রাঙামাটিতে এক বছরেও হয়নি আইসিইউ-সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট



আলমগীর মানিক, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভৌগলিক ও সামাজিক-সংস্কৃতিক পরিবেশের ভিন্ন নিয়ে প্রকৃতির উপর ভর করে চলা পার্বত্য রাঙামাটিতে ধাপে ধাপে বাড়ছে করোনাক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই গড়ে ২০/২৫ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে রাঙামাটিতে। প্রশাসনিক নানামুখী তৎপরতা সত্বেও এই জেলায় বহিরাগতদের আগমনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারনা করছে অত্রাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট্যরা।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রাঙামাটিতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সম্মুখ সারির যোদ্ধা পুলিশ ও স্বাস্থ্যবিভাগের লোকজনের সংখ্যাই বেশি। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মারুফ আহাম্মেদ জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত রাঙামাটিতে ২৮৮ জন পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর চলতি সপ্তাহেই রাঙামাটিতে অন্তত ২৬ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মারুফ আহাম্মেদ জানান, মূলত অন্যত্র থেকে রাঙামাটিতে বদলী হয়ে আসা এবং ছুটি কাটিয়ে রাঙামাটির কর্মস্থলে যোগদান করা পুলিশ সদস্যরাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে বসবাসকৃত পুলিশ সদস্যদের আক্রান্তের হার তেমন একটা নেই বললেই চলে। 

অপরদিকে রাঙামাটির স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দায়িত্ব পালনকালে চিকিৎসক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ প্রায় ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে রাঙামাটি কলেজের আবাসিক ভবনে অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টারে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সবিতা চাকমা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই করোনাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় রাঙামাটির সার্বিক পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নেই বললেই চলে।

প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এক বছরের বেশি সময় আগেই জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হলেও রাঙামাটিতে সেই নির্দেশনার সিকি ভাগও এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। বিষয়টি তেমন একটা সঠিক নয় জানিয়ে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই রাঙামাটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের পাইপলাইনগুলো বসানো হয়েগেছে। চলতি মাসের ২২ জুলাইয়ের পরে মূল রির্জার্ভার রাঙামাটিