টাকার অভাবে মেডিকেলে পড়া অনিশ্চিত মুবিনের



সোহেল মিয়া, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
মেধাবী শিক্ষার্থী কে এম এ মবিন হোসেন মুবিন

মেধাবী শিক্ষার্থী কে এম এ মবিন হোসেন মুবিন

  • Font increase
  • Font Decrease

টাকার অভাবে মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন ভেঙে যেতে বসেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী কে এম এ মবিন হোসেন মুবিনের।

২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিত তাঁর লেখাপড়া। মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও হতাশ ও দুচিন্তায় রয়েছে মুবিনের পরিবার। প্রতিবেশিদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ভর্তি করালেও কিভাবে ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করবেন সেই চিন্তায় এখন দিশেহারা। অন্ধকারে দিন কাটছে তাদের। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মেধাবী মুবিনের লেখাপড়া।

জানা যায়, মুবিনের বাবা মো: মোক্তার আলী খান একজন দরিদ্র কৃষক। ২০১৬ সালে স্ট্রোক করলে বাম হাতের শক্তি হারিয়ে ফেলে সে। এরপর থেকে আর কোন কাজই করতে পারেনা। দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে সে। যেটুকু জমি ছিল তা বন্ধুক রেখে এরই মধ্যে নিজের চিকিৎসা, সংসার চালানো ও দুই সন্তানের লেখাপড়া চালিয়ে এসেছে। এখন তিনি পরিবার নিয়ে বাবার সূত্রে পাওয়া একটা ঘরে বসবাস করছেন কোন রকম।

সন্তানদেরকে লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এখন তিনি উল্টো বিপাকে। এই মুহূর্তে বড় ছেলের মেডিকেলে পড়ানোর মতো কোন সামর্থ্যই নেই তার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম কৃষক বাবার অসুস্থতায় মুবিনের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। টাকার অভাবে মেডিকেলে পড়া এখন অনিশ্চিত তাঁর। মুবিনের একমাত্র ছোট বোন চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সেও অত্যন্ত মেধাবী।

মুবিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ ও ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পায়। ফরিদপুরে রেটিনা মেডিকেল কোচিং সেন্টারের বিশেষ বৃত্তি প্রাপ্ত হয়ে মাত্র ৮ হাজার টাকায় ভর্তি হয়ে কোচিং শুরু করে স্বপ্নজয়ের আশায়। এরপর ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ৭০.৭৫ নাম্বার পেয়ে মেধা তালিকায় ১৯৮৭ তম স্থান দখল করে নেয় সে।

একান্ত সাক্ষাৎকারে মুবিন বার্তা২৪.কমকে শোনায় তার জীবন সংগ্রামের কথা। সে বলে, দরিদ্র পরিবার থেকে এ পর্যন্ত আসাটা আমার জন্য অনেক কষ্টের। বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সে কোন কাজই করতে পারেনা। মেডিকেলে ভর্তি হতে এবং পড়তে অনেক টাকার প্রয়োজন। সেটা বাবা কিভাবে সংগ্রহ করবেন তা জানিনা। অনেক ধার-দেনা করে বাবা এ পর্যন্ত আমাকে এনেছেন। আমাদের সংসারই যেখানে চলে না সেখানে মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন কিভাবে দেখব। ছোট চাচার কিছু টাকা এবং পাড়া-প্রতিবেশির কাছ থেকে ধার করে বাবা আমাকে আপাতত শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। কিন্তু ক্লাস শুরু হলে কি হবে? বই কেনা প্রতি মাসের খরচ কিভাবে জোগাড় হবে তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা।

অনেকটা আবেগে আপ্লুত হয়ে সে আরো বলে, ইচ্ছে আছে মেডিকেল পড়া শেষ করে একজন আদর্শ চিকিৎসক হয়ে দেশের অসহায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করবো।

মুবিনের বাবা মো: মোক্তার আলী খান বলেন, ২০১৬ সালে স্ট্রোক করলে আমার বাম হাতের শক্তি হারিয়ে ফেলি। এরপর থেকে আমি আর কোন কাজই করতে পারিনা। আমার নিজস্ব কোন জমিও নেই। আমার বাবার দেওয়া একটু জায়গায় ঘর তুলে পরিবার নিয়ে থাকি। বাবার কাছ থেকে যেটুকু কৃষি জমি পেয়েছিলাম সেই জমিটুকুও অন্যের কাছে বন্দুক রেখে ওদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছি। ছেলে-মেয়েকে পড়াতে গিয়ে এবং সংসার চালাতে গিয়ে এ পর্যন্ত আমি কয়েক লাখ টাকার দেনা হয়েছি। আমার নামে এখনো কৃষি ব্যাংক, আশা ও ব্র্যাক অফিসে ঋণ রয়েছে। ঋণের কিস্তির টাকা ঠিক মতো দিতে না পারায় অনেক কটু কথাও শুনতে হয়।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরো বলেন, ছেলেটা অত্যন্ত মেধাবী। ওর স্বপ্ন একজন আদর্শবান চিকিৎসক হওয়ার। আমি জানিনা ওর স্বপ্ন পূরণ করতে পারব কিনা। মনে হচ্ছে কূলে এসে তরী ডুবে যাচ্ছে। টাকার অভাবে শেষ পর্যন্ত কি আমি একজন ব্যর্থ বাবা হয়ে বেঁচে থাকব। এই সমাজে এমন কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি কি নেই যে আমার সন্তানের পাশে এসে দাঁড়াবে। ওর স্বপ্নপূরণের সারথী হবে।

বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: কুতুব উদ্দিন মোল্লা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মুবিন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। আমার বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় চেষ্টা করেছি ওকে সহযোগিতা করার। ভাল কোন পৃষ্ঠপোষক পেলে মুবিন একদিন দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণি ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমি মনে করি।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মুবিনের পাশে থাকার চেষ্টা করবো। ও লেখাপড়া যাতে চালিয়ে যেতে পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখব।

   

হাওরে ৭০, অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পাচ্ছে কৃষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি উৎপাদন সহায়তার জন্য সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের মাঝে সহজ ও কম মূল্যে বিতরণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলে ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকির মাধ্যমে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে।

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এই ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের ফলে ধান কর্তন সময়ে হাওর এলাকায় শ্রমিকের যে সংকট তৈরি হয় তার অবসান ঘটবে। কৃষকগণ স্বল্পতম সময়ে তাদের গোলায় ফসল তুলতে পারবে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ‘কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা’ নামে একটি খাত রয়েছে। এ খাত হতে মূলতঃ দেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল চাষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনা কর্মসূচিও পরিচালনা করা হয়। পুনর্বাসন বা প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

কৃষকদের সার্বিক কল্যাণ এবং বিভিন্ন ফসল চাষে তাদের আগ্রহী করে তোলার জন্য প্রতি অর্থবছরেই নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে কর্মসূচিগুলোর লক্ষ্যমাত্রাও বৃদ্ধি করা হয়।

;

চট্টগ্রামে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মহাসড়কে মিনিট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৫ মে) সকালে উপজেলার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. পেঁচু মিয়া (৬০) আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। আহতরা হলেন- আবুল কালাম (৪৫) ও আলিফ (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ ইরফান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মিনিট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. পেঁচু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মৃত ব্যক্তির মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিনিট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

;

শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় নারী নিহত, আহত ৩



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী রীতা রাণী (২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মিলন গোলদার ও তাদের শিশুকন্যা প্রিয়াসহ (২) মোট ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বাগআঁচড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৬ মে) বিকেলে নাভারণ সাতক্ষীরা সড়কের শার্শার জামতলা মবিল ফ্যাক্টরির সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত রীতা রাণী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের মিলন গোলদারের স্ত্রী।

আহতরা হলেন- নিহত রীতা রাণীর স্বামী মিলন গোলদার (৩০) ও তাদের শিশু কন্যা এবং শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুছ সানার ছেলে মোটরসাইকেল চালক আসমাতুল্লা (৩৫)।

আহত মিলন গোলদার জানান, তারা শ্যামনগর থেকে মোটরসাইকেলযোগে তার শ্বশুরবাড়ি শার্শার গোড়পাড়ায় যাচ্ছিলেন। এসময় পথিমধ্যে বাগআঁচড়া জামতলা মবিল ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছালে মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর তাদের চাপা দিলে তারা ট্রাক্টরের চাকার তলায় পড়ে যান। এতে তার স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ছোট মেয়ে আহত হয়। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

নাভারণ হাইওয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর (উপপরিদর্শক) মফিজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার এবং মাটিবাহী ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক।

এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

;

‘নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হতে আবেদনের সুযোগ নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদনের আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।

রোববার (৫ মে) সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বেশ কয়েক দফা মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য অনলাইনে সর্বশেষ বার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এসব আবেদন উপজেলা, জেলা কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদনের আর কোনো সুযোগ নেই।

সরকারি দলের অপর সদস্য তারানা হালিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানই দেশে সর্বপ্রথম বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সূচনা করে। তার সময়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অনেক সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত সংসদে উপস্থাপনের জন্য তিনি সংসদ সদস্য তারানা হালিমকে একটি নোটিশ দেওয়ার পরামর্শ দেন।

মো. মাইনুল হোসেন খানের অপর একটি তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ৪০ হাজার জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা উপকারভোগীকে ৩০০ টাকা হারে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার পরিমাণ বেশ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা সম্মানি ভাতাসহ বাৎসরিক ২টি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণকে রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা বাবদ জনপ্রতি ২ হাজার টাকা হারে এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান বিজয় দিবস ভাতা বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে।

;