সিরাজগঞ্জে অযত্নে পড়ে আছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নৌ-অ্যাম্বুলেন্স 



সুজন সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের জনসাধারণনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ২ টি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। উপহার পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে ময়লা-আবর্জনা জমে দুটি অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হওয়ার পথে। দুটি অ্যাম্বুলেন্সের একটি ইতোমধ্যে পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়েছে।

এদিকে, ময়লা ও আবর্জনায় ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় বেহাল পরে আছে উপজেলার মেঘাই নৌ-ঘাটে। চরাঞ্চলের কেউ জানেনা নৌ-অ্যাম্বুলেন্স আছে। স্থানীয়দের দাবি এ সব নৌ-অ্যাম্বুলেন্স কখনও জনসাধারণের সেবায় আসেনি। তেল বরাদ্দ না থাকায় এমন পরিস্থিতি বলছেন দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, কাজিপুর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ টি যমুনা নদীর চরাঞ্চলে অবস্থিত। লোক সংখ্যা বিবেচনায় অর্ধেক মানুষ চরে বসবাস করে। চরাঞ্চলে দুটি ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও প্রতি ইউনিয়নে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও অপ্রতুল লোকবল এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকায় জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশীরা যাতায়াত করে থাকেন।

প্রথম অ্যাম্বুলেন্স কবে কাজিপুরে আনা হয়েছিল তার কোনো তথ্য না থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২য় টি প্রায় ৭ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাওয়া। নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আউটসোর্সিং থেকে একজন চালকও রয়েছেন যার কাজ না থাকলেও সকল সুবিধা তিনি পেয়ে থাকেন।

কাজীপুর সদর ইউনিয়নের খুদবান্ধি গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, দুর্গম চরাঞ্চলের বসবাসরত মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী দুইটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছেন। সেটি আমাদের জানা নেই। তবে দিলেও সেটি জরুরি স্বাস্থ্যসেবার কাজে কখনও ব্যবহার করতে দেখিনি।


উপজেলার রেহাইশুড়িবেড় গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, চরাঞ্চলের বসবাসরত মানুষের জরুরি স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রয়োজনে ভাড়া নৌকা একমাত্র ভরসা, সেক্ষেত্রে শিশু, বয়স্ক ও প্রসূতিদের ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

তিনি আরও জানান, সরকারি এমন সুবিধা থাকলেও আমরা কেউ জানি না। জরুরি প্রয়োজন হলে ভাড়া নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

চরগিরিশ ইউনিয়নের ভেটুয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য জেলা সদরে যেতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দ্রুত গতি সম্পন্ন আধুনিক নৌ অ্যাম্বুলেন্স এ অঞ্চলের জন্য খুবই প্রয়োজন।

নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল কবির বলেন, রোদ-বৃষ্টির মধ্যে নৌকায় পারাপারে সময় সুস্থ্য মানুষ অনেক সময় অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। একটি ভালো মানের নৌ অ্যাম্বুলেন্স থাকলে সঠিক সময়ে উন্নত স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি অর্থ সাশ্রয় হতো।

কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোমেনা পারভিন পারুল বলেন, প্রথম নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়েছে। তবে ২য় অ্যাম্বুলেন্সটি সচল আছে। গত ৭/৮ মাস আগে সংস্কার করা হয়েছে। সরবরাহকৃত নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি ধীরগতি সম্পন্ন হওয়ায় জনপ্রিয়তা পায়নি।

এছাড়াও নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের জন্য তেল অথবা সমপরিমাণ অর্থ সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকায় সেবা দিতে পারছে না। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও সেতু ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও সেতু ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও সেতু ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী তাণ্ডব চলাকালে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত এসব বিভাগ পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় তিনি সেতু ভবনে প্রবেশের পর অশ্রুসিক্ত চোখে এর বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দেখে হতবাক হয়ে যান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্টরা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৮ জুলাই কয়েকশ’ দুষ্কৃতকারী সেতু ভবনে প্রবেশ করে এটি ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তারা ভবন থেকে সরকারি সম্পত্তি লুট করে।

