প্রশিকার কৈট্টাস্থ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বেহাল দশা



তরিকুল ইসলাম সুমন, মানিকগঞ্জ থেকে ফিরে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার মানিকগঞ্জের কৈট্টাস্থ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বেহাল দশা। অথচ এক সময় এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি।

এদিকে কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বেতন চাইতে গেলে করা হয় নাজেহাল। তারপরও অনেকে চাকরিতে ছিলেন নতুন কিছুর আশায়। কিন্তু হঠাৎ করেই স্থায়ী ১০৫ জন এবং অস্থায়ী ৩০০ জনকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়।

সরেজমিনে প্রশিকার কৈট্টাস্থ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না। অভ্যর্থনা কেন্দ্র যেন ময়লার ভাগাড়। নেই কোনো আসবাবপত্র। সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা। বিশাল পুকুর ও খেলার মাঠ। ফসলি জমির উপরের মাটি নেই। আগে যেখানে সব জায়গা ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এখন সেখানে পড়ে আছে শুধুই খাঁচা। বিক্রি করে দেয়া হয়েছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ।

কৈট্টাস্থ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বেহাল দশা

কৈট্টাস্থ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখন কাজ করছেন হাতেগোনা ৫-৭ জন কর্মচারী। কর্মরত গেটম্যান ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, এখানে কাজী ফারুক অনেকদিন আসেন না। এখানকার সকল কিছু দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন শহিদুল ইসলাম (জিএম)। তিনি তার খেয়াল খুশি মতো যা ইচ্ছে তাই করছেন। এখানে যারা রয়েছেন তারাও ১০ মাস ধরে বেতন পান না।

কর্মচারীরা বলেন, জিএম যখন যা ইচ্ছে তাই করছেন। বিক্রি করে দিয়েছেন পুকুরের অনেক টাকার মাছ, এসি, মাটি, গাছ, বিদ্যুতের তার, ফ্যান, টিভি, তাঁত মেশিন, টিস্যু কালচার ল্যাবের মূল্যবান যন্ত্রপাতিও।

মূল্যবান মালামাল বিক্রি প্রসঙ্গে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রশিকাকে ধ্বংস করছে কাজী ফারুক আহম্মদের একটি বিরোধী চক্র। তারা নানাভাবে মিথ্যাচার করছেন। তারা এখন এটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এজন্য আমার ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চালাচ্ছে অপপ্রচার।

কর্মচারীদের বেতন বন্ধ থাকার বিষয়ে বলেন, এখন কর্মসূচি অনেক কমে গেছে। এ কারণে বেতন দিতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত এর সমাধান হবে বলে আশা করেন।

কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি

প্রশিকার বর্তমান প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম বলেন, একটা সময় কৈট্টার এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সুনাম ছিল। কিন্তু যখন থেকে এটির অবৈধ দখল নিয়েছেন কাজী ফারুক আহম্মদ ও তার সহযোগীরা, তখন থেকেই এর দুরবস্থা শুরু হয়েছে। কারণ তারা কোনো কাজতো করছেই না বরং নষ্ট করছেন। তারা এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছেন। দামি দামি আসবাপত্র ও মেশিনারীজ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করেছেন। অবৈধভাবে প্রায় ৪০০ কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে তাদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা শুনেছি প্রতিদিন তারা এখণ দুঘণ্টা করে কেন্দ্রের সামনে হাজিরা হিসেবে অবস্থান করে। অনেক সময়ে তাদের ওপর চালানো হয় সন্ত্রাসী হামলাও।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা মানিকগঞ্জের এসপি, ডিসি এবং সাটুরিয়া থানায় লিখিতভাবে দিয়েছি। প্রশিকার এ কেন্দ্র থেকে যাতে করে কোনো মালামাল বিক্রি করা না হয়। এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ বলেন, একটা সময় কৈট্টার এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল জমজমাট। ৩-৪ শ কর্মচারী কাজ করতেন। কিন্তু ২০০৯ সালের পর থেকেই শুরু হয় ভাটা। ৩-৪শ কর্মচারীকে কোনো কিছুই না জানিয়ে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখনও তারা প্রায় দিনই হাজিরার জন্য আসেন কেন্দ্রের সামনে। বেতনভাতা চাইতে গেলে চালানো হয় হামলা। দেয়া হচ্ছে মামলা। আমি দায়িত্ব থাকাকালে অনেক কর্মচারীকে সরকারি সহায়তা দিয়েছি। তাদের কষ্ট সহ্য করা যায় না। পেটে ভাত নাই অন্যদিকে থাকতে হচ্ছে পুলিশের ভয়ে।

বিক্রি করা হয়েছে মূল্যবান জিনিসপত্র

কৈট্টার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে চাকরিচ্যুত মিহির কাঞ্চন (হাউস কিপার), নূরুল ইসলাম (বাবুর্চি), রাশেদা বেগম, (হাউস কিপিং), মাজেদা বেগম (হাউস কিপিং), জমিলা বেগম, মো. আক্তার হোসেন (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) জানান, কাজী ফারুক দখল নেওয়া পর থেকে এই কেন্দ্রের ওপর নানা সমস্যা তৈরি হয়। আমাদের ২৩ মাসের বেতন বকেয়া রেখে চাকরিচ্যুতি করা হয়েছে। বেতন চাইতে গেলে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের অনেক সদস্য আহত হয়েছিল। আমরা আমাদের চাকরি ফেরতসহ বকেয়া বেতন চাই। পাশাপাশি আমাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার চাই।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, চাকরি হারিয়ে অনেকে এখন দিনমজুর ও অন্যের বাসায় কাজ করেন, কেউ চায়ের দোকান দিয়ে দিন চলাচ্ছেন। অনেকে আবার এলাকা ছেড়েও চলে গেছেন।

উল্লেখ্য, প্রশিকার বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ মনে করে, প্রশিকাকে ভঙ্গুর অবস্থা থেকে যেভাবে দেশের সকল শাখা অফিস চালু করা হয়েছে। সেভাবে প্রশিকার কৈট্টাস্থ প্রশক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করা হলে, একদিকে সম্পদ রক্ষা, অন্যদিকে চাকরিচ্যুতদের চাকরিতে পুনঃনিয়োগও সম্ভব হবে।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;