বান্দরবানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উত্থান নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট,  বার্তা২৪.কম
বান্দরবানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উত্থান নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ

বান্দরবানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উত্থান নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির (১৯৯৭) দুই দশক পেরিয়ে বৃহত্তর পার্বত্যাঞ্চল যখন শান্তি, উন্নয়ন ও সম্প্রীতির পথে চলমান এবং পার্বত্য- উপজাতি ও পার্বত্য-বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সৌহার্দ্য দৃঢ়তর, তখন বান্দরবানের কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় বিচ্ছিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আলামত নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত সংলগ্ন অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও ভূরাজনীতিভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটির পাশেই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কারণে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজমান। এমতাবস্থায় নিরাপত্তা স্থাপনায় হামলা ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের হতাহতের ঘটনা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। ফলে এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক তৎপরতাকে জাতীয় নিরাপত্তাগত নীতি ও কৌশলের আলোকে সরকারি, বেসরকারি, সামরিক, বেসামরিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বয়ে প্রতিহত ও নির্মূল করা অপরিহার্য।

স্বাভাবিকভাবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসে:

১. সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও বান্দরবানে বিচ্ছিন্নভাবে সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতার হেতু কি?

২. চাকরি, কোটা, উচ্চশিক্ষায় পাহাড়ের ১৩টি উপজাতির ব্যাপক উন্নয়ন-অগ্রগতি হলেও বান্দরবান অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় ও অতিক্ষুদ্র খুমী, খিয়াং, লুসাই, ম্রো, তঞ্চগ‍্যা, পাংখোয়া উপজাতিদের মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী নাশকতারকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটলো কেন ও কিভাবে?

৩. এইসব কতিপয় বিচ্ছিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ মদদদাতা কে বা কারা?

৪. স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্ব এইসব বিচ্ছিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দমনে যথেষ্ট উদ্যোগী হয়ে প্রশাসন ও জনগণকে নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কিনা?

৫. স্থানীয় এনজিও, সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা ও মিশনারি সমূহ শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার পক্ষে এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে স্পষ্ট ভূমিকা পালন করেছি কি?

সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি সবাইকে বিচলিত করছে, তা হলো, শান্তিচুক্তির পরেও পার্বত্যাঞ্চলে কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ ছিল বা আছে, যারা ছোটখাটো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু বান্দরবানের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কেবল চাঁদাবাজি বা আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে না। বরং তারা নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ও স্থাপনায় হামলা করছে। এতে, এদের হীন মনোভাব ও অসৎ উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চরম হানিকর।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, বান্দরবানের রুমা বাজার থেকে লোঙ্গা খুমী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে রুমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিকতাকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমসহ নানাভাবে কেএনএফকে নামক সংগঠনকে সাহায্য করে আসছিলেন। তিনি কেএনএফের পূর্বসংগঠন কেএনডিইউয়েরও সক্রিয় সদস‍্য ছিলেন। আটক সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তি সর্বদা কেএনএফের সোর্স হিসাবে কাজ করে আসছিলেন।

এসব তথ্য প্রমাণ করে যে, সমাজের বিভিন্ন স্তরে নিরাপত্তার জন্য মারাত্মকভাবে বিপদজনক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পক্ষে বহুজন বহু পেশা ও নামের ছদ্মাবরণে পার্বত্য সমাজে কাজ করছে। একই সাথে তারা নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং সামাজিক, রাজনৈতিক বলয় তৈরি করছে। এসব বিষয় স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় নেতাদের অজানা থাকার কথা নয়। তারা সচেতন থাকলে এদের বাড়বাড়ন্ত হতে পারতো না। ফলে নিরাপত্তাগত পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্র থেকেও সন্ত্রাসীদের এজেন্টদের চিহ্নিত ও মূলোৎপাটন করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের চলমান ধারায় বান্দরবানের সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুদূরপ্রসারী বিধায় সমস্যাটিকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। বরং সামরিক, বেসামরিক ও সামাজিক শক্তিসমূহের সমন্বয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপের মাধ্যমে নাশকতাকারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে প্রতিহত ও নিমূল করে পাহাড়ে শান্তি, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।

শুধু বাংলাদেশ নয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবিরোধী বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বান্দরবানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান ঠেকানো জরুরি। পাশাপাশি জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যক্তি, সংগঠন ও সহযোগীদের অতিদ্রুত বিশেষ অভিযান এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিষ্ক্রয় করার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করাও অত্যাবশ্যক।

   

