রাসিক নির্বাচন: ৪৪ শতাংশ কাউন্সিলর প্রার্থীই মামলার আসামি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১২৪ জন। যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা পেয়েছেন ১১৭ জন। তবে তাদের মধ্যে ৩৮ জনের নামেই রয়েছে বিভিন্ন ধরণের মামলা। এদের মধ্যে কেউ হত্যা মামলার আসামি, কেউ অস্ত্র মামলার। আবার মাদক চোরাচালান, বোমাবাজি বা মারামারি মামলার আসামি। এদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ ২০টি করে মামলা বর্তমানে চলমান।

নির্বাচন কমিশনের হলফনামা থেকে জানা গেছে, আাগামী নির্বাচনে রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে ১১৭ জনের। এরমধ্যে ৩৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী বর্তমানে বিভিন্ন মামলার আসামি। এছাড়া আরও ১৮ জন আগে মামলার আসামি ছিলেন। তারা মামলা থেকে অব্যাহতি কিংবা খালাস পেয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। এতে ৪৪ শতাংশ কাউন্সিলর প্রার্থীর নামে মামলার উল্লেখ্য পাওয়া যায়।

এদিকে ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ৪৬ জন। তাদের নামে কোন মামলা নেই। আগে দুজনের নামে মামলা হলেও তারা খালাস পেয়েছেন। নারী প্রার্থীরা এখন মামলামুক্ত।

হলফনামার অনুযায়ী, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ২০টি মামলা চলমান রয়েছে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. কামরুজ্জামানের। এরমধ্যে বিচারাধীন রয়েছে ১২টি মামলা। তদন্ত চলছে ছয়টির। কামরুজ্জামান ইতোমধ্যে তিনটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা বর্তমান মামলাগুলোর বেশিরভাগই বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের।

নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আফজাল হোসেনের মামলা আছে ১৪টি। আগের তিনটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। তার মামলাগুলোও বিস্ফোরকদ্রব্য ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের।

নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেলের নামে মামলা আছে তিনটি। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলাও আছে তার। তিনি একটি হত্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ২০১৮ সালে।

নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আশরাফ হোসেন বাবু তিনটি মামলার আসামি। এরমধ্যে দুটি বিচারাধীন। একটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত। একই ওয়ার্ডের প্রার্থী নুরুজ্জামান টিটোর নামে আছে হত্যাসহ দুটি মামলা।

২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর এবং শ্রমিক নেতা মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা চলছে শ্রম আদালতে।

নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জামায়াত নেতা আবদুস সামাদের মামলার সংখ্যা ছয়টি। এরমধ্যে দুটি বিচারাধীন, চারটির তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে তিনি চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা চলমান। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমানের নামেও একটি মামলা আছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু দুটি বিচারাধীন মামলার আসামি। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রবিউল ইসলাম চারটি বিচারাধীন মামলার আসামি। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আলিফ আল মাহামুদ লুকেন তিনটি বিচারাধীন মামলার আসামি। আগে তিনি ছয়টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। ১৫টি মামলা থেকে আগে খালাস পেলেও এখনও একটি মামলা চলমান ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রেজাউন নবী আল মামুনের। ১০ নম্বরের প্রার্থী রাজ্জাক আহমেদ রাজনের মামলার সংখ্যা দুটি।

নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর বেলাল আহমেদের বিচারাধীন মামলা আছে দুটি। ৩০ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পিন্টুর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলা একটি। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানও একটি মামলার আসামি। ২ নম্বরের নোমানুল ইসলামের ও মামলা আছে দুটি। ২৬ নম্বরের মহিউদ্দিন বাবুর বিচারাধীন মামলা চারটি। তিনটিতে খালাস পেলেও এখনও দুটি মামলা চলছে ২৯ নম্বরের প্রার্থী মাসুদ রানার। আদালতে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রুহুল আমিনের বিচার চলছে ৮টি মামলায়। ৩ নম্বরের প্রার্থী বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানের বিচারাধীন মামলা তিনটি। ৫ নম্বরের হামিদুল ইসলাম সুজনের বিচারাধীন মামলা দুটি। আর ২ নম্বর ওয়ার্ড প্রার্থী মুখলেসুর রহমানের মামলা সাতটি।

