জিপে মিলল ৮১ কেজি গাঁজা, ট্রাকে হাজার বোতল ফেনসিডিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি জিপ গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮১ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব-১৩। এ সময় জিপ গাড়িটি জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ।

আটককৃতরা হলেন- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গজেরকুটি গ্রামের নজরুল হকের ছেলে আশরাফুল হক (৩৮), পাবনা সদর উপজেলার দিলালপুর গ্রামের রজমজান আলীর ছেলে সম্রাট হোসেন (২৮) ও একই জেলার চাটমোহর উপজেলার সমাজবাজার গ্রামের আশুতোষ মৈত্রের ছেলে আশিষ কুমার (২৩)। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিঠাপুকুর উপজেলার রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় সন্দেহজনক একটি জিপ (এসইউভি) গাড়ি তল্লাশি করে সাদা পলিথিনে মোড়ানো ৮০ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।

এরআগে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীতে বুড়িমারী মহাসড়কের ওপর তল্লাশি চালিয়ে বাদাম পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক থেকে ১ হাজার ১৪৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসব ফেনসিডিল বাদামের বস্তার ভেতরে লুকিয়ে রাখা ছিল।

এ ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করার পাশাপাশি সজল হোসেন নামে ট্রাকচালককে আটক করেছে র‌্যাব। সজল হোসেন (২০) লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঘনশ্যাম গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

পৃথক দুটি অভিযানে আটক চারজনকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদিতমারী ও মিঠাপুকুর থানায় দুটি মামলা করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

   

শাহজাহান ওমরের ইসিতে আসা প্রসঙ্গে যা বললেন সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ করেই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসেছিলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর। তিনি (শাহজাহান ওমর) কেন ইসিতে এসেছিলেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ওটা আমার বিষয় না।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধান কমিটি একের পর এক শোকজ করছে, কিন্তু প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এমন বিষয় সামনে আনলে সিইসি বলেন, আমি যতটুকু বলার ততটুকু বলেছি। এর বাহিরে আমি কিছু বলবো না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নমিনেশন সাবমিশনের পর রিটার্নিং অফিসার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে মনোনয়নপত্র এক্সেপ্ট করে নেন। কিছু কিছু প্রত্যাখান করেন উনারা। যারা প্রত্যাখ্যাত হন, যাদের নমিনেশন পেপার গ্রহণ করা হয়, দুটোর বিরুদ্ধেই কিন্তু আপিল করা যায়। এক্সসেপ্টেশন অ্যান্ড রিজেক্টশন, অ্যাপিল করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপির করতে পারবেন যে কেউ। আপিলের জন্য ১০টি অঞ্চল ঠিক করা হয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক আপিল দায়ের করা হবে। কর্মকর্তারা চমৎকারভাবে আমি প্রথমবার দেখলাম আপিল আবেদনগুলো গ্রহণ করছেন। এগুলো আপিল শুনানিতে দাখিল করা হবে। আপিল শুনানি হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তখন পুরো কমিশন বসে আপিলগুলো শুনবো। শুনে আমরা সিদ্ধান্ত দেবো।

;

বরগুনায় মাছ শিকারের উপকরণ পেলেন ৯০ জেলে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরগুনা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের 'ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প' এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সুফল ভোগী ৯০ জন জেলেকে মাছ শিকারের উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসব বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। বিতরণ করা উপকরণের মধ্যে বৈধ জাল ও ফ্লুডসহ মাছ শিকারের অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে।

তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন, মেরিন ফিশারিজ অফিসার অলিউল্লাহ শুভ প্রমুখ।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "ইলিশের উৎপাদন ও আহরণ বৃদ্ধি করতে মৎস্য বিভাগসহ তৎপর রয়েছে সরকার। কিন্তু অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারায় ইলিশের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ও আহরণ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে জেলেদের অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি বৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারে উৎসাহিত করতে জেলেদের বৈধ জালসহ বিভিন্ন উপকরণ একটি প্রকল্প মাধ্যমের বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা জেলেদের মাঝে বৈধ জালসহ বিভিন্ন দরকারি উপকরণ বিতরণ করেছি। আমাদের এই বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।" 

;

ট্যুর প্যাকেজের প্রতারণা, বুকিং মানির নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপকার্ড’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল একটি প্রতারক চক্র। দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

রাজধানীর গুলশান এলাকার বাসিন্দা জুঁই আক্তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। সম্প্রতি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ যাওয়ার জন্য ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপকার্ড’ ফেসুবকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম মূল্যে আকর্ষণীয় প্রাইজ দেখে আকৃষ্ট হন জুঁই। এরপর ভিসা ও অন্যান্য খরচের জন্য ৫৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার কিছু দিন পরই দেখতে পান তাদের ‘ট্রিপকার্ড’র অফিস বন্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তারা অফিস ছেড়ে চলে গেছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারেন নি। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আশায় টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হন জুঁই। 

