নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বেপরোয়া গতির ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো এক যুবক গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
রোববার (২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম ওয়েলকাম পোল্ট্রি ফার্মের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো.রুবেল মিয়া (১৯) উপজেলার চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাতাইশডোন এলাকার আজিমুর রহামনের ছেলে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ। তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপজেলার চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম ওয়েলকাম পোল্ট্রি ফার্মের সামনের সড়ক সংলগ্ন খালে পড়ে যায়। এতে ট্রাক্টর চাপায় রুবেল নামে এক যুবক মারা যায়। এতে অপর এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে 'Transformative Change in stormwater management in Dhaka City' শিরোনামে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমরা ওয়াসা থেকে খালগুলো বুঝে পাওয়ার পর খালগুলো দখলমুক্ত করছি। লাউতলা খাল অবৈধ দখল করে ট্রাক স্ট্যান্ড করে রাখা হয়েছিল। সেটি উচ্ছেদ করে সেখানে বৃক্ষরোপণ করে দিয়েছি। এখন সেখানে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। খালে পানির প্রবাহ ফিরে এসেছে।'
মেয়র আরও বলেন, 'অনেকে বলে খাল দখলকারীদের উচ্ছেদ করলে আপনাকে দখলদাররা অপছন্দ করবে। আমাকে কেউ পছন্দ করলো কিনা সেটা কোন বিষয় না। আমি জনগণের স্বার্থে, শহরকে বাঁচাতে উচ্ছেদ অভিযান করে খাল দখলমুক্ত করে যাব। কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডের প্রায় ৫০ একর জমি দীর্ঘদিন দখল ছিল। সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩২ একর জমি উদ্ধার করেছি। সেখানে কল্যাণপুর হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে।'
এসময় তিনি বলেন, 'কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক গাবতলীতে সরকারি সংস্থা বিএডিসি জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। আমি বাধা দিয়েছি৷ আমরা চিঠি দিয়েছে আপনার জলাধার ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে পারবেন না। অথচ তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন উপেক্ষা করে জলাধার বালু দিয়ে ভরাট করা শুরু করেছে। গাবতলীর এই জলাধার ভরাট করলে মোহাম্মদপুর, শ্যামলীসহ মিরপুরের একটু অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একসময় প্রধান সড়কে যেসব জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো সেগুলো হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ডেভেলপ করে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হয়েছে। কিছুদিন আগে অল্প সময়ের ভারী বৃষ্টিতে ডিএনসিসি এলাকার মেইন সড়কে কিন্তু দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতা হয়নি। আমাদের খালগুলো ও জলাধারগুলো যদি সিএস ও আরএস দাগ অনুযায়ী ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে এই জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব হবে। ঢাকাকে বাঁচাতে হলে শহরের নদী ও খাল গুলোর সীমানা সিএস দেখে নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করতে হবে। ঢাকা শহরে বৃষ্টির পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং নগরায়নের মাধ্যমে উপযুক্ত করে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলতে হবে।'
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্যা ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব মাহফুজ আনাম, সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউ'র উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, বুয়েটের পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আতাউর রহমান এবং ইউআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আফজাল আহমেদ।
গাছ আমাদের বন্ধু। গাছেরও প্রাণ আছে। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। গাছেরা কথা বলতে না পারলেও তারা আঘাত অনুভব করতে পারে।
ছোটবেলা পাঠ্য বইয়ে কমবেশি সবাই এই বাক্যগুলো পড়েছে। কিন্তু যেই গাছ আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে সেই গাছের পিঠেই আমরা পেরেক ঢুকিয়ে হত্যা করছি। খোদ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা, অলিগলি ও পার্কগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নগরীতে যে পরিমাণ গাছ থাকার কথা সে পরিমাণ নেই। যা রয়েছে তার অবস্থাও বেহাল। এসব গাছের বুকে পেরেক ঠুকে প্রতিনিয়ত লাগানো হচ্ছে বাসা ভাড়া, প্রাইভেট টিউটরসহ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন। কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় দিন দিন এর পরিমাণ বেড়েই চলছে। ফলে নগরীরবাসীকে বাঁচিয়ে রাখা গাছগুলো দিন দিন মৃত্যুর দিকে হেলে পড়ছে। কমে যাচ্ছে অক্সিজেনের মাত্রা।
সরেজমিন, রাজধানীর ধানমন্ডির ঝিগাতলাসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার দু'পাশে প্রায় সব গাছেই পেরেক ঠুকে লাগানো হচ্ছে বিজ্ঞাপন। এক একটি গাছে কম করে হলেও ১০ থেকে ১২টা পেরেক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে কোথাও কোথাও গাছ থেকে কাঁচা কশ ঝরে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গাছের বুকে পেরেক লাগানোর কারণে যে ছিদ্র হয় এতে করে গাছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও অনুজীব প্রবেশ করে।এতে গাছের ছিদ্র হওয়া জায়গায় দ্রুত পঁচন ধরে এবং গাছটি ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।গাছের খাদ্য ও শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। মানুষ হয়তো ভুলে গেছে গাছেরও প্রাণ আছে। এই গাছই অক্সিজেন দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।
মারুফ নামের একজন পথচারী বলেন,গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। গাছ প্রকৃতিরই সৌন্দর্য। মানুষ প্রতিদিন প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে। নগরের অধিকাংশ গাছে পেরেক বা তারকাটা লাগানোর কারণে শহরের সৌন্দর্য ধ্বংস হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার। গাছে পেরেক ঠুকিয়ে বিজ্ঞাপন লাগানো নিষিদ্ধ করা উচিত।
