জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানালেন আ ক ম মোজাম্মেল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম দিনাজপুর
বক্তব্য রাখছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি : সংগৃহীত

বক্তব্য রাখছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসের ভুলুন্ঠিত মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের সাংসদ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, ইকবালুর রহিম এমপি ও মাননীয় হুইপ (দিনাজপুর-৩), একুশের পদকপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, ফুয়াদ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতুফুজ্জামান মিতাসহ ভুক্তভোগী পরিবার ও জেলা আওয়ামী লীড়ের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভার পূর্বে গণদাবী-৭৭ এবং অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ নামক দুইটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করে। বক্তারা অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরীচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা?

তিনি জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি’ আখ্যায়িত করে বলেন, তার সময় গুম, খুন ও বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয়।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে। এরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমানবাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।

এ ছাড়া অবৈধ গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এ সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।

গুম, খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী ওই দল যাতে করে আগামীতে আর কখনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য সকলকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক।

উক্ত অনুষ্ঠানে আগত ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ১,১৫৬ জন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করেন। জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানান।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরবর্তীতে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করেন নিরপরাধ সামরিক সদস্যদের। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হতো।

   

বরগুনায় মাছ শিকারের উপকরণ পেলেন ৯০ জেলে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরগুনা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের 'ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প' এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সুফল ভোগী ৯০ জন জেলেকে মাছ শিকারের উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসব বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। বিতরণ করা উপকরণের মধ্যে বৈধ জাল ও ফ্লুডসহ মাছ শিকারের অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে।

তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন, মেরিন ফিশারিজ অফিসার অলিউল্লাহ শুভ প্রমুখ।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "ইলিশের উৎপাদন ও আহরণ বৃদ্ধি করতে মৎস্য বিভাগসহ তৎপর রয়েছে সরকার। কিন্তু অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারায় ইলিশের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ও আহরণ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে জেলেদের অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি বৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারে উৎসাহিত করতে জেলেদের বৈধ জালসহ বিভিন্ন উপকরণ একটি প্রকল্প মাধ্যমের বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা জেলেদের মাঝে বৈধ জালসহ বিভিন্ন দরকারি উপকরণ বিতরণ করেছি। আমাদের এই বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।" 

;

ট্যুর প্যাকেজের প্রতারণা, বুকিং মানির নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপকার্ড’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল একটি প্রতারক চক্র। দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

রাজধানীর গুলশান এলাকার বাসিন্দা জুঁই আক্তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। সম্প্রতি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ যাওয়ার জন্য ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপকার্ড’ ফেসুবকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম মূল্যে আকর্ষণীয় প্রাইজ দেখে আকৃষ্ট হন জুঁই। এরপর ভিসা ও অন্যান্য খরচের জন্য ৫৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার কিছু দিন পরই দেখতে পান তাদের ‘ট্রিপকার্ড’র অফিস বন্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তারা অফিস ছেড়ে চলে গেছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারেন নি। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আশায় টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হন জুঁই। 

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবিতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ট্রিপকার্ড’ নামের কথিত এই ট্যুর অপারেটর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পেইজের মাধ্যম বিজ্ঞাপন দিত। তারা বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় দিন ও রাত থাকা, হোটেলে বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ, ড্রপআপ, গাইডের মাধ্যমে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা করে। এক সঙ্গে ৪০ জনের ভিসা ও বিমানের টিকেট কাটাসহ সকল দায়িত্ব নিজেরাই পালন করার আশ্বাস দেয়। ফলে কম টাকায় সকল সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেয়।  অপুর নেতৃত্বে চক্রটি গত ছয় মাসে ৫৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘ট্রিপকার্ড’র নামের ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডের তথ্যে গত ছয় মাসে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণার তথ্য পেয়েছে।

সম্প্রতি, রাজধানীর বনানী থানায় এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ‘ট্রিপকার্ড’র নামের কথিত এই ট্যুর অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৯ আগস্ট ফেসবুকের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ মালদ্বীপ, শ্রীলংকার, থাইল্যান্ডে ট্যুর প্যাকেজের বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে আসছে। পরবর্তীতে কম টাকায় বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার জন্য তিন বন্ধু মিলে ট্যুর প্যাকেজে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং দুবাই যাওয়ার জন্য বুকিং দেন। এজন্য তারা কয়েক দফায় ব্যাংক ও নগদে প্রায় তিন লাখেরও বেশি টাকা জমা দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা দেওয়ার পরেও বিদেশে আর নিয়ে যায় না। বরং নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এমন কি টাকা চেয়ে যোগাযোগ করলে কথিত এই ‘ট্রিপকার্ড’র মালিক বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে অফিসসহ যোগাযোগের সকল নাম্বার বন্ধ করে দেয়। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী।

