রাজশাহীতে ২৫ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহীতে ২৫ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে ২৫ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী নগরীসহ জেলায় মোট এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আরও ৩শ’ ৭৬কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী সিটি করপোরেশন প্রায় পাঁচ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর সিএন্ডবি ক্রসিংয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। ম্যুরালটির উচ্চতা ৫৮ ফুট এবং ম্যুরালের মূল অংশে ৫০ ফুট উচ্চতা এবং ৪০ ফুট চওড়া বঙ্গবন্ধুর ছবি রয়েছে। সীমানা প্রাচীরের উভয় পাশে ৭০০ ফুট জায়গায় টেরাকোটার কাজ করা হয়েছিল। গ্যালারি এবং ল্যান্ডস্কেপিং সুপার গ্রানাইট দিয়ে সুসজ্জিত। ম্যুরালে নাইট ভিশনসহ সুসজ্জিত বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে।

এছাড়া রয়েছে- শেখ রাসেল শিশু পার্ক, মোহনপুর রেল ক্রসিংয়ের ওপর ফ্লাইওভার, চারলেনের সড়ক এবং ভাদ্রা রেল ক্রসিং থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য একটি পৃথক লেনসহ রোড ডিভাইডার, চারলেনের সড়ক এবং রোড ডিভাইডার। বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে সিটির হাট পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন এবং সড়ক প্রশস্তকরণ, কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী ক্রসিং এবং কার্পেটিং সড়কের উন্নয়ন, হাই-টেক পার্ক হয়ে রেন্টুর খারির আড়ত থেকে ধলুর মোড় পর্যন্ত নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ এবং কার্পেটিং। কোর্ট থেকে শাহারতলী ক্লাব পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ।

অন্যদিকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ২৪ কোটি টাকায় তথ্য কমপ্লেক্স ভবন, আট কোটি ৩৫ লাখ টাকা আঞ্চলিক জনপ্রশাসন অফিস ভবন, ৬২ কোটি টাকায় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বালক উচ্চ বিদ্যালয়। ১৬২ কোটি টাকায় বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ করা।

প্রকল্পগুলো উদ্বোধন শেষে বিকালে রাজশাহী মাদরাসা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। এর আগে সারদা পুলিশ প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের প্রবেশনারি সহকারী পুলিশ সুপারদের পাসিং আউট প্যারেডে যোগ দিয়ে রাজশাহী সফর শুরু করার কথা রয়েছে।

আরসিসি সূত্রে জানা যায়, ছোট বনগ্রাম এলাকায় ২.১৪ একর জমির উপর পার্কটি নির্মাণকরা হয়, যার আনুমানিক ব্যয় প্রায় চার কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রায় ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পুঠিয়া থেকে বাগমারা পর্যন্ত একটি মহাসড়ক নির্মাণ করেছে। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) প্রায় ১০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রধান কার্যালয়ের ষষ্ঠ তলা থেকে দশম তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করেছে। প্রায় ২০ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দফতর ভবন নির্মাণ করেছে। লক্ষ্মীপুর এলাকায় প্রায় ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। মোহনপুর উপজেলায় ২২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ২২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় রাজশাহী শিশু হাসপাতালও নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে একটি বহুতল সমাজসেবা ভবন নির্মিত হয়েছে।রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে প্রায় পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয় তলার ওপর দুই তলা বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। চারঘাট উপজেলায় ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাজশাহী সিভিল সার্জনের অফিস নির্মাণ করা হয়েছে চার কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মার ভাঙন থেকে বাম তীর রক্ষায় ৬৯৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) গ্রামীণ সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৩ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুটি সড়ক নির্মাণ করছে। রাজশাহী পিটিআইতে প্রায় আট কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগরীতে প্রায় দুই কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন।

রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ম্যুরালটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ তাঁর জীবন, কর্ম এবং দেশের স্বাধীনতায় প্রশংসনীয় অবদান ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করে। মানুষের বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষে রাজশাহী নগরীতে শেখ রাসেল শিশু পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে।

কুষ্টিয়ায় 'জাগ্রত সাহিত্য ও গুণীজন সম্মাননা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় জাগ্রত সাহিত্য ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাতে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।

