বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য পরিবেশ শৃঙ্খলা জরুরি: মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বসবাসযোগ্য ঢাকা নগরী গড়তে সরকার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং সেসব উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়নও দৃশ্যমান।

তিনি বলেন, নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ও দুর্বৃত্তায়ন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্তির ফলে পরিবেশ দূষণসহ দখলদারিত্বের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হতে আমাদের সময় লাগছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করে যেভাবে দারিদ্র্যসীমা হ্রাস করেছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, এলডিসি উত্তীর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হয়েছে সেভাবে পরিবেশ দূষণ রোধে শৃঙ্খলাও একদিন আমরা অর্জন করব।

শনিবার (৩ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজনে এবং নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সহযোগিতায় ‘২৮ বছরে রাজধানীর জলাধর ও সবুজ নিধনঃ বাস্তবতা ও উত্তরণের পথনকশা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষই পরিবেশের দূষণ করে এবং মানুষই পারে দূষণ প্রতিরোধ করতে। তিনি বলেন, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ না হলে ঢাকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে যা অর্জন হয়েছে তা অন্য কোন সরকারের সময় হয়নি জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এমডিজি অর্জন করেছি, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রায় কাজ করছি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা মহাপরিকল্পনাও শেখ হাসিনা নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শুধু বর্তমানের কথা চিন্তা করেননি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মুদ্রার যেরকম এপিঠ-ওপিঠ উভয় দিকই রয়েছে তেমনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ইতিবাচক দিকের সাথে সাথে নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। সেই নেতিবাচক প্রভাবকে কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নানা ধরনের প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশটা আমাদের সবার এবং এদেশের উন্নতির জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

ঢাকা শহরের সবুজ ভূমি ও জলাভূমি রক্ষায় এই মহানগরীতে কত মানুষ বসবাস করবে তারও একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষের চাপে যেকোনো ভালো পরিকল্পনা ও নাগরিক সুবিধা ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য। সীমার অতিরিক্ত মানুষ ঢাকায় বসবাস করাকে নিরুৎসাহিত করতে নানা ধরনের পরোক্ষ নীতিমালাও নেওয়ার সময় হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

সরকার সিভিল সোসাইটির সমালোচনা ও যেকোনো আন্দোলনকে সাধুবাদ জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টার অসংখ্য উদাহরণ আমাদের দেশে রয়েছে। বৃক্ষ নিধন, জলাশয় দখল ও নদীর দূষণের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে সব সময় সোচ্চার জানিয়ে নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সবুজ ভূমি এবং জলাভূমিও গুরুত্বপূর্ণ কারণ খাঁচার মতো অবকাঠামোয় মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না ।

গোলটেবিল বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি তার বক্তব্যে সংবিধানকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন উল্লেখ করে সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ ভূমি ও জলাভূমি দখলমুক্ত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ঢাকা মহানগরের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে তিনি বলেন, বসবাসযোগ্য ঢাকা অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য এবং রাজধানী ঢাকা না বাঁচলে আমাদের অর্থনীতি বাঁচবে না।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়া দিঘী ভরাট, হাতিরঝিলের লেক ভরাট এবং গাবতলীতে বিএডিসির জন্য নিম্নভূমি ভরাট এখনই বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি সুলতানা কামাল ঢাকার সবুজ ভূমি ও জলাভূমি রক্ষায় রাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর শামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সোসাইটি অব এক্সপার্টস অন এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্টের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, নগদ উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ আহসান।

   

মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম ময়মনসিংহ 
মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু

মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাছ ধরতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে মো: আলফাজ (১২) নামে এক কিশোরের  মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের পালইকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আলফাজ ওই গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোর আলফাজ বেলা এগারোটার দিকে বাড়ির পাশের সুতিয়া নদীতে খরা জালে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে তার পরিবার ও স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে নদীতে থাকা খরা জালের বসার ভাঙা মাচা দেখে সন্দেহ হয়। পরে লোকজন নদীর পানিতে নেমে তল্লাশির করে। খরা থেকে ১০০ মিটার দূরে বিকেল আলফাজের মরদেহ উদ্ধার করে। 

স্থানীয় যশরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েল ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে বলেন,  ‘এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

 

;

ডেঙ্গুতে আরও ১৪ মৃত্যু, আক্রান্ত ২৪২৫



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪২৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে দেশে ডেঙ্গুতে ৯৮৯ জনের মৃত্যু হলো। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত এ রোগে মারা গেলেন ৩৯৬ জন।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানী ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের, আর ঢাকার বাইরে ৬ জন। সবশেষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৪২৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন।।।

বিস্তারিত আসছে...

