স্বর্ণরাঙা গুটিতে ধরেছে কৃষকের স্বপ্ন



মোঃ আব্দুল হাকিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বর্ণরাঙা মুকুলগুলো ক’দিন আগেও গাছের শাখা প্রশাখায় ঝলমল করছিল। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল গ্রামের সবুজ প্রকৃতি। চারপাশে মৌমাছির গুঞ্জরণ যেন নিমন্ত্রণ দিচ্ছিল আমের। কিন্তু সময় যত বাড়ছে অপেক্ষাও তত কমছে। এখন গাছের গাছের শাখে শাখে বেঁধেছে আমের গুটি দানা। আর সেই গুটিতেই স্বপ্ন বাঁধতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাছ, পাতা, মুকুল, গুটি আর আম নিয়ে বাঁধা তাদের নানান স্বপ্নের কথা।

চাষিরা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সর্বোচ্চ মুকুলে ছেয়ে গেছে বরেন্দ্রের আম বাগান। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়া আমগাছগুলোতে গুটি বাঁধতে শুরু করেছে সবুজ দানা। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে যেন উঁকি দিচ্ছে ছোট ছোট দানা। মুকুলের পর সবুজ দানাও নজর কাড়ছে সবার। মৌমাছির গুণগুণ শব্দ মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে স্বপ্নে বিভোর আম চাষিরা।

কৃষি বিভাগ বলছে, গত মৌসুমে শীত ও কুয়াশা তুলনামূলক কম হওয়ায় মুকুলের ক্ষতি কমেছে অনেকটাই। সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলেও আশা করা যায়। এছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া ও ক্রমেই তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি আমের জন্য সুবিধাই বয়ে আনবে।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আম চাষ হয়েছিল ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। আম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন। এ বছর জেলায় আম চাষ হচ্ছে ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার জেলায় আমের চাষাবাদ বেড়েছে এক হাজার ৬৩ হেক্টর জমিতে। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন।

জেলার আমের বাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে কীটনাশক স্প্রে, গোড়ায় পানি দেওয়াসহ সব রকমের যত্ন আত্তি চলছে পুরোদমে। বিশেষ করে রাজশাহী নগরীর হেতেম খাঁ, গৌরহাঙ্গা, লক্ষ্মীপুর, শিরোইল, কোর্ট স্টেশন, ভেড়িপাড়া, মালোপাড়া, কাশিয়াডাঙ্গা, মেহেরচণ্ডি ও পদ্মা আবাসিক এলাকায় বেশ কিছু গাছে গুটি বাঁধতে শুরু করেছে আমের মুকুল। নগরীর বাইরেও আমের নাম-যশে পূর্ণ জেলার বাঘা, চারঘাট, মোহনপুর ও বাগমারা এলাকায় দেখা মিলেছে আমের গুটি। সোনালি মুকুল ঝরে ক্রমেই শক্ত হতে শুরু করেছে সবুজ গুটি। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আর সবুজ দানা জাদুর মতো কাছে টানছে আমপ্রেমীদের। অনবরত আম গাছের মগডালেই নজর কাড়ছে পথচারীদের।

জানতে চাইলে বাঘার আম চাষি সাদিকুল ইসলাম বলেন, আম গুটি হওয়া শুরু হয়েছে। এবার বাঘা অঞ্চলের গাছে প্রচুর মুকুল হয়েছিল, গতবারের চেয়ে প্রায় ডাবল। তবে খিরসাপাত ও ল্যাংরা আমে গুটি কম হচ্ছে। অনেক দিন বৃষ্টি ছিল না, মাটি শুষ্ক ছিল। মাঝে একটু কুয়াশা হয়েছিল, হপার নামের এক প্রকার পোকারও উৎপাত ছিল, এসব কারণে কিছু মুকুল ছোট থাকায় গুটি কম হয়েছে। আর লকনা, ফজলি বা আশ্বিনা আমে গুটি বেশি হচ্ছে। গত বারের চেয়ে ডাবলের বেশি আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


