রূপপুর প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে পণ্য খালাস না করেই রাশিয়ার জাহাজ ‘উরসা মেজর’ চলে যাওয়ায় রূপপুর প্রকল্পের কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এ ঘটনা ঘটে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইয়াফেস ওসমান। মন্ত্রী ২৮ মিনিট ধরে কথা বলার পর একজন সাংবাদিক বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী আমরা দু-একটা প্রশ্ন করে চলে যেতে চাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বলো ভাই। তোমাদের তো আবার সময়ের দাম আছে। এতোগুলো কথা বললাম, এগুলো কি একটাও কাজের কথা হয়নি। আচ্ছা বলো।’

তখন এক সাংবাদিক বলেন, রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল সরবরাহে কত দেরি হতে পারে?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই ব্যাপারে এখন কিছু বলবো না। এতো কথার মধ্যে তোমরা চলে গেলে রূপপুরে…।’

এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, আজকের ওয়ার্কশপের সঙ্গে এ প্রশ্ন সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি বুঝি না, তোমরা প্রফেশনাল না? আর ইউ প্রফেশনাল? লেট মি দিস অ্যানসার? ইউ আর প্রফেশনাল, লাইক মি আর্কিটেকচার। তোমরা তো প্রফেশনাল। তোমাদের রেগুলার প্রফেশনাল স্ট্যাডির ব্যবস্থা আছে, নাই।

এসময় দু-তিনজন সাংবাদিক বলেন, ‘আছে আছে।’

তখন মন্ত্রী বলেন, ঘোড়ার ডিম আছে তোমাদের। আমাদের একটা ইনস্টিটিউট আছে ওখান থেকে যদি সার্টিফিকেট না পাও, ইউ ক্যান নট প্র্যাকটিস। কারণ, ওটার (ইনস্টিটিউট) শুরুটা হয় আমার হাত দিয়ে। ওইগুলো করো আগে। বিকজ আমরা বাংলাদেশকে ওই জায়গায় নিতে চাই।

এক সাংবাদিক বলেন, বাধ্যবাধকতা নাই যে সনদ ছাড়া সাংবাদিকতা করা যাবে না।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ওইটাই তো প্রবেলম। তোমার যদি একটা ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকে, কাল বলে দিলা তুমি সাংবাদিক। তুমি তো প্রফেশনালিজমের কিছু বোঝোই না। একটা প্রফেশন মাস্ট নো দ্যাট সাবজেক্ট, তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। একটা কথা বলে দিলা যে কোনো জায়গা থেকে, তার মানে তোমাদের কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই।

মন্ত্রী বলেন, তোমার যদি প্রফেশনালি জ্ঞান-গরিমা থাকে, ন্যাচারালি তখন তুমি একভাবে বলবা, আর যদি না থাকে অন্যভাবে বলবা। তারপরও তুমি বলছো...। আমি তোমার এই কথায় যেতে চাই না। একদিন আইসো, তোমাদের বসদের সঙ্গে কথা হয় তো, উনাদের সঙ্গেই কথা বলবো। তোমাদের সঙ্গে বলে আর লাভ নেই।

এরপর তিনি বলেন, আচ্ছা, এই সাবজেক্ট বাদ দিয়ে দাও। আমি সেজন্যই বলছি তোমরা এই সাবজেস্টের ওপর ধরো না কেন? এটা বাদ দিয়ে তুমি চলে গেলে অন্য জায়গায়। এটা নিয়ে আর কোনো কথাই হবে না। তুমি এখানে আসছো কী জন্য? তুমি রূপপুরের ব্যাপারে কথা বলতে আসছো? এখান থেকে তোমার প্রশ্ন বের করতে হবে, উত্তর নিতে হবে। সেটা হলে তুমি প্রোপার জিনিসটা করলা।

তখন একজন সাংবাদিক বলেন, আমরা যারা সাংবাদিকতায় কাজ করি তাদের সাবজেক্টের বাইরেও প্রশ্ন করতে হয়। আপনাকে আমরা পাই না, গত ৮-৯ মাসে আপনার প্রোগ্রামে আসিনি, এই প্রথম এলাম। তাও আবার জরুরি ভিত্তিতে আসতে বলেছেন। ১১টার প্রোগ্রাম, ১১টা ১০ মিনিটে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা বড় জিনিস মনে করে চলে এসেছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জনগণের জানার আগ্রহ আছে। জনসাধারণের ভিউ থেকে আমাদেরও অনেক কিছু জানতে হয়।

তখন মন্ত্রী ধমকের সুরে ওই সাংবাদিককে বলেন, আমি একটা কথা পরিষ্কার বলে যাই, ইউ লিসেন টু মি। আপনারা যদি না আসতে চান, চলে যান। গেট গোয়িং।

মন্ত্রী ধমকের সুরে কথা বলায় সাংবাদিকরা বের হয়ে যেতে চাইলে তখন মন্ত্রী বলেন, ইউ শুড গো। আমি বললাম প্রশ্নটা ওটার ওপর না করে এটার ওপরে করেন। এটা বলতে পারবো না আমি?