কটিয়াদীর রেইনট্রি কাননে তীব্র দাবদাহে প্রশান্তির ছোঁয়া



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছের সমারোহ৷ চারদিকে ছেয়ে আছে সবুজ ডালপালা। প্রায় অর্ধশত বছর হতে চলেছে এসব গাছের। রাস্তার দুইপাশে নদী থাকায় খোলা বাতাস সবসময়ই থাকে। পুরনো এসব গাছের শীতল ছায়া এখন পথিকদের দিচ্ছে শান্তির সুবাতাস। শরীর শীতল করা এই ছায়ায় এসে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়৷ বর্তমানে বৈশাখে দারুণ সৌন্দর্য দেখাচ্ছে গাছের সবুজ পাতা৷ বসন্তের শিমুল ফুলের সৌন্দর্যও দেখার মতো৷

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার থানার সামনে নদীর বাঁধে এমনি মনোমুগ্ধকর বনায়ন রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই বনায়ন প্রকৃতির ভারসাম্য রাক্ষায় অসামান্য অবদান রাখছে।

কটিয়াদী উপজেলার থানার সামনে নদীর বাঁধে মনোমুগ্ধকর বনায়ন 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকা কিছু অংশ স্পর্শ করেছে। বাকিটুকু জালালপুর ইউনিয়নের সীমানায়। প্রায় আধা কিলোমিটারের এই বাঁধ স্বাধীনতার পর নির্মাণ করা হয়৷ বাঁধ টেকসই করার জন্য তৎকালীন জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া গাছ লাগিয়ে বনায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্যোগী হন৷ এরপরে রেইনট্রি গাছের চাড়া রোপন করা হয়৷ একসময় তা রুপ নেয় বনায়নে। বর্তমানে অযত্ন, অবহেলা ও বেদখলে সরকারি অনেক গাছ মরে গেছে৷ কিছু আধমরা অবস্থায়। তবুও কিছু এখনো টিকে আছে যা আকৃষ্ট করার মতো।


পথচারী আসাদুল ইসলাম (৪৫) বলেন, আমার বাড়ি পাশের পাকুন্দিয়া উপজেলাতে। একসাথে এতো গাছ আগে দেখিনি কখনো। তীব্র দাবদাহে এখানে এসে শীতল ছায়া পেলাম৷ মন জুড়িয়ে গেলো। যখনই আসি একটু দাঁড়িয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি।

রিকশা চালকরা জানান, যখনই এই রাস্তা দিয়ে যাই, খুবই ছায়া পাই৷ মাঝে মধ্যে রিকশার মধ্যে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি৷ এই তীব্র গরমের মধ্যে এই যায়গাটা আমাদের জন্য আল্লাহর অশেষ রহমত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বনায়নের সৌন্দর্য রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন। গাছের গোড়া দখল করে আছে অবৈধ দখলদার। বেদখল হয়ে আছে সরকারি অনেক খাস জমি। এভাবেই সরকারি যায়গা ও বনায়ন ক্রমেই বিনাশ হওয়ার পথে।

;

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরমে পথিক যখন ক্লান্ত প্রায় তখন লাল আভায় চাহনিতে প্রশান্তির ছায়া যেন বিমোহিত প্রাণজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সবুজের বুকে লালের আভায় ছেয়ে গেছে চারিদিক।

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গ্রীষ্মকালীন গাছের মধ্যে অন্যতম হলো কৃষ্ণচূড়ার গাছ। কৃষ্ণচূড়া তার লাল রঙ্গা ফুলের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে দুর্দান্ত গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া অন্যতম একটি ফুলগাছ।

কৃষ্ণচূড়ার ফুল তার সৌন্দর্যের বার্তা জানান দেয় যখন প্রকৃতি প্রখর উত্তাপ ছড়ায়। আপন মহিমায় নিজেকে মেলে ধরে প্রকৃতিতে। যে কারো মন-প্রাণের আনে প্রশান্তি। আর চোখে এনে দেয় মুগ্ধতা।


নওগাঁ সদরে মুক্তির মোড় জেলা পার্কের সামনে দেখা যায়  কৃষ্ণচূড়ার গাছের ডালে ডালে লাল ফুল ঝুলছে, ঝিরিঝিরি পাতার মাঝে  ফুল। আর সেই ফুল মন কেড়ে নিচ্ছে পথচারী আর প্রকৃতির প্রেমীদের। শস্য-শ্যামলা আর সবুজে ঘেরা বাংলার রূপ, এই রূপকে আরও নতুন করে রূপ দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়ার ছড়িয়ে দেওয়া সৌন্দর্য। এছাড়াও পার-নওগাঁ, বক্তারপুর, চাকল এসব স্থানে কৃষ্ণচূড়া গাছের দেখা মিলে।

