ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।

এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআর-এর গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপোসহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি।

প্রতিবছরের মত এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কমূসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭ টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। এছাড়াও এদিন বিকাল সাড়ে তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬-দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু, এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬-দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ৬-দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে অনুমোদন করিয়ে নেন।

৬-দফার মূল বক্তব্য ছিল, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সকল ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু’টি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপন করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ৬-দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রের ভাষায় উত্তর দেয়া হবে।

এদিকে, ৬-দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমগ্র পূর্ববাংলা সফর করেন এবং ৬ দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলে, শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। যশোর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ৬ দফার পক্ষে প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।

ছয় দফা দাবি আদায় প্রসঙ্গে ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কর্মীরা যথেষ্ট নির্যাতন ভোগ করেছে। ছয় দফা দাবি যখন তারা দেশের কাছে পেশ করেছে তখনই প্রস্তুত হয়ে গিয়াছে যে তাদের দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হবে। এটা ক্ষমতা দখলের সংগ্রাম নয়, জনগণকে শোষণের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য সংগ্রাম।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার বিশ্বাস আছে আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের নিঃস্বার্থ কর্মীরা, তাদের সাথে আছে। কিছু সংখ্যক শ্রমিক নেতা, যারা সত্যই শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করে-তারাও নিশ্চয়ই সক্রিয় সমর্থন দেবে। এত গ্রেফতার করেও এদের দমাইয়া দিতে পারে নাই।

পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক ৬ দফাভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই ধাপে ধাপে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয়। এ দাবির সপক্ষে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক রায় ঘোষিত হয় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিরা বিজয়ী করে।

অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দলকে জনগণ বিজয়ী করলেও স্বৈরাচারী পাকিস্তানের শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে আবারো বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

   

নিখোঁজের ১৮ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে নাইস মিয়ার মরদেহ ১৮ দিন পর নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় গঙ্গাচড়ার কচুয়া বাজারের পাশে সাপমারি ডাঙ্গেরপাড় এলাকায় তিস্তার ডুবোচরে নাইস মিয়া নামের ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নাইস ঘটনাস্থলের ১ কিলোমিটার উত্তরে নানাবাড়ি থেকে লেখাপড়া করতেন। স্থানীয় আনোয়ারমারি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন তিনি।

গত ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে ফুটবল খেলা শেষে কচুয়াঘাটে তিস্তা নদীতে গোসল করতে নামেন ছয় বন্ধু। প্রবল স্রোতে হাবুডুবু খেতে থাকেন তারা। এ সময় ঘাটে থাকা স্থানীয় লোকজন দুটি নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু চারজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও মুন্না ও নাইস নামের দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজ হন। ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালানোর পর সন্ধান না পাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করে দেয় ফায়ার সার্ভিস।

৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে সাত কিলোমিটার ভাটিতে মুন্নার মরদেহ উদ্ধার করেছিল এলাকাবাসী। তার বাড়ি আবাসন পাড়া এলাকায়। গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি। আর ১৮ দিন পর মিলল নাইসের মরদেহ।

গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। দাফন কাফনের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার করে টাকা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সচেতনতা হিসেবে ঘাটগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টাঙ্গানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

রাইস কুকারে দেড় কোটি টাকার সোনা, যুবক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
রাইস কুকারে দেড় কোটি টাকার সোনা

রাইস কুকারে দেড় কোটি টাকার সোনা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবৈধভাবে রাইস কুকারে লুকিয়ে নিয়ে আসা পৌনে দুই কেজি সোনাসহ মোহাম্মাদ আলী (৩৪) নামের এক যাত্রীকে আটক করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এসব সোনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা এয়ার এরাবিয়ার জি-৯৫২৬ ফ্লাইটে করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসেন ওই যাত্রী।

আটক মোহাম্মাদ আলী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা এয়ার এরাবিয়ার জি ৯৫২৬ ফ্লাইটে চট্টগ্রামে আসেন তিনি। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে স্বাভাবিক স্ক্যানিংয়ে তার ব্যাগেজে সন্দেহজনক পণ্য থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে তার ব্যাগেজে থাকা একটি রাইস কুকারে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ১ কেজি ৭০০ গ্রাম ২৪ ক্যারেটের কাঁচা সোনা ও ২২ ক্যারেটের ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমস ইউনিটের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ার পর তার সঙ্গে থাকা রাইস কুকার থেকে এসব সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার সোনার বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

রাতের বৃষ্টিতে এখনো পানিবন্দী রাজধানীর অনেক এলাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পানিবন্দী রাজধানীর অনেক এলাকা