রাশিয়ার পতাকাবাহী উরসা মেজর নামের এই জাহাজটি বাংলাদেশের বন্দরে ঢুকতে না পেরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে ভিড়তে চেয়েছিল। ভারত সরকারও তাতে অনাপত্তি জানায়। ভারতে পণ্য খালাস করে সেখান থেকে সড়কপথে সেসব পণ্য বাংলাদেশে আনার প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছাড়ে পণ্যবোঝাই সেই রুশ জাহাজ।

   

তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া এলাকার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভারতীয় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

নিহতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার মাগুড়া গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে জলিল (২৪) ও তিরনইহাট ব্রমতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসীন আলী (২৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার।

তিনি বলেন, বিজিবি বিষয়টি অবগত করেছে। তবে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, গরু চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই দুই যুবক।

;

রাজধানীর সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ উদ্যোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যানজট নিরসন করে সড়ক, মহাসড়কে নির্বিঘ্নে সুষ্ঠু নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে এক বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে, যা মহানগরবাসীর জন্য এক বড় আকাঙ্ক্ষা।

পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে মহানগরীর ট্রাফিক যানযট সহনীয় পর্যায়ে এসেছে এবং ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনায় নতুনত্ব এসেছে। স্বস্তিতে সবাই সহজে যাতায়াত করতে পারছেন বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

বিশেষ করে গত রমজান মাসে ও ঈদুল ফিতরে ঢাকা মহানগরীর ৮টি ট্রাফিক বিভাগের সব রাস্তায় বিশেষ অভিযান ও কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে মহানগরীর যানযট সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। সেসময় মহানগরবাসীর ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রাজধানীর নিরাপদ যাতায়াত ও সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঈদুল ফিতরের পর থেকে বিশেষ চেকপোস্ট ও বিশেষ অভিযানের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

ডিএমপির ৮ ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতা

ঢাকার রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ছবি- সংগৃহীত

ডিএমপির ৮টি ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ যেন ছদ্মবেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাফিক বিভাগ।

ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত যানবাহন, অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি ট্রাফিক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের এবং মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক সদস্যরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।

এতে করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও ঢাকা মহানগরীতে রাতে যেসব কাগজপত্রবিহীন ট্রাক বালি, মাটি ও ইটসহ নানাবিধ মালামাল বহন করে, সেসব ট্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিটি ট্রাফিক জোন ও বিভাগের সদস্যরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এবিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ও প্রকল্প ম্যানেজার, ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনারের (ট্রাফিক) সার্বিক সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে এবং প্রতিদিনের অভিযানের ফলাফল সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর যানযট নিরসনে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, এছাড়াও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে যেসব হকার ও গাড়ির ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে, ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ নির্দেশনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাস্তা ও ফুটপাত যান চলাচল ও জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।

অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এছাড়াও অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মূলসড়কে যেন অযান্ত্রিক যান চলাচল না করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশিত ছক অনুযায়ী ৮টি ট্রাফিক বিভাগ থেকে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা, অবৈধ যানবাহন, মাটির ট্রাক ও হকারদের তালিকাও সংগ্রহ করা হচ্ছে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের জন্য। নিরাপদ যাতায়াত ও জনসেবায় সব সময় কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

;

কেন্দ্রে ব্যালট দিয়ে ফেরার পথে ইউএনও'র গাড়ি-বাস মুখোমুখি সংঘর্ষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ব্যালট দিয়ে ফেরার পথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স গুরুতর আহত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৬টার দিকে ময়মনসিংহ -শেরপুর সড়কের ফুলপুরের হরিরামপুর নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মাহাবুবুর রহমান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেহরক্ষী আল-আমিন বলেন, নির্বাচনী ব্যালট কেন্দ্রে দিয়ে উপজেলায় ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী ঝিনাইগাতি এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ইউএনও স্যারের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্যার গুরুতর আহত হয়েছেন। স্যারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চালক পালিয়ে গেলে ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ফুলপুরের হরিরামপুর নামক এলাকায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গাড়ির সঙ্গে শেরপুরগামী ঝিনাইগাতি এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইউএনওর গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