মামলা তদন্তে নেমে পর্যটকদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারণায় জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহনাগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলম ওরফে অপু ও তার আপন ভাই মো. আহাদ আলম ওরফে তালহা ও প্রতিষ্ঠানের কথিত এডমিন মো. আমিনুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ একটি ল্যাপটপ, ১৪টি পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিমকার্ড, ২টি ল্যান্ডফোন, একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি সিপিইউ ডেক্সটপ, পাঁচটি এটিএম কার্ড, ছয়টি ব্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়।

এই সকল প্রতারক চক্রের হাত থেকে সর্তক থাকার আহবান জানিয়ে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, যে কোন ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক পেইজে পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আকর্ষণীয় ও কম মূল্যের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে, বৈধ লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সেবা নিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে থানায় মামলা বা অভিযোগ দিতে হবে। এছাড়া নিজের পাসপোর্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

;

মেহেরপুর-২ আসনের এমপি সাহিদুজ্জামানের সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মেহেরপুর-২ আসনের এমপি সাহিদুজ্জামানের সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ

মেহেরপুর-২ আসনের এমপি সাহিদুজ্জামানের সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ

  • Font increase
  • Font Decrease

গেল ৫ বছরে মেহেরপুর-২ আসনের (গাংনী) সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এর আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০২৪) দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার অস্থাবর সম্পদ ৫১ লাখ ৬৪ হাজার টাকার। যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি।

একইসাথে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে চারগুণ। তবে জমির পরিমাণের বিষয়টি হলফনামায় ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। 

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান। তিনি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চেয়ে পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে। এ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, অস্থাবরও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।

বর্তমানে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বার্ষিক আয় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি জমি থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও মৎস্য খাত থেকে ৫ লাখ টাকা।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল কৃষি জমি থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে কৃষিখাত থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মৎস্যখাত থেকে ৫ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বর্তমান অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫২ লাখ টাকার এবং ২৫ ভরি স্বর্ণ। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ৪২ লাখ, ১টি গাড়ি যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে নগদ ছিল ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ১৪ লাখ, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ১ লাখ ২০ হাজর টাকার এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার টাকার।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্থায়ী সম্পদের মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ নিয়ে ধোয়াসা সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তার কৃষি জমি ছিল ১০ বিঘা। অকৃষি জমি ৫ বিঘা ৫ কাঠা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনার স্থাবর সম্পদের ছককৃত ঘরে লেখা আছে ৯.৩৩। তবে তা বিঘায় না একরে তা স্পৃষ্ট করা হয়নি। যদি এটা একরে হয়ে থাকলে তাহলে জমির পরিমাণও বাড়বে কয়েকগুণ।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ৩৭ লাখ টাকার এবং স্বর্ণ ২৫ ভরি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার। সে হিসেবে স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় চার গুণ।

তাঁর স্ত্রীর নামে জমির পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জমির পরিমাণ ছিল ৭ কাঠ। এখন তার পরিমাণ কৃষি জমি ২.২৯। তবে এখানেও তা বিঘা, শতাংশ না একরে হিসেব দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে জমির পরিমাণ স্পষ্ট হওয়ার বিষয়ে এমপি সাহিদুজ্জামানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

;

‘যানবাহনে আগুন দেয়া কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হরতাল- অবরোধের নামে যানবাহনে আগুন দেওয়া কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নয় দফায় ১৮ দিন অবরোধ আর তিনদিন হরতাল ডেকেছে। তারা অবরোধ ডেকে রাস্তায় না নেমে পালিয়ে থেকে ভাড়া করা লোকজন নিয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করছে। এটা তো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, হরতাল-অবরোধ ডেকে রাস্তায় নামা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা তাদের সমাবেশ করবে। কিন্তু আমরা আগেও দেখেছি ২০১৪ সালে একই রকমভাবে তারা হরতাল-অবরোধ ডেকে বোম নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেছে। জনগণ কিন্তু এমন কর্মসূচিতে সারা দেয়নি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ডিবি প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের দিক নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছে। পাশাপাশি আমাদের রুটিমাফিক কাজও করছি। যারা প্রতারণা করে, ডাকাতি করে, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি তাদের গ্রেফতার আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। পাশাপাশি সরকারের সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু পুলিশের।

তিনি বলেন, মানুষের জানমাল নিরাপত্তা, সম্পত্তি রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় থেকে রাতদিন কাজ করছে। উদ্দেশ্য একটাই স্বাভাবিক যান চলাচলের কেউ যেন বাধা সৃষ্টি না করে। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবে কাজ করবে। কোন দুষ্কৃতকারী যেন হামলা করতে না পারে।

হারুন অর রশীদ বলেন, আনুপাতিক হারে বাংলাদেশ একটি ঘনবসতি দেশ। ১৮ কোটির কাছাকাছি মানুষ। সেই তুলনায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক কম। তারপরও প্রত্যেকটা পুলিশ সদস্য রাতদিন পরিশ্রম করছে। আমাদের ওসি থেকে শুরু করে সিনিয়র কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

;