ঈদের ছুটির আগেই দিতে হবে শ্রমিকের বেতন-বোনাস: শ্রম প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটির আগেই পোশাকশিল্পের মালিকপক্ষকে শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে বলেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ- টিসিসি’র ৭৫তম এবং আরএমজি টিসিসি’র ১৫তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদ যেহেতু মাসের শেষ দিকে, সেজন্য শ্রমিকদের ঈদ বোনাসের সঙ্গে চলতি মাসের ১৫ দিনের বেতনও দিয়ে দেবেন।

এ সময় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের জুন মাসের পূর্ণ বেতন দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ১৫ দিনের বেতন বাধ্যতামূলক। তবে কোনো মালিকের সক্ষমতা থাকলে, ইচ্ছে করলে তিনি পূর্ণ মাসের বেতনও দিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস যেহেতু রফতানিমুখী শিল্প এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে, তাই এসব বিষয়কে মাথায় রেখে শ্রমিকদের ছুটি দেবেন।

টিসিসি সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, ফাহমিদা আখতার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক মিনা মাসুদ উজ্জামান, শিল্প পুলিশের ডিআইজি জিহাদুল কবির, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাসির উদ্দীন, পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুস সালাম খান, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম রনি, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি কামরুল আহসান, ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেত্রী নাজমা খাতুনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, আইএলও, দফতর-সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

   

ছেলের নির্যাতনে বাড়ি ছাড়া মা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বামীহারা ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা নূর জাহান বেগম। জীবনের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে সন্তানদের লালন-পালন করে বড় করেছেন। অথচ জীবন সায়াহ্নে এসে ঠাঁই হলো না সেই সন্তানের কাছে।

এমনকি নিজের নামে যে জায়গা ছিল সেটিও কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠার অভিযোগ উঠেছে ছেলে শফিউল আলমের (২৫) বিরুদ্ধে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বৃদ্ধা নূরজাহান সন্তানের ভয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন গাছ তলায়।

জানা যায়, বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের জে.এম ঘাট এলাকায় দুই মেয়ে আর দুই ছেলে নিয়ে ৫০ বছরের সংসার ছিল বৃদ্ধা নূর জাহানের। গত তিন বছর আগে স্বামী নজির আহমেদ মারা যাবার আগে সন্তানদের সম্পত্তির ভাগ বন্টন করে দিয়ে গেছেন । যেখানে স্ত্রী নূর জাহানের নামে দেওয়া হয় জমির কিছু অংশ। তবে সম্প্রতি নূর জাহানের সে জায়গা নিজের নামে করে নিতে ছেলে শফিউল আলম কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন নূর জাহান বেগম। এছাড়া তাকে করা হয় বাড়িছাড়া।

এ বিষয়ে শফিউল আলমের কাছ থেকে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আবদুল খালেক জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হয়ে কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী বৃদ্ধা নূর জাহানের পাওনা ২৪ কড়া জায়গা দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপরও বিষয়টি আবারও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা বলেন, এ বিষয়ে অবগত না, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ উজরা জেয়ার



বাসস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চান বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উজরা জেয়া বলেছেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চান।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরাও চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। তবে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন, বলেন তিনি।

এসময় মোমেন বলেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না। ভোট কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় এলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমরা আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাই।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা।

বৈঠকে তারা বিভিন্ন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেন।

উজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে তারা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি (জেয়া) রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবিকা নিশ্চিত করতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেন।

মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো শুরু করার আগে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিত অন্যথায় এই অঞ্চল নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে কারণ রোহিঙ্গারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত পড়েছে।

শেখ হাসিনা গাম্বিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক সমর্থনও চেয়েছেন।

;

গ্রামের নাম ‘ভন্ডগ্রাম’, পরিবর্তন চান এলাকাবাসী



রবিউল এহ্সান রিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামটির নাম ভন্ডগ্রাম। এ নামেই রয়েছে স্কুল,হাট-বাজার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। নিজের গ্রামের নাম বললেই হাসিঠাট্টা, কটাক্ষ ও বিদ্রুপের শিকার হতে হয় গ্রামবাসীকে৷ এমন কটাক্ষ থেকে বাদ পড়েনা স্কুলের শিক্ষার্থীরাও৷ গ্রামটির নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর৷

