রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিকটার স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ১।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ২৬ মিনিটের দিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এ সময়টায় অনেকে বিছানায় থাকায় শক্তিশালী কম্পন অনুভব করেন। যদিও এটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার। এটি মাটির ১১২ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।
ভলকানো ডিসকভারি আরও জানিয়েছে, দুইবার ঝাঁকুনি হয়েছে। তবে দ্বিতীয়বার এর তীব্রতা কম ছিলো। প্রথমবার ঝাঁকুনিতে এর স্থায়ীত্ব ছিলো ২ থেকে ৩ সেকেন্ড। এতে সবকিছু কাঁপতে থাকে। এর কয়েক সেকেন্ড পরই দ্বিতীয় ঝাঁকুনি হয়।
জানা গেছে, সিলেট, শেরপুর, ফেনীসহ দেশের আরও কয়েক জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে। তাৎক্ষণিক কোথাও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কথা জানা যায়নি।
জাকারিয়া রোকন নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, 'ভূমিকম্পের মাত্রা কত ছিলো? এতো তীব্র তাও আবার চোখের সামনে। ভয়ংকর'!
এটির প্রভাবে মিয়ানমার ও ভারতের কয়েকটি রাজ্যও কম্পন হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিপরীতে প্রতিপক্ষ ৩২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার ৬৪ এর নিকট ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চ্যাংখালী নামক স্থানে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা জিরো লাইন পরিদর্শন করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবির পক্ষে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল আলমসহ ১২ জন এবং প্রতিপক্ষ ৩২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুজিত কুমারসহ ১২ জন অংশগ্রহণ করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবি-বিএসএফ সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক, সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রাখা, সীমান্ত হত্যা না হওয়া এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনা শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সরেজমিনে সীমান্ত পিলার ৬৪/৪-এস, ৬৩/৫-এস, ৬৩/৬-এস ও ৬৩/৭-এস সহ ৩৪টি পিলার পরিদর্শন এবং ওই পিলারসমূহের মধ্যবর্তী ৩ কিলোমিটার রাস্তা জিরো লাইন ধরে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
জামায়াতের আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন, নৈরাজ্য বন্ধ না হলে শহীদদের রক্ত ছুঁয়ে করা কসমের মর্যাদা রাখতে ফের মাঠে নামবে জামায়াত।
এ সময় দেশবাসীকে রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর তাজহাট থানা শাখার আয়োজনে পথসভায় তিনি এ কথা বলেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে হত্যাকাণ্ডের জন্য কেবল ক্ষমা চাইলেই হবে না, প্রত্যেকটি খুনের বিচার হতে হবে। খুনিদের কোনো ক্ষমা করা হবে না।
বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মামলা বাণিজ্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এসব বন্ধ না হলে ফের আন্দোলনে নামবে জামায়াত।
এর আগেও রংপুর বিভাগে একাধিক পথসভা হলেও জুলাই বিপ্লবের টার্নিং পয়েন্ট বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে প্রথমবার কোন সমাবেশ সফল করলেন দলটি। এজন্য বিকেল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিট ও শাখা থেকে কর্মী সমর্থকরা জড়ো হতে থাকে আবু সাঈদ চত্বরে। প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগেই সভাস্থল পূর্ণ হয় কানায় কানায়।
উল্লেখ্য, এই সফরে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে আরও দুটি কর্মীসভায় বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে দলটির শীর্ষ এই নেতার।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের সহজ পথ একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের নেতা তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, এই নির্বাচন অত সহজ নাও হতে পারে। যদি আমরা রাজপথে না থাকি, আমরা যদি মনে করি যে, হাসিনা পালিয়েছে, আওয়ামী লীগ নাই, আমরা কাজ না করলেও হবে, ঘটনা কিন্তু তা না।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সাংগঠনিক সভা শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই দেশ থেকে টাকা পয়সা, ব্যাংক, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান একেবারে শূন্য করে ফেলেছে, ধ্বংস করে ফেলেছে, লুট করে নিয়ে গেছে হাসিনা, রেহানা এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এক কথায় তাদের পরিবার পুরোটা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি দেশ তামাশার নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ এবং হাসিনা ছাড়া কিছুই বুঝেনা। সেজন্য আজকে আমাদের তৈরি হতে হবে।
পঞ্চগড় জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুর সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম পৌর বিএনপির আহবায়ক তৌহিদুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।