ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ

ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত এখন আওয়ামী লীগের প্রতি প্রসন্ন না বলে মন্তব্য করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সদস্য মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী সাবেক এমপি হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ।  তিনি বলেন, আজকে দেশতো আমরা ভারতের হাতে দিয়েই দিয়েছি।  না চাইতে অনেক কিছু ভারত পেয়েও তারা এখন আওয়ামী লীগের প্রতি প্রসন্ন না। তারা জানে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করেনা। একচেটিয়া ভাবে রাতের বেলা ভোটের অধিকার হরণ করে। মওদুদ সাহেবকে রাস্তায় বের হতে দেয়নি, বাজারে যেতে দেয়নি। এই কথা গুলো ভুলে গেলে চলবেনা।  এই কথা গুলো আওয়ামী লীগের আসল ইতিহাস।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব মোহাম্মদনগর গ্রামে মওদুদ আহমদের নিজ বাড়িতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন। 

আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে দলীয় নেতাকর্মিদের হাসনা মওদুদ বলেন, আমেরিকা থেকে আপনারা শুনেছেন, যদি কেউ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে বাধা দেয় তাহলে তার বংশধরকে কোন দিন আমেরিকায় ঢুকতে দিবেনা। এবং এটা বিরাট থাপ্পড়। কারণ এদের সবার ছেলে মেয়ে বিদেশে বাস করে।  গণতন্ত্রে কেউ যদি বাধা দেয় আপনারা শুধু ছবি তুলবেন,ভিডিও করবেন।  এ ছবি গুলো সব পশ্চিমা অ্যাম্বাসেডদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।  আমার (বাসা) ভাড়াটিয়া হলো আমেরিকান অ্যাম্বাসেডর। সুতারাং সে এ জায়গার খবর রাখবে। রাখবেনা,নিশ্চয় রাখবে। আমি আমার কাগজ পত্র সব সময় তার কাছে পাঠায়। আমার এলাকায় যদি কোন কিছু হয়। সব চেয়ে আগে খবর যাবে আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরের কাছে।  আপনারা সবাই নির্বঘ্নে নির্দিদ্বায় ভোট করবেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধার প্রথম শুরু হবে নোয়াখালী ৫ আসন থেকে।   

সাবেক এমপি হাসনা মওদুদ বলেন,জিয়াউর রহমান তার জীবন দান না করলে এ দেশকে আমরা স্বাধীন ভাবে পেতাম না।  আজকে আমাদের কর্তব্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তার উপযুক্ত সন্তান তারেককে দেশে ফিরে এসে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া। এ সময় তারেককে কেন এত ভয়,এমন প্রশ্ন রাখেন হাসনা মওদুদ। 

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ব্যক্তি গত স্মৃতিচারণ করে হাসনা মওদুদ বলেন, তিনি অত্যন্ত লাজুক হ্যান্ডসাম ছিলেন। মওদুদ আহমেদ জিয়াউর রহমানের একনিষ্ঠ-ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক বন্ধু ছিলেন এবং অনেক ভালোবাসতেন শ্রদ্ধা করতেন। অনেক রাতে জিয়াউর রহমান আমাদের ছোট্র বাসায় ফোন করতেন। আমাদের ছোট বাচ্চা ছিল। আমি একদিন ফোন ধরে বললাম আপনি এতো রাতে ফোন করেছেন। আমারও সাহস কমনা। ঊনি একটু লজ্জা পেয়ে আর ফোন করেন নাই।

হাসনা মওদুদ আরও বলেন, আজকে যে যাই বলুক অনেকে শুনেছে শহীদ জিয়া ঘোষণা দিয়েছেন স্বাধীনতার।  তার এক ডাকে পুলিশ,আর্মি সবাই  একত্রিত হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। ১৯৭১ সালের জুন মাস পর্যন্ত শহীদ জিয়া ছিলেন সেক্টর কমান্ডার-১। তারপর তিনি ছিলেন জিয়া ফোর্সের হেড। বাংলাদেশী ন্যাশনাল ইজমের প্রবক্তা ছিলেন জিয়াউর রহমান। সংবিধানে তিনি বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছেন।  আর্মি-পুলিশে শৃঙ্খলা আনলেন। এরপর মুক্ত করলে খবরের কাগজ। চারটি খবরের কাগজ ছাড়া সব পত্রিকা শেখ মুজিবুর রহমানের সময় বন্ধ ছিল।  বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা আজ প্রকাশ্যে সাংবাদিকতা করতে পারছে জিয়াউর রহমানর মুভমেন্টের কারণে।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সংকটময় মুর্হূতে মওদুদ তার সাথে ছিলেন। রাতের বেলা তিনি ফোন করে করে সব খবর নিতেন। এমন একজন রাষ্ট্রপতি আমরা রাখতে পারলাম না। তাকে হারাতে হলো। আজকে জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ কোথায় উঠে যেত। শ্রমিকদের নিয়ে,কৃষি নিয়ে কথা বলতেন। ইন্ডাস্ট্রি গুলোকে মুক্ত করেছেন। তিনি সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা।   