দুর্গাপুর উপজেলার আম চাষি আলতাফ হোসেন বলেন, আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণেই আছে। আবহাওয়াও মোটামুটি ভালোই আছে, মাঝে একটু পঁচানি ও হপার নামের রোগ ধরছিলে। কীটনাশক স্প্রে করার পর অনেকটাই সমাধান হয়েছে। আশা করি গত বারের থেকেও ফলন ভালো হবে।

রাজশাহী তানোর উপজেলার চাষি বারিউল ইসলাম বলেন, চাষ এবং ব্যবসা উভয়ের সঙ্গেই আমি সরাসরি যুক্ত। মূলত পাতা কেনা দিয়েই শুরু হয় আমের কেনা-বেচা। বেশি পাতাওয়ালা গাছে ফলন ভালো হবে ধরে এ পাতা কেনা-বেচা হয়। গাছপ্রতি ৫-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় মালিককে। অবশ্য যুগ যুগ থেকে পাতা কেনার এ প্রথা চলে এলেও এখন অনেকেই ভিন্ন নীতিতে ব্যবসা করেন। আগাম পাতা কেনায় ক্ষতির শঙ্কা থাকে। তাই ধীরে ধীর নিজেই বাগান গড়ে তুলেছি। এখন নিজেই চাষও করি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মোজদার হোসেন বলেন, আমরা অনেক ভালো ফলনের আশা করছি এবার। মুকুল যেটা হয়েছে খুবই ভালো। এখন পর্যন্ত আবহাওয়াও ভালো রয়েছে, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হবে, রোদ হবে। এখন পর্যন্ত খারাপ কিছুই লক্ষ্য করা যায়নি। জেলায় প্রায় আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

   

গাছের বুকে পেরেক, ভালো নেই নগরের বৃক্ষ!



মেহেদী হাছান মাহীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গাছের বুকে পেরেক, ভালো নেই নগরের বৃক্ষ!

গাছের বুকে পেরেক, ভালো নেই নগরের বৃক্ষ!

  • Font increase
  • Font Decrease

গাছ আমাদের বন্ধু। গাছেরও প্রাণ আছে। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। গাছেরা কথা বলতে না পারলেও তারা আঘাত অনুভব করতে পারে।

ছোটবেলা পাঠ্য বইয়ে কমবেশি সবাই এই বাক্যগুলো পড়েছে। কিন্তু যেই গাছ আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে সেই গাছের পিঠেই আমরা পেরেক ঢুকিয়ে হত্যা করছি। খোদ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা, অলিগলি ও পার্কগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নগরীতে যে পরিমাণ গাছ থাকার কথা সে পরিমাণ নেই। যা রয়েছে তার অবস্থাও বেহাল। এসব গাছের বুকে পেরেক ঠুকে প্রতিনিয়ত লাগানো হচ্ছে বাসা ভাড়া, প্রাইভেট টিউটরসহ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন। কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় দিন দিন এর পরিমাণ বেড়েই চলছে। ফলে নগরীরবাসীকে বাঁচিয়ে রাখা গাছগুলো দিন দিন মৃত্যুর দিকে হেলে পড়ছে। কমে যাচ্ছে অক্সিজেনের মাত্রা।

সরেজমিন, রাজধানীর ধানমন্ডির ঝিগাতলাসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার দু'পাশে প্রায় সব গাছেই পেরেক ঠুকে লাগানো হচ্ছে বিজ্ঞাপন। এক একটি গাছে কম করে হলেও ১০ থেকে ১২টা পেরেক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে কোথাও কোথাও গাছ থেকে কাঁচা কশ ঝরে পড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গাছের বুকে পেরেক লাগানোর কারণে যে ছিদ্র হয় এতে করে গাছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও অনুজীব প্রবেশ করে।এতে গাছের ছিদ্র হওয়া জায়গায় দ্রুত পঁচন ধরে এবং গাছটি ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।গাছের খাদ্য ও শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। মানুষ হয়তো ভুলে গেছে গাছেরও প্রাণ আছে। এই গাছই অক্সিজেন দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।