এছাড়া নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বিচারাধীন ৯টি মামলার আসামি। একই ওয়ার্ডের আনারুল ইসলাম ও একলাস হোসেন লাকি একটি করে মামলার আসামি। ২৭ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আনোয়ারুল আমিন আযব তিনটি বিচারাধীন মামলার আসামি। ১১ নম্বরের প্রার্থী আবু বাক্কার কিনুর নামেও জমিজমা সংক্রান্ত একটি মামলা আছে। ১৪ নম্বরের মো. টুটুলের মামলার সংখ্যা তিনটি। ২৫ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টুর বিচারাধীন মামলা তিনটি। এছাড়া নগরীর ১৪ নম্বরের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও মুরাদ আলী একটি করে মামলার আসামি। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আখতার আহম্মেদ বাচ্চু, ২৯ নম্বরের আবু জাফর বাবু, ৬ নম্বরের মো. বদিউজ্জামান, ২৬ নম্বরের মখলেসুর রহমান খলিল, ২৭ নম্বরের মো. মনিরুজ্জামান, ৮ নম্বরের জানে আলম খান জনি, ২৪ নম্বরের জাহাঙ্গীর আলম ও ১০ নম্বরের আমিনুল ইসলামের ও মামলা আছে একটি করে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রাজশাহী জেলা সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা জনগণের দায়িত্ব। তারা সব প্রার্থীর ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ভোট দেবেন, এটাই হওয়া উচিত। তাহলে একজন যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। কোন দাগী আসামি, সন্ত্রাসী কিংবা মাস্তান যেন জনপ্রতিনিধি না হতে পারেন, সে বিষয়ে ভোটারদেরই খেয়াল রাখতে হবে। ভোটের সময় দুষ্টু লোকের মিষ্টি কথায় ভুলে গেলে চলবে না।

   

আলোকবর্তিকার মশাল হাতে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন শেখ হাসিনা : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী



স্টাফ করেসপনডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
সেমিনারে মঞ্চে উপবিষ্ট বক্তারা। ছবি : সংগৃহীত

সেমিনারে মঞ্চে উপবিষ্ট বক্তারা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা। আর সেই আলোকবর্তিকার মশাল হাতে নিয়ে উন্নয়নের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ’-এ কথা বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তর করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেমে থাকেনি, দেশের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা অবিরাম জেগে আছেন আমাদের জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা মনে করেন, কৃষিনির্ভর দেশে কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এজন্য তিনি কৃষিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষকদের উন্নয়নে। কীভাবে টেকসই উন্নয়ন হবে, সে বিষয়েও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। আর আমাদের এই দেশে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সকলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে যেতে পারেননি, তার সুযোগ্য কন্যা ক্ষমতায় আসার পর সেটাকে অনুসরণ করে তাদের বিচার করেছেন, যা বাংলাদেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনেছে।’

বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, ‘দীর্ঘদিন স্বৈরাচারীদের হাতে দেশ ছিল। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশের লাগাতার উন্নয়ন করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।’

এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, সম্প্রীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যেসব কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে, সেগুলোই সম্পূর্ণ করছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজকে একটি রোল মডেল এবং ভবিষ্যতে এটি বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশকেই পেছনে ফেলে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

;

এক মাসে রিজার্ভ কমেছে ১৯২ কোটি ডলার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এ মাসের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩০৭ কোটি ডলার। কিন্তু, মাস শেষ না হতেই রিজার্ভ কমেছে ১৯২ কোটি ডলার। বর্তমানে দেশের রিজার্ভ ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার। 

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ফর্মুলা মেনেই রিজার্ভ হিসাব করা হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারে। 

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় এ খাতে ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে। যে কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। 

বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে আমদানি ব্যয় হচ্ছে ৬০০ কোটি ডলার। এ হিসাবে তিন মাসের জন্য লাগবে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। আমদানি আরও কমালে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। 

সূত্র জানায়, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় বাজারে ডলারের প্রবাহ কমেছে। এদিকে নতুন এলসি খোলা ও আগের এলসির দেনা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণসহ অন্যান্য দেনাও শোধ করতে হচ্ছে। এসব খাতে ব্যাংকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করতে না পারায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে চাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে সীমিত আকারে ডলারের জোগান দিচ্ছে। এতে বকেয়া সব বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। কিছু বকেয়া থাকছে। সেগুলোর বিপরীতে বাড়তি সুদ দিতে হচ্ছে। এতে দেনা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর থেকে  ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এতে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯১৬ কোটি ডলার। যদিও ওই অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে। বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কিছু পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক বসায়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ডলারের দাম ধরে রাখে। পরে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে ব্যাংকগুলোর হাতে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনেই দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। ফলে ডলারের সংকট কাটেনি।

