ভয়ের কোন কারণ নেই, আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক উল্লেখ করে এ সংকট মোকাবেলায় দেশের মানুষকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐকবদ্ধ্য থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, অনেক উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমাদের দেশের অবস্থা এতো খারাপ হলে তারা তো আমাদের সহযোগিতা করতো না। একটি গ্রুপ বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলংকা হবে। কেন হবে? শ্রীলঙ্কা কি করেছে আর আমরা কি করছি? ভয়ের কোন কারণ নেই। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন।

আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত 'নিত্যপণ্য ও জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি: জনজীবনে চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলমান। এই যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই এখন টালমাটাল অবস্থা। অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবকিছু নিয়েই মানুষ আতঙ্কিত। এখন আবার তাইওয়ান-চায়ান ‍উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সেটির প্রভাব কিন্তু সারাবিশ্বে পড়বে। পৃথিবীতে কি হতে যাচ্ছে ভবিষ্যত বাণী করা কঠিন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইউরোপী ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশ প্রয়োজনের বড় অংশ গ্যাসসহ ফুয়েলের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। ফুয়েল উৎপাদনে প্রথম হচ্ছে ভেনিজুয়েলা, এরপর সৌদি আরব এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে এসব দেশ তেল সরবরাহ করতে না পারায় সারাবিশ্বেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশেও এর বাহিরে নয়।

মন্ত্রী বলেন দেশের মানুষ কষ্টে থাকুক এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনোই চাননা। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, গ্রাম-গঞ্জের কোন মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেকটি মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে। গ্রামের প্রায় সব রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে, ঘর না থাকলে ঘর করে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে ভুর্তকি দেয়া যায় না। ভুর্তকি দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সরকার কাকে ভুর্তকি দিবে? ধনীকে না গরীবকে? সবখানে ভর্তুকি দিলে অন্য খাতগুলো শৃঙ্খলা হারাবে। ভর্তুকি কোথায় দিতে হবে সরকার সেটি অ্যানালাইসিস করে তারপর দেয়।

তিনি বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য করোনা মহাসংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছিলো। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে পূর্ব থেকেই করোনার টিকা ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জানতেন টিকার ক্রাইসিস দেখা দিবে। বাংলাদেশ পৃথীবির মধ্যে করোনা মোকাবেলায় পঞ্চম স্থান অর্জনে করেছে, এশিয়াতে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের ৯০ শতাংশ মানুষ একাত্ম থাকলেও আমরা যে কোনো সংকট মোকাবেলা করে বিজয় অর্জন করবোই। বর্তমান সংকট বৈশ্বিক  তাই সবাইকে ঐকবদ্ধ্য হয়ে কাজ করতে হবে।

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সোহেল মামুনের সঞ্চালনায় সংলাপে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি হিসাবে গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

   

যুবককে কুপিয়ে হত্যা: ১৮ জনকে আসামি করে মামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদী পৌর শহরের বানিয়াছল এলাকায় আল আমিন (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আল আমিন বানিয়াছল এলাকার মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। তাকে হাতকাটা আল আমিন বা চান্দু আল আমিন নামেই চিনতো বা জানতো।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে বানিয়াছল বিলপাড় এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে। সোমবার রাত ১০টার দিকে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে নরসিংদী সদর মডেল থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এলাকাবাসি ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মনু মিয়ার ছেলে কাউসারের (৩০) এর সাথে ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল আল আমিনের। গত ৮ বছর পূর্বে ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আল আমিনের হাতের কব্জি কেটে ফেলে কাউছার ও তার সহযোগীরা। এছাড়াও দুজনই এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব‍্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত ছিল। কিছুদিন পর পর মাদক বেচাকেনা নিয়ে তাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে এলাকাবাসি।

এই সংঘর্ষের জেরে দীর্ঘ ৮ মাস এলাকা ছাড়া থাকে আল আমিন। রোববার তার শ্বশুরের অসুস্থতার খবর তাকে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি রেখে সবার সাথে দেখা করতে বাড়িতে আসে সে। রবিবার রাত ১০ টার দিকে বানিয়াছল বিলপাড় এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওঁতপেতে থাকা কাউসারসহ ২০/২৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আল-আমিনের উপর হামলা চালায়।

