কালনা সেতু কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলবাসীর প্রাণের দাবি কালনা সেতুর কাজ ও লোহাগড়া থানার নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এছাড়া জেলার লোহাগড়ার ১১টি ও কালিয়া উপজেলার ১টি ইউনিয়ন পরিষদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জিন্নাহ প্রমুখ।

সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ছয় লেনের এই সেতুটি হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুত গতির এবং দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার।

সেতুটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় হবে ৯৫৯ কোটি টাকা। পরবর্তীতে সেতুর নির্মাণ ব্যয় বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হবে। জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লি. যৌথভাবে এই সেতুটি নির্মাণ করছে। ৩৬ মাসে অর্থাৎ ৩ বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করবে।

নড়াইল গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানা ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটি ছয় তলা ফাউন্ডেশনের চার তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে অফিসার্স ইনচার্জের কক্ষ, এস আই ও এ এস আইদের কক্ষ, মহিলা ও পুরুষ ব্যারাক, ডিবি ও ডিএসবির কক্ষ, নামাজ কক্ষ, বিনোদন কক্ষ, ওয়েটিং রুম, কনফারেন্স রুম, ডাইনিং রুম, কিচেন রুম, মহিলা ও পুরুষ হাজতখানা, শিশু বালক ও বালিকা হাজত খানা, পরিদর্শন বাংলো, অস্ত্রাগার, মালখানা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়।

   

পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মো. সায়েম (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪ন ম্বর ওয়ার্ডের গোলাবাড়িয়া দিঘী এলাকার আজমীর ভবনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সায়েম উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের ফাজিল মিয়ার বাড়ির মো. নুরনবীর ছেলে। সে স্থানীয় মদনমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। শিশুটি আজমীর ভবনের পাঁচতলায় মা-বাবার সাথে ভাড়া বাসায় থাকতো।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিকেলে সায়েম আরও কয়েকজন শিশুসহ পাঁচতলা ভবনের ছাদে খেলতে যায়। তখন তার মা তার আরেক ভাইয়ের সাথে মুঠোফোনে বিদেশে কথা বলছিলেন। তখন আরেক শিশু পা পিছলে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। ওই সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে সায়েম মায়ের সামনে ছাদ নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মায়ের সামনে ছাদ থেকে পড়ে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর তাকে চৌমুহনী বাজরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।

;

পানি বৃদ্ধিতে আতঙ্কিত তিস্তা পাড়ের সাধারণ মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের সিকিমে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেখা দিয়েছে বন্যা। সেই বন্যার পানি বাংলাদেশর দিকে প্রবেশ করায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে নদী পাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসবাসরত পরিবারগুলো মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর ও গোকুণ্ডা ইউনিয়নের কৃষকরা নদীর তীরবর্তী চরে বাদাম ক্ষেত, বিছন ধান, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

তিস্তা পারের বাসিন্দা ছকমল হোসেন বলেন, শুনতাছি তিস্তার পানি বাড়বে। পানি বাড়লে আমাদের জায়গা জমির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে।

দোয়ানী গ্রামের কৃষক আনারুল হক বলেন, ভারতে বন্যা হয়েছে এই পানি যদি আমাদের বাংলাদেশের দিকে ছাড়ে তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না এখন বর্ষাকালে আমাদের পানি দিচ্ছে এই পানি আমরা কি করব।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে সেই বন্যার পানি তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

;

নড়াইলে ঘের থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সদর উপজেলায় মাছের ঘেরের পাশ থেকে শিবাজিত বিশ্বাস (১৫) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিবাজিত নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকার শিপন বিশ্বাসের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের খান কবীরের মাছের ঘেরের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিবাজিত পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিবাজিতের বাবা শিপন বিশ্বাসের সঙ্গে ব্যবসায়ী খান মোহাম্মদ কবিরের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে শিবাজিতকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। এছাড়া তাদের জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল খান কবীর।

এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পানিতে ডুবে শিবাজিতের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। এছাড়া পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

বান্দরবানে কেএনএফ'র আরও ৩ সদস্য গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় রোয়াংছড়ি উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যরা হলেন জন পল বম (২৭), লাল রুলাল খুপ বম (৫০)ও জনি লুসাই (৪১)। গ্রেফতার সকলেই রুমা উপজেলার বাসিন্দা।

বুধবার (১২ জুন) তাদের বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে গ্রেফতার আসামিদের পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে বান্দরবান সদরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রুমা থানায় দায়ের করা মামলায় তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

এপর্যন্ত মোট ৯৮ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ীর চালকসহ মোট ৯৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে কেএনএফের মোট ১৪ জন নিহত হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৩ টি ও থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটি সহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;