গাছকে এখন বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা হত্যার শামিল। এ সমস্ত অন্যায় কাজ যারা তাদেরকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে সরকারকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
এদিকে গাছে লাগানো এসব অবৈধ বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে নামমাত্র অভিযান করে সিটি করপোনেশন। বৃক্ষপ্রেমীদের অভিযোগ এসব অভিযান শুধু মিডিয়া কাভারের জন্য। সিটি করপোরেশনের উচিত গাছের পরিচর্জার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে জনবল নিয়োগ করা।
মোস্তাফিজ নামের একজন স্থানীয় নগরবাসী বলেন, আমরা গাছ লাগানোর পরিবর্তে নিধন করে বেশি। এর জন্য শুধু গাছের ক্ষতি হয় না মানুষেরও ক্ষতি হয়। গাছের বুকে পেরেক না মেরে বিকল্প কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। রশি বা আঠা ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন লাগানো উচিত। পেরেক মারলে গাছের ক্ষতি হয় এবং প্রকৃতিরও ক্ষতি হয়। গাছেরও কিন্তু প্রাণ আছে। আমরা গাছ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং যার মাধ্যমে বেঁচে থাকি।
এ বিষয়ে পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব বার্তা২৪.কম’কে বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘ ১২ থেকে ১৫ বছর এ ব্যাপারে আন্দোলন করে আসছি। আমরা বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন করেছি। উত্তর সিটি করপোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের কারণে গাছের বুকে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন লাগানো অনেকাংশে কমে এসেছে। কিন্তু দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে নির্বিকার। তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। এর জন্য অবশ্যই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে জবাবদিহিতা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গাছের বুকে পেরেক ঢুকানোর কারণে গাছের আয়ু কমে যায় এবং গাছ আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যারা গাছের বুকে পেরেক ঢুকিয়ে বিজ্ঞাপন লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং জরিমানাও করা উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকৌশলী মো: খায়রুল বাকের বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গাছের বুকে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন লাগানো অপরাধ। এটি গাছের জন্য ক্ষতিকর। এর কারণে পরিবেশের ক্ষতি হয়। যারা গাছের বুকে পেরেক ঠুকিয়ে বিজ্ঞাপন লাগায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। জনসাধারণকে সচেতন করা উচিত। জনসাধারণ যদি সচেতন না হয় তাহলে এই ধরনের পরিবেশ বিরোধী কাজ বাড়তে থাকবে।
সিলেট সদরের খাদিমনগর রুস্তমপুর আবাসিক এলাকা থেকে জালিজ মাহমুদ সিয়াম নামের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সে নিখোঁজ হয়।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান (রহ.) থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন নিখোঁজের মামা মো.সোহাগ হাওলাদার।
নিখোঁজ সিয়াম সদর উপজেলার পীরেরবাজার এলাকার জহিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। সে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার গাজীরপাড় গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ও সুলতানা বেগম দম্পতির বড় ছেলে।
বর্তমানে মামা সোহাগ হাওলাদারের সাথে রুস্তমপুর আবাসিক এলাকার নিয়াজ মিয়ার বাসায় বসবাস করছিল সিয়াম। মা-বাবা থাকেন গ্রামের বাড়িতে।
সিয়ামের মামা জিডিতে উল্লেখ করেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে খাদিমনগরের রুস্তমপুর আবাসিক এলাকার নিয়াজ মিয়ার বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয় নিয়াজ মাহমুদ সিয়াম। রাত ১১টা পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় আত্মীয়-স্বজনরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর সাধারণ ডায়রি করা হয়।
সোহাগ হাওলাদাদের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ারহাট বড়কোঠা গ্রামে। তিনি জানান, ব্যবসা সূত্রে তিনি সিলেটে থাকেন। কিছুদিন আগে পড়াশুনা করবে বলে এখানে আসে সিয়াম। ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে ভাগনাকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। গত ১৫ দিন ধরে হন্য হয়ে খুঁজছেন পরিবারের সবাই। এখনও তার সন্ধান মিলেনি।
নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিল নেভি-ব্লু টি-শার্ট ও বাদামি রঙের টাউজার। তার গায়ের উজ্জল শ্যামলা। হালকা-পাতলা গড়নের সিয়ামের উচ্চতা ৫ফুট ৪ ইঞ্চি। সে শুদ্ধ আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান (রহ.) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।’
চট্টগ্রাম বোর্ডে ইংরেজি প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৯৩৩, বহিষ্কার ২
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বোর্ডে ইংরেজি প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৯৩৩, বহিষ্কার ২
জাতীয়
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কেন্দ্রসমূহে আজ এইচএসসির ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। একই সাথে অসদুপায় অবলম্বনে ২ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১১৩ টি কেন্দ্রে ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষায় ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৬৪০ জন, রাঙ্গামাটিতে ৪০, খাগড়াছড়ি ৭১, বান্দরবান ৩১ ও কক্সবাজারে ১৫১ জন অনুপস্থিত ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বান্দরবান মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের একজন এবং সীতাকুণ্ড মহিলা কলেজ কেন্দ্রের মানবিকের অপর এক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অসদুপায় রোধে বোর্ড থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ছিল।’