এক পর্যায়ে আল-আমিন দৌড়ে এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে ওই বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাকে। এদিকে আল আমিনের ডাক-চিৎকার আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত আল আমিনের বড় ভাই রহিম মিয়া বাদী ১৮ জনকে আসামি করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত আল আমিন ও কাউছারের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহত আল আমিনের বড় ভাই মামলার বাদী রহিম মিয়া বলেন, রোববার তার শ্বশুরের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে ঢাকা হাসপাতালে রেখে বাড়িতে আসে আমার ভাই। রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোবাইলে একটা ফোন পেয়ে ১০ মিনিটের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে। ১০টার দিকে তাকে মেরে ফেলার খবর পাই। আমার ভাইকে যারা মেরেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

এব‍্যাপারে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;

‘বিনা পারিশ্রমিকে সব ভালো কাজে ব্যস্ত থাকেন স্বেচ্ছাসেবক’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
বিনা পারিশ্রমিকে সব ভালো কাজে ব্যস্ত থাকেন স্বেচ্ছাসেবক

বিনা পারিশ্রমিকে সব ভালো কাজে ব্যস্ত থাকেন স্বেচ্ছাসেবক

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী ও সাবেক ব্যবস্থাপনা সদস্য মোঃ আসগর আলী বলেছেন, বিনা পারিশ্রমিকে সব ভালো কাজে নিরলসভাবে ব্যস্ত থাকেন স্বেচ্ছাসেবক।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যেগে আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রেড ক্রিসেন্ট একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই। এ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ মানবসেবার কাজে নিয়োজিত, ব্যক্তিস্বার্থে নয়। বিনা পারিশ্রমিকে তারা দেশ ও জনকল্যাণমুখী কাজে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

তিনি আরও বলেন, রেডক্রিসেন্ট সমাজের বিভিন্ন সেবামূলক কাজে সর্বদাই সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এর সদস্যরা অত্যন্ত গতিশীলভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনা করে। যেমন- স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, রক্ত সংগ্রহ, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ও এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কুষ্টিয়া ইউনিটের ইউনিট অফিসার সাঈদ মোঃ শামীম রহমান শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিটের সন্মানিত ভাইস-চেয়ারম্যান চৌধুরী মুরশেদ আলম মধু, কার্যনির্বাহী সদস্য আ.স.ম আখতারুজ্জামান মাসুম, মুহম্মদ শামসুর রহমান বাবু, মোঃ আব্দুল লতিফ, সাজেদা হোসেন, মোঃ মুকুল হোসেন,আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সেলিম আহমেদ, ইউনিটের যুব প্রধান মোঃ মেহেদী হাসান জয়, যুব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ ৫টি উপজেলা হতে আগত স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে যুব সদস্যদেরকে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমে উৎসাহিত করা এবং যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করার লক্ষ্যে কুষ্টিয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্বেচ্ছাসেবীদের মাঝে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

;

থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠানের অনুমতি নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে থার্টি ফার্স্ট নাইটের (৩১ ডিসেম্বর) দিন সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বড়দিন ও থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটের (৩১ ডিসেম্বর) দিন সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের গান-বাজনার আয়োজন করা যাবে না। এছাড়া বাঁশি বাজানো, পটকা ফোটানো বা আতসবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

তিনি জানান, বড়দিন উপলক্ষে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এ সময় ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ থাকবে বলেও জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চার্চগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও সিসি/আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। চার্চগুলোর প্রবেশ পথে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও নির্মাণ সামগ্রী থাকলে তা অপসারণ করা হবে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ৯৯৯ নম্বরে কল আসামাত্র যাচাই করে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।

;

নভেম্বরে সড়কে ঝড়ল ৪৭৫ প্রাণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
নভেম্বরে সড়কে প্রাণ ঝড়ল ৪৭৫

নভেম্বরে সড়কে প্রাণ ঝড়ল ৪৭৫

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সারাদেশে ৫৬৬টি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এতে ৪৭৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৬০৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। আর সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

নভেম্বর মাসে রেলপথে ৩১টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত, ২৫ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ৬টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬০৩টি দুর্ঘটনায় ৫০৩ জন নিহত এবং ৬৩০ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৪৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৩ জন নিহত, ৮৫ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ২৫.৯৭ শতাংশ, নিহতের ৩০.৫৬ শতাংশ ও আহতের ১৫.০১ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৮২৭টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২০.৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৭.৪৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৩৪.৬২ শতাংশ বাস, ১০.৫১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬.৫২ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৫.৫৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫.৩২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪২.৫৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৯.৭৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২১.৫৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ১৩.০৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২.৬৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৩৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, তা হলো- ট্র্যাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, ট্র্যাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি। মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল। সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা । রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার। চলতি বর্ষায় সড়ক মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি। যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা। উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

;