;

সুন্দরীদের প্রেমের ফাঁদ; সুযোগ বুঝে নগ্ন ভিডিও ধারণ-ব্ল্যাকমেইল



মো.কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মিষ্টি কথা ও সুন্দর চেহারার আড়ালে প্রেমের ফাঁদ পেতে সুযোগ বুঝে নগ্ন ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করাই তাদের মূল পেশা। এই অপরাধীদের চক্রে কেউ সাজে পুলিশ, কেউ সাংবাদিক। লোক লজ্জার ভয়ে প্রায়ই ঘটনা এড়িয়ে যান ভুক্তভোগীরা। আশুলিয়ায় বিভিন্ন অভিযানে এমন একাধিক চক্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও কমছে না তাদের দৌরাত্ম।

গত ২০ এপ্রিল। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে এমনই এক চক্র আশুলিয়ার জিরানী এলাকায় সড়ক থেকে মোটরসাইকেলে এক যুবককে তুলে নিয়ে যায় পাশ্ববর্তী জঙ্গলে। স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের আখ্যা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করে মারধর করে ক্ষতবিক্ষত করা হয় ভুক্তভোগীর পুরো শরীর। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে যুবকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে অপরাধীর স্ত্রীর মুঠোফোনে নানা মেসেজ পাঠায় চক্রের সদস্যরাই। টাকার বিনিময়ে ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার হন ভুক্তভোগী ইমন। পরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয় এই চক্রের সদস্য ফাহিম ও সাথী আক্তার দম্পতি।


ভুক্তভোগী ইমন হোসেন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে একটা মোটরসাইকেল আসে আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরজবরদস্তি করে জিরানী থেকে তুলে নিয়ে আসে। ওখান থেকে শ্রীপুর এলাকায় ল্যাব ওয়ান হসপিটাল এর পিছনে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যেয়ে আমাকে জিম্মি করে রাখেন। আমার কাছ থেকে মোবাইলটা নিয়ে উনারা এই প্ল্যান করেছে। আমাকে নিয়ে যায় ফাহিম ওর স্ত্রীর সাথে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার কাছে থেকে জবানবন্দী নিয়ে রেকর্ড করে রাখেন। পরে তাদের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পরে আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। আমি চলে আসার পরে আমাকে ফোন করে জানানো হয় এটা নিয়ে পরবর্তীতে যদি কোন ধরনের আলোচনা হয় বা কেউ যদি জানে তাহলে যে কোন সময় আমাকে মেরে ফেলা হবে।

জনবহুল এই অঞ্চলে প্রায়ই ঘটে এমন প্রতারণার ঘটনা। প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে গত ২ মে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসে আশুলিয়ার জামগড়ায় রিয়া মনি নামে নারীর ব্লাকমেইলের শিকার হন যুবক সানাউল মাহমুদ। ঘরে আটকে রেখে অসামাজিক কাজের আখ্যা দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ পেয়ে এই চক্রের ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে পোশাক শ্রমিক এক তরুণকে একই কায়দায় আটকে রেখে টাকা হাতিয়ে নেয় অপর একটি চক্র।


ভুক্তভোগী সানাউল মাহমুদ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, দশ দিন আগে ফেসবুকে একটি মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাইপাইলে ভাইয়ের কাছে গেলে তারপর তার সাথে দেখা করি। দেখা হওয়ার পরে তার বাসায় নিয়ে যায় আমাকে। বাসায় আমাকে আটকে রেখে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা ও বিকাশ থেকে ২৯ হাজার ৩৫০ টাকা হাতিয়ে নেয় ।

ভুক্তভোগীর স্বজন মো. জুলহাস বার্তা ২৪.কমকে বলেন, তারা অনেক ধরনের প্রতারণা করে। যেমন পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়। নেশা যোগ্য জিনিস অনেক কিছু ঢুকিয়ে দিয়ে তারা বলে পুলিশকে জানাই এ ধরনের প্রতারণা করেন তারা।

এই সব প্রতারকদের মিষ্টি কথায় না ভুলে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর। আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নির্মল কুমার দাস বার্তা ২৪.কমকে বলেন, কারো সাথে কোন সম্পর্কে জড়ানোর আগে আগে তার পরিচয় জানতে হবে। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। অন্যথায় আমাদের বড় ধরনের যে কোনো সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি চক্রকে আমরা আইনের আওতায় এনেছি। কিন্তু নিজে সতর্ক থাকলে এ ধরণের প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

 

;