খুলনায় শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনায় শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার। ছবি: প্রতীকী

খুলনায় শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার। ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় ইস্মিতা মণ্ডল (৩১) নামে এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নগরীর সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল (সিটি) কলেজের শরীর চর্চা বিভাগের শিক্ষিকা।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার আওতাধীন ছোট বয়রা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলতলা কেসমতপুরের অশ্বিনী মণ্ডলের মেয়ে।

এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমতাজুল হক জানান, ছোট বয়রা এলাকার জনৈক মোজাফ্ফরের ভাড়া বাসায় শিক্ষিকা ইস্মিতা মণ্ডল ও তার বোন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স শস্মিতা বসবাস করতেন। বিকেলে তার বোন কাজে বাইরে গেলে ফিরে এসে দরজা বন্ধ দেখেন। অনেক ডাকাডাকি করার পর সাড়া না দেওয়ায় আশপাশের লোকজন ডেকে দরজা ভেঙে ফেলেন। ভেতরে গিয়ে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার বোন ইস্মিতা ঝুলে আছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইস্মিতাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লাশের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যাও হতে পারে। তবে কী কারণে ইস্মিতা মণ্ডল আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।

   

ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৮১০ পিস ইয়াবা, ৫৫৯ গ্রাম হেরোইন ও ১ কেজি ৫৩৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে।

;

ছুটির দিনে ‘গ্রহণযোগ্য’ ঢাকার বাতাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছুটির দিনে ‘গ্রহণযোগ্য’ ঢাকার বাতাস

ছুটির দিনে ‘গ্রহণযোগ্য’ ঢাকার বাতাস

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ুর মানে সুখবর মিলেছে রাজধানীবাসীর জন্য। বিশ্বের ১১৮টি শহরের মধ্যে আজ শুক্রবার (১৫ জুন) ছুটির দিন সকাল ৯টার দিকে রাজধানী ঢাকার অবস্থান দশম। এ সময় আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ৯৭। বাতাসের এই মান ‘মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের’ বিবেচনা করা হয়।

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

এসময় বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল ভিয়েতনামের হ্যানয়। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ১৮৪। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে কঙ্গোর কিনশাসা ও পাকিস্তানের লাহোর। কিনশাসার স্কোর ১৭৪। লাহোরের ১৬০।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস।

স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।

;

ঈদের ছুটিতে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্টধারীদের দুর্ভোগ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহার টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ভ্রমণে পাসপোর্টধারীদের চাপ বেড়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। রয়েছে দালাল শ্রেণির হয়রানির অভিযোগ। বর্তমানে দুই পাশের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সারতে একেক জনের ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, সেবার মান বাড়াতে তারা কাজ করছেন। হয়রানি এড়াতে যাত্রীদেরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সরেজমিনে বন্দর ঘুরে জানা যায়, শুক্রবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন আর শনিবার থেকে মঙ্গলবার ৪ দিন ঈদের ছুটি। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানও সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে বন্ধ রেখেছে। এতে ৫ দিনের ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকে যাচ্ছেন ভারতে, কেউ আসছেন বাংলাদেশে। এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ।

প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকে। ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বছরে এ অর্থের পরিমাণ দুই দেশে বাড়লেও সেবার বাড়ানোর দিকে তাদের লক্ষ্য নেই।

যাত্রীরা বলছে, পদ্মা সেতু চালুতে এখন ভোর ৪টার মধ্যে বন্দর ভিড়ছে দূরপাল্লার সব যাত্রীবাহী বাস। যাত্রীরা দ্রুত পৌঁছালেও বন্দর ভোর সাড়ে ৬টায় খোলায় যাত্রীদের ৩ ঘণ্টা গরমের মধ্যে মশার কামড় খেতে হয়। এতে অসুস্থ হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। তবে বাংলাদেশ অংশের কার্যক্রম কোন রকমে শেষ হলেও ভারত অংশে জনবল সংকটে আগের মত থাবায় পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

পাসপোর্টধারী মিনতি রায় বলেন, ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশ সরকার নিচ্ছে ১০৫৫ টাকা ভ্রমণ কর এবং ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় দূতাবাস নিচ্ছে ৮৫০ টাকা। তবে বাড়েনি সেবা। বন্দরের কার্যক্রম ভোর ৫টার মধ্যে শুরু হলে দুর্ভোগ অনেকটা কমবে বলে জানান তিনি।

পাসপোর্টধারী কবির হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৪টা থেকে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে প্রচণ্ড গরম আর মশার কামড় খাচ্ছি। নেই যাত্রী ছাউনি।

আরেক যাত্রী মিহির রায় জানান, ভ্রমণ কর বাড়লেও সেবা নেই। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাগছে ইমিগ্রেশন সারতে। রয়েছে দালালদের হয়রানি। নিরাপত্তাকর্মীদের চোখের সামনে এসব ঘটছে।

বেনাপোল স্থরবন্দর আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের ইনচার্জ বাদল চন্দ্র রায় জানান, ঈদের যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। দালাল শ্রেণির কাছে পাসপোর্ট না দিতে যাত্রীদের বলা হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ভারতে যায় সাড়ে ৩ হাজারের মতো যাত্রী। ঈদের ছুটিতে শুক্রবার ভারতে গেছে ৬ হাজারের বেশি। যাত্রীসেবা বাড়াতে নানান পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জায়গা অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে সেবা বাড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

;

টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষজন। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এছাড়াও সেতুর উপর গাড়ি বিকল হওয়ায় দফায় দফায় বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে টাঙ্গাইল মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এলাকা থেকে কালিহাতীর উপজেলার সল্লা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

শুক্রবার (১৪ জুন) মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই ব্যক্তিগত যানবাহন, মোটরসাইকেল ও খোলা ট্রাকের ছাদে ও পিক-আপে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

ট্রাক চালক জমির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সকালে রওনা করেছি আজ শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের সল্লা এলাকাতে এসে পৌঁছেছি। চট্টগ্রাম থেকে টাঙ্গাইলে আসতে সময় লাগে একদিন। সেখানে যানজটের কারণে তিনদিন সময় লাগলো। বঙ্গবন্ধু সেতু যেতে যে কতক্ষণ লাগবে বলতে পারছি না। খাওয়া দাওয়া নাই, অনেক কষ্ট হচ্ছে।

পোশাক শ্রমিক সায়েম মিয়া বলেন, সকাল ৬টায় গাজীপুর থেকে রওনা দিয়েছি এলেঙ্গায় পৌঁছেছি ৩ ঘণ্টায়। সল্লা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু যেতে যে কতক্ষণ সময় লাগবে জানি না। আমাদের ভোগান্তির শেষ নাই। সকাল থেকে কিছু খাই নাই অনেক কষ্ট হচ্ছে।

পুলিশ ও সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোর রাতে সেতুর উপর যানজটের চাপ বেড়ে যায়। অন্যদিকে কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। পরে বিকল হওয়া যানবাহনগুলো সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে যার ফলে অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও সেতুর উপর দুর্ঘটনা রোধ ও সেতুর ধারণ ক্ষমতার অধিক যানবাহন প্রবেশ করলে সেতুর উপর যানজটের সৃষ্টি হয়ে টোল বুথের সামনে গাড়ির সারি চলে আসায় বেশ কয়েকবার টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে সেতু পূর্ব থেকে কালিহাতী উপজেলার সল্লা পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, যানবাহনের চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারনে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে মহাসড়‌কে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

;