ভিক্ষাই সম্বল রাজশাহীর সেই ৪২ শহীদের পরিবারের



ইলিয়াস আরাফাত, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার যুগীশো পালশা গ্রামে ৪২ জন হিন্দুধর্মালম্বীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। শহীদ হওয়া এসব হিন্দুধর্মালম্বীদের কপালে জোটেনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।

স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও এ ৪২ হিন্দুধর্মালম্বীর পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেয়নি কেউ। সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ব্যাপারে আন্তরিক হলেও এখনো এই ৪২ শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়াননি কেউ। বর্তমানে শহীদদের পরিবারের সদস্যরা অনেকেই ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন।

শহীদ বিভারণ চন্দ্র প্রামাণিকের স্ত্রী নিয়তী বালা জানান, তার স্বামীকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক-হানাদার বাহিনী। স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। সন্তানদের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতে তাকে নামতে হয় ভিক্ষা করতে।

এখনো এ গ্রাম থেকে সে গ্রামে ভিক্ষা করে বেড়ান নিয়তি বালা। শুধু নিয়তী বালা একা নন। তার সাথে ভিক্ষা করতে বের হন আরো ৩০ থেকে ৩৫ জন হিন্দু ধর্মালম্বী মহিলা। তাদের স্বামীকেও হত্যা করেছিল হানাদার বাহিনী।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কথা হয় নিয়তী বালার সাথে। সে সময়ের দুঃসহ ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেন নিয়তী বালা। ভিক্ষা করতে যাবার কথা ভুলে গিয়ে মাটিতে বসে পড়েন। এ সময় তার সঙ্গে ভিক্ষা করতে বের হচ্ছিলেন একই গ্রামের আরও বেশ কয়েক জন শহীদের স্ত্রী।

ভিক্ষা করে জীবন চালান যুগীশু পালসা গ্রামের শহীদ শিতল দাসের স্ত্রী পঞ্চমী দাস (৭২), নগেন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুধাশু বালা (৭০), ঘেতন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুশীলা বালা (৭১), নিবারণ চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুন্দরী দাস (৭০), শ্রীকান্ত দাসের স্ত্রী তরু বালা (৭২), যোগেন্দ্র নাথের স্ত্রী অনন্ত বালা (৬৯), যদুনাথ চন্দ্র দাসের স্ত্রী প্রমীলা দেবী (৬৬) ও নগেন্দ্র নাথ কর্মকারের স্ত্রী যমুনা বালাসহ প্রায় ৩৫ জন হিন্দু ধর্মালম্বী মহিলা।

নিয়তী বালা বাংলা ১৩৭৮ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর সে দিনের সে নির্মম হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘দিনটি ছিল রোববার। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুটি গাড়িতে পাক বাহিনী ঢুকে পড়ে গ্রামে। পাক বাহিনীর গাড়িতে সেদিন ছিল বখতিয়ারপুর গ্রামের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরকার। তার নির্দেশে গ্রামের ৪২ পুরুষকে ডেকে নেওয়া হয়।’

‘সেদিন ৯ বছর বয়সী ছেলেকে রেখে বিভারণ চন্দ্র কিছুতেই যেতে চাচ্ছিলেন না। ছেলেটাও বিভারণের লুঙ্গি টেনে ধরেছিলেন পেছন থেকে। এ দৃশ্য দেখে পাক বাহিনীর কয়েকজন সদস্য রেগে গিয়ে ছেলেকে গুলি করে হত্যা করে বিভারণকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যান।’

‘তারপর সেই বাঁশ ঝাড়ের কাছে নিয়ে গিয়ে মাটির দিকে মুখ করে শুইয়ে দিয়ে বুট আর বেয়োনেট দিয়ে খুঁচাতে থাকে পাক বাহিনীর সদস্যরা। এরপর ব্রাশফায়ার করে ৪২ জনকেই হত্যা করা হয়।’

‘হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে পাক বাহিনী চলে গেলেও আব্দুল আজিজ সরকারের নেতৃত্বে সেদিন সমস্ত হিন্দুপল্লীতে আগুন ধরিয়ে লুটপাট চালানো হয়। সাথে কিছু চাল ডাল নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে হিন্দুপল্লীর সদস্যরা সেদিন রাতের আঁধারে ভারত চলে যান।’