এসময় তিনি বলেন, সাহিত্য হচ্ছে একটি দেশের দর্পনস্বরুপ। সাহিত্য যারা চর্চা করে তারা দেশের জন্য কাজ করে। সাহিত্যকর্ম ব্যক্তিকে মার্জিত করে তোলে। সৃজনশীল সাহিত্য মননশীল মানুষ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার হাতিয়ার। তাই সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সৃষ্টিশীল মানুষকে সম্মান করতে হবে এবং তাদের সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।

বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. আমানুর রহমানের সভাপতিত্ব এবং সাংবাদিক এসএম জামালের সার্বিক তত্বাবধায়নে বিশেষ অতিথি ছিলেন মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ডা: এএফএম আমিনুল হক রতন, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম, পুনাক সভানেত্রী ও পুলিশ সুপারের সহধর্মীনি দিলরুবা আলম, বিশিষ্ট নাট্যকর মাসুম রেজা, কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি)'র সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম বলেন, সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে কাজ করছে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কবি সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ একটি সৃজনশীল পরিবার। আর এই পরিবারের সকল সদস্য আমাদের সম্পদ। আমরা আমাদের সীমিত সার্মথ্য দিয়ে তাদের সৃষ্টিকর্ম জাতির সামনে তুলে ধরতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। আলোকিত দেশ গড়তে সবসময় আমরা আপসহীন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাহিত্য সত্য, সুন্দর, আনন্দময় অনুভূতিতে পাঠক হৃদয়কে জাগিয়ে তোলে। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহিত্যপাঠ হতে পারে একটি কৌশল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গুণীজন এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য সম্মান করতে না পারলে সমাজে গুণী ব্যক্তির সৃষ্টি হয় না। আমরা যদি গুণীজনদের খুঁজে বের করি, তাদের সম্মান দেখাই, তাহলে জাতিকেই সম্মান দেখানো হয় এবং তা জাতিকে সমৃদ্ধ করে। গুণীজনরা তাদের কাজের স্বীকৃতি পেলে ভালো থেকে আরও ভালো করেন, অন্যদেরও উৎসাহ বাড়ে।’

পরে গুনীজন, রত্মগর্ভা মা, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আদর্শ দম্পতিসহ সমাজসেবায় অবদান রাখায় সম্মাননা জানানো হয়। পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখায় ভারতবর্ষের দশম স্থান এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রথম স্থান অধিকার করায় পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ড. মনজিত রায়কে স্বর্ণপদকে (গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড) ভুষিত করা হয়।

অনুষ্ঠানের ব্যালেন্স পয়েন্ট দেখিয়ে দর্শকদের আনন্দ দেয় কোলকাতার প্রিয়দর্শীনি মজমুদার ও আবৃত্তি করেন কোলকাতার জনপ্রিয় বাচিক শিল্পী তাপসী সিংহ।

এরআগে প্রথম অধিবেশনে দুই বাংলার শিক্ষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ড. মনজিত রায়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কোলকাতার বরেণ্য কবি কবি বরুন চক্রবর্তী।

কবি ও সাহিত্যিক আবদুর রশীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি: ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম তামিজি, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেসিডেন্ট আশরাফ চৌধুরী, জাগ্রত সেবা কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেসিডেন্ট নাজনীন সুলতানা লুনা, ইফফাত রুপা জামান, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসান টুটুল, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ডা: ইফতেখার মাহমুদ, লেখক ও কলামিস্ট অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো: শহীদুল্লাহ, জাগ্রত সাংস্কৃতিক জোট সেক্রেটারি জেনারেল লুৎফুর রহমান রিপন, বিদ্রোহী দি নজরুল কালচারাল সেন্টারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক, বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও রাস্ট্রচিন্তক প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু, এটিএম নিউজ টেলিভিশনের চেয়ারম্যান লায়ন আলহাজ্ব আমিরুল গণি খোকন, কোলকাতার লেখক ও গীতিকার, কবি অগ্নি শিখা, জাগ্রত উপদেষ্টা মোহতাসিম বিল্লা বাবুল।

;

বিদেশিদের কাছে নালিশ করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিথ্যাচার বিএনপির একমাত্র সম্বল। বিদেশিদের কাছে রোজ রোজ নালিশ করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে মির্জা ফখরুল দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না।

তিনি রোববার দুপুরে নওগাঁয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের স্মরণসভায় এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কষ্ট পাচ্ছেন। এসব সংকট সমাধানে আওয়ামী লীগ সরকার দিন-রাত কাজ করছে।

নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ।

এর আগে জেলা সদরের সরিষাহাটির মোড়ে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

;

সিরাজগঞ্জে গরমে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরমে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে রসালো তালের শাঁসের কদর বেড়েছে সিরাজগঞ্জে।

সিরাজগঞ্জ জেলা শহরসহ ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের রাস্তার দু’পাশে কচি তালের শাঁসের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী। তাদের কাছ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের তালের শাঁস কিনে খেতে দেখা গেছে। আবার অনেককেই পরিবারের জন্য ফলটির শাঁস কিনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোদের তাপমাত্রা যত বাড়ছে ততই চাহিদা বাড়ছে এই ফলের। পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস। তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে।

এছাড়া, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন 'সি’ ও ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে ফলটিতে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে
রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচিও বাড়ায় তালের শাঁস।

রোববার (৪ জুন) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার, স্টেশন রোড, কাঠেরপুর, বড় পুল, হাসপাতাল মোড়, বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড, হাটিকুমরুল গোল-চত্বর, নলকা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছেন ও বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ফলটি।

হাটিকুমরুল গোল-চত্বর এলাকা থেকে তালের শাঁস কেনা ট্রাক ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তি নিতে ৩০ টাকায় দুটি তাল কিনলাম। এ গরমে শাঁস খেতে খুব ভালো লাগে। মাঝে মধ্যে কিনে বাড়িতেও নিয়ে যাই।

কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট বাজার এলাকার সিএনজি চালক কালাম বলেন, রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। যাত্রী নামিয়ে ৪টা তালের শাস খেলাম। অনেক ভালো লাগছে। বাড়িতে ছোট ভাই-বোনেরা তালের শাঁস খেতে চায়। তাই ৫০ টাকায় ১০টি শাঁস কিনলাম।

উপজেলার নলকা মোড় এলাকায় তালের শাঁস বিক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, গরম পড়লে তালের শাঁস ভালো বিক্রি হয়। প্রতিবছর আমি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করি। প্রতিটি তালে ২-৩ টি করে শাঁস থাকে। প্রতিটি শাঁস ৫ টাকা দরে বিক্রি করি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ শাঁস বিক্রি করা যায়।

তাড়াশ উপজেলার তালগাছ মালিক সোবহান জানান, আগের মতো লোকজন পাকা তাল খেতে চায় না। তাই আমি কাঁচা অবস্থাতেই প্রায় ২০টি গাছের তাল ২৮ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছি।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদুল ইসলাম জানান, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সিসহ নানা ধরনের পুষ্টির চাহিদা মিটচ্ছে তালের শাঁস। এই শাঁসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও পানি রয়েছে। সেই সঙ্গে আঁশ তো রয়েছেই।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, এখন বজ্রপাত রোধে বিভিন্ন রাস্তার ধারে ও খালের পাড়ে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে। কৃষি অফিস ও বিভিন্ন সংগঠনের আলাদাভাবে তালের গাছ রোপণ করে আসছে। এ বছর তালের ফলনটাও ভালো হয়েছে।

এছাড়া এবার নতুন নতুন গাছে তাল ধরছে। এসব গাছের তাল পাকানোর জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে বীজ করা যায়। পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও।

;

৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে পরিবেশ মেলা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব পরিবেশ দিবস আগামীকাল সোমবার (৫ জুন)। দিনটি উপলক্ষ্যে সরকারের তরফ থেকে নানান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

রোববার (০৪ জুন) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৩ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ মেলা ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত চলবে। আর বৃক্ষ মেলা চলবে ৫ থেকে ২৬ শে জুন এবং ১ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। জাতীয় বৃক্ষ মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও বনজ সম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব কাজে জনগণের উপস্থিতি বাড়াতে এ মন্ত্রণালয় সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য এবং স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করার সদয় সম্মতি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে আমাদের আগামীকালের কর্মসূচি শুভ উদ্বোধন করবেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার বেলা ১১টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২২, বৃক্ষ রোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২১ এবং সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করা হবে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যম বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। সকল জেলা এবং উপজেলা ও ঢাকা মহানগরীর ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হবে। এ দিবস উপলক্ষ্যে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতা, পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের জন্য সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

;