মারুফ নামের একজন পথচারী বলেন,গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। গাছ প্রকৃতিরই সৌন্দর্য। মানুষ প্রতিদিন প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে। নগরের অধিকাংশ গাছে পেরেক বা তারকাটা লাগানোর কারণে শহরের সৌন্দর্য ধ্বংস হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার। গাছে পেরেক ঠুকিয়ে বিজ্ঞাপন লাগানো নিষিদ্ধ করা উচিত।

গাছকে এখন বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা হত্যার শামিল। এ সমস্ত অন্যায় কাজ যারা তাদেরকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে সরকারকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

এদিকে গাছে লাগানো এসব অবৈধ বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে নামমাত্র অভিযান করে সিটি করপোনেশন। বৃক্ষপ্রেমীদের অভিযোগ এসব অভিযান শুধু মিডিয়া কাভারের জন্য। সিটি করপোরেশনের উচিত গাছের পরিচর্জার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে জনবল নিয়োগ করা।

মোস্তাফিজ নামের একজন স্থানীয় নগরবাসী বলেন, আমরা গাছ লাগানোর পরিবর্তে নিধন করে বেশি। এর জন্য শুধু গাছের ক্ষতি হয় না মানুষেরও ক্ষতি হয়। গাছের বুকে পেরেক না মেরে বিকল্প কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। রশি বা আঠা ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন লাগানো উচিত। পেরেক মারলে গাছের ক্ষতি হয় এবং প্রকৃতিরও ক্ষতি হয়। গাছেরও কিন্তু প্রাণ আছে। আমরা গাছ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং যার মাধ্যমে বেঁচে থাকি।

এ বিষয়ে পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব বার্তা২৪.কম’কে বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘ ১২ থেকে ১৫ বছর এ ব্যাপারে আন্দোলন করে আসছি। আমরা বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন করেছি। উত্তর সিটি করপোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের কারণে গাছের বুকে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন লাগানো অনেকাংশে কমে এসেছে। কিন্তু দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে নির্বিকার। তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। এর জন্য অবশ্যই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে জবাবদিহিতা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, গাছের বুকে পেরেক ঢুকানোর কারণে গাছের আয়ু কমে যায় এবং গাছ আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যারা গাছের বুকে পেরেক ঢুকিয়ে বিজ্ঞাপন লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং জরিমানাও করা উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকৌশলী মো: খায়রুল বাকের বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গাছের বুকে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন লাগানো অপরাধ। এটি গাছের জন্য ক্ষতিকর। এর কারণে পরিবেশের ক্ষতি হয়। যারা গাছের বুকে পেরেক ঠুকিয়ে বিজ্ঞাপন লাগায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। জনসাধারণকে সচেতন করা উচিত। জনসাধারণ যদি সচেতন না হয় তাহলে এই ধরনের পরিবেশ বিরোধী কাজ বাড়তে থাকবে।

;

সিলেটে ১৫ দিন ধরে স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে ১৫ দিন ধরে স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ

সিলেটে ১৫ দিন ধরে স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট সদরের খাদিমনগর রুস্তমপুর আবাসিক এলাকা থেকে জালিজ মাহমুদ সিয়াম নামের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সে নিখোঁজ হয়।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান (রহ.) থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন নিখোঁজের মামা মো.সোহাগ হাওলাদার।

নিখোঁজ সিয়াম সদর উপজেলার পীরেরবাজার এলাকার জহিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। সে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার গাজীরপাড় গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ও সুলতানা বেগম দম্পতির বড় ছেলে।

