রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে কর্মহীন ৪৭ শতাংশ শ্রমিক



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে কর্মহীন ৪৭ শতাংশ শ্রমিক। ছবি: বার্তা২৪.কম

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে কর্মহীন ৪৭ শতাংশ শ্রমিক। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কাঁচা পাট সংকটে পরেছে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকল। পাট সংকটের কারণে এসব মিলগুলোতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। এছাড়া উৎপাদিত পাট পণ্য তুলনামূলক বিক্রি কম হওয়ায় প্রতিদিনই মজুদ পণ্যের পরিমাণ বাড়ছে। পাট না থাকায় শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পরেছে।

সরেজমিনে পাটকলে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে প্রায় ৩১৫ কোটি টাকার পাটপণ্য অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এসব পণ্য সময় মতো বিক্রি করতে না পেরে আর্থিক সংকটে পড়েছে পাটকলগুলো। এতে শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়মিত মজুরিও পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা যায়।

খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল হল- ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলীম, জে জে আই ও কার্পেটিং। এসব পাটকলে স্যাকিং, হেসিয়ান, সিবিসি এবং ইয়ার্ন এই চার ধরনের পণ্য উৎপাদন হয়। চলতি অর্থবছরে এসব পাটকলে দৈনিক ৩ হাজার ৬৫০টি তাঁত চালু রেখে পণ্য উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেএমসি। কিন্তু বর্তমানে চালু রয়েছে ২ হাজার ৯৯টি তাঁত। যা লক্ষ্যমাত্রার ৫৭ শতাংশ। ফলে মিলগুলির ৪৭ শতাংশ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/26/1540534026921.jpg

এদিকে বর্তমানে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলে মজুদ পণ্যের পরিমাণ ৩৬ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৩১৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ পরিষদের কার্যকরী আহ্বায়ক ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্তমানে কাঁচা পাটের মৌসুম চলছে। অথচ পাটক্রয়ে অর্থ বরাদ্দ নেই। ফলে এখন স্বল্পমূল্যে পাটক্রয় করতে পারছে না মিলগুলো। পরবর্তীতে বেশি মূল্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাটক্রয় করতে হবে। এতে পাটপণ্যের উৎপাদন ব্যয়ও যেমন বেড়ে যাবে, তেমনি লোকসানেও পড়বে মিলগুলো।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও জানান, শ্রমিকরা নিয়মিত মজুরি পাচ্ছে না। গত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি ও বেতন দেয়া হয়। একই সঙ্গে ঈদ উল আজহার পূর্বে শ্রমিক কর্মচারীদের আংশিক মজুরি ও বোনাস দেয়া হয়। সর্বশেষ চলতি মাসে শ্রমিক কর্মচারীদের সকল মজুরি ও বেতন দেয়া হয়েছে। আবার কবে মজুরি দেয়া হবে সে বিষয়ে কেউ জানে না। এ অবস্থার পরিত্রাণের জন্য মৌসুমেই পাটক্রয়ে অর্থ বরাদ্দ এবং উৎপাদিত পাটপণ্য বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এ শ্রমিক নেতা।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ পরিষদের কার্যকরী যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সাবেক সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, পাট না থাকায় শ্রমিকরা মিলে এসেও কর্মহীন অবস্থায় আছে। অন্যদিকে পণ্য বিক্রি না হওয়ায় সবশেষ দুই সপ্তাহ শ্রমিকরা মজুরি পাচ্ছে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/26/1540534180742.jpg

সরকারি উদ্যোগে বিদেশে পাটপণ্য বিক্রির উপরে গুরুত্বারোপ করে এ শ্রমিক নেতা আরও বলেন, ‘বিদেশে পাটপণ্য বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশের পাট পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু দিন দিন আমাদের পণ্য কিনতে বিদেশ থেকে কেন অনীহা প্রকাশ করে তা খতিয়ে দেখে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ বিষয়ে ক্রিসেন্ট জুট মিলের মহাব্যবস্থাপক গাজী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে পাটক্রয়ের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ উৎপাদিত পণ্য মজুদ রয়েছে। দেশে ও বহির্বিশ্বে বর্তমানে পাটপণ্যের চাহিদা কম। চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রি হচ্ছে না। আর্থিক সংকটে চলছে মিল। ফলে কাঁচা পাট কিনতে পারছি না। মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কাঁচা পাটের অভাবে মিলে দৈনিক উৎপাদন যেখানে ৭০ টন ছিল, সেখানে ২৫-২৬ টনে নেমে এসেছে।’

ইস্টার্ন জুট মিলের প্রকল্প প্রধান ড. জিএএম মাহবুব উর রশিদ জুলফিকার জানান, পাটক্রয়ে অর্থের জোগান দিতে না পারায় উৎপাদন কমেছে। মিলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৩৪ মেট্রিক টন থাকলেও এখন তা সাড়ে ৭ মেট্রিকটন থেকে ১০ মেট্রিকটন পর্যন্ত পাটপণ্য উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদন হ্রাস পেলে ব্যয়ও বেড়ে যায়। এতে লোকসান হচ্ছে। তবে পাটক্রয় বাড়লে উৎপাদনও বাড়বে। বহির্বিশ্বে চাহিদা কমে যাওয়ায় মিলে পণ্য মজুদের পরিমাণ বাড়ছে। স্থানীয় বাজারে পণ্যে পাটের মোড়কীকরণ আইন বাস্তবায়ন হলে বিক্রি বেড়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/26/1540534048373.jpg