নাম দিয়ে নয়, কাজে আসল পরিচয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে নামেও অনেক কিছুর অর্থ বহন করে। এমন একটি নামের অর্থে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত, বিবাহবন্ধন কিংবা সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে নামটি বললেই নানা বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হয়৷ এমনি একটি গ্রামের নাম ভন্ডগ্রাম।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের একটি গ্রামের নাম ভন্ডগ্রাম। গ্রামটিতে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, সুজলা-সুফলা ফসলে মাঠ আর চারপাশ সবুজের সমারোহ। সকাল বেলা গবাদিপশু সহ কৃষক-কৃষাণীর মাঠে বেড়িয়ে যাওয়া, শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়া, তপ্ত দুপুরে বয়ে যাওয়া ছোট নদীতে কিশোরদের গোসল আর বিকালে গ্রামে বসা হাটে চলে কেনা-বেচা।একটি আদর্শ গ্রামের যা বৈশিষ্ট্য তার সবকিছুর যেন উদাহরণ গ্রামটি৷


তবে গ্রামটির নাম নিয়ে জটিলতার শেষ নেই। নিজের নাম বা পেশার পরে গ্রামের নাম বললেই কটাক্ষ আর উপহাসের সম্মুখীন হতে হয় এলাকাবাসীকে৷ গ্রামের নাম বললেই ‘ভন্ড’ বলে সম্বোধন করে বসেন অনেকে। যদিও কি কারণে এর নাম ভন্ডগ্রাম হল তা জানেননা এলাকার কেউই৷ গ্রামের এমন নাম প্রভাব ফেলছে পড়াশোনা, চাকরি, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে। নামটি বদলে দিয়ে নতুন কোন নাম হলে এমন বিড়ম্বনা থেকে বাঁচবে এলাকার মানুষ।

পড়াশোনা ও চাকরি ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় দিলে উপহাস করেন সহপাঠী আর সহকর্মীরা। নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম শুনলেই দৃষ্টিকটু চোখে সম্বোধন করেন সকলে। আর এর প্রভাব ফেলে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার ক্ষেত্রে। তাই স্কুল ও গ্রামের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়ার আহবান স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

বিপাকে পড়তে হয় নিজের জন্মস্থানের নাম বলতে। অনেকের ধারণা বিট্রিশ আমলের আগে থেকে এ নাম হয়ে আসছে। এখন গ্রামের নামে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রামের সকল মানুষকে। নামটি বদলে গেলে জন্মস্থানের পরিচয় দিতে সম্মানিত বোধ হবে বলে জানান এলাকার মানুষ।


রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, ভন্ডগ্রাম নামটিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে গ্রামটিতে৷ দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় গুলোর নাম পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তনে কাজ করছে জেলা প্রশাসন৷ যদিও এটি জটিল প্রক্রিয়া তবে গ্রামের নাম পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

সবজির আগুন দামে নাজেহাল মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম লাগামছাড়া। খুবই কষ্টে আছে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষ। পরিবারের খরচ ৪০ শতাংশ কমিয়েও সংসার চালাতে পারছি না। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন শরিফ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, সবজির আগুন দামে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের অবস্থা নাজেহাল। সবজির দাম শুধু বাড়ছেই। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি খুঁজে পাবেন না।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খিলক্ষেতসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, একমাত্র পেঁপে ছাড়া ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই।

খিলক্ষেত কাঁচাবাজারে বরবটি ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। আর গাজর একধাপ এগিয়ে ১২০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, বেগুন ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজিতে, মূলার কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।

বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে আর পুরোনো আলু ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০ টাকা। আমদানির ঘোষণার পরও কমেনি ডিমের বাজার, হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী আমিন উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা চলছে তাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বাজারে আসাটাই বিলাসিত মনে হচ্ছে। কোনো কিছুতেই হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সবজি খাবো, তারও দায় নেই। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। আগে যে সবজি কিনেছি এক কেজি সেটা দামের কারণে বাধ্য হয়ে আধা কেজি কিনি। বাজার তদারকি না করার কারণে এমন হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

গার্মেন্টসে চাকরি করেন এনামুল কবির। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে যার ইচ্ছামতো দাম রাখছে, কোনো জবাবদিহি নেই। আমাদের মতো মানুষের এই শহরে টিকে থাকা দায় হয়ে গেছে। সবজি কিনে খাবো তাও বিচার বিবেচনা করতে হয় কোন সবজিটা কিনব। তাই তুলনামূলক কম দামের পেঁপে কিনে খাচ্ছি। সন্তানের মুখে মাংস দিবে সে সুযোগও নাই।

সবজির বাড়তি দামের বিষয়ে খিলক্ষেত বাজারের সবজি বিক্রেতা হুমায়ন কবির বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে সবজির দাম বাড়তি। এখন সবজির মৌসুম না, ফলে এগুলোর দাম বেশি। শীতকাল আসার আগ পর্যন্ত সবজির দাম বাড়তেই থাকবে বলে জানান তিনি।

খিলক্ষেত বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিং মাছ (আকারভেদে) কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায়, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, কাতল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

;