নগর পরিবহনের ২৪-২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করা হবে: মেয়র তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, এমআরটি’র সাথে সমন্বয় করেই ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন দুই যাত্রাপথ চালু করা হবে।

তিনি আরো বলেন, নতুন দুই যাত্রাপথ হলো- যাত্রাপথ-২৪ ও যাত্রাপথ-২৫।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ‘এরই মাঝে এমআরটি চালু হয়েছে। তাই এমআরটি’র সাথে সমন্বয় করে আমরা নতুন দু’টি যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দু’টি যাত্রাপথের ব্যাপারে আজকের সভায় আমরা বিশদ আলোচনা, পর্যালোচনা করেছি।’

মেয়র বলেন, ‘কিছু ব্যত্যয় আমরা লক্ষ্য করেছি। বিশেষ করে টিকিট না কেটে বাসে ওঠার একটা প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। সেটা কোনোভাবেই ঢাকা নগর পরিবহনে করা যাবে না। সবাইকে টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, এছাড়া ২২ নম্বর যাত্রাপথ যারা পরিচালনা করছে, তাদেরকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দেবো। তারা যেন গাড়িচালকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের যে নিয়ম, যাত্রী ছাউনি অথবা বাস-বে থেকে টিকিট কিনেই যেন যাত্রীরা বাসে উঠেন।

সে অনুযায়ী নগর পরিবহন যাত্রীদেরকে সেবা দেবে। সেটা আজকের এই সভা থেকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।

নগর পরিবহনে যাত্রী সেবার মান অক্ষুণ্ণ রাখা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আলাপ করেছি। বিআরটিসি আমাদের নিশ্চিত করেছে যে, ঢাকা নগর পরিবহনের জন্য যে নির্দিষ্ট বাস, সেটা শুধু ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রাপথেই চলবে। এই বাসগুলো অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। আর ট্রান্সসিলভাকে আমরা কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেব। সেজন্য তাদেরকে ১৫ দিন সময় দেব। তারা যদি নির্ধারিত নীতিমালা-নিয়ম অনুযায়ী এই সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সাথে আমরা চুক্তি বাতিল করব। বিআরটিসি যদি রাজি হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি দ্বারাই পরিচালিত হবে। অথবা নতুন উদ্যোক্তা নিয়ে আমরা এই সেবাটা পরিচালনা করব।’

২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথসমূহের গতিপথ: ২৪ নম্বর যাত্রাপথ ঘাটারচর-বসিলা-মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-শিশুমেলা-আগারগাঁও-মিরপুর ১০ দিয়ে কালসি ফ্লাইওভার হয়ে এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন-আব্দুল্লাহপুর।

২৫ নম্বর যাত্রাপথ ঘাটারচর-বসিলা মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-আসাদগেট-মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে বিজয় সরণি দিয়ে বের হয়ে জাহাঙ্গীর গেট-শাহিন স্কুল-মহাখালি (নিচ দিয়ে, ফ্লাইওভার হয়ে নয়)-কাকলি-বনানী উড়ালসেতু হয়ে রিজেন্সি-এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন-আব্দুল্লাহপুর।


সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো: তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক, দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

   

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
আসামি গ্রেফতার

আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী সোহেল মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে আসামি সোহেল মিয়াকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠালে বিচারক মাহবুবা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিরুপম নাগ বলেন, আসামি সোহেল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হলে ১৬৪ ধারাায় জবানন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যার পর গাজীপুর জেলার টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকার একটি গেস্টহাউজ থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিরুপম নাগ বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকার একটি গেস্টহাউজ থেকে সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোহেলকে প্রথমে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ঘটনাস্থলের পাশে একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করে চাকরি করতে নিষেধ করতেন। কিন্তু স্বামী কথা না শুনে চাকরি করতেন। এজন্য আগে থেকেই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন গত সোমবার তার ছোট ছেলে সাব্বিরকে নানা বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং হেফজ পড়ুয়া বড় ছেলে সানি মাদরাসায় ছিল। স্ত্রীকে প্রথমে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ঘর থেকে মরদেহ বের করে প্রথম পুকুরপাড়ে নিয়ে রাখেন এবং বাড়ি থেকে একটি ছুরি নিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সোহেলের মুখে দাড়ি থাকলেও পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য তা ফেলে প্রথম চলে যান খুলনায় এক বন্ধুর বাড়ি। কিন্তু তার বন্ধুকে না পেয়ে চলে যান ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলায়। ওখান থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে যান ঢাকার গুলশানে। পরে সাভার ও আশুলিয়ায় যান এবং বুধবার দুপুরে সে টঙ্গীর রেলস্টেশন এলাকার একটি গেস্টহাউজে উঠে। ওইখান থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।

;

খাদ্যমন্ত্রীর বড় ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার

ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজবাস ভবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

কর্মজীবনে ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি নিয়ামতপুর উপজেলার কাপাস্টিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এক শোকবার্তায় খাদ্যমন্ত্রী ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের আত্মার চির শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

;

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিযোগিতা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিযোগিতা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিযোগিতা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২-২৩ হস্তান্তর করেন। খবর বাসস'র। 

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিনিধিদল প্রতিযোগিতা কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম ও প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে উন্নয়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে এ কমিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

উন্নয়ন কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় সকল অংশগ্রহণকারী যেন সমান সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।

তিনি ব্যবসা ও ভোক্তাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রতিযোগিতা কমিশনকে জনসচেতনতা ও প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে তাগিদ দেন।

দেশের অসাধু ব্যবসায়ীগণ ইচ্ছামত দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে যাতে জনদুর্ভোগ বাড়াতে না পারে সে ব্যাপারে কমিশনকে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশনা দেন। এসময় রাষ্ট্রপতির সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

অনুমোদন ছাড়া বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০২৪ উত্থাপন করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। খবর বাসস'র। 

বিলে বলা হয়েছে, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রয়, দান, বিনিময় বা অন্য কোনোভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না। এই বিধান লঙ্ঘন করে কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করলে, তা সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি দায়মুক্তভাবে সরকারের অনুকূলে সমর্পিত হবে।

দ্য ফরেন ভলান্টারি অর্গানাইজেশনস (এক্যুইজিশন অব ইম্মুভাবল প্রপার্টি) রেগুলেশন অর্ডিনেন্স, ১৯৮৩ রহিতক্রমে সেটাকে যুগোপযোগী করে, নতুন আইন প্রণয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এ আইনে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের পূর্বানুমোদন বিষয়টি প্রধান্য পেয়েছে।

প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে, বিদেশি সেচ্ছাসেবী সংস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য সহায়ক হবে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। 

;