‘সাংবাদিকদের মারলে খুশি হয় প্রশাসন’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রশাসনের মদদেই সাংবাদিকদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিক নেতা ও শিক্ষকেরা। তারা বলেন, ‘প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বরং খুশি হয়েছে সাংবাদিকদের মারধর করায়। কারণ সাংবাদিকরা প্রশাসনের বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম তুলে ধরছে। সেজন্যই হয়তো হামলাকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করার বদলে তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করা হয়।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস) ও চিটাগং ইউনিভার্সিটি এক্স জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের (সিইউজিএন) উদ্যোগে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনের বক্তরা এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়

চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমুর সঞ্চালনা ও সভাপতি মাহবুব এ রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুল, সিইউজেএন সভাপতি হামিদ উল্লাহ প্রমুখ।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন সিরাজ উদ দৌল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী, খন্দকার আলী আর রাজি ও শাহাব উদ্দিন।

সিইউজেএনের সভাপতি হামিদ উল্লাহ বলেন, ‘শিবির থেকে ছাত্রলীগ কারেও চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। আজকে যারা ছাত্রলীগের নামে বিভিন্ন নৈরাজ্য চালাচ্ছে, এদের খবর নিয়ে দেখা যাবে এরা আগে অন্য কোনো দলের অনুসারী ছিল। অন্যায় অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকেরা লিখছে বলেই তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আমরা এরকম প্রতিবাদে আর দাঁড়াতে চাই না। আগামীতে আমরা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বাড়ির সামনে দাঁড়াবো।’

সিইউজেএনের সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, ‘হামলাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মানবিক আচরণ পেয়েছে। মনে রাখবেন, আমরা লিখতে যেমন জানি, প্রতিবাদ জানাতেও জানি।’

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘মোশাররফের ওপর হামলা একেবারেই পরিকল্পিত। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নামকাওয়াস্তে শাস্তি হয়েছে। আপনি যদি শাস্তি দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা বুঝে নেব আপনি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। এমনকি আমরা দেখেছি সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা বহিষ্কার হয়েও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এটা প্রশাসনের মদদ ছাড়া সম্ভব না।’

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘বিচারের দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে দাঁড়াতে হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাষ্ট্র সবার জন্য বিব্রতকর। মোশাররফ শাহ’র ওপর যে হামলা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকদের যে দাবি, এর সঙ্গে সম্পূর্ণ একাত্মতা পোষণ করছি। শুধুমাত্র মুখে না বলে, কাজে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি প্রশাসনের প্রতি।’


চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামছুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমাদের সহকর্মী মোশাররফ ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। যা কখনোই আমরা আশা করিনি। আজকে বহিষ্কৃত, অছাত্ররা হলে অবস্থান করছে। এতে করে আপনাদের ব্যর্থতা সুস্পষ্ট হয়েছে। মোশাররফের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের ক্যাম্পাসে বহিষ্কার করুন। যদি না পারেন, তাহলে প্রশাসনের চেয়ার ছেড়ে দিন।’

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী ছাত্রলীগের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেন, উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর চালান, এরপর আপনারা সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালান। আমি উপাচার্য মহোদয়ের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনি কেন তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন? আমরা জানতে পেরেছি আপনার ছত্রছায়ায় এখানে নিয়োগ বাণিজ্য, চাঁদাবাজিসহ নানান অনিয়ম হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারেন, আমরা প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব।’

সমাপনী বক্তব্যে চবিসাসের সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ‘যারা মোশাররফ শাহ এর রক্ত ঝরিয়েছে, তারা দেশের সকল সাংবাদিকদের রক্ত ঝরিয়েছে। সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে থাকে। আজকে সাংবাদিকরাই যদি নিরাপদ না হন, তাহলে এখানে শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ।’

আন্দোলনে আহত শ্রমিকের চমেক হাসপাতালে মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় চাঁদপুরে আহত আবদুল মজিদ (২০) নামে এক পরিবহন শ্রমিক চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আবদুল মজিদ পরিবহন শ্রমিক ছিলেন। চাঁদপুরে একটি গণপরিবহনের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় গত ১৮ জুলাই চাঁদপুরে আহত হন মজিদ। সেখানে সহিংসতার ঘটনায় তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় এ নিয়ে চমেক হাসপাতালে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

;

র‍্যাবের অভিযানে রাজধানীসহ সারাদেশে গ্রেফতার ২৯০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
র‍্যাবের অভিযানে রাজধানীসহ সারাদেশে গ্রেফতার ২৯০

র‍্যাবের অভিযানে রাজধানীসহ সারাদেশে গ্রেফতার ২৯০

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ২৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (২৭ জুলাই) র‍্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সহিংসতা-নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নাশকতার অভিযোগে ঢাকায় ৭১ জন ও ঢাকার বাইরে ২১৯ জনসহ সারা দেশে মোট ২৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। 

;

ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’ মানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’ মানের

ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’ মানের

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ বিশ্বের বেশ কিছু শহর দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। তবে সম্প্রতি ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি হয়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) শহরটির বাতাসে দূষণ মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একিউআই স্কোর ৫৫ নিয়ে ৫৮তম স্থানে রয়েছে ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচিত। আগের দিন শুক্রবার (২৬ জুলাই) একিউআই স্কোর ৪৪ নিয়ে ৭৩তম অবস্থানে ছিল শহরটি, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা, ১৫৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর, ১৫৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর মেদান, ১৪৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চিলির শহর সান্তিয়াগো এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভারতের দিল্লি শহরের স্কোর ১৩৭।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

;

অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৭ জুলাই) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে আহতদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে তাদের বিচার দেশবাসীর কাছে চাই।

এ সময় তিনি আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

নিটোর পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজ্জামান আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। শেখ হাসিনা আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আহতদের অবস্থা দেখে আবেগাপ্লুত ও অশ্রুসজল হয়ে পড়েন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।

তার আগে ওই দিন রাজধানীর রামপুরায় নাশকতাকারীদের হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।

;