সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে হাতির অস্তিত্ব থাকবে না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হাতি

হাতি

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে অবাধে হাতি নিধন চলছে। গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হাতি হ্রাস পেয়েছে। মানুষের হাতে যেভাবে হাতি নিধন হচ্ছে এবং হাতি সংরক্ষণে কর্তৃপক্ষ যেভাবে উদাসীনতা প্রদর্শন করছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছর পর চিড়িয়াখানা ছাড়া দেশের আর কোথাও হাতির অস্তিত্ব থাকবে না বলে মনে করছেন বিভিন্ন পরিবেশবাদি সংগঠনের নেতারা।

পরিবেশবাবদি সংগঠনের এসব নেতা হাতি সংরক্ষণে এবং হাতি নিধন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টদের প্রতি। হাতির আবাসস্থল রক্ষায় তারা গুরুত্বারোপ করেন।
তারা বলেন, হাতিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হলে আগে বন রক্ষা করতে হবে। দেশে বন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলসহ সকল প্রকাশ বন ধ্বংস হচ্ছে বলে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণী।

৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের জোট ‘বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)’ কর্তৃক বিশ্ব হাতি দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত একটি ওয়েবিনার থেকে এমন আহ্বান জানানো হয় ও কথাগুলো বলা হয়। শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকালে জুম প্লাটফর্মে এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।

‘বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)’-এর আহ্বায়ক এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা।

জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজের পরিচালনায় এই ওয়েবিনারের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলাপমেন্ট (সিজিইডি)-এর নির্বাহী পরিচালক আবদুল ওয়াহাব, নোঙরের চেয়ারম্যান সুমন শামস, পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড. মাহমুদা পারভিন প্রমুখ।


বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনে হাতি সংরক্ষণ না করলে এবং মানুষের হাতে হাতি নিধন বন্ধ করতে না পারলে বিশাল দেহের ডাইনোসরের মতো হাতিও এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না।

গুলশান আর লতিফা বলেন, এশিয়ান হাতির একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা সহজে কাউকে আঘাত করেনা। কিন্তু এখন তারা পাশবিক অত্যাচারের শিকার। এক সময় হাতিরঝিল ও পিলখানায় হাতি দেখা যেতো, হাতিরঝিল থেকে পিলখানায় হাতি নেওয়া হতো যত্ন করার জন্য। কিন্তু আজ আর সেই হাতি দেখা যায় না। হাতি কমতে কমতে দেশে হাতির এই সংখ্যা এখন প্রায় ২০০।

হাতি সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, হাতি রক্ষা করতে হলে হাতির আবাসস্থল সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে সংরক্ষিত বন তৈরীর মাধ্যমে হাতি সংরক্ষণ করতে হবে।

বন-জঙ্গলের ভেতর দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলেও হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে উল্লেখ করে গুলশান আরা লতিফা বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সময় আমাদেরকে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, হাতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্যপ্রাণী। হাতিসহ সকল প্রকার বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হলে আমাদেরকে আগে বনাঞ্চল রক্ষা করতে হবে। দেশে বন থাকলে হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী থাকবে।

   

‘রবীন্দ্রনাথ সমাজের বৈষম্য ‍দূর করে বাঙালিকে আলোর পথ দেখায়’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন সমাজের বৈষম্য ও কুসংস্কার ‍দূর করে বাঙ্গালীকে আলোর পথ দেখায়।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে নওগাঁর পতিসর রবীন্দ্র কাচারিবাড়ীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূল পরিচয় স্বনির্ভর দেশ গড়বার কারিগর নয়, তার পরিচয় তিনি একজন কবি। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, সাহিত্য দিয়ে সকলের মনের অন্ধকার দূর করে আলো জ্বালানোর চেষ্টা করেছেন। সেই আলোয় আমরা আলোকিত হবো।

পরে দেবেন্দ্র মঞ্চে আলোচনা সভা, সাহিত্য পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের এসব কর্মসূচির আয়োজন করেন।

আলোচনা সভায় 'সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা এবং রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু' প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে স্মারক আলোচনা করেন নওগাঁ সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম মোজাফফর হোসেন।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানার সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা, ওমর ফারুক সুমন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান বক্তব্য রাখেন।

এদিকে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে কবির গবেষক, ভক্ত ও অনুরাগী ঢল নামে।

 

;

তীব্র গরমের পর এবার কালবৈশাখীর সতর্কতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে তীব্র গরমে নাকাল ছিল জনজীবন। এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়াতে স্বস্তি ফিরেছে। এবার কালবৈশাখীর সতর্ক বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (৮ মে) বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে।

এসময় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়।

;

ঢাকার পাশে কাবাডি কমপ্লেক্স নির্মাণের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি কাবাডি কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এর সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান, আব্দুস সালাম মূর্শেদী, মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, মো. মহিউদ্দীন মহারাজ এবং লায়লা পারভীন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে প্রথম বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন এবং বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়। এ সময় বৈঠকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি কাবাডি কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া কমিটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলাওয়ারী বরাদ্দকৃত ক্রীড়া সামগ্রী বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেন।

বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানসহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী

দেশে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলতি বছর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি খাদ্যগুদামে সর্বমোট ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে বলে সংসদে জানিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (০৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

সংসদে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে সর্বমোট ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৯ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৪ মেট্রিক টন গম আছে। তারমধ্যে বর্তমানে ধানের কোনো মজুত নাই। চলতি মাস থেকে ধান সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে, বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ পুরোধমে শুরু হলে মজুতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

বিভাগ অনুযায়ী খাদ্য মজুতের তথ্য অনুযায়ী দেশে চট্টগ্রাম বিভাগের খাদ্য গুদামে বেশি খাদ্য মজুত রয়েছে। মন্ত্রণায়লে হিসেব মতে, চট্টগ্রাম বিভাগে খাদ্য মজুত রয়েছে-দুই লাখ ৫৮ হাজার ৯৫১ মেট্রিক টন। ঢাকা বিভাগে রয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৭ মেট্রিক টন, ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ৬৮ হাজার ৬৭০ মেট্রিকটন, রাজশাহী বিভাগে রয়েছে এক লাখ ৮১ হাজার ৮৮ মেট্রিকটন, রংপুর বিভাগে রয়েছে দুই লাখ সাত ৯৩৫ মেট্রিক টন, সিলেট ৫০ হাজার ৬২১ মেট্রিকটন, খুলনায় এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬৭ মেট্রিকটন ও বরিশাল বিভাগে মজুত রয়েছে ৪১ হাজার ৪৭৪ মেট্রিকটন।

;