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবিতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ট্রিপকার্ড’ নামের কথিত এই ট্যুর অপারেটর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পেইজের মাধ্যম বিজ্ঞাপন দিত। তারা বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় দিন ও রাত থাকা, হোটেলে বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ, ড্রপআপ, গাইডের মাধ্যমে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা করে। এক সঙ্গে ৪০ জনের ভিসা ও বিমানের টিকেট কাটাসহ সকল দায়িত্ব নিজেরাই পালন করার আশ্বাস দেয়। ফলে কম টাকায় সকল সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেয়।  অপুর নেতৃত্বে চক্রটি গত ছয় মাসে ৫৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘ট্রিপকার্ড’র নামের ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডের তথ্যে গত ছয় মাসে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণার তথ্য পেয়েছে।


সম্প্রতি, রাজধানীর বনানী থানায় এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ‘ট্রিপকার্ড’র নামের কথিত এই ট্যুর অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৯ আগস্ট ফেসবুকের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ মালদ্বীপ, শ্রীলংকার, থাইল্যান্ডে ট্যুর প্যাকেজের বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে আসছে। পরবর্তীতে কম টাকায় বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার জন্য তিন বন্ধু মিলে ট্যুর প্যাকেজে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং দুবাই যাওয়ার জন্য বুকিং দেন। এজন্য তারা কয়েক দফায় ব্যাংক ও নগদে প্রায় তিন লাখেরও বেশি টাকা জমা দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা দেওয়ার পরেও বিদেশে আর নিয়ে যায় না। বরং নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এমন কি টাকা চেয়ে যোগাযোগ করলে কথিত এই ‘ট্রিপকার্ড’র মালিক বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে অফিসসহ যোগাযোগের সকল নাম্বার বন্ধ করে দেয়। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী।

মামলা তদন্তে নেমে পর্যটকদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারণায় জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহনাগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলম ওরফে অপু ও তার আপন ভাই মো. আহাদ আলম ওরফে তালহা ও প্রতিষ্ঠানের কথিত এডমিন মো. আমিনুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ১৪টি পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিমকার্ড, ২টি ল্যান্ডফোন, একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি সিপিইউ ডেক্সটপ, পাঁচটি এটিএম কার্ড, ছয়টি ব্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়।

এই সকল প্রতারক চক্রের হাত থেকে সর্তক থাকার আহবান জানিয়ে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, যে কোন ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক পেইজে পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আকর্ষণীয় ও কম মূল্যের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে, বৈধ লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সেবা নিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে থানায় মামলা বা অভিযোগ দিতে হবে। এছাড়া নিজের পাসপোর্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

;

মেহেরপুর-২ আসনের এমপি সাহিদুজ্জামানের সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মেহেরপুর-২ আসনের এমপি সাহিদুজ্জামানের সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ

মেহেরপুর-২ আসনের এমপি সাহিদুজ্জামানের সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ

  • Font increase
  • Font Decrease

গেল ৫ বছরে মেহেরপুর-২ আসনের (গাংনী) সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এর আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০২৪) দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার অস্থাবর সম্পদ ৫১ লাখ ৬৪ হাজার টাকার। যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি।

একইসাথে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে চারগুণ। তবে জমির পরিমাণের বিষয়টি হলফনামায় ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। 

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান। তিনি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চেয়ে পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে। এ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, অস্থাবরও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।

বর্তমানে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বার্ষিক আয় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি জমি থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও মৎস্য খাত থেকে ৫ লাখ টাকা।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল কৃষি জমি থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে কৃষিখাত থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মৎস্যখাত থেকে ৫ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বর্তমান অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫২ লাখ টাকার এবং ২৫ ভরি স্বর্ণ। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ৪২ লাখ, ১টি গাড়ি যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে নগদ ছিল ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ১৪ লাখ, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ১ লাখ ২০ হাজর টাকার এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার টাকার।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্থায়ী সম্পদের মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ নিয়ে ধোয়াসা সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তার কৃষি জমি ছিল ১০ বিঘা। অকৃষি জমি ৫ বিঘা ৫ কাঠা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনার স্থাবর সম্পদের ছককৃত ঘরে লেখা আছে ৯.৩৩। তবে তা বিঘায় না একরে তা স্পৃষ্ট করা হয়নি। যদি এটা একরে হয়ে থাকলে তাহলে জমির পরিমাণও বাড়বে কয়েকগুণ।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ৩৭ লাখ টাকার এবং স্বর্ণ ২৫ ভরি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার। সে হিসেবে স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় চার গুণ।

তাঁর স্ত্রীর নামে জমির পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জমির পরিমাণ ছিল ৭ কাঠ। এখন তার পরিমাণ কৃষি জমি ২.২৯। তবে এখানেও তা বিঘা, শতাংশ না একরে হিসেব দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে জমির পরিমাণ স্পষ্ট হওয়ার বিষয়ে এমপি সাহিদুজ্জামানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

;