বর্তমানে মামা সোহাগ হাওলাদারের সাথে রুস্তমপুর আবাসিক এলাকার নিয়াজ মিয়ার বাসায় বসবাস করছিল সিয়াম। মা-বাবা থাকেন গ্রামের বাড়িতে।

সিয়ামের মামা জিডিতে উল্লেখ করেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে খাদিমনগরের রুস্তমপুর আবাসিক এলাকার নিয়াজ মিয়ার বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয় নিয়াজ মাহমুদ সিয়াম। রাত ১১টা পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় আত্মীয়-স্বজনরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর সাধারণ ডায়রি করা হয়। 

সোহাগ হাওলাদাদের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ারহাট বড়কোঠা গ্রামে। তিনি জানান, ব্যবসা সূত্রে তিনি সিলেটে থাকেন। কিছুদিন আগে পড়াশুনা করবে বলে এখানে আসে সিয়াম। ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে ভাগনাকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। গত ১৫ দিন ধরে হন্য হয়ে খুঁজছেন পরিবারের সবাই। এখনও তার সন্ধান মিলেনি।

নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিল নেভি-ব্লু টি-শার্ট ও বাদামি রঙের টাউজার। তার গায়ের উজ্জল শ্যামলা। হালকা-পাতলা গড়নের সিয়ামের উচ্চতা ৫ফুট ৪ ইঞ্চি। সে শুদ্ধ আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।

সিয়ামের সন্ধান পেলে মুঠোফোনের ০১৭৩২৪২১১১৭ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছেন মামা সোহাগ হাওলাদার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান (রহ.) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।’

;

চট্টগ্রাম বোর্ডে ইংরেজি প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৯৩৩, বহিষ্কার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম চট্টগ্রাম 
চট্টগ্রাম বোর্ডে ইংরেজি প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৯৩৩, বহিষ্কার ২

চট্টগ্রাম বোর্ডে ইংরেজি প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৯৩৩, বহিষ্কার ২

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কেন্দ্রসমূহে আজ এইচএসসির ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। একই সাথে অসদুপায় অবলম্বনে ২ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘১১৩ টি কেন্দ্রে ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষায় ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৬৪০ জন, রাঙ্গামাটিতে ৪০, খাগড়াছড়ি ৭১, বান্দরবান ৩১ ও কক্সবাজারে ১৫১ জন অনুপস্থিত ছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বান্দরবান মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের একজন এবং সীতাকুণ্ড মহিলা কলেজ কেন্দ্রের মানবিকের অপর এক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অসদুপায় রোধে বোর্ড থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ছিল।’

;

৮টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ১১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম 
৮টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ১১

৮টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ১১

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মহানগরী ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতাসহ ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলে ৮টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (উত্তর ও দক্ষিণ) উপপুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল রায়হান (১৯) এবং তার সহযোগী ইরফাদুল আলম (১৯) ও আক্তার হোসেন (২০), শহিদুল (৩০), মোস্তাফিজুর প্রকাশ অনিক(১৯), আব্দুল্লাহ(১৮), মামুনুর রশিদ(২৬), রিয়াজউদ্দিন (১৯), শাকিব (১৯), রিফাত (১৯) ও সাইদুল ইসলাম(১৯)।

নগর ডিবির উপপুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘আমাদের একটি টিম সোমবার নগরীর হালিশহর থানাধীন বড়পোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল রায়হানসহ তিনজনকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করে। 

তিনি আরও বলেন, চোরাই চক্র মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন পন্থায় চুরি মোটরসাইকেল করে নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে তা অনলাইনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং অন্যান্য চোরাই চক্রের সাথে যোগযোগ করে এগুলো বিক্রয় করে দেয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা তিনজনের দেওয়া তথ্যে মীরসরাই থানা এলাকায় ৫টি, জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় ২টিসহ মোট ৮টি নাম্বারবিহীন বিভিন্ন মডেলের চোরাই মোটরসাইকেলসহ ওই চক্রের আরও ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালত পাঠানো হচ্ছে।

;