বিজেএমসির আঞ্চলিক সমন্বয় কর্মকর্তা শেখ রহমত উল্লাহ জানান, বহির্বিশ্বে পাটের চাহিদা কমে গেছে। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উৎপাদিত পাট পণ্যের মজুদ বেড়ে গেছে। মজুদ পণ্য বিক্রি করতে পারলে মিলগুলোর সংকট কেটে যাবে। প্রয়োজনীয় পাট ক্রয় করতে পারবে। পাটের মোড়কীকরণ আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে স্থানীয় বাজারে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাবে। সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে। অল্প সময়ের ভেতরে এ সংকট সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মিল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে কাঁচামাল হিসেবে মিলগুলির পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৬ কুইন্টাল। কিন্তু গত চার মাসে কেনা হয়েছে মাত্র ৮১ হাজার ৬১০ কুইন্টাল। যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১১ শতাংশ। অর্থাভাবে চাহিদা মতো কাঁচা পাট ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভব হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদনও। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হলে অর্থ সংকট কাটবে বলছে বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে পাট পণ্যের কিছুটা চাহিদা বেড়েছে। চাতাল মিলে প্রচুর পাট পণ্যের প্রয়োজন হয়। তবে ২০১০ সালের পাটের মোড়কীকরণের যে আইন আছে সেটি শতভাগ বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় বাজারে আরও বেশি পাট বিক্রি করা সম্ভব হবে। মিলগুলো আধুনিক করার জন্য সরকারের উদ্যোগও রয়েছে। খুলনার প্লাটিনাম মিলসহ ৬টি মিলে বিএমআরই এর পরিকল্পনা রয়েছে। মিলগুলোতে বর্তমানে বিএমআরই-এর কোনো বিকল্প নেই।

   

ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল বাস্তবসম্মত নয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল করা বাস্তবসম্মত নয়। প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের চেষ্টা হলো মূলধারার বিদ্যালয় গুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা। যারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা অটিজম বা যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের মধ্যে যাদের সাধারণ স্কুলে যাওয়ার নুন্যতম সক্ষমতা আছে, তাদেরকে সেখানেই দিয়ে দেওয়া। সেই স্কুলের শিক্ষকদেরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেন তারা একসাথে পড়াতে পারেন। এতে সাধারণ শিশুরাও সহমর্মী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর যাদের পক্ষে কোনভাবেই সাধারণ স্কুলে যাওয়া সম্ভব না, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ স্কুল শুধুমাত্র তাদের জন্য। সেজন্য শিক্ষক তৈরি করা বা কেয়ারগিভার তৈরি করা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়। কাজেই প্রতি ইউনিয়নে এরকম একটি করে স্কুল তৈরি করা খুব দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার হবে।

শনিবার(১৮ মে) বিকেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি কুড়িগ্রাম সদরের উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দীপু মনি এব্যাপারে আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কিছু বিশেষ স্কুল আছে। আমরা হুজুকে জাতি। একটা কিছু করা শুরু হলে আমরা সবাই মিলে সেটা করা শুরু করি। সারাদেশে এমন অনেক স্কুল গজিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে যে সবগুলোই খুব ভালো বা শিশুদের জন্য বিশেষ স্কুল তা নয়। আমরা সেটারও একটা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যেগুলো প্রকৃত অর্থেই বিশেষ স্কুল সেগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আমরা নিশ্চয়ই দেব। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে সাধারণ বিদ্যালয়ে যতদূর সম্ভব বিশেষ শিশুদেরকে আমরা যেন নিয়ে যেতে পারি।

সামনের অর্থবছরের জন্য আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকা নাগরিকদের ভাতার অর্থ বৃদ্ধি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে না। ভাতার পরিমাণটা আসলে কোনও ভাতাভোগীর জন্য একমাত্র অবলম্বন নয়। অনেকগুলো কারণে ভাতা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তিনি (সুবিধাভোগী) যেন নিজেকে অসহায় মনে না করেন। যেন ভাবেন, সরকার তার পাশে আছে।’ অবশ্যই দেশ ও সরকারের সক্ষমতা বাড়ার সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘অবশ্যই এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’ তবে ভাতাভোগীদের তালিকা প্রকাশ কিংবা তথ্যের সহজলভ্যতার বিষয়ে অধস্তন কার্যালয়কে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা দেননি মন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জাদুঘরে রক্ষিত ১৯৭৩ সালে কুড়িগ্রামে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের কৃতিসন্তান অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে রাত ৯ টার দিকে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন।

;

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;