শত বছরের ডুবের মেলায় জনস্রোত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ডুবের মেলা

ডুবের মেলা

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের বাসাইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঐতিহ্যবাহী ডুবের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বাসাইল সদর এবং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বংশাই নদীর পূর্ব-উত্তর তীরে রাশড়া-সৈয়দামপুর গ্রামে দিনব্যাপী কয়েক হাজার লোকের সমাগমে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

দেবতার (মাদব ঠাকুর) মূর্তিতে প্রণাম স্মরণ করে ভোরে গঙ্গাস্নানের মাধ্যমে মেলার বা পূজার কার্যক্রম শুরু করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের পাপ মোচনের লক্ষে ভোরে মানত ও গঙ্গাস্নান পর্ব সমাপন করে।

তবে চলাচলের সুবিধা না থাকায় মেলায় আগতরা মেলাস্থলে যাতায়াত এবং ঠিক সময়ে গঙ্গাস্নানের জন্য পৌঁছাতে পারছেন না বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃটিশ শাসনামলে বক্ত সাধু নামে খ্যাত এই সন্যাসীর (মাদব ঠাকুর) মূর্তি প্রতিস্থাপন করে মনোবাসনা পূর্ণ করতে গঙ্গাস্নান, পূজাঅর্চনা করা শুরু হয়। ওই সময়ে অনেকে এসব করে সফল হয়েছে বলে লোকমুখে প্রচলিত। তখন থেকে প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমার রাত থেকে গঙ্গাস্নান, পূজাঅর্চনা চলতে থাকে এবং পরে স্থানীয় সনাতনীরা একে মেলা এবং আনন্দ উৎসব হিসেবে পালন করে আসছে। ওই সময় থেকে এটা ডুবের মেলা নামে পরিচিত।

মেলায় বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাঁশবেতের তৈজসপত্র, মাটির তৈরি খেলনা, হাঁড়িপাতিল, বড় মাছ এবং চিড়া-দই, খইসহ বিভিন্ন দোকানিরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসে। মেলায় আসা দোকানি সাধুকর বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে এত লোকের সমাগম হয় এটা অবিশ্বাস্য। বেচাকেনাও ভালো।

মিষ্টি দোকানি দীপক বলেন, প্রতিবছর প্রায় ১০ মণ মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার বিক্রি করি। কোন বাকি নেই । নগদ বিক্রি হয় বলে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের এই মেলায় দোকান দেবার বেশি আগ্রহ দেখা যায়।

ডুবের মেলার আয়োজক জীবন মন্ডল বলেন, প্রায় দেড়’শ বছর ধরে মাঘীপূর্ণিমার সময় আমার পূর্বপূরুষেরা এই মেলার আয়োজন করে আসছে। আমি এই মেলায় ষাট বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এই মেলা উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী সখিপুর, মিজার্পুর, ভালুকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের কয়েক হাজার লোকজনের সমাগম হয়। ভোর স্নানের মাধ্যমে শুরু করে দিনব্যাপী এই মেলা চলে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় জমির আইল ধরে পায়ে হেঁটে এই মেলায় আসতে হয় দর্শনার্থীদের। যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় গতবছর অনেক পূর্ণার্থী গঙ্গাস্নানে আসতে পারেনি।

কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন জানান, শুনতে পেরেছি ডুবের মেলা যুগ যুগ ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ, জমির আইল ধরে দর্শনার্থীরা যাতায়াত করছে। চেষ্টা করছি এবছর নিজ উদ্যোগে বা প্রকল্পের মাধ্যমে এই রাস্তা করে দেবো।

গুপ্তধনের আশায় পায়ের গোড়ালি হারালেন যুবক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গুপ্তধন মনে করে পরিত্যক্ত একটি মর্টারশেল কাটার সময় বিস্ফোরণে বাবু মিয়া (৪০) নামের এক যুবকের ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামে মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনের পিছনে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে গুরুতর আহত বাবু মিয়াকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার প্রথমে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

আহত বাবু মিয়া ওই এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে বলে স্থানীয়রা জানায় । তিনি পেশায় একজন লেদ মিস্ত্রি ।

