা পুলিশ তদন্ত শেষে দায়িত্ব পায় পিবিআই। গত আগস্টের ২২ তারিখ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই'র ঢাকা জেলার একটি দল।

এর আগে কঙ্কাল উদ্ধারের পর নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন। পরবর্তীতে নিহতের মেয়ে নুছরাত (১২) ও ছেলে সাইফের (৬) ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষায় রুমানের পরিচয় নিশ্চিত হয়।

;

সিরাজগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিরাজগঞ্জ
অধ্যাপক ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না

অধ্যাপক ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত দুই বারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। 

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করেন তিনি । জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের একাংশ ও কামারখন্দ উপজেলা) আসন থেকে ২০১৪ সালে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এবং ২০১৮ সালে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না।

ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না বিগত সময়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও দলের প্রতি আস্থাশীল হিসেবে আশাবাদী ছিলেন এবারও তিনি দল থেকে মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে পড়েন। আসনটিতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরী। তিনি ২০০৮ সালে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি প্রার্থী রুমানা মাহমুদের কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন কোন মন্তব্য করতে পারব না, পরে জানাবো।

এদিকে, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলার ৬ টি সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, তৃনমূল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্প ধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপ্ত্র সংগ্রহ করেছেন।

এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত তানভীর শাকিল জয়, জাকের পার্টির রেজাউল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা তালুকদার ও জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগ মনোনীত মোছা. জান্নাত আরা হেনরী, জাতীয় পার্টির আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, তৃনমূল বিএনপির সোহেল রানা, জাকের পার্টির রুবেল সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আব্দুল আজিজ, স্বতন্ত্র মোজাফফর হোসেন, জাতীয় পার্টির জাকির হোসেন, বিএনএম পার্টির গোলাম মোস্তফা, স্বতন্ত্র শরিফুল আলম খন্দকার, স্বতন্ত্র সাখাওয়াত হোসেন, স্বতন্ত্র আব্দুল হালিম খান দুলাল, স্বতন্ত্র নুরুল ইসলাম ও জাকের পার্টির আলমগীর হোসেন।

সিরাজগঞ্জ-৪ আসন থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মোস্তফা কামাল বকুল, বিকল্পধারা বাংলাদেশের আইনুল হক ও জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল হাসেম। সিরাজগঞ্জ-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল মমিন মন্ডল, স্বতন্ত্র সাবেক বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বতন্ত্র নুরুল ইসলাম সাজেদুল, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতালীগের নাজমুল হক। 

সিরাজগঞ্জ-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চয়ন ইসলাম, স্বতন্ত্র হালিমুল হক মিরু, জাসদের মোজাম্মেল হক, বাসদের রেজাউর রশীদ খান ও জাকের পার্টির রেজাউল করিম বিপ্লব মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

;

১২ ঘণ্টায় আগুনে পুড়ল ৫টি যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএন‌পি জামায়াতসহ সমমনা দলের ডাকা অষ্টম দফার অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দূবৃত্তের দেয়া আগু‌নে গত ১২ ঘণ্টায় পুড়েছে ৫ টি যানবাহন।

এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল ৬ টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক মোট ২২৮ টি অগ্নিসংযোগের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার এ তথ‌্য নি‌শ্চিত করেন।

তি‌নি জানান, গত ২৮ নভেম্বর সকাল ৬ টা থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল ৬ টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক ৫ টি যানবাহনে আগুন লাগানোর সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ১ টি, গাজীপুরে ২ টি, বাগেরহাটে ১ টি ও সিরাজগঞ্জে ১ টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ টি বাস ও ২ টি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়।

তি‌নি জানান, আগুন নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৮ টি ইউনিট ও ৪২ জন কর্মী কাজ করে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২৮ নভেম্বর গাজীপুর সদরের ধীরাশ্রম রোডে ১টি ট্রাকে আগুন ও বাগেরহাটের রামপালে ফয়লা বাজারে ‘রোকেয়া পরিবহন’-এর ১টি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া ২৯ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ হাটিকামরুল এলাকায় ১টি ট্রাকে, ঢাকার শ্যামপুরের ধোলাইপাড়ে ‘তুরাগ পরিবহন’-এর ১ টি বাসে আগুন এবং গাজীপুরের সালনায় ‘মিনহাজ পরিবহন’-এর ১ টি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে।

;