জাপা-আ’লীগ সবাই সমান: রাঙা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন মশিউর রহমান রাঙা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন মশিউর রহমান রাঙা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমার রাঙা বলেছেন, ‘আমি মহাজোটের প্রার্থী। আমার কাছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা যেমন মূল্যায়ন ও সম্মান পাবে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তেমনই সম্মান পাবে। আমার কাছে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের সবাই সমান।’

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে রংপুর শিরিনপার্ক কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। 

রাঙা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলার রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই সারাদেশের মতো  রংপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গেল পাঁচ বছরে গঙ্গাচড়ায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, নদী শাসনে বাধ নির্মাণসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আগামীতে এমপি নির্বাচিত হলে এর চেয়ে আরো বেশি উন্নয়ন হবে।’

অবহেলিত রংপুরের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে লাঙল প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে মহাজোটের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান রাঙা।

মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নওশাদ রশিদ, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াছির, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রজ্জাক, জেলা যুব-সংহতির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিমসহ রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

   

পাঁচ বছরে রসুনের দাম বেড়েছে ৩১০ শতাংশ, আদা ২০৫



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে মোট ৩৪টি নিত্যপণ্যের মধ্যে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি ৩১০ শতাংশ বেড়েছে রসুনের দাম। একই সময়ে আদার দাম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০৫ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ১৬৭ শতাংশ ও চিনির দাম ১৫২ শতাংশ বেড়েছে।

এর বাইরে পামওয়েল, শুকনা মরিচ ও মসুর ডালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম পাঁচ বছরে শতভাগ বেড়েছে বলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার (২ জুন) সিপিডির কার্যালয়ে ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই পর্যালোচনাটি তুলে ধরেন সংস্থার গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে মাছের দাম মাত্র ১০ শতাংশ কমেছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির এই হার আলোচনায় থাকা ৩৪ পণ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন। স্থিতিশীল থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে চালের দাম পাঁচ বছরে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

এ সময় মোয়াজ্জেম বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা, ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী প্রবণতা ও প্রতিযোগিতার অভাবে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির কারণে বেশ কিছু নিত্যপণ্য বিলাসী পণ্যে পরিণত হয়েছে।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি দেশি রসুনের দাম মে মাসে ২০৫ টাকায় উঠেছে। এ সময়ে প্রতি কেজি রসুনের দাম ১৫৫ টাকা বা ৩১০ শতাংশ বেড়েছে।

একই সময়ে আমদানি করা রসুনের দাম ৭০ টাকা থেকে ২১১ শতাংশ বেড়ে ২২৫ টাকায় উঠেছে বলে জানান মোয়াজ্জেম।

মে মাসে প্রতি কেজি আদার দাম ৩৩৫ টাকায় উঠেছে জানিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর আগে পণ্যটির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১১০ টাকা। এ হিসাবে আদার দাম কেজিতে ২২৫ টাকা বা ২০৫ শতাংশ বেড়েছে।

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। আর দেশি পেয়াঁজের দাম ২৭ দশমিক ৫ টাকা থেকে একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৫ টাকায়। মানভেদে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৬৪ থেকে ১৬৭ শতাংশ।

৫২ টাকা কেজি দরের চিনি ১৫২ শতাংশ বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠেছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম মাত্র ৩৯ টাকা। বিশ্বাজার (৫০ টাকা) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের (৯০ টাকা) তুলনায়ও বাংলাদেশে চিনির দাম অনেক বেশি।

৬৩ টাকা লিটারের খোলা পাম তেলের দাম ১০৬ শতাংশ বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠেছে বলে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে। ৬৮ টাকার পাম সুপার তেলের দাম একই হারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়।

২০১৯ সালে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শুকনা মরিচের দাম ১০৫ শতাংশ বেড়ে ৪১০ টাকায় উঠেছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। এ সময়ে মোটা দানার মসুর ডালের দাম ৫৫ টাকা থেকে ৯৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে কেজি ১০৮ টাকায়।

পাঁচ বছরে গুড়ো দুধের দাম ব্র্যান্ডভেদে ৪৩ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। এর মধ্যে ডানো ব্র্যান্ডের দুধের দাম ৫৬৫ টাকা থেকে ৪৩ শতাংশ বেড়ে কেজি দাঁড়িয়েছে ৮১০ টাকায়। আর ফ্রেশ ব্র্যান্ডের দুধের দাম ৪৪০ টাকা থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯০ টাকা।

এর বাইরে হলুদ গুড়ার দাম পাঁচ বছরে ৭০ শতাংশ, ময়দার দাম ৬০ শতাংশ, বয়লার মুরগির দাম ৫৯ শতাংশ, গরুর মাংসের দাম ৫৮ শতাংশ ও বোতলজাত সয়াবিনের দাম ৫৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সিপিডি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী পাঁচ বছরে সবচেয়ে কম বেড়েছে রুই মাছের দাম। ২০১৯ সালে ৩১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পণ্যটি এখন বাজারে পাওয়া যায় ৩৪০ টাকা কেজি দরে। এ হিসেবে রুই মাছের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে পাঁচ বছরে।

তালিকায় নিচের দিকে থাকা পাইজাম চালের দাম ১৫ শতাংশ, মিনিকেট চালের দাম ১৭ শতাংশ এবং মোটা চাল ও লবণের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে পাঁচ বছরে।

;

