আমদানির পেঁয়াজে বাজারে স্বস্তি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একশ ছাড়িয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম পড়তির দিকে। এতে কিছুটা স্বস্তি এলেও দাম এখনও আগের চেয়ে বেশি বলেছেন ক্রেতারা। ভারত থেকে আমদানি হওয়ার পর মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০-২৫ টাকা কমলেও এখনো ৭০ টাকায় স্থির হয়ে আছে পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

শুক্রবার (৯ জুন) খুচরা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর বাজারে খুচরায় বিক্রি হওয়া পণ্যের যে মূল্যতালিকা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দিয়েছে, সেখানে কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দর দেওয়া হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

অপরদিকে এদিন ঢাকায় পেঁয়াজের পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। খুচরায় কারওয়ান বাজারে দর ও টিসিবির দর একই।

খিলক্ষেতের বাসিন্দা রোজিনা ভারতীয় পেঁয়াজ কিনেছেন ৬০ টাকা কেজিতে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের জীবনধারণের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক ও আকস্মিকভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেমন দুই দিন আগে হঠাৎ পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ৯৫ হল, যা জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আজকে যদিও পেঁয়াজের দাম কমে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তবুও আমার মনে হচ্ছে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে, কারণ ভারত থেকে লাখ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

মিরপুরের বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ইন্ডিয়ানটা ৬০ টাকা। দাম খুব তো আর কমে আসেনি। পেঁয়াজ লাগে প্রতিদিন। এর দাম আরও কমা উচিত।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সেলিম উদ্দিন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৫ জুন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে মানভেদে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৬ টাকার মধ্যে। দাম আরও কমবে। আশা করছি কোরবানির ঈদে ৩০ টাকার মধ্যে চলে আসবে। আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে আসায় বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে।