স্কুলছাত্র সুভাষ হত্যার রহস্য উদঘাটন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্কুলছাত্র সুভাষ হত্যার রহস্য উদঘাটন। ছবি: বার্তা২৪.কম

স্কুলছাত্র সুভাষ হত্যার রহস্য উদঘাটন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সুভাষ কুমার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাদকের টাকা জোগাড় করতেই মূলত সুভাষ কুমারকে হত্যা করা হয়।

রোববার (৪ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে স্কুলছাত্র সুভাষ কুমার হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন যুবককে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শহরের ফার্ম পাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সুমন (১৮), সিনেমা হল পাড়ার মিরাজুল ইসলামের ছেলে ইরাক (১৭) ও নুরনগর কলোনি পাড়ার ফুয়াদ হোসেনের ছেলে ফরহাদ (২০)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে মাদকের টাকা জোগাড় করতেই সুভাষকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার সময় সুভাষের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করার জন্যই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খান জানান, আজ রোববার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার ৬৩ আড়িয়া গ্রামের গণেশ চন্দ্রের ছেলে সুভাষ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা শহরে পান্না সিনেমা হলে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান দেখতে যায়। এরপর রাত ১২টার পর সে নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের পাশের একটি গলি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

   

যশোরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে যশোরের বিভিন্ন পশুর হাট। 

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সরজমিনে কোরবানির একাধিক পশুর হাটে দেখা যায়, বিকেল হতে না হতেই কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। হাটে বড় গরুগুলো বিশেষভাবে রাখা হয়েছে।

এদিকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত পশুহাটে বেচা-কেনা চলবে বলে হাটগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটগুলোতে দেশি, শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরুর পাশাপাশি বিভিন্ন আকারের ছাগলও বিক্রি হচ্ছে।

এ বছর কোরবানি উপলক্ষে জেলায় মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৮'শ ৫১টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। 

যশোরের গরুর হাটে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জাতের ও আকারের গরুর সমাগম শুরু হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে পশু হাট। এদিকে হাটগুলো নিরাপত্তায় ইজারাদারদের নিজস্ব লোকজন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। এবারের ঈদের হাটগুলোতে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলক কম বলে জানান খামারিরা।

গরুর খামারি মামুন হোসেন জানান, হাটে প্রচুর গরু উঠলেও বিক্রি কম। ৭ হাজার টাকা লোকসানে গরু বিক্রি করতে হয়েছে তাকে। কয়েকদিন আগে যে গরুর দাম ১ লাখ ৮৭ হাজার হচ্ছিল, সে গরু বিক্রি করতে হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজারের কমে। তবে বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজের গরুগুলো। বর্তমানে গো- খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবং গরু লালন পালন করতে ব্যয় বেশি হচ্ছে বলে খামারিদের লাভের পরিমাণ কম হচ্ছে।

ক্রেতা আনিসুর রহমান জানান, এখনো পছন্দমত গরু পাননি তিনি। তার মতে বিক্রেতারা গরুর দাম একটু বেশি বলছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় পশুপালনে খরচ বেশি।


ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন , কোরবানি দেওয়ার জন্য গরু দেখতে এসেছি। গরু দেখে পছন্দ হলেও দামের সঙ্গে মিলছে না। এ হাটে না হলে পরের হাটে কিনতে হবে।

গরু ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ জানান, খাজুরার পশুর হাট হয় শুক্রবার ও রোববার। চৌগাছা উপজেলার এ হাটে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশি পশু আসছে। ফলে হাটে গরুর আমদানিও যথেষ্ট। এ হাটে গত কয়েক হাটের তুলনায় বিক্রিও অনেক বেশি। মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। গরু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন তিনি। ঈদের যে কোনো হাটে আবার বিক্রি করতে হবে। তবে এবার বড় গরুর চাহিদা কম।

গরু ব্যবসায়ী বাদল জানান, হাটে বেচা-কেনা মোটামুটি শুরু হয়েছে। আমাদের টার্গেট ঈদের আগে এক হাট। এদিনের হাটে ৩টি গরু এনেছি। যেভাবে ক্রেতাদের ভিড় জমেছে তাতে আসা করি বেচা-কেনা বাড়বে। হাট মালিক পক্ষের ইসমাইল হোসেন জানান, কোরবানির পশু শেষ হাটেই বেশি উঠবে। আবার সে হাটে বেচা-কেনাও হবে। তবে ইতোমধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। শহরে বসবাসকারী ক্রেতারা সাধারণত ঈদের আগের হাটে কোরবানির পশু ক্রয় করে থাকেন।

যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক বলেন, যশোর জেলায় কোরবানি উপলক্ষে যে পশু প্রস্তুত রয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। এ বছর মোট পশু প্রস্তুত করা আছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮'শ ৫১টি। এর মধ্যে চাহিদা আছে ৯৬ হাজার ৭'শ ১৮ পশু। উদ্বৃত্ত থাকবে ৩ হাজার ১'শ৩৩ টি পশু। তবে ঈদ যত এগিয়ে আসবে, ব্যক্তি পর্যায়ে পালনকৃত পশুও হাটে উঠবে ফলে হাটে আরো কিছু পশু বাড়তে পারে।

তিনি আরও জানান, এবার কোরবানির পশু জেলার চাহিদা মেটানোর পরও অন্য জেলায় পাঠানো যাবে।

;

চাঁদাবাজির অভিযোগ: লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে অব্যাহতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাসকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আফিস ইনান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত রোববার গরু ব্যবসায়ীকে হাত-পা বেঁধে আটকে রেখে আড়াই লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদ জামান বিলাসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় সোমবার রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী (৪৮)।

আইয়ুব আলী আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের উপ-দপ্তর সম্পাদক তানভীর আহমেদ স্বাধীন লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাসকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

ঈদযাত্রায় বাধা হতে পারেনি বৃষ্টি, সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফিজুর। বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলায়। ঈদ উপলক্ষে ছুটি আরও তিন দিন আগে হলেও বাসায় ছাত্র পড়ানোর শেষ দিন ছিল আজ। বিকেলে টিউশন শেষ করে তড়িঘড়ি করে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আসার সময় বৃষ্টিতে ভিজে একাকার সে। ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে ঘরেফেরা হাফিজুরের অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক বছর পর বাড়ি যাচ্ছি। মোবাইলে ভিডিও কলে মাকে দেখে মন ভরে না। ঈদের ছুটিতে মাকে দেখতে পাওয়ার আনন্দের কাছে বৃষ্টিতে ভিজার দু:খ অনেকটাই ফিকে।

তিনদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। সন্ধ্যার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি হলেও তা কোন বাধা হতে পারেনি ঘরমুখো মানুষের কাছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় দেশের প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ-টার্মিনালে চোখে পড়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। আপনজনের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ছুটছেন গন্তব্যের দিকে।

ঘরমুখো এসব মানুষ বলছেন, পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির কাছে বৃষ্টি কিছুই না। বাড়িতে সুন্দরভাবে পৌঁছানোই মূল উদ্দেশ্য।

বৃষ্টির পানি মাথায় নিয়ে লঞ্চে ওঠেন পোশাক শ্রমিক সবুজ। বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। হাত ভর্তি চারটি ব্যাগ। ঈদে কেমন কেনাকাটা হলো জানতে চাইলে সবুজ বলেন, ঈদের বেতন ঠিকঠাক পেয়েছি। বেতন পেয়েই সাধ্যের মধ্যেই পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করেছি। এখন এই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে সহিহ সালামত বাড়ি যেতে পারলেই বাঁচি।

ঈদযাত্রায় বাধা হতে পারেনি বৃষ্টি, সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের নৌপথে বাড়ি পৌঁছে দিতে বাড়ানো হয়েছে দৈনিক চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যা। ফলে, অনেকটা স্বস্তি নিয়েই যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছেন লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। এদিকে যাত্রীদেরকে সাবধানে লঞ্চে উঠার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

শুক্রবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় যাত্রীর চাপ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, সব রুটেই কমবেশি লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোয় কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন যাত্রীরা। তবে কেবিনের পাশাপাশি ডেকের মধ্যেও যাত্রীর চাপ বেশি রয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আজহায় নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে যাওয়া ঘরমুখো মানুষের অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনা সংক্রান্ত নিরাপত্তায় প্রস্তুত আছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ঢাকা ও এর আশপাশে ৮টি পয়েন্টে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ টহল ইউনিট।

১০ জুন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কাজ চলমান থাকবে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এসব অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে।

ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে এবং ঈদ উদযাপন শেষে বাড়ি থেকে ফেরত আসার পথে অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো পরিস্থিতি বা দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় দ্রুত বা তাৎক্ষণিক সাড়া প্রদানের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ফায়ার সার্ভিস।

যেসব স্থানে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে: সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌটহল, মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল, মাওয়া ফেরি ঘাট, পাটুরিয়া ফেরি ঘাট, আরিচা লঞ্চ/ফেরি ঘাট, নারায়ণগঞ্জের হাজিগঞ্জ-নবীগঞ্জ ঘাট, নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল ও বন্দর ঘাট। এসব স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবলসহ সাজ-সরঞ্জাম যেমন রেসকিউ বোট, ডুবুরি ইউনিট, বয়া, ফায়ার পাম্প, সেফটি ভেস্ট, থ্রোইং ব্যাগ, লাইফ জ্যাকেট, মেগা ফোন, ফোল্ডিং স্ট্রেচার, ফাস্ট এইড বক্স, রেইন কোট, উদ্ধার সরঞ্জাম ইত্যাদি মজুদ রাখা আছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী জনবল ও সরঞ্জামের সংখ্যা কম-বেশি আছে।

;

মহাখালী বাস টার্মিনালে উপচেপড়া ভিড়, বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন কোরবানির ঈদে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে মহাখালী বাস টার্মিনালে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় দুপুরের পর থেকে টার্মিনালে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় শুরু হয়। তবে যাত্রীদের অভিযোগ ঈদকে কেন্দ্র করে বাসের অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরের পর থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে এমন যাত্রী চাপ দেখা যায়।

মহাখালী বাসটার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গগামী শাহ ফতেহ আলী, এস আর ট্র্যাভেলস, এনা পরিবহন, অভি এন্টারপ্রাইজ, এস আই এন্টারপ্রাইজ, রাজিব এন্টারপ্রাইজ, একতা পরিবহনের কাউন্টারে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।

টার্মিনালে এনা পরিবহন, ন্যাশনাল পরিবহন, একতা পরিবহন, দেশ ট্রাভেলসহ অন্যান্য ভালোমানের বাসগুলোতে ঈদ উপলক্ষে কোনো অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। তবে টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুরগামী কিছু লোকাল কোয়ালিটির বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদ বোনাসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে যাত্রীরা।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা রায়হান রহমান যাবেন শেরপুরে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুরে এসেই টিকেট কেটেছিলাম শেরপুরের। আমার কাছ থেকে ২৮০ টাকার টিকেট ৩৫০ টাকা নিয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। সময়মতো পৌঁছাতে পারলেই হয়।

ময়মনসিংহ যাবেন ব্যবসায়ী এস এম আকরাম। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকালে এসেই এনা পরিবহনের টিকিট কেটেছি। এখন বাসের সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার কাছ থেকে কোনো বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়নি। তবে লোকাল বাস গুলো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে,যা ছিল তাই ভাড়া নিয়েছে। বৌ-বাচ্চা নিয়ে বাড়িতে ঈদ করতে যাচ্ছি।

আলম এশিয়া বাসের কন্ট্রাক্টর নিজাম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে ভাড়া নিচ্ছি এটাকে ভাড়া বেশি বলা যায় না। ঈদের সময় বলে একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা কী আমাদের ঈদ বকশিস দেবেন না? ঈদের পরে আবার সব ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ জামালপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ রুটের বাস চলাচল করছে।

;