বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে দুই বছরের মেয়ের মৃত্যু

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

জমি নিয়ে বিরোধের মিমাংসা করতে বসা সালিশে হঠাৎ মারামারি বেধে যায়। বিচার চলাকালেই আব্দুস সাত্তার নামে একজনকে মারতে থাকে প্রতিপক্ষ। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে ঘরে চলে যান তিনি। এসময় আক্রমণকারীরা ঘরে ঢুকে মারতে থাকে সাত্তারকে। এ দৃশ্য দেখে দুই বছর বয়সী মেয়ে এগিয়ে যায় বাবার কাছে। আর সেখানেই প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ হারায় সে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মারামারিতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ৪ জন।

বিজ্ঞাপন

নিহত শিশু ফাতেহা খাতুন (২) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। আহতরা হলেন, কুলসুম (২২), ছাত্তার (৩৬), মুক্তার (২৭) ও ইতি (২০)।

নিহতের চাচা মোক্তার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী লাল মিয়ার সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে নালিশ করে। এর ধারাবাহিকতায় ইউপি চেয়ারম্যান কয়েকজন ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিলে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশ শুরুর একপর্যায়ে জমির কাগজপত্র দেখা শুরু হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে আমাদের তর্ক হয়। এর একপর্যায়ে তারা দা ও লাঠি এনে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। তখন শিশু ফাতেহার বাবা আব্দুস সাত্তারকে এলোপাতাড়ি মারা হয়। তিনি নিজেকে রক্ষায় দৌড়ে বসতঘরে আশ্রয় নিলে তারা ঘরে ঢুকে কোপাতে থাকে। এ সময় আব্দুস সাত্তারের ছোট্ট শিশুটি বাবার কাছে গেলে হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে মারা যায়। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন মিলে আমার ভাই, ভাবিসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, সালিশে মারামারির খবর পাই। তবে সবচেয়ে হৃদয় বিদারক খবর ছিল মেয়েটির মৃত্যু। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।