;

নিজেদের ডেটা নিজেদের কাছেই রাখতে হবে: বিডিইউ উপাচার্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম ঢাকা 
নিজেদের ডেটা নিজেদের কাছেই রাখতে হবে: বিডিইউ উপাচার্য

নিজেদের ডেটা নিজেদের কাছেই রাখতে হবে: বিডিইউ উপাচার্য

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমাদের নিজস্ব ক্লাউডে নিজেদের ডেটাগুলো রাখা এখন সময়ের দাবি। আমরা যদি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে এখন আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি কিছু ইনফাস্টাকচারেরও প্রয়োজন আছে। তার মধ্যে যদি প্রথমেই আসতে হয় সেটা হচ্ছে আমাদের নিজস্ব ক্লাউড।’

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিন-এ ফাইবার এট হোম এবং ফেলিসিটি আইডিসি এর আয়োজনে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক নলেজ শেয়ারিং সেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম পিইঞ্জ।

উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি কোম্পানির ক্লাউডে নিজেদের ডেটা রাখছি। হতে পারে বিদেশি কোম্পানির ক্লাউড  তুলনামূলক কমদামে পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের ঐ ধরনের একটি ইনফাস্টাকচার তৈরি করতে হবে, যেখানে আমরা নিজেদের ক্লাউড ব্যবহার করে নিজেদের ডেটা রাখতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশি কোম্পানির ক্লাউডে ডেটা রাখার সমস্যা হচ্ছে ঐ ক্লাউডের সমস্ত কিছু তাদের জানা। তারা আমাদের ডেটার অপব্যবহার হয়তো করবে না। কিন্তু আমাদের ডেটা এনালাইসিস করে আমাদের দেশের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে না, কিংবা আমাদের দেশের বিভিন্ন পলিস এনালাইসিস করে তাদের ব্যক্তিগত কাজে লাগাবে না, সেই ব্যাপারে কেউ কি নিশ্চয়তা দিতে পারবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘গুগল, ইউটিউব থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে আমরা আমাদের ডেটাকে বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ডেটা। আজকে একটি দেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে, তাই আমরা সেই দেশে আমাদের ডেটা রেখে দিচ্ছি, কালকে যখন সম্পর্ক খারাপ হবে তখন আমাদের এই ডেটাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে না, সেই নিশ্বয়তা কে দিবে?’

অনুষ্ঠানে ফাইবার এট হোম’র চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসি এর চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিট‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ প্রমুখ।

;

বিএনপির রাজনীতি এখন কবরস্থানে : ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি আওয়ামী লীগকে কবরস্থানে পাঠাবে বলেছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন কবরস্থানে যাওয়ার সময় এসেছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

তিনি বলেন, বিএনপি'র আলটিমেটাম তো শেষ। ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম কই? বিএনপির আল্টিমেটাম ভুয়া, বিএনপি ভুয়া, ৩২ দল ভুয়া। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারকে যে অবৈধ বলছেন। তাহলে অবৈধ সরকারের কাছে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন করেন? সরকারের অনুমতি নিতে হবে, না নিলে খবর আছে। পালাবার পথ পাবেন না।

তিনি আরও বলেন, যাদের হাতে রক্তের দাগ, ১৫ই আগস্টের রক্ত। ২১শে আগস্টের রক্ত, বাংলার কৃষকের রক্ত। তারা হত্যাকারী, দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সেই বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয় এমনকি গণতন্ত্র, ভোট ও দেশের মানুষের নিরাপত্তাও নিরাপদ নয়। এরা একাত্তরের বাংলাদেশ চায় না। খুন আর সন্ত্রাস চায়। এরা চায় দুর্নীতি আর স্বৈরাচারিতা।

বিএনপি'র বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ভাঙচুর করতে আসবে তাদের হাত গুড়িয়ে দিবো। শপথ নিন। প্রস্তুতি নিন। আমাদের আজকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া গনতন্ত্র নিরাপদ নয়, ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ অনেক শান্তিতে আছে। তার মতো একজন সৎ মানুষ রাজনীতিতে বিরল।

আপনার মত কৃষক বান্ধব নেতা আর নেই মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তিনি কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি কৃষকের পরম বন্ধু। তার উন্নয়নে আজ বাংলাদেশ আলোকিত। তার উন্নয়ন সারা বাংলায় আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে। 

কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নেত্রী আসছেন, ডাক দিবে, যখনি ডাক দিবেন রাস্তায় নেমে আসবেন। আমরা আর কোন কালো হাতে বাংলাদেশ ছেড়ে দেবো না। আমাদের যাত্রা আলোর দিকে ও সোনার বাংলাদেশ গড়ার দিকে।

রাজপথ দখল নিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর অক্টোবর তো চলেই গেল। তারা রাজপথ দখল করতে পারবে না। বাংলার মানুষ তাদের সাথে নেই। এমনকি রাজপথ ও ঢাকা নগরী দখল করার কোন অধিকারও তোমাদের (বিএনপি) নেই।

এসময় তিনি বলেন, আপনারা শপথ নিন। আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। 

 

;