প্রধানমন্ত্রী পরে মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং ১৮ জুলাই সন্ত্রাসী হামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন।

এসময় সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভবন দু’টির ধ্বংসযজ্ঞের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।

সরকার প্রধান একইসঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার ধ্বংসযজ্ঞও পরিদর্শন করেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।

তার আগে ওই দিন রাজধানীর রামপুরায় নাশকতাকারীদের হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।

;

বিনামূল্যে সবজির বীজ দেন পাবনার ‘সাইকেল বাদশা’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পাবনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেশায় তাঁত শ্রমিক হলেও কাজের ফাঁকে আশেপাশের গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে সবজির বীজ বিতরণ করেন পাবনার সাইকেল বাদশা। দেন রোপণ ও পরিচর্যার পরামর্শও। এ যেন প্রায় শতবছর বয়সী নাটোরের সেই পলান সরকার। যিনি পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই দিয়ে আসতেন। তবে সাইকেল বাদশা দেন সবজি বীজ, পার্থক্য এটুকুই।

পাবনার বেড়া উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে জগন্নাথপুর গ্রাম। এই গ্রামের দরিদ্র তাঁত শ্রমিক বাদশা আলম (৪৫)। নামে যেমন বাদশা, মনেও তিনি বাদশা। সব সময় তার মনে উঁকি দেয় কি করে মানুষের ভালো করা যায়। এ জন্য তিনি ভাঙাচোরা একটি সাইকেল নিয়ে প্রায়ই বেড়িয়ে পড়েন বেড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে সবজির বীজ বিতরণ করেন পাবনার সাইকেল বাদশা। সাইকেলের হ্যান্ডেলে ও তার নিজের গলায় ঝোলানো থাকে বিভিন্ন সবজি-বীজ ভর্তি বোতল। বিনামূল্যে সেই বীজ পতিত জমি রয়েছে এমন পরিবারের মানুষের কাছে বিনামূল্যে বিতরণ করেন। কিভাবে বীজ বপণ করতে হয় তা-ও শিখিয়ে দেন। কখনও কখনও নিজের খরচে বাল্য বিবাহ ও যৌতুক বিরোধী লিফলেট ছাপিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করেন। এ জন্য ইতিমধ্যেই তিনি মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন ‘সাইকেল বাদশা’ নামে।

সচেতনতা বাড়াতে নানা শ্লোগান লিখে সাইকেলের সামনে পিছনে সেঁটে দিয়েছেন সাইকেল বাদশা। 

পরিবারের ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই বাদশা অন্যদের চেয়ে আলাদা। গ্রামের কেউ কোনো বিপদে পড়লে সবার আগে ছুটে যাওয়া তার নেশা। কাউকে হাসপাতালে নিতে হলে, ওষুধ কিনে আনার দরকার হলে বা বাজার থেকে জরুরী কোনো জিনিসের প্রয়োজন হলে ছুটে গিয়ে তা করে দেন বাদশা। এভাবেই ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন সবার প্রিয়পাত্র। তিনি নিজেই ছন্দ মিলিয়ে সমাজ সচেতনতামূলক নানা শ্লোগান লিখে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে সেঁটে দিতে থাকেন। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর পরিধি। এর পর আর্টিস্ট দিয়ে টিনের ওপর সাইনবোর্ড আকারে বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও মাদকবিরোধীসহ সচেতনতামূলক নানা শ্লোগান লিখিয়ে গ্রামের বাইরেও সাঁটতে শুরু করেন। প্রায় বছর পনের আগে একটি সাইকেল কিনে তাতেই শুরু করেন মানুষকে সচেতন করার প্রচারণা। আর সেই প্রচারণার সঙ্গে সবজির বীজ বিতরণের কর্মকাণ্ডটি যুক্ত হয়েছে দশ বছর ধরে। ওই সময় থেকে তিনি বিনামূল্যে বিভিন্ন এলাকায় বীজ বিতরণ করে আসছেন। বিনামূল্যে বীজ বিতরণের জন্য এলাকার সবজিচাষির অনেকেই তাকে ভালোবাসেন। দেশের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির উপস্থাপক হানিফ সংকেত ২০১৭ সালে তাকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে পুরস্কৃত করেন।

