আরো এক লাখ ৩৫ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যাবেন
আরো এক লাখ ৩৫ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যাবেন
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2023/Feb/05/1675600629510.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম
ছবি: সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ/বার্তা২৪.কম
রাজধানীর সায়েন্সল্যাবরেটরি এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থী এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় হত্যা, ভাঙচুরসহ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী এবং ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এসব মামলা নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সায়েন্সল্যাব থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় এরমধ্যে একজন শিক্ষার্থী এবং একজন হকারের মৃত্যুর ঘটনায় আলাদা দুটি হত্যা মামলা এবং সায়েন্সল্যাব মোড়ের পুলিশ বক্স ভাঙচুরের ঘটনায় আরও একটি (মোট ৩টি) মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা বারোটার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে আশপাশের অন্তত ৬-১০টি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে দুপুর ২টা নাগাদ এসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ব্লকের সভাপতি পদপ্রার্থী দুই নেতা বাকবিতণ্ডায় জড়ালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে পুরো কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ওই এলাকায় দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ বক্স, ৩টি বাস ও একটি কভার্ডভ্যান।
এসময় উভয়পক্ষের প্রায় ২০-৩০ জন আহত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। এরমধ্যে একজন হলেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগকর্মী সবুজ আলী এবং আরেকজন হলেন নিউমার্কেটের হকার শাহজাহান।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ নিউমার্কেট এলাকায় মোতায়েন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যদের দীর্ঘসময়ের সম্মিলিত চেষ্টায় সংঘর্ষের অবসান ঘটে।
ছবি: বার্তা ২৪
সরকারি প্রণোদনায় দেশে একমাত্র মসলা গ্রাম গড়ে উঠেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড়িয়া গ্রামে। বড়িয়া গ্রামটি এখন সবাই চেনে মসলা গ্রাম হিসেবে।
মডেল মসলা গ্রামে রাস্তার দুইধারে খাঁচা পদ্ধতিতে দারুচিনি, তেজপাতাসহ বিভিন্ন মসলার ৬ হাজার চারা লাগানো হয়েছে। বাড়ির উঠান, আঙিনা, পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন পতিত জমিতে জিও ব্যাগে চাষ করা হচ্ছে আদা ও হলুদ। এছাড়াও আধুনিক পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম, গোলমরিচ, জিরা, চুইঝালসহ মোট ১৪ পদের মসলা চাষ করছে বড়িয়া গ্রামের কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে মধ্যে একটি গ্রামকেই মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে।
সরকারি প্রণোদনায় মডেল মসলা গ্রামে মসলার আবাদ হচ্ছে। এতে যুক্ত হয়েছে ১০০ কৃষক। কৃষক মহিরুল বলেন, কৃষি অফিসের তদারকিতে রাস্তার দুই ধারে তেজপাতা ও দারুচিনি গাছ লাগানো হয়েছে। আমার বাড়িসহ এই গ্রামের অনেক বাড়ির আশপাশের পড়ে থাকা খালি জমিতে আদা, হলুদসহ বিভিন্ন মসলার চাষ হচ্ছে।
এই মডেল মসলা গ্রামের কৃষক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বাড়ির পাশের পতিত জমি পরিষ্কার করে জিও ব্যাগে আদা ও হলুদ চাষ করেছি। আমাদের কোন খরচ নেই সব খরচ সরকার দিয়েছে। গ্রামের রাস্তার পাশে মসলার গাছ লাগানো হয়েছে, মসলার ফলন ভালো হলে আমাদের এলাকার চাহিদা মিটবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন প্রধান মসলা (মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও হলুদ) অন্তত ৩৮ গ্রাম খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু দেশে উৎপাদিত ও আমদানি মিলে দৈনিক মাথাপিছু মাত্র ৮ গ্রাম মসলার চাহিদা পূরণ হয়। এ হিসেবে চাহিদা পূরণে বড় ধরনের ঘাটতি থেকে রয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন আগের থেকে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মসলার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গৌতম কুমার শীল বলেন, মডেল মসলা গ্রামের জন্য কুষ্টিয়ায় পাঁচটি স্থান নির্বাচন করার পরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসে বড়িয়া গ্রামকে নির্ধারণ করে। আমরা সেখানে কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার মসলার চারা দিয়েছি। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে মসলার বীজ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মসলা গ্রামে গ্রীন হাউজ স্থাপন করা হবে।
মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, মডেল মসলা গ্রাম গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার বড়িয়া গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়। এখানে মোট ১৪ ধরনের মসলার জাত চাষ করা হচ্ছে। মডেল গ্রামে বসত বাড়ির আঙিনাসহ রাস্তার দুই ধারে পড়ে থাকা ফাঁকা স্থানে মসলার চাষ হচ্ছে।
গ্রামটিতে বস্তা পদ্ধতিতে আদা ও হলুদ চাষসহ পরিপূর্ণ একটি মডেল গ্রাম তৈরি করতে পেরেছি। এর সুফল আগামীতে কৃষকেরা পাবেন। মডেল মসলা গ্রামে মসলা চাষের পাশাপাশি মসলার বীজ ও চারা বিক্রি করতে পারবে কৃষকেরা।