পানিবন্দী রাজধানীর অনেক এলাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল গোটা রাজধানী। ডুবে গিয়েছিল রাজধানীর অলিগলি ও মূল সড়ক। এদিকে বৃষ্টির রাতের পর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই রাজধানীর অনেক এলাকা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরান ঢাকা, নিউ মার্কেট, আজিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অলিগলিতে এখনো হাঁটু সমান পানি জমে আছে। অনেক দোকানপাট বন্ধ। বাসাবাড়িতে আটকা পড়েছেন অনেকে। অনেকে আবার বাধ্য হয়েই ময়লা পানি মাড়িয়ে ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পথে মানুষের আনাগোনা কম, যানবাহনও কম চলাচল করছে।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের ভিতরে হাঁটু সমান পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে পারেননি। এমন অবস্থায় ক্রেতা সমাগমের কথা তো চিন্তাও করা যায় না। অথচ অন্যান্য শুক্রবারে সকাল ৯টার পর থেকেই খুলতে শুরু করে নিউমার্কেটসহ ওই এলাকার দোকানপাট। ক্রেতার ভিড়ও লেগে যায় সকাল থেকেই। কিন্তু রাতের মুষলধারে বৃষ্টি সব হিসাব উল্টে দিয়েছে।

দোকান খুলবেন তো দূরের কথা অনেক ব্যবসায়ীকে রাতের বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া কাপড় রোদে শুকাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। এমন হাঁটু পানি জমে আছে ঢাকা নার্সিং কলেজের ভেতরেও। মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক থেকে নামার জায়গা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের অংশের সড়কও সকালে পানির নিচে ছিল।

এদিন পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান রোড, নাজিমুদ্দিন রোড, চাঁনখারপুল লেন ও নিমতলী এলাকা ঘুরে জলাবদ্ধতার এমন চিত্রই দেখা গেছে। আগের রাতের বৃষ্টিতে পরদিন দুপুরেও পানিবন্দী পুরান ঢাকার মানুষ।

আজিমপুরের দিক থেকে আসা সিএনজি চালক আলীম সরকার বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে আজিমপুরে একটা ট্রিপ নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি ওই দিকের রাস্তায় এখনও পানি জমে আছে। সিএনজি নিয়ে গেলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে। তাই যাত্রী নামিয়ে রিকশা ঠিক করে দিয়েছি।

নাজিমুদ্দিন রোডের বাসিন্দা অলোক। তিনি বলেন, বৃষ্টির পানিতে সড়কের পাশে জমিয়ে রাখা ময়লা-আবর্জনা ও ড্রেনের ময়লা একাকার হয়ে গেছে। রাত থেকে নোংরা পানি মাড়িয়েই চলাচল করছেন মানুষ। রাস্তার দুপাশের অধিকাংশ দোকানে পানি ঢুকেছে।

;

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে স্কুল ভাঙচুর, অনিশ্চিত পাঠদান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে দু'দফা হামলা চালিয়ে ১০ টি সেমিপাকা ও দুটি টিনসেট শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত ও শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার পালেরহাট মডেল একাডেমিতে এ ভাঙচুর চালানো হয়। জমির মালিকানা দাবি করে তোফায়েল আহমেদ ও আবু তাহেররা দলবল নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।

এসময় দুটি ল্যাপটপ ও শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের ১ লাখ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ভাঙচুর ও লুটপাটে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান প্রধান মোরশেদ কামাল দাবি করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান মোরশেদ কামাল ও তার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম জানায়, তাদের মা ফাতেমা বেগম এই জমির মালিক। ২০১৪ সালে এ জমিতে বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। কিন্তু তাদের মায়ের চাচাতো ভাই তোফায়েল আহমেদ, আবু তাহের ও খোরশেদরা জমির মালিকানা দাবি করে আসছে। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বৈঠক হলেও তোফায়েলরা জমির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সবশেষ ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়েও বৈঠক হয়। সেখানেও তারা কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি।

এদিকে তোফায়েলরা দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করতে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। বাজারের একজন নৈশ প্রহরীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে। হামলাকারীরা তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ চলে গেলে শুক্রবার ভোরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলবল নিয়ে ফের ভাঙচুর চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান মোরশেদকে মারধর করে তারা। হামলাকারীরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষসহ ১০টি সেমিপাকা, দুটি টিনসেট শ্রেণিকক্ষ, একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে দুটি ল্যাপটপ ও শিক্ষকদের মাসিক বেতনের জন্য রাখা ১ লাখ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত ও মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবারও তারা ক্লাস করে গেছে। এখন তাদের স্কুলটা ভেঙে তছনছ করে ফেলেছে। তারা কোথায় ক্লাস করবে। সামনে তাদের বার্ষিক পরীক্ষা। এ অবস্থায় ক্লাস করতে না পারলে তাদের পড়ালেখার সমস্যা হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বেলাল হোসেন ও এমরান হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি এমনভাবে ভাঙচুর করেছে পাঠদান কর্মসূচি চালানো অসম্ভব। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করানো ঝুঁকি মনে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ কামাল বলেন, দু'দফা হামলা চালিয়ে পুরো ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে। প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ শিক্ষার্থীদের পাঠদান এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছ উজ জামান বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল এসে ভাঙচুরের সত্যতা পায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর আমরা চলে গেলে ফের স্কুলে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থল এসে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। হামলাকারীদের তথ্য নেওয়া হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;