চাষিদের অনেকেই বাদশার বিনামূল্যে বীজ বিতরণের কথা জানেন। তারাই বীজ উৎপাদনের সময় বাদশার জন্যও বেশি করে উৎপাদন করেন। সেখান থেকেই বিনামূল্যে মেলে বীজ। এর পর সেই বীজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন বোতলে ভরে প্রতি মঙ্গলবার তাত বুনানোর সাপ্তাহিক ছুটির দিন তিনি বেরিয়ে পড়েন বিতরণ করতে। গত দশ বছরে তিনি বেড়ার অর্ধশতাধিক গ্রামের কয়েক শ' বাড়িতে বীজ বিতরণ করেছেন। তিনি সবাইকে শিখিয়ে দেন কি করে কোন জায়গায় বীজ বপণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কখনও কখনও তিনি নিজেই বিভিন্ন বাড়ির পতিত জায়গা খুঁজে বীজ বপণ করেন। বাদশা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। ইচ্ছা থাকলেও দারিদ্রতার জন্য তিনি বেশি দূর আগাতে পারেননি। তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। তাঁত শ্রমিকের কাজ করে প্রতিদিন আয় করেন গড়ে ৪০০ টাকা।

বাদশা জানান, যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম আমার মা পাড়ার সবাইকে লাউ, কুমড়া, শাক বীজ সহ অনেক রকম বীজ দিত। সেই থেকেই বিজ বিতরণ করা, গাছ লাগানো আমার নেশায় পরিণত হয়। কাজের ফাঁকে সাইকেল আর বীজ নিয়ে বের হই। আমার চাওয়া চারিদিক সবুজে ভরে উঠুক। পাশাপাশি ফাঁকা জমিকে কাজে লাগিয়ে অন্তত ব্যক্তিগত চাহিদা মিটুক।

হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরকার বাদশার ব্যাপারে জানান, বাদশা তার সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তনে অসামান্য ভূমিকা রাখছে। তার অবদানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সবুজে ভরে উঠছে।

বেড়া উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার নুর আলম বলেন, আমরাও সাইকেল বাদশার বিনামূল্যে বীজ বিতরণের বিষয়ে জানি। উনার এই মহতী উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে ওনার যদি বীজ বিতরণের ক্ষেত্রে কোন সহয়তা দরকার হয় উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ হতে যতটুকু সম্ভব তাকে সহায়তা করা হবে।

;

চট্টগ্রামে আজ ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল



স্টাফ কসেরপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

চট্টগ্রামে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যান্য জেলার মতো বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও চলছে সরকার ঘোষিত কারফিউ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ছে।

চট্টগ্রাম জেলায় শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ জুলাই) দুইদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। এ তিনদিন সকাল থেকেই নানা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হন নগরবাসী।

কারফিউ শিথিলের সময়ে মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। সকাল থেকে নগরে আসা-যাওয়া করছে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাস। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

;

আন্দোলনে আহত শ্রমিকের চমেক হাসপাতালে মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় চাঁদপুরে আহত আবদুল মজিদ (২০) নামে এক পরিবহন শ্রমিক চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আবদুল মজিদ পরিবহন শ্রমিক ছিলেন। চাঁদপুরে একটি গণপরিবহনের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় গত ১৮ জুলাই চাঁদপুরে আহত হন মজিদ। সেখানে সহিংসতার ঘটনায় তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় এ নিয়ে চমেক হাসপাতালে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

;