‘বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৩৫ বছর ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ শাস্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে বাংলাদেশ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বজন স্বীকৃত এবং বিশ্বের বুকে রোল মডেল। এই অর্জনের পিছনে রয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর চৌকস, পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ সদস্যদের অবদান ও আত্মত্যাগ।’

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩৫ বছর উদযাপনের ‘অত্যন্ত গৌরব ও আনন্দের এই শুভক্ষণে’ শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীসহ সব শান্তিরক্ষীকে শুভেচ্ছা জানান।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

‘জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অঙ্গীকার ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘ব্লু হেলমেট’ পরিবারের সদস্য হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যোগ দেয়। পরবর্তীতে ১৯৮৯ বাংলাদেশ পুলিশ এবং ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ নৌ ও বিমান বাহিনী শাস্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত হয়। গত ৩৫ বছর ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ শাস্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে বাংলাদেশ অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে।

‘জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখছি। আমরা ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘে ‘কালচারাল অব পিস’ প্রস্তাব উত্থাপণ করি, যা ১৯৯৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের ফ্লাগশিপ রেজুলেশন কালচারাল অব পিস সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে, জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব কালচারাল অব পিস’ হিসাবে ঘোষণা করে এবং ২০০১-২০১০ সালকে ‘কালচারাল অব পিস অ্যান্ড ডিকেড অব নন ভায়োলেন্স’ হিসাবে ঘোষণা করে।’

আরও পড়ুন>>বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত দুদেশের আরও উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘শান্তির বার্তাকে স্থায়ী করতে এবং এজেন্ডা ২০৩ বাস্তবায়নে কালচারাল অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে আমার বিশ্বাস। নারীর অধিকার এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে আমাদের পদক্ষেপ ওমেন, পিস সিকিউরিটি এজেন্ডা’ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে।’

‘বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা এখন অতীতের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে’ উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অপশক্তিসমূহের নতুন নতুন হুমকি। ফলে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই শান্তিরক্ষা মিশনসমূহ উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা যাতে বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এবং বিপদজনক অঞ্চলসমূহে সৃষ্ট জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে সেজন্য আমরা তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে সর্বদা প্রস্তুত রেখেছি। মিশন এলাকার পরিবেশ, আবহাওয়া ও ভূমির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নত প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জামাদিসহ পোশাক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টসমূহে অত্যাধুনিক মাইন-রেজিস্ট্যান্ট এ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড যানবাহন এবং শান্তিরক্ষীদের যোগাযোগের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘ পিস বিগিনস উইথ মি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জাতির পিতার দেখানো পথে আমরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাব এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব উপহার দিব- আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সে জন্য আমাদের সরকারের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার প্রত্যাশা, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে দেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখবে।

তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

সরকার প্রধান বলেন, ‘বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ও কার্যক্রমে বাংলাদেশের ৭ হাজার ৩৬ শান্তিরক্ষী নিয়োজিত আছেন। এই সংখ্যা বিশ্বে নিয়োজিত সর্বমোট শান্তিরক্ষীর প্রায় ৯.৮% শতাংশ। এর মধ্যে রয়েছে ৫৭২ জন বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষী। আমরা নারী শান্তিরক্ষীদের বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

   

গণমাধ্যমের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গণমাধ্যমের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে 'তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন সরকার নিশ্চিত করতে চায়। এই আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাশ করা হয়। সরকার নিজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এই আইন করেছে। তবে যেকোনো একটি আইন সমাজে তৈরি হলে, সে আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। এই আইনে যারা তথ্য নেবেন বা যারা তথ্য দেবেন দুই পক্ষেরই কিছু বোঝাপড়ার অভাব থাকতে পারে। এ আইন শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী করেছে। কিন্তু সে অস্ত্রের ব্যবহার না অপব্যবহার হবে সেটা বোঝা এবং এ আইনে যাদের কাছে তথ্য চাওয়া হবে তাদের মধ্যে একটি সংস্কৃতিগত রূপান্তর দরকার। তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় জড়তা থাকে। যেগুলো জনসম্পৃক্ত তথ্য, জনগণের যেটা অধিকার সে তথ্য দেওয়ার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করতে চায়। সাংবাদিকদেরও তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে পেশাদার অ্যাপ্রোচ থাকা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইনের অধীন যে তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে সে বিষয় নিয়ে অনেক সময় যারা তথ্য চাইবেন তাদের পক্ষ থেকেও কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকে। কোন তথ্য সর্বসাধারণের জন্য এবং কোন তথ্য গোপন তথ্য সেটার পার্থক্য করতে পারা জরুরি। কিছু তথ্য আছে স্পর্শকাতর যেগুলো গোপন আইনের অধীন রক্ষিত আছে, এগুলো সর্বসাধারণের জন্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ এ ধরণের অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এসব কৌশল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত অনেক সময় গোপন রাখতে হয়। এগুলো প্রকাশ করলে অনেক সময় বৃহত্তর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং স্পর্শকাতর তথ্য এসবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য করতে হয়। সেখানে প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়া সকল পক্ষের করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো ও অপতথ্য মোকাবিলা করতে হবে। তবে সর্বসাধারণের জন্য তথ্য এবং জাতীয় স্বার্থে যেগুলো পৃথিবীর সকল দেশে স্পর্শকাতর ও গোপন তথ্য হিসেবে ধরা হয় সেগুলোর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমরা সরকার ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে চাই। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অঙ্গীকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনকে আমরা আরো প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা চাই, সাংবাদিকরা যেনো এই আইন ব্যবহার করে আরও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হোন, এই আইনের পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেন এবং তার উপযোগিতা আমরা সমাজে পাই। একইসাথে এই আইনের আমরা দায়িত্বশীল ব্যবহার দেখতে চাই। যাদের এই আইনের অধীনে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে যেন তথ্য চাওয়া হলে সেটি দেওয়া হয়। জনগণের পক্ষ থেকে যখন গণমাধ্যম তথ্য চাইবে, সে তথ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক তথ্য যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা হবে, ততো গুজব বা অপপ্রচার হওয়ার সুযোগ কম হবে।

কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের অর্থনীতি বিটের ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

;

খাগড়াছড়িতে ব্যালট ভর্তি বাক্স ছিনতাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে ভোটের ব্যালট ভর্তি বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (৮ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দেওয়ান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ভোট গ্রহণ শেষের দিকে হঠাৎ কয়েকজন অস্ত্রধারী কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালেট ভর্তি ৪টি বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জিনা চাকমা।

এর আগে, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার যতীন্দ্র কার্বারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালেট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার কামরুল আলম জানান, লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সারাদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

;

বরগুনায় ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্তা, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতিবেশীদের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্তা, গ্রেফতার ২

প্রতিবেশীদের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্তা, গ্রেফতার ২

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনা সদর থানার পিটিআই সড়ক এলাকায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়েকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণ ও অন্তঃসত্তার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পলাতক দুই আসামিকে রাজধানীর ডেমরা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

বুধবার (০৮ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১০ এর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. খলিল (৩৮) ও মো. বশির হোসেন (৩৫)। মঙ্গলবার (০৭ মে) রাতে ও বুধবার দুপুরে ধারাবাহিক অভিযানে তাদের গ্রেফতার কার হয়।

র‌্যাব বলছে, অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশী হওয়ায় বিভিন্ন অজুহাতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে তারা। এমন কি অভিযুক্তরা কিশোরীকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণ করে প্রকাশ না করতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। তবে ভুক্তভোগী কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়াতে বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করে।

মামলার বরাত দিয়ে  পুলিশ সুপার সোহেল বলেন, বরগুনা জেলার সদর থানা এলাকার এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দম্পতি। তারা আশপাশের এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করত। তাদের সংসারে ১৫ বছরের মেয়ে রয়েছে। ওই দম্পতি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাসায় রেখে ভিক্ষা করতে যেতেন। এই সুযোগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী খলিল তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক দুই বার ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন খলিল। ফলে বিষয়টি ভয়ে প্রকাশ করেনি ভুক্তভোগী কিশোরী। পরবর্তীতে অপর এক প্রতিবেশী দুলাল একইভাবে তার বাড়িতে ভুক্তভোগীকে ডেকে নেন। ভুক্তভোগী দুলালের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় বশির ও কামাল অবস্থান করছে। তাদেরকে দেখে ডাক-চিৎকার করার চেষ্টা করলে দুলাল, বশির ও কামাল ভুক্তভোগীর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।

এএসপি সোহেল আরও জানান, এই ঘটনার পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরিবর্তন হলে পরিবারের লোকজন মা ও শিশু ক্লিনিকে নিয়ে যায়। দায়িত্বরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভুক্তভোগী কিশোরী অন্তঃসত্তা বলে জানায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে পরিবারকে ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত জানায়। এই ঘটনায় খলিল, দুলাল, বশির, কামাল ও ধর্ষণে সহযোগিতা করায় খলিলের স্ত্রী আকলিমাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গণধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৮ এর একটি যৌথ দল ১৫ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ও বুধবার র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৮ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা থানার মোস্ত মাঝির মোড় ও ডেমরাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

‘জনশক্তি রফতানি নিয়ে ১৮ দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদ অধিবেশন ও ইনসেটে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

সংসদ অধিবেশন ও ইনসেটে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ এবং মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হতে কর্মী প্রেরণের বিশ্বের ১৮টি দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ হতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে। বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম বিবেচনায় সরকার অধিকহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

ইতোমধ্য রাশিয়া, কম্বোডিয়া, সিসেলস, হার্জেগোভিনা, রোমানিয়া, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চীন ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে।

দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী পুন:প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ফেরত আসা কর্মীদের পুনরায় বিদেশে প্রেরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী শিক্ষা ও কাজের (RPL Recognition of Prior Learning) স্বীকৃতি এবং তার সনদ প্রদান করা হচ্ছে ফলে বিদেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এই লক্ষ্য এক লাখ ড্রাইভার তৈরির জন্য সরকার "দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান" শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে যা সফলভাবে চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে করোনা পরবর্তীতে বৈদেশিক শ্রমবাজার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিদেশে প্রেরিত কর্মীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জন।ক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) এর মাধ্যমে জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিজি, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়মিতভাবে স্বল্প খরচ ও বিনা খরচে কর্মী পাঠানো হচ্ছে।

একই সাথে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন ১০৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬টি ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজী (আইএমটি) তে ৫৫টি ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব দক্ষ জনবলের দেশ এবং বিদেশে কর্মসংস্থান হচ্ছে।

;