ছবি: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয়।
শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের দৌহিত্র এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়-এর শুভ জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির মহাসংগ্রামের মধ্যে সম্ভাবনার সোপানে অগ্নিগর্ভ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মা শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ নির্বাসনে ছিলেন জয়। সকল প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। তবে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও কোনো মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। মাতামহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সকল মোহ ত্যাগ করে তিনি বাঙালির কাছে ফিরে আসেন।
তার লব্ধ জ্ঞান বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিলিয়ে দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি। তারই সুযোগ্য কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রতিনিয়ত বিকাশমান প্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাবনার নবতর দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, দেখিয়েছেন বিস্ময়কর সাফল্য, কোটি তরুণের হৃদয়ে নব প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়ে স্বপ্নজয়ের বীজ বপন করেছেন।
২০০৭ সালে তিনি ২৫০ তরুণ বিশ্বনেতার মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন। সজীব ওয়াজেদ জয় প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অভিষিক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর কর্মকাণ্ডে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়-এর নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লক্ষ লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি তরুণ। সজীব ওয়াজেদ জয় এই তারুণ্যের উদ্যমতা ও সৃজনশীলতাকে বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তরুণদের স্বপ্ন দেখানো ও তা বাস্তবায়নে এবং তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে এবং এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ডিজিটাল দর্শনের বিকশিত রূপটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিনিয়ত উপভোগ করছে। তার গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পে ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলা কারিগরি কলেজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ও ইনকিউরেশন সেন্টার স্থাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে। দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট এবং ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করছে সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষ।
দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কে বেসরকারিভাবে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর। ই-গভার্নেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৩০০-এর অধিক ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পাচ্ছে জনগণ। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ভিশনারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার-২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
শুভেচ্ছা বার্তায় কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের গর্বিত সদস্য সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি সজীব ওয়াজেদ জয়-এর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা এবং পরম করুণাময়ের নিকট তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের স্টেশন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন এক বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মেট্রোরেল না থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছে না। মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানীর মহাখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
মেট্রোরেল চলাচল কবে নাগাদ শুরু হতে পারে জানতে চাইলে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, ওই সিদ্ধান্তের ওপর আমরা পর্যায়ক্রমে যেখানে যা করার সেটা করব। তার সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোনো কিছু করতে চাই না। তিনি সব কিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তিনি প্রত্যক্ষভাবে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গেছেন। সব কিছুর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তার কাছে আছে। কী অবস্থায়, কখন, কোনটা চালু করা যাবে আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, এটা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ নয়। তারা কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। রাজনৈতিক মতলবে বিএনপি-জামায়াত এই আন্দোলনের ওপরে ভর করেছে তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতা অবসানের জন্য। ২০১৮ সালে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনের আগে অক্টোবর মাসে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা অংশ নেয়নি—আজকে ক্ষমতার লিপ্সা তাদের পেয়ে বসেছে।