ফসলি জমির মাঝে ইটভাটা, অভিযানেও বন্ধ করা যাচ্ছে না



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ফসলি জমির মাঝে ইটভাটা, অভিযানেও বন্ধ করা যাচ্ছে না

ফসলি জমির মাঝে ইটভাটা, অভিযানেও বন্ধ করা যাচ্ছে না

  • Font increase
  • Font Decrease

ফসলি জমির মাঝখানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটায় জ্বলছে আগুন। তা থেকে নির্গত হচ্ছে কালো ধোঁয়া এবং তাপ। সেই ধোঁয়া এবং তাপ ভাটার চারপাশে থাকা ফসলি জমিতে সদ্য গজানো সয়াবিন, গম, বাদামের কচি গাছসহ বিভিন্ন রবি শস্যের জন্য হুমকি হয়ে পড়েছে। ইট ভাটার প্রভাবে শস্য চাষাবাদে যেন ভাটা পড়েছে।

এমন চিত্র দেখা গেছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নটিতে একটি বা দুটি ইটভাটা নয়- রয়েছে ২৮ টি ভাটা। যেগুলো গড়ে উঠছে অবৈধভাবে। নেই কোন কাগজপত্র। বেশিরভাগ ভাটার আগুনের ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে টিনের তৈরী চিমনি দিয়ে। আর পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ।

স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দারা জানায়, একটি ইটভাটা থেকে অন্যটির দূরত্ব খুব কাছাকাছি। সবগুলো ভাটা স্থাপন করা হয়েছে ফসলি জমির মাঠে। ভাটার পাশেই বসতবাড়ি, হাটবাজার ও গাছপালার বাগান। ফসলি জমিতে ফসল ফলানো হলেও ভাটার দাপটে ফসল উৎপাদনে শঙ্কিত কৃষকরা।


তারা আরও জানায়, এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়া এবং অতিরিক্ত তাপ একদিকে ফসলি জমির ক্ষতি করছে, অন্যদিকে গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ভাটার মাঝেই বসানো হয়েছে করাত কল। ইট তৈরীর মাটি আনা হচ্ছে ফসলি জমি থেকে।

প্রশাসন মাঝেমধ্যে কয়েকটি ভাটায় একাধিকবার অভিযান চালিয়েও বন্ধ করতে পারেনি ভাটাগুলো। বেশ কয়েকবার এসব ভাটার চিমনি ভেঙে ভাটার চুলো ও কাঁচা ইট বিনষ্টসহ পুরো ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের কয়েকদিনের মাথায় বেপরোয়া ভাটার মালিকরা পুনরায় ভাটার কার্যক্রম শুরু করেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর চর রমিজ ইউনিয়নের চর আফজল গ্রামের চৌধুরী বাজার এলাকায় পাশাপাশি থাকা মেসার্স আমরী ব্রিক্স, মেসার্স আল্লার দান ব্রিক্স ও মেসার্স তিশা ব্রিক্স এ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদফতর। তিনটি ইটভাটায় এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে পুরোপুরি বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। নষ্ট করে দেওয়া হয় ভাটার কাঁচা ইট। তারপরও থেমে নেই ভাটার কার্যক্রম। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে সেগুলো কার্যক্রম শুরু হয়ে এখন চলছে পুরোদমে।


এর আগেও একই মাসের ১৬ নভেম্বর তিশা ব্রিক্স ও আমরী ব্রিক্সের উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক লাখ করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। ভেঙে দেওয়া হয় চিমনীগুলো। চুলোতে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে আবার শুরু তাদের কার্যক্রম।

গেল বছরও প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে ভাটাগুলোতে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চালানো অভিযানে আমরী ব্রিক্সে এক লাখ, ২৮ ফেব্রুয়ারি তিশা ব্রিক্সে ৫০ হাজার টাকা এবং ৩০ মার্চ আল্লার দান ব্রিক্সসহ চারটি ভাটায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরও বেশ কয়েকটি ইটভাটায় জরিমানা এবং চিমনী বিনষ্ট করা হলেও থেমে থাকেনি তাদের কার্যক্রম। এক বা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভাটাগুলো প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করে।

গত ২০ নভেম্বর উপজেলার চর সেকান্তর এলাকার মেঘনা ব্রিক্সের ব্যবস্থাপক মো. মেহেরাজকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হয়। অর্থদন্ড এবং কারাদণ্ড দিয়েও এখানকার ইটভাটার মালিকদের কোনভাবে রোখানো যাচ্ছে না।