সূত্র জানায়, বাবু মিয়ার মামা আব্দুল গফুর কিছুদিন আগে স্থানীয় আব্দুল আজিজ কমান্ডারের পুকুরে মাটিকাটার সময় একটি ভারি লোহার বস্তু পায়। সেটাকে গুপ্তধন ভেবে অত্যন্ত গোপনে এনে ভাগ্নে বাবু মিয়াকে দেয় আবদুল গফুর।

গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বাবু মিয়া তার নিজ বাড়ির রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে রাইস কুকারের লাইন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে লোহা কাটার গ্র্যান্ডিং মেশিন দিয়ে গুপ্তধন ভেবে মর্টারশেলটি কাটা শুরু করলে মুহূর্তেই সেটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।

বিস্ফোরিত মর্টার শেলটি রান্না ঘরের টিনের বেড়া ভেদ করে লোহার গেট ফুটো করে পার্শ্ববর্তী ফিলিং স্টেশনের বাউন্ডারি ওয়ালে গিয়ে আঁচড়ে পড়ে। এতে বাবুর ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয় এবং অপর পা ঝলসে যায়।

এই ঘটনার পর থেকে বাবুর মামা গফুর পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে মর্টারশেলটি কেউ পুকুরে নিক্ষেপ করে থাকতে পারে।

ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান জানান, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল ছিলো বলে ধারনা করা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

;

‘জলবায়ু সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার উচ্চ তাপমাত্রা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা কর্তৃক এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রজন্মান্তরে আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির ভবিষ্যৎ’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিনে দিনে চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তির সাথে উন্নতর গাণিতিক মডেল, সর্বাধুনিক রাডার ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। ফলে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকতর সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত সেবা দ্রুততার সাথে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব।

রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৩' উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

;

‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য-রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশেও আজ ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস- ২০২৩' পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘The Future of Weather, Climate and Water Across Generations’ প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৪ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, খরাসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ায় আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে ।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালে সংঘটিত স্মরণকালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ দুর্যোগের বিষয়ে আগাম কোনো সতর্কতাই দেয়নি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। স্বাধীনতার পরপরই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় দুটি রাডার স্থাপন করেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)' গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় সেই সময় ১৭২টি উঁচু মাটির কিল্লা তৈরি করেন, যা ‘মুজিব কিল্লা' নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনকে প্রাধান্য দিয়ে ১০০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট দুর্যোগও বাড়ছে। দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা ও দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা জানতে মোবাইলে ‘১০৯০’ নম্বরে টোল ফ্রি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। আমাদের সরকার কৃষি-আবহাওয়া পূর্বাভাস ও পরামর্শ সেবার মান উন্নয়নে সাতটি নতুন কৃষি-আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনসহ কৃষি-আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, পাঁচটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার, নয়টি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এবং ১৪টি নদীবন্দরে নৌ-দুর্ঘটনা প্রশমনের লক্ষ্যে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া স্থাপন করা হয়েছে তিনটি স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন। দুটি আধুনিক ডপলার রাডার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। দেশের ১৩টি উপকূলীয় জেলায় স্যাটেলাইট টেলিফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গৃহীত এসব পদক্ষেপ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে ।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে রোল মডেল। বিজ্ঞানভিত্তিক আবহাওয়া ও জলবায়ুর উন্নততর পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রকল্প (কম্পোনেন্ট-এ)’ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আবহাওয়া পরিসেবার মান বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা-ই আসুক না কেন তা মোকাবিলার জন্য আমি সবাইকে সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, এ দিবস পালনের মাধ্যমে দেশবাসীর মাঝে আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির গুরুত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে উঠবে এবং আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য জন-সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। আমি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।

;

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সক্রিয় ভূমিকা কামনা শাহরিয়ারের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের আরও সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন যে, সংকট আরও দীর্ঘায়িত হলে অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়বে এবং এসব লোক বঞ্চনার ঝুঁকিতে থাকবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠককালে শাহরিয়ার এ আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভিয়েতনামের অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী দ্রুত অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)-এর সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য ভিয়েতনামের জোরালো সমর্থন কামনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত উভয়েই বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও উজ্জীবিত করতে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

ভিয়েতনামের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে আলম দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য ভিয়েতনামের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিদ্যমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত এখানে তার দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উভয়কেই ধন্যবাদ জানান।

;