একনজরে বাজেট ১৯৭২-২০২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই শিরোনামকে সামনে রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (০১ জুন) জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করবেন তিনি। এর আগে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী ।

এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের শর্ত পূরণের পাশাপাশি জনস্বার্থে ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপ, কিংবা ছাড়ের প্রস্তাবনা দেবেন অর্থমন্ত্রী।

এদিকে আগামী অর্থবছরে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ; তেল, গ্যাস ও সারের বিপুল ভর্তুকি প্রদান, রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানোর মতো বিষয়গুলোকে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

আজ বাজেট উপস্থাপনের পর নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি পঞ্চম বাজেট। স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ওই বাজেট পেশ হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ওই দিন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, অর্থাৎ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। এরপর আরও দুবার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ, সেটি সবশেষ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকার।

দেশের জাতীয় বাজেটের ক্রমপুঞ্জি ও বাজেটের আকার ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ( কোটি হিসেবে) উপস্থাপন করা হলো:
অর্থবছর – কে উপস্থাপন করেছেন – মোট আকার – বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)

১৯৭২-’৭৩ – তাজউদ্দিন আহমেদ -৭৮৬ কোটি টাকা – ৫০১ কোটি টাকা
১৯৭৩-’৭৪- তাজউদ্দিন আহমেদ-৯৯৫ কোটি টাকা-৫২৫ কোটি টাকা
১৯৭৪-’৭৫- তাজউদ্দিন আহমেদ- ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা- ৫২৫ কোটি টাকা
১৯৭৫-’৭৬- ড. আজিজুর রহমান মল্লিক-১হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা- ৯৫০ কোটি টাকা
১৯৭৬-’৭৭- মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান- ১ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা-১হাজার ২২ কোটি টাকা
১৯৭৭-’৭৮- লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান- ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা- ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা
১৯৭৮-’৭৯- প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- ২হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা-১ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা
১৯৭৯-’৮০- ড. এম এন হুদা- ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা-২ হাজার ১২৩ কোটি টাকা
১৯৮০-’৮১- এম সাইফুর রহমান- ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা- ২ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা
১৯৮১-’৮২- এম সাইফুর রহমান- ৪হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা- ৩ হাজার ১৫ কোটি টাকা
১৯৮২-’৮৩- এ এম এ মুহিত- ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা- ২হাজার ৭০০ কোটি টাকা
১৯৮৩-’৮৪- এ এম এ মুহিত- ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা- ৩হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা
১৯৮৪-’৮৫- এম সায়েদুজ্জামান- ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা- ৩হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা
১৯৮৫-’৮৬- এম সায়েদুজ্জামান- ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা- ৩হাজার ৮২৫ কোটি টাকা
১৯৮৬-’৮৭- এম সায়েদুজ্জামান- ৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা- ৪হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা
১৯৮৭-৮৮- এম সায়েদুজ্জামান- ৮হাজার ৫২৭ কোটি টাকা- ৫ হাজার ৪৬ কোটি টাকা
১৯৮৮-৮৯- মেজর জেনারেল মুনিম- ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা- ৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা
১৯৮৯-৯০- ড. ওয়াহিদুল হক- ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা-৮হাজার ৮০৩ কোটি টাকা
১৯৯০-৯১- মেজর জেনারেল মুনিম- ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা- ৫হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা
১৯৯১-৯২- এম সাইফুর রহমান- ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা- ৭হাজার ৫০ কোটি টাকা
১৯৯২-৯৩- এম সাইফুর রহমান- ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা- ৯ হাজার ৫৭ কোটি টাকা
১৯৯৩-৯৪- এম সাইফুর রহমান- ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা- ৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা
১৯৯৪-৯৫- এম সাইফুর রহমান- ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা- ১১ হাজার কোটি টাকা
১৯৯৫-৯৬- এম সাইফুর রহমান- ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা-১২ হাজার ১০ কোটি টাকা
১৯৯৬-৯৭- এসএএমএস কিবরিয়া- ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা- ১২ হাজার ৫০ কোটি টাকা
১৯৯৭-৯৮- এসএএমএস কিবরিয়া- ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা- ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা
১৯৯৮-৯৯-এসএএমএস কিবরিয়া- ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা-১৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা
১৯৯৯-২০০০- এসএএমএস কিবরিয়া- ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা-১২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা
২০০০-২০০১-এসএএমএস কিবরিয়া- ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা- ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
২০০১-২০০২-এসএএমএস কিবরিয়া- ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা- ১৯ হাজার কোটি টাকা
২০০২-২০০৩- এম সাইফুর রহমান- ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা-১৯ হাজার ২০ কোটি টাকা
২০০৩-২০০৪-এম সাইফুর রহমান- ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা- ২০ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা
২০০৪-২০০৫-এম সাইফুর রহমান- ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা- ২২ হাজার কোটি টাকা
২০০৫-২০০৬-এম সাইফুর রহমান- ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা- ২৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা
২০০৬-২০০৭-এম সাইফুর রহমান- ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা- ২৬ হাজার কোটি টাকা
২০০৭-২০০৮- মির্জা আজিজুল ইসলাম- ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা-২৫ হাজার ৬০ কোটি টাকা
২০০৮-২০০৯- মির্জা আজিজুল ইসলাম- ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা- ২৫ হাজার ৪০০কোটি টাকা
২০০৯-২০১০- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা- ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
২০১০-২০১১- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৩২ হাজার১৭০ কোটি টাকা- ৩৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা
২০১১-২০১২- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৬১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা- ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা
২০১২-২০১৩-এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা- ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা
২০১৩-২০১৪- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা- ৬০০০০ কোটি টাকা
২০১৪-২০১৫- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ৫০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা- ৭৫০০০ কোটি টাকা
২০১৫-২০১৬-এ এম এ মুহিত- ২লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা- ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা
২০১৬-২০১৭- এ এম এ মুহিত- ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা- ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা
২০১৭-২০১৮- এ এম এ মুহিত- ৪লাখ ২৬৬ কোটি টাকা-১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা
২০১৮-২০১৯- এ এম এ মুহিত- ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা- ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা
২০১৯-২০২০- আ হ ম মুস্তাফা কামাল- ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা- ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা
২০২০-২০২১- আ হ ম মুস্তাফা কামাল-৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা- ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা
২০২১-২০২২- আ হ ম মুস্তাফা কামাল- ৬লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা- ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা
২০২২-২০২৩- আ হ ম মুস্তাফা কামাল- ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা- ২লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা

এ এম এ মুহিত এবং সাইফুর রহমান তাদের নিজ নিজ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে সর্বোচ্চ ১২ বার করে বাজেট পেশ করেন। তবে মুহিত ২০০৯ সালের সর্বশেষ পার্লামেন্টের অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।

   

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণে আইডিএর প্রস্তাবনা



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) কাছে ৭৩ হাজার ১৫১ কোটি টাকার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করা গেলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্বের পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমে আসবে বলেও জানান তিনি। 

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের কার্যক্রম ও সেবা প্রদান এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ ঝরছে। মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না। এটা থামাতে হবে। আমাদের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে সরকার আন্তরিক। বিআরটিএর সবসেবা একযোগে পেতে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে দেশবাসী সুফল পেতে শুরু করেছে। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। আরও বেশি সচেতন ও সাবধান হতে হবে। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের সবাইকে নিজ থেকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। 

তিনি বলেন, সভায় অনেকে অভিযোগ করেছেন, চট্টগ্রামে ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নেই। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামে। এখানে বাস ও ট্রাক টার্মিনাল থাকাটা জরুরি। বাস ও ট্রাক টার্মিনাল করার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

বিআরটিএ’র সেবা সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষ এখন ঘরে বসে বিআরটিএ’র সেবা নিতে পারছেন। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বিআরটিএ’র অফিসে যাওয়ার দরকার নেই। শুধুমাত্র একবার বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য গেলেই হবে।

সড়ক পরিবহণ ও সড়ক বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সওজের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের উপ সচিব (সমন্বয় ও প্রশিক্ষণ অধিশাখা) নীলিমা আফরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরে বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। একইভাবে সেবা কার্যক্রম নিয়ে সর্বশেষ অবস্থার বিবরণ তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল মান্নান মিয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায় ও জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল মালেক, বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঁঞা ও  চট্টগ্রাম বিআরটিসি বাস ডিপোর ব্যবস্থাপনক মো. জুলফিকার আলী।

 
;

২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ উপজাতি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম বান্দরবান
২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ উপজাতি আটক

২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ উপজাতি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ উপজাতি মহিলা মাদককারবারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।  

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর)  বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তের ঘুমধুমে এক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ মোশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে ২ জন উপজাতি মহিলাকে পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের তৈরি  ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে।             

আটক হওয়া দুই উপজাতি মহিলারা হলেন- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের বাইশফাঁড়ী গ্রামের জয় তংচংগার স্ত্রী মায়া তংচংগা (১৮), একই গ্রামের রাংগাইয়া তংচংগ্যার মেয়ে জয়েন মালা তংচংগ্যা (১৫)।

উল্লেখ্য, উক্ত এলাকার কাছাকাছি মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা থাকাতে ঐ এলাকার অনেকেই স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ইয়াবা ব‍্যবসা করে আসছে বলে জানা গেছে। 

সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি সদস্যরা।

 

 

;

সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী

সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক, বরং বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে।

শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে নতুনভাবে চালুকৃত কেবল-কার (রোপওয়ে) উদ্বোধন শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার হত্যার চেষ্ঠা করছে বলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু’র বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া যতোবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাঁচানো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হয় বাড়ি ফেরত গেছেন। এখনো বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান সরকার সেজন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করছে।'

;

রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা বিপুল গরু জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম বান্দরবান
রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা বিপুল গরু জব্দ

রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা বিপুল গরু জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযান চালিয়ে মালিক বিহীন ২৮ টি বার্মিজ গরু জব্দ করেছে।

শনিনবার (৩০ সেপ্টেম্বর ) ভোর সাড়ে ৪ টার সময় নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ির পাহাড় নামক স্থান থেকে মালিক বিহীন এই বার্মিজ গরুগুলো জব্দ করা হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, বিজিবির প্রতিদিনের অভিযানের পরও নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর মাদক এবং গরু চোরাকারবারীদের এই অবৈধ গরু ও মাদক ব্যবস্থা থামছে না। সুপারির বস্তার ভিতর এই সিন্ডিকেট ইয়াবা, আইস ও স্বর্ণ পাচার করে আসছে। মাদক ও গরু পাচারকারীদের আটক করতে সচেতন মহল জোর দাবী জানিয়েছেন।

সীমান্ত ঘেষা বসবাসকারী মানুষের সহযোগিতায় এলাকার কিছু লোক প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পাহাড়, ঝিরি, ছড়া এবং গহীন অরণ্য দিয়ে গরু চোরাচালানে এখনো ব‍্যাপক তৎপর রয়েছে বলে জানা গেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাহল আহমেদ নোবেল জানান, সীমান্ত সুরক্ষা চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;