বার বার অভিযান চালিয়ে ভাটা বন্ধ করে দেওয়ার পরেও পুনরায় ভাটা চালুর বিষয়ে কথা হয় মেসার্স আমরী বিক্সের মালিক আমির হোসেন মাসুদের সাথে। তিনি বলেন, দুই কোটি টাকা খরচ করে ভাটা দিয়েছি। শ্রমিক বাবদ মাঝিদের হাতে টাকা দিয়ে দিয়েছি। ভাটা বন্ধ রাখলে পুরোপুরি লোকসানে পড়বো। শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাব না। তাই প্রশাসন ভাটা বন্ধ করে দিলেও পুনরায় চালু করি। এতে কিছুটা লোকসানে পড়তে হয়।

এ বিষয়ে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, অবৈধ ইটভাটাতে অভিযান চানালো হয়েছে। জেল-জরিমানাসহ ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরেও যদি ভাটার কার্যক্রম চলে, তাহলে আবারও অভিযান চালানো হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিলে ২-৭ বছরের জেল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিলে ২-৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ‌্য পিপল (অ‌্যামেন্ডমেন্ট) অ‌্যাক্ট, ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এটাতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছিল। আগে ছিল, যে কোনো ইউটিলিটি বিল যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে তার সাতদিন আগে জমা দিতে হতো। না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল গণ্য হতো। এখন বিলটা মনোনয়নপত্র যেদিন জমা দেবে, তার আগের দিন পর্যন্ত জমা দিতে পারবে।

সচিব বলেন, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে টিআইএন সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে এবং কত টাকা আয়কর জমা দিয়েছে, তার রশিদ অনুযায়ী সাবমিট করতে হবে। এটা আগে ছিল না। এ দুটি অংশ যোগ করা হয়েছে।

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা যারা গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষক রয়েছেন, আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটা বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের আইনানুগ কাজে বাধা প্রদান করেন, সেক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

সচিব বলেন, ধরুন, আপনি ক্যামেরা নিয়ে গেলেন। অনেক সময় হতে পারে মনোমালিন্য (হলো) আপনি বেরিয়ে যান, ইত্যাদি ইত্যাদি (বেরিয়ে যেতে বলা হলো)। আপনার যদি বৈধভাবে প্রবেশ করার অধিকার থাকে, কিন্তু তারপরও আপনাকে বের করে দেওয়া হলো বলপ্রয়োগ করে, ক্যামেরা ভেঙে ফেললো ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। এক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এটার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এখনো ফাইনাল হয়নি। আরও কিছু কারেকশন আছে। কিছু মতামতসহ এটা আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে। তারপর আরও কিছু যদি সংযোজন হয়, সেটাসহ পাস করা হবে।

৩০০ আসনেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের আগে শুধু ডিসট্রিক্ট (জেলা) উল্লেখ করা ছিল। এখন জেলার পরিবর্তে প্রতিটি আসনে হবে। অর্থাৎ ৩০০ আসনে ৩০০ জন রিটার্নিং অফিসার থাকবেন- এমন আলোচনা হয়েছে।

;

‘মাইক’ চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে পৌঁছে দিবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূ্র্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ‘মাইক’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী শেষে অনুভূতি প্রকাশ করে বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, 'মাইক' ইতিহাস সমৃদ্ধ সিনেমা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং রাজাকারদের উত্থানের ইতিহাস সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিশুতোষ এই সিনেমাটি অসাধারণ হয়েছে। এ ধরণের সিনেমা আরো হওয়া প্রয়োজন। পচাঁত্তরের পরে ইতিহাসকে উল্টা পথে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যার কারণে প্রজন্ম ভুল ইতিহাস জানত, সঠিক ইতিহাস জানত না। এই সিনেমাটিতে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। 'মাইক' ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক' সিনেমাটি এক কথায় অসাধারণ। আমি এই সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক শাহীনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সিনেমায় দাইয়ান, সানজিদ, মেঘসহ ৪ শিশুশিল্পী কী যে অভিনয় করল! এককথায় অনবদ্য। এই সিনেমার মধ্যে কোন ছেদ নেই। সিনেমা দেখে আমি অভিভূত। আমি আশা করি এই সিনেমার জন্য শাহীনসহ শিল্পী এবং কলাকুশলীরা সম্মানিত হবেন।

তিনি বলেন, আমার ধারণা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী যারা, তার সঙ্গে আমি যুক্ত করব বঙ্গবন্ধুর রক্তধারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ যারা এই সিনেমাটি দেখবেন, তারা দেখে অভিভূত হবেন।

সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এই চলচ্চিত্রটি দেখে দর্শক আন্দোলিত ও উৎসাহিত হবে। নতুন প্রজন্মের জানা দরকার যে ৫২ ও ৭১'র কী হয়েছিল। এই ভাষণ মানুষকে উজ্জীবিত ও আন্দোলিত করে। সেই কারণে এই ভাষণকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব এই ভাষণকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানান।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, 'মাইক' সিনেমা প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণ কালে কালে, যুগে যুগে সবসময় প্রাসঙ্গিক। 'মাইক' সিনেমাটি সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা বলেন, মাইক সিনেমা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি খুবই খুশি। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যে এডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, 'মাইক' সিনেমা দেখে আমি খুবই অভিভূত। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িবে পড়বে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মাইক চলচ্চিত্র দেখে আমি অভিভূত। এই চলচ্চিত্রের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছিল সেটি উঠে এসেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা তা পারেনি। আমি আশা করি এই চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মেের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দেবে।

কবি অসীম সাহা বলেন, যে স্বপ্ন আমরা দেখতাম, এদেশের তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখে অনুপ্রেরণা পাবে। সেটি এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। আর এই চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পীরা অসাধারণ অভিনয় করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার অনন্যতা দেখিয়েছে।

বিশেষ প্রদর্শনীতে আরো উপস্থিত ছিলেন মাইক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া, খন্দকার মেঘদূত জলিল, মীর্জা ত্বাবীব ওয়াসিতসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।

এছাড়া বিবার্তার সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম সরকার, সাংবাদিক নেতা আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, গৌরব '৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম, নির্মাতা ও অভিনেতা কচি খন্দকার, কবি ও নির্মাতা টোকন ঠাকুর, নির্মাতা প্রশান্ত অধিকারী, নির্মাতা রেজা ঘটক, কবি আহমেদ শিপলু ও কবি ও ভাস্কর রিঙকু অনিমিখ, বিবার্তার বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান রোমেল প্রমূখ।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূ্র্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক' তরুণ লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল (বিপুল)।

;

আগেই জানানো হবে কার কত ভূমি কর



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কার কত ভূমি উন্নয়ন কর- তা আগেই জানিয়ে দেওয়ার বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি (ক্যালেন্ডার) অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।’

খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘ম্যানুয়ালি আর কর আদায় করা যাবে না। কোনো ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করতে হবে।’

‘ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহার ভিত্তিক হবে। আগের ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ ছিল, এখনও সেটা বলবৎ আছে। কেউ যদি ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।’

সচিব বলেন, ‘প্রতি বছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারও আপত্তি থাকে, সেটা তিনি দায়ের করতে পারেন। তিনি এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি দায়ের করতে পারেন। জেলা কালেক্টর তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।’

এছাড়া জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব।

;

ভোলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত, গ্রেফতার ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার রাজাপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. তারেক মাহমুদ বাবু (২৮) নামে যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবু পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর নন্দনপুর গ্রামের মৃত হেলাল হাওলাদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই রাজাপুরের হেলাল মেম্বার পক্ষ ও আলাউদ্দিন পক্ষের মধ্যে জমি জমা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে আসছিল। এরই রেস ধরে গতকাল সোমবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নিহত বাবু ভোলা সদর থেকে তার নিজ বাড়ি পশ্চিম ঈসার যাওয়ার সময় রাজাপুর এলাকায় পৌঁছালে পথে মধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে এলোপাথারি হামলা ও কুপিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বাবুকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকায় রেফার কবে। ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতিকালী বাবু মৃত্যু হয়।

হামরার প্রত্যক্ষদর্শী আলী আকবার শিয়ালী বলেন, আমি আর বাবু অটোরিকশায় করে বাড়ি যাওয়ার পথে কয়েকজন এসে আমাদের রিক্সার সামনে গাছ ফেলে গতিরোধ করে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা আমাদের উপরে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। এতে আমি দাঁত চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাই। পরবর্তীতে বাবুর উপরে তারা হামলা চালায় এবং কুপিয়ে যখন করে।আমার ডাকটিকি আর শুনে লোকজন আসলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর বাবুকে আমরা ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। একথা বলতে বলতেই সে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নিহত বাবুর চাচা মো. মুক্তারুজ্জামান বলেন, গতকাল রাতে বাবু ভোলা থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে নাসির ফকির, রফিক মিজিসহ কয়েকজন গাড়ি থেকে নামিয়ে মাইরধর করে রক্তাক্ত করে। পরে আমরা উদ্ধার করে ভোলা শত হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে। আমরা গাড়ি এনে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গাড়িতে উঠানোর আগেই বাবুর মৃত্যু হয়। আমরা এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের ফাঁসি চাই।

রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিঠু চৌধুরী বলেন, এই দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলে আসছিল কয়েকবার আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসাও করে দিয়েছি। আমার শান্তিপূর্ণ রাজাপুর কে যারা অশান্ত করতেছে, প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায়নের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতরর পরিকারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের লাশের ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং পূর্ব শত্রুতার জররে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হারুন, রনি, কামরুল, লিটন।

;