;

ভারত থেকে লাখের অধিক ডেঙ্গু প্রতিরোধক স্যালাইন ঢুকলো দেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যবহৃত এ পর্যন্ত ৪টি চালানে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫১ বোতল স্যালাইন ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। সরকারের এমন উদ্যোগ বাজারে সিন্ডিকেট ভেঙে কমতে শুরু করেছে স্যালাইনের দাম। এর আগে চাহিদা বাড়ায় ক্রেতাদের জিম্মি করে ৭৫  টাকার স্যালাইন ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রী করে আসছিল মুনাফা লোভি ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা। 

গত ২০ সেপ্টম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪টি চালানে এ পরিমাণ স্যালাইন আসে ভারত থেকে।

বানিজ্যিক সংশিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পেলেও নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত আবারো ভাবিয়ে তুলেছে সরকারকে। গতকালও আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় দেশে চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্যালাইনের দাম সিন্ডিকেট করে বৃদ্ধি করে মোনাফালোভী ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা। এতে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ৭৫ টাকার স্যালাইন ৫০০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হয়েছে ভুক্তভোগীদের। অবশেষে সরকার স্যালাইনের চাহিদা মেটাতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে ভারত থেকে স্যালাইন আমদানির ঘোষনা দেয়।

প্রাথমিক ভাবে ৭ লাখ বোতল স্যালাইন আমদানি হচ্ছে। পরবর্তীতে  চাহিদা বাড়লে আমদানি পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। গত ২০ সেপ্টম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৪টি চালানে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫১ ব্যাগ স্যালাইন বন্দরে প্রবেশ করেছে। প্রতি ব্যাগ স্যালাইন ভারতে কেনা দাম পড়েছে বাংলাদেশি অর্থে ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা।

এদিকে আমদানি খবরে সিন্ডিকেট ভেঙে স্যালাইনের দাম কমতে শুরু করেছে বাজারে। ৫০০ টাকা থেকে কমে স্থানীয় বাজারে বিক্রী হচ্ছে ১৫০ টাকার মধ্যে।

ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানিকৃত স্যালাইন বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে চাহিদা পূরনের পাশাপাশি বাজার দর আরো কমে আসবে। এর আগে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করে সিন্ডিকেট ভাঙে। ডিমের সিন্ডিকেট ভাঙতে দুই এক দিনের মধ্যে ৪ কোটি ডিম আমদানি হবে ভারত থেকে।

ফার্মেসি ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক জানান, স্যালাইন সরবরাহ নাই বললে চলে। তবে আমদানি হওয়া স্যালাইন দ্রুত বাজারে সরবরাহ করা গেলে দাম আরো কমে আসবে।

সাধারন ক্রেতা জাহিদুল জানান, সাধারন মানুষ যাতে সঠিক দামে স্যালাইন কিনতে পারে সরকারকে বাজার তদারকি রাখতে হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, আমদানি হওয়া স্যালাইন সংকট নিরসনের পাশাপাশি দূনীতিবাজদের সিন্ডিকেট ভাঙবে।

বন্দর থেকে স্যালাইন ছাড়করন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সত্তাধীকারী ফারুক ইকবাল ডাবলু জানান, আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব স্যালাইন বন্দরে চলে আসবে ও দেশের হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ হবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বন্দর থেকে দ্রুত ছাড় করনের সহযোগীতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

;

চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
প্রতিকী ছবি

প্রতিকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় রেললাইনে বসে থাকা মোবাশ্বেরা বেগম রানী (৫০) নামে এক নারী ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিডিএ ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোবাশ্বেরা ফেনী সুধারাম থানার প্রয়াত মো. ইসমাইলের স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফারুক।

তিনি বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে ওই মহিলা রেললাইনের ওপর বসে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিপরীত দিকে দিয়ে আসতে দেখেও তিনি রেললাইনের ওপর থেকে সরে আসেন নি। পরে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।




;