চট্টগ্রামে অভিজাত রেস্তোরাঁয় খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি খাবার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় অবস্থিত চারটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে প্রতিটিতেই অনিয়ম পেয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২ জুন) লা মেনসা, দ্য গোল্ডেন স্পুন, দ্য পিৎজা কো এবং ক্রিমসন কাপ রেস্তোরাঁয় এই অভিযান পরিচালনা করেন নগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, অভিযান পরিচালনার সময় লা মেনসা রেস্তোরাঁর কিচেনে অস্বাস্থ্যকর ও বাসি খাবার পাওয়া যায়। রেস্তোরাঁটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে দ্য গোল্ডেন স্পুন রেস্তোরাঁয়া অবৈধভাবে কেক ও দই উৎপাদন করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে নিবন্ধন না থাকায় দ্য পিৎজা কো রেস্তোরাঁকে ৩০ হাজার এবং ক্রিমসন কাপ রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ৪ মামলায় চারটি রেস্তোরাঁকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন খুলশী থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য এবং কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের কর্মচারীরা।

;

‘সঠিক নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বে এখন রোল মডেল’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সঠিক নেতৃত্ব যদি না থাকতো এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। এক সময় যাদের কাছে আমরা ভিক্ষুক মিসকিনের জাতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত ছিলাম, তারাই আজ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ৷ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বে এখন রোল মডেল।

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশে এখন কেউ না খেয়ে নেই৷ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি আমাদের উল্লেখযোগ্য অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে৷ পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, কমিউনিটি ক্লিনিক এসব উন্নয়ন দৃশ্যমান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো আমাদের অপূর্ণতা আছে। কিন্তু, যে উন্নয়ন শেখ হাসিনার বিগত পনের বছর শাসনামলে হয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই৷

রোববার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতির উদ্যোগে গুলশানের হোটেল আমারি'তে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

উপস্থিত পৌরসভার মেয়রদের অনুপ্রেরণা দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আপনারা পৌর এলাকার জনপ্রতিনিধি। বাংলাদেশের পৌর এলাকায় বাস করা অধিকাংশ মানুষই সভ্য। মার্জিত জনগণের ভোটেই আপনারা নির্বাচিত। আপনারা চাইলেই নিজেদের নির্বাচিত এলাকায় আমূল পরিবর্তন সাধন করতে পারেন।

মন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক চুং হি এবং সিঙ্গাপুরের লি হুয়ানের উদাহরণ উল্লেখ করে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়ায় পার্ক এবং সিঙ্গাপুরে লি হুয়ান যখন ক্ষমতায় আসেন তারা জনগণের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। সাহসিকতার সাথে নিজেদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যান। আপনাদেরকেও একই লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। তবেই, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হবেন।

বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতির সভাপতি এবং নীলফামারী পৌরসভার মেয়র মো. দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম কামরুজ্জামান, যুগ্মসচিব মো. কামাল হুসেইন, বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতির মহাসচিব এবং মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হুসেইনসহ আরও অনেকে৷

;

লালমনিরহাটে ঝড়ে ভেঙে পড়লো ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বটগাছ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে ২০০ বছরের পুরোনো একটি বটগাছ ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। এ-বটগাছটিকে বলা হয় ‘হালা বটের তল’।

শনিবার (১ জুন) রাতে প্রচণ্ড ঝড়ে বিকট শব্দে বটগাছটি ভেঙে পড়ে। এসময় আতিক, উজ্জ্বল ও মেহেদি নামে স্থানীয় তিনজন আহত হন। তারা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

লালমনিরহাটের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে দুই শতাধিক বছরের পুরোনো বটগাছটি। এর নামে এলাকার নাম দেওয়া হয় হালাবটের তল। যা এখন শুধুই স্মৃতি। এটি লালমনিরহাট পৌরসভার উত্তর সাপ্টানা এলাকায় অবস্থিত।

স্থানীয়রা জানান, ২০০ বছরেরও বেশি সময় আগে উত্তর সাপ্টানা এলাকায় গড়ে ওঠা মাঠটিতে বটগাছটির জন্ম হয়। কালের পরিক্রমায় বটগাছটি প্রায় দেড় একর জমিজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। মানত পূরণের জনশ্রুতি থেকে ধীরে ধীরে হালা বটতল হয়ে ওঠে মানতের আস্তানা ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের স্থান।

বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বটগাছের ডাল পালা বিস্তৃত হলেও গাছটি হেলে ছিল। পথচারীদের বিশ্রামেরও জায়গা এটি। ছুটির দিনসহ বিশেষ দিনগুলোতে বিনোদন প্রেমীরা হালা বটতলে ঘুরতে যেতেন। সেজন্য লালমনিরহাটের ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় উত্তর সাপ্টানা এলাকার হালা বটতল।

দুই শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী বটগাছটি শনিবার রাতের ঝড়ে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে পড়েছে। বটগাছের পাশে ঈদগাঁ মাঠের মিনারের পাশে ঝড়ের সময় আশ্রয় নেওয়া তিন যুবক ভেঙে পড়া গাছের ডালের নিচে চাপা পড়ে আহত হন।

হালা বটতলের খাদেম আকবর আলী বলেন, আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি এ গাছের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আমার অনেক কান্না পাচ্ছে।

ঐতিহ্যবাহী হালা বটগাছটি ভেঙে পড়েছে শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন। তিনি বলেন, জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী হালা বটগাছটি ভেঙে পড়েছে।

;