কথা হয় পথচারী আব্দুল মুমিনের সাথে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, চারিদিকে তাপদহ চলছে, গরমে অশান্তি লাগলেও এরমধ্যে কিছু সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে যেমন কৃষ্ণচূড়ার ফুল। দূর থেকে সবুজের মধ্যে লাল দেখা যা। আবার কাছে আসলে লাল রঙের ছড়াছড়িতে আরো বেশি ভালো লাগে। রাস্তার চারিদিকে বেশি বেশি কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে আরো বেশি ভালো লাগবে।


শাহিন নামের এক রিকশা চালক বলেন, শহরের মধ্যেই আমি রিকশা চালাই তাই অনেকবার দেখা মিলে কৃষ্ণচূড়া গাছের। যতবার কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখতে পাই তাকিয়ে থাকি কারণ আলাদা সৌন্দর্য দেখতে পাই কৃষ্ণচূড়া ফুলের মধ্যে।

গরমের প্রচন্ড আভায় লুকায়িত সৌন্দর্য ফুটে তুলে কৃষ্ণচূড়ার ফুল। গাছ যেমন পথিককে ছায়া দেয় আবার অক্সিজেনও দেয় তাই বেশি বেশি লাছ লাগানো প্রয়োজন। রাস্তার পাশে নানারকম ঔষধি গাছ থেকে শুরু করে সৌন্দর্য বর্ধনে চারা রোপণ করা জরুরি। রোদের সময় প্রকৃতি যেমন ঠান্ডা থাকবে তেমনি প্রাকৃতিক ভারসাম্যও রক্ষা পাবে, বলছিলেন পথচারিরা।

;

সব ইস্যু হারিয়ে বিএনপি এখন পাগলের প্রলাপ বকছে: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত বয়কটের নামে বিএনপি পাকিস্তানের চিন্তা চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বলে মন্তব্য করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি সব ইস্যু হারিয়ে এখন পাগলের প্রলাপ বকছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে বহুমুখী পাটপণ্যের একক মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, পাটের মত পরিবেশবান্ধব পণ্য আর একটিও নেই। পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। পরিবেশবান্ধব সোনালি আশ পাটকে কীভাবে সার্বজনীনভাবে ব্যবহার করা যায়, রফতানি বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। জেডিপিসি ২৮২ রকম বহুমুখী পাটের পণ্য উৎপাদন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পাট শিল্পের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে পাট শিল্পের সরকারি, বেসরকারি ধারাকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাট শিল্পের বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানো হবে আরও ৮ গুণ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পাটভিত্তিক জিও টেক্সটাইলের বৈশ্বিক বাজারে আকার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পাট পণ্য রফতানিকারক এবং সংশ্লিষ্টদের পাটের উৎপাদন থেকে শুরু করে পাটপণ্য নিয়ে গবেষণা আরও বেশি বাড়াতে হবে।

বিশ্বের মধ্যে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এই শিল্পকে আমরা অনেক দূর নিতে পারব। পাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও কর্মচাঞ্চল্য হয়ে মেধাকে গবেষণার মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে এ শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেডিপিসির আয়োজনে এ মেলায় ৩০টি স্টল বসেছে। যেখানে ১০০টির অধিক পাটের আকর্ষণীয় পণ্য তুলে ধরা হয়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট সংলগ্ন সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে তিন দিনব্যাপী এ মেলা।

আগামীতে ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ মেলা সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা২৪.কমকে জানান জেডিপিসির প্রযুক্তি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

মেলা উদ্বোধন শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী স্টল পরিদর্শন করেন এবং সবাইকে পাট মেলায় অংশগ্রহণ করে পাট পণ্য ব্যবহার ও কেনার আহ্বান জানান।

;

উপজেলা নির্বাচন

পরশুরামে ভোট ছাড়াই জয়ী হচ্ছেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিনা ভোটেই নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পেতে যাচ্ছেন ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরামের জনগণ। অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্বাচন বিধি অনুযায়ী তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। তবে এবার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখের আগমন ঘটতে যাচ্ছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে এ উপজেলায় ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে ৮ মে ভোটগ্রহণ করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যহারের শেষ দিনে এ দুই উপজেলায় বৈধ ১৯ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পরশুরামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার নতুন চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। এছাড়া এ উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিনা ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চলেছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সামছুন নাহার পাপিয়া পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এর আগেই দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

এর পেছনে কারণ আছে কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও মনোনয়ন জমা দিয়ে দলের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। তবে কারো কোনো চাপে এ সিদ্ধান্ত নেইনি।

এছাড়া একই দিন বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাশেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইকরামুল করিম মজুমদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুর রসুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম রিটু এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিলুফা ইয়াসমিন মজুমদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এ উপজেলায় সবশেষ নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধি ভোট ছাড়া জয় পেয়েছেন। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কোনোটাতেই ভোট হয়নি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চে পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোট হয়নি। ওই নির্বাচনেও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা জয় পান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

;