দেশ স্বাধীন হলে ফিরে এসে দেখেন বাড়িঘর সব খোলা মাঠ হয়ে গেছে। হাঁস-মুরগী, গরু ছাগল যা ছিলো সব লুটপাট করা হয়েছে। ফসলী জমিগুলো দখল হয়ে গেছে। তবু স্বাধীন দেশে বেঁচে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টায় আজও ভিক্ষা করে বেঁচে আছেন।

শহীদ শিতল দাসের স্ত্রী পঞ্চমী দাস অভিযোগ করেন, তাদের স্বামীদের এভাবে হত্যা করা হলেও মেলেনি শহীদের স্বীকৃতি। এমনকি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জীবনধারনের জন্য দেওয়া হয়নি সরকারি কোনো অনুদান। তাই জীবিকার তাগিদে ও পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতেই ভিক্ষা করছেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আন্তরিক না হওয়ায় ভাগ্যন্নোয়ন হয়নি বলে দাবি করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। নির্বাচনের সময় তাদের প্রয়োজন পড়ে। তাদের ভাগ্যন্নোয়নে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। কিন্তু নির্বাচনের পর আর দেখা মেলে না নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। সংসার চালাতে ভিক্ষাবৃত্তিই একমাত্র অবলম্বন তাদের।

তবে শেষ বয়সে এসে আর ভিক্ষাবৃত্তি করতে চান না নিয়তী বালা কিংবা পঞ্চমী দাসরা। তাদের দাবি সরকার তাদের জন্য না হলেও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হলেও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন।

   

ধান কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কাউনিয়ায় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে সেচ পাম্পের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রফিকুল ইসলাম (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (২৫ মে) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের চাঁনঘাট গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। রফিকুল ইসলাম উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের চাঁনঘাট গ্রামের মৃত্যু উলি মাহমুদের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫৫) তার নিজের জমিতে বোরোধান কাটতে যান। আব্দুল গফুর নামের এক ব্যক্তির অবৈধভাবে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে সংযোগ নেওয়া সেচ পাম্পের তার ঝড়ে ধান খেতে পড়ে যায়। অসাবধানতাবশত সে তারে হাত লেগে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

রংপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি কাউনিয়া জোনাল অফিসের এজিএম আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজার রহমান বিদ্যুৎস্পৃটে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্ত্রীর কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে কেউ হতদরিদ্র ও গৃহহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কেউ হতদরিদ্র এবং গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ করতে মূল হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, ধর্ম বর্ণ বলে কোন কথা নেই। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য।

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে গণভবনে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরু ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে বর্তমান সরকার জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে বিপথে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল ৭৫ এর খুনিরা। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে সাম্প্রদায়িকতা দেখেছি। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেপালে একটি বৌদ্ধ মন্দির করে দেওয়া হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎপাদন বাড়ানোসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করছে সরকার।

;

বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি আজ রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (২৫ মে) বেলা ২টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজীজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাবন্দর সমূহে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, সাগরের মধ্যভাগ দিয়ে যাওয়ায় আরও শক্তিশালী হতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার খেপুপাড়া দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। অগ্রভাগের প্রভাব দুপুরের পর থেকেই উপকূলে থাকতে পারে। জোয়ারের সময় ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আর ভাটার সময় হতে পারে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশেই ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাস, ভারীবর্ষণ ও ভূমিধ্বস হতে পারে। তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় সারা দেশে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। আর উপকূলে ৭ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন আজীজুর রহমান।

;

এমপি আনার হত্যা তদন্তে ভারত যাচ্ছে ডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারতের কলকাতায় যাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)'র একটি দল। 

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় বাংলাদেশে একটি মামলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এই ঘটনা তদন্তে কলকাতা পুলিশের চার সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশে তদন্ত করছে। তাদের কাজ এখনো শেষ হয় নি। আজকেও তারা আসামিদের সঙ্গে কথা বলতে আসবে।

হারুন আরও বলেন, এই ঘটনা তদন্তে ডিবির পক্ষ থেকে একটি টিম কলকাতায় যাওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের অনুমতি পেয়েছি। আমিসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা আজ রাতে অথবা আগামীকাল সকালে রওনা দেবো। 

উল্লেখ্য, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে গত ১৮ মে বারানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ করেন গোপাল বিশ্বাস।

এদিকে, আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহবুবুল হকের আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।’

মামলায় তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদেবার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো। এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।’

;