সরকার ও বিরোধী দল সবার জন্য মার্কিন ভিসানীতি: ডোনাল্ড লু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলােদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসানীতি সরকার বা নির্দিষ্ট কোনো দলের জন্য নয়। এটি সরকারি ও বিরোধী দলসহ সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।

বুধবার (২২ মে) রাতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে এ কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

তিনি বলেন, আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা কারও বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিইনি। যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ করা হবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এই নীতি নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক উপায়ে প্রয়োগ করা হবে। যদি আমরা দেখতে পাই বিরোধী দলের কোনো সদস্য নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে সহিংসতায় জড়িত ছিলেন বা ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনে জড়িত ছিলেন, তাহলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না। একইভাবে আমরা যদি দেখি সরকারের কোনো সদস্য বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন বা সহিংসতা বা বাক্‌স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করায় জড়িত, তাকেও আমরা ভিসা দেব না।

ডোনাল্ড লু বলেন, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, ভোট কারচুপি, বাকস্বাধীনতা বা সমাবেশের স্বাধীনতায় বাধাদান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে সহিংসতা সৃষ্টি। এই চারটি ক্ষেত্রের কোনো একটিতে জড়িত থাকলে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতির আওতায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেবে।

‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার কখনোই নির্বাচনে পক্ষ নেয় না। আমরা কোনো নির্দিষ্ট দল বা বিশেষ প্রার্থীকে সমর্থন করি না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার একমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে,’- যোগ করেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে, বুধবার বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আওতায় বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন ভিসা পাবে না বলে জানানো হয়।

   

পশু বিক্রির জন্য ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে ডিএনসিসি



জাহিদ রাকিব, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অস্থায়ীভাবে ৯টি হাট বসানোর পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্য হাটগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান করেছেন সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত কোন হাটের জন্য কারা দরপত্র জমা দিয়েছে সেই বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির গাবতলী স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং, মোহাম্মদপুর বসিলা খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ও খিলক্ষেত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা।

সূত্র জানায়, পূর্বের মত এবারও কোরবানির পশুর হাট পাঁচ দিনের জন্য বসানো হচ্ছে। হাটগুলোতে ক্রেতারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কিনতে পারেন তার জন্য বিশেষব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ক্রেতারা হাট থেকে পশু কেনার পর মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েচে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে অস্থায়ীভাবে ব্যাংকের এটিএম বুথ বসানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি হাটেই ক্রেতা বিক্রেতাদের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, দরপত্র অনুযায়ী ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা এক কোটি ৩৭ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা ছয় কোটি টাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা এক কোটি ৭৪ লাখ দু' হাজার ৭২৭ টাকা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং এক কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৪৬০ টাকা, মোহাম্মদপুর বসিলার খালি জায়গা দু' কোটি ২০ লাখ টাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও খিলেখত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা ৩০ লাখ ২১ হাজার টাকায় পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ডিএনসিসির এই সম্পত্তি কর্মকর্তা জানান, ঈদুল আজহার পশুর হাট শুরুর আগে নানা ধরনের প্রস্তুতি থাকে। সকল প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই হাটের তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান জানানো হয়েছে। একই সাথে পশুর হাটে বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

;

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে আইন আরো সহজ হতে হবে: স্পিকার



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা আরো সহজ হতে হবে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক আয়োজিত জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার বলেন, ‘অপরাজিতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, নারীর অধিকার বাস্তবায়নের পথ আরো সহজ হবে। এমন এক সময় আসবে যখন নারীরা সংরক্ষিত আসনে নয় সরাসরি আসনে নির্বাচন করবে।’

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্তের কারনে নারীরা আজ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সেটা রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমান। তবে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা আরো সহজ হতে হবে।’

বিশেষ অতিথি আসাদুজ্জামান এমপি বলেন, ‘সমালোচনা থাকতে পারে, তারপরও বলবো নারীর অধিকার ও উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশী কাজ হয়েছে এই সরকারের আমলে। নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, এই অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা আমাদের সকলকে ধরে রাখতে হবে।’

আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, এমপি বলেন, আমরা নারীরা অনেক কঠিন পথ পারি দিয়ে আজকের আসনে আছি। আশা করি অপরাজিতা বোনেরা আজকের সম্মেলন থেকে শিক্ষা নিয়ে আরো কঠিন পথকে সহজতর করবে। আরমা দত্ত এমপি বলেন, নারীদের রাজনৈতিক অঙ্গনে অংশগ্রহণ থাকবে, নির্বাচেন অংশগ্রহণ তত সহজ হবে।

নাছিমা জামান ববি, এমপি বলেন, নারীরা সব সময় নির্বাচন ও রাজনীতিতে বাধাগ্রস্ত হয়, বিশষ করে নির্বাচনে আরো বেশী বাধাগ্রস্ত হয়। অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে নারীদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। বাংলাদেশে নিযুুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি বলেন, অপরাজিতা সম্মেলনে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণ বলে দেয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, এমপি, জাতীয় পাটির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, এমপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারন সম্পাদক শিরীন আখতার। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বরিশাল বিভাগের অপরাজিতা ফাহমিদা মুন্নী। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও উইমেন ফর উইমেনের সভাপতি জাকিয়া কে হাসান প্যানেল আলোচক ছিলেন।

সমাপনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দিপু মনি, এমপি বলেন, সারা বিশ্বের কোথাও নারীর পথ চলা সহজ নয়। তথাকথিত উন্নত দেশগুলো নারীরা একই সমস্যায় আছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতার প্রয়োজন, ফলে নারীর স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে এবং নারীরা প্রকৃত ক্ষমতায়ন হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বারক্ষতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি ও হেড অব কো-অপরাশেন ‘করিন হেনচোজ পিগনানি’ ও হেলভেটাস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কান্ট্রি ডিরেক্টর বেন ব্লুমেন্থাল।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনটির কার্যক্রম শুরু হয়। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক দল নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়ের উপর পট গান ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগের অপরাজিতা জেসমিন আখতার রিভা। প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত ত্রিপুরা প্রকল্পের অগ্রগতি, সাফল্য এবং সম্মেলনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।

সম্মেলনটির বিভিন্ন অধিবেশনের সঞ্চালনায় ছিলেন খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট রোখসানা খন্দকার, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক ও অপরাজিতা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ফৌওজয়া খোন্দকার ও রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন। অপরাজিতাদের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিভাগের রহিমা বেগম উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সম্মেলনে তৃণমূল পর্যায়ের ৩০০ জনের অধিক নারীনেত্রী, ৩০ জন নারীবান্ধব চেয়ারম্যান/মেম্বারসহ বাস্তবায়ন সংস্থাসমূহের নির্বাহী পরিচালকগণ, সুইজারল্যাল্ড দূতাবাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাবিনা ইয়াসমিন লুবনা, হেলভিটাস বাংলাদেশের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চার সংস্থা প্রিপ ট্রাস্ট, খান ফাউন্ডেশন, রূপান্তর ও ডেমক্রেসিওয়াচের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অপরাজিতাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা, পুরুষ ও পরিবারের সদস্য দ্বারা অপরাজিতাদের নির্বাচন ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদানের জন ৭২ জন নারী ও পুরুষকে সন্মাননা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের (এসডিসি-এর) সহযোগিতায়, “হেলভেটাস-সুইস ইন্টারকোঅপারেশন” নামক একটি সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক সংস্থার ব্যবস্থাপনায়, রূপান্তর, প্রিপ ট্রাস্ট, খান ফাউন্ডেশন ও ডেমক্রেসিওয়াচ- অপরাজিতা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে অক্টোবর ২০১৮ সাল থেকে। সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলাধীন ৬২টি উপজেলার ৫৪০টি ইউনিয়নে অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে মোট নয় হাজারের অধিক নারীনেত্রীদের নিয়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের কর্মকান্ড এবং তারা নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকেন 'অপরাজিতা'।

;

প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে রয়েছে নয়টি লোহার দানবাক্স। প্রতি তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এতে মিললো রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার। এছাড়া রয়েছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট।

এমন একটি চিরকুট পাওয়া যায় গেল পাগলা মসজিদের দানবাক্সে। যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চিরকুট লিখেন।

চিরকুটে লেখা ছিল, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ্ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. পারভীন আক্তার ও আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করেন।

এমন আরেকটি চিরকুটে লেখা, আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই। একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

;

বান্দরবানে কেএনএফ'র বিরুদ্ধে ১১ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিবাদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে কেএনএফ'র অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা। সশস্ত্র সংগঠনটির সাথে অপর ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জড়িত থাকার দাবিও অস্বীকার করেছেন তারা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেএসআই মিলনায়তনে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত সেই মতবিনিময় সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি খুশি রায় ত্রিপুরা, বম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি লালজারলম বম, এডভোকেট কাজী মহিতুল হোসেন যত্ন, চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা, ম্রো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাংলাই ম্রো, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনুসহ অনেকে।

মতবিনিময় সভায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ কেএনএফ সদস্যদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অনুরোধ জানান। সেই সাথে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে শান্তি কমিটির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ারও অনুরোধ জানান নেতৃবৃন্দ।

এসময় প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের মদদ না দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জানানো হয়।

বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;