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান ই আলমের সভাপতিত্বে ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ গোলাম মোমিত ফয়সাল, কবিরহাট উপজলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান,কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু, কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হুদা ফরহাদ,বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন টিপু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ প্রমূখ।

 

   

চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ব্রেস্টফিডিং কর্নার উদ্বোধন



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় মায়ের দুধের বিকল্প কিছুই নেই। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে চট্টগ্রামের পরীর পাহাড় তথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো ব্রেস্টফিডিং কর্নার ‘মাতৃক্রোড়ের’ শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সোয়া পাঁচটার দিকে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ও চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি তানজিয়া রহমান। 

ব্রেস্টফিডিং কর্ণার ‘মাতৃক্রোড়’ উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই প্রথম ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়েছে। যেসকল মহিলা সেবাপ্রার্থী তাদের নবজাতকদের নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসে তারা অত্যন্ত নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্তভাবে ‘মাতৃক্রোড়’-এ বসে শিশুদেরকে বুকের দুধ পান করানোর পাশাপাশি তাদের ডায়াপার ও পোশাকসামগ্রী পরিবর্তন করাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের পাশে মহিলা-পুরুষের জন্য আলাদাভাবে বেসিনসহ মোট ৪টি টয়লেট ও ৪টি ইউরিনাল তৈরী করা হয়েছে। শুধু জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নয়, পরীর পাহাড়স্থ বিভাগীয় কমিশনারের অফিস ও আদালতে নবজাতক নিয়ে আসা মহিলা বিচার প্রার্থীরাও এ ব্রেস্টফিডিং কর্ণার ‘মাতৃক্রোড়’-এ বসে বুকের দুধ পান করাতে পারবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মোঃ আবু রায়হান দোলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ, আরডিসি নুএমং মারমা মং, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা জামমেদ আলম রানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি-পটিয়া) ফাহমিদা আফরোজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এসএম আলমগীর, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ আশরাফুল আলম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ রাজিব হোসেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাকিবুল ইসলাম, এনডিসি হুছাাইন মুহাম্মদ, স্টাফ অফিসার টু ডিসি প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও তাদের সহধর্মিণীগণ। 

;

কুষ্টিয়ায় নদীর চরে উচ্ছেদ অভিযান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় নদীর চরে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

কুষ্টিয়ায় নদীর চরে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নদীর চরে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গড়াই নদীর বাম তীরের হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ মৌজায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীলের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিনসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উচ্ছেদকৃত পরিবারগুলির অভিযোগ, স্থানীয় কিছু দূর্বৃত্তচক্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গরিব মানুষদের এখানে বসতে দিয়েছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন বলেন, ‘সরকারী সম্পত্তিতে অবৈধ দখলমুক্ত করনে উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান উদ্যোগ। আজকেও তার অংশ হিসেবে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে গড়াই নদীর বামতীরে কয়েক‘শ বিঘা সরকারী সম্পত্তিতে অবৈধ ভাবে যারা স্থাপনা ও অবকাঠামো গড়ে তুলেছিল, তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে চলে যাওয়ার জন্য ইতোপূর্বেই নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। যারা যায়নি তাদের উচ্ছেদ করা হলো। তবে পরিস্থিতি বুঝে আজকেও সবগুলি উচ্ছেদ করা যায়নি।’

তিনি আর বলেন, ‘আগামী ৩দিনের মধ্যে তাদের যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া গৃহহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা সরকার করে দিচ্ছে। তারা চাইলে সরকারের কাছে ঘর চেয়ে আবেদন করতে পারেন। এখানে অভিযোগ উঠেছে কে বা কারা নাকি এসব গরীব মানুষদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে সরকারী জমিতে বসিয়েছে। সে বিষয়ে যদি কেউ সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উচ্ছেদ হওয়া গৃহহীন জেসমিন বলেন, ‘আমি বাধের চরে ভাড়া ছিলাম, হঠাৎ দেখি এই চরে টাকার বিনিময়ে জমি দেয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি করার জন্য। আমিও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য নেদাই মেম্বারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ৩কাঠা জমি নিয়ে কিস্তির লোন তুলে এই ঘরটা তুলেছিলাম। এখন আমার সব গেল। আমি এর বিচার চাই, আমার টাকা ফেরত চাই’। 

তবে অভিযুক্ত নেদাই মেম্বর অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিই নাই, টাকা নিয়েছে ছেলে পেলে।’

সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মুশতাক হোসেন মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একদল দূর্বৃত্তচক্র লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকারী এসব জমি বিক্রি করেছে। যে সব লোকজন এর সাথে জড়িত আছে তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে তার প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একাধিকবার দরখাস্ত করেছি প্রশাসনের কাছে। কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি।’

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতীম শীল বলেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়া। সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে রাখার কোন সুযোগ নিই। যারাই এই দখলের সাথে জড়িত থাকনা কেন, তাদের আর যে পরিচয়ই থাকুক তা দেখা হবেনা। আইন সবার জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য।’

;

প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের ঠিকানা, রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার

রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন রাজাখালী। সেই ইউনিয়নের সবুজ বাজারের দক্ষিণে কৃঞ্চচূড়া মোড়ে ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের এক তারিখ উদ্বোধন করা হয় রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার। এই পাঠাগার রাজাখালী ইউনিয়নের সর্বপ্রথম পাঠাগার। করোনায় পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে এলাকার শিক্ষিত যুবকদের প্রচেষ্টায় সৃষ্টি হয় রাজাখালীর এই পাঠাগার।

পাঠাগার সৃষ্টির পেছনে বর্তমান সভাপতি ম.ফ.ম  জাহিদুল ইসলাম, মিসবাহ উদ্দিন, এডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, হুমায়ুন কবির খোকন, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ার ইসলাম মামুন গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে পাঠাগারটি পরিচালনায় উপদেষ্টা, কার্যকরী ও সাধারণ পরিষদ নামের তিন স্তরের কার্যকর পরিষদ গঠন করেছে কতৃপক্ষ। যেখানে উপদেষ্টা হিসাবে রাখা হয়েছে স্হানীয় শিক্ষক, আইনজীবি, সংগঠক, বেসরকারি ও সরকারি  কর্মকর্তাসহ ৯ জন বিশেষ ব্যাক্তিকে। কার্যকরী পরিচালনা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ২১। সাধারণ পরিষদে রাখা হয়েছে ১০০ জন সদস্য৷

এই পাঠাগারে প্রায় এক হাজার বই আছে৷ প্রতিদিন একটি পত্রিকা এবং মাসিক কয়েকটি ম্যাগাজিন রাখা হয়। বই আদান প্রদান রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বাড়িতে পড়ার সুযোগ রয়েছে এই পাঠাগারে৷ এলাকায় পাঠাগারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, পরিবেশ রক্ষার কার্যক্রম চালায় কতৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, চিত্র অঙ্কন, কুইজ, রচনা, কবিতা পাঠ, ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড, ক্যারিয়ার গাইড লাইন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ক কর্মশালা, সাইবার সিকিউরিটি, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও আইনি সহয়াতা বিষয়ক কর্মশালা, পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা, বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ, অভিভাবক সমাবেশ, বিনামূল্যে পাঠদান, গনস্বাক্ষর অভিযান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সহমর্মিতার ইদ উদযাপন, উপহারের মাধ্যমে ইদ শুভেচ্ছা বিনিময়, করোনা এবং রমজানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, করোনায় ১৫০০ ব্যাক্তিকে বিনামূল্যে টিকার রেজিষ্ট্রেশন, মাস্ক ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ, বিখ্যাত কবি ও লেখকের জন্মজয়ন্তি উদযাপন, রক্তদান, বিভিন্ন জাতীয় আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালী, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য।

পাঠাভ্যাস গড়তে বিভিন্ন পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করা হয় নতুন পাঠকদের

 

সইবার সিকিউরিটি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার, জরুরি সেবার হটলাইন, পরিবেশ রক্ষা ও সচেতনতা এবং ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৩৫০০ হাজার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এছাড়া খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণন,অভিভাবক সমাবেসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৫০০ হাজার ব্যাক্তিকে বিভিন্ন  সুবিধা প্রদান করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় প্রায় ৮ হাজার গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়।

পাঠাগারের সার্বিক বিষয়ে কার্যকরী পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ম.ফ.ম. জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনায় শিক্ষাবিমুখী ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ এবং এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য তরুণ শিক্ষিত প্রজন্মের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে গড়ে তোলা হয় রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন অসাধু মহলের বিরোধিতা ও বাধার স্বত্বেও বিভিন্ন জনক্যালনমূলক কার্যক্রম এবং পাঠাগার পরিচালনা করে যাচ্ছে কতৃপক্ষ। এটাই তাদের সবথেকে বড় সার্থকতা। উপদেষ্টা পরিষদ ও সদস্যদের মাসিক চাঁদার মাধ্যমে এই উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এই পাঠাগার।

পাঠাগারের কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনাব মিনহাজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো বয়সের নারী পুরুষ ভেদাভেদ ভুলে পাঠের অভ্যাস সৃষ্টিতে এই পাঠাগার গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি সবার সহযোগিতায় বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার অদম্য ইচ্ছে তাদের।

;

রংপুরে ডেঙ্গুতে ৫৮ জন আক্রান্তের বিপরীতে মৃত্যু ১



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৮ জন। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ১৯, গাইবান্ধায় ১৭, কুড়িগ্রামে ১৪, নীলফামারীতে ৩, লালমনিরহাটে ৩, দিনাজপুরে ১ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ১ জন রয়েছে। 

রংপুর বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালসহ বাসাবাড়িতে ১৪৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজে ৩২, গাইবান্ধায় ২৮, কুড়িগ্রামে ১৯, নীলফামারীতে ১৮, দিনাজপুর ১৭, লালমনিরহাটে ১৫, ঠাকুরগাঁওয়ে ১১ এবং পঞ্চগড় জেলায় ৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুতে রংপুর ও গাইবান্ধায় বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তবে হাসপাতালগুলোতে রোগীর খুব বেশি চাপ নেই। 

রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি রয়েছেন, তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে কীট সংকট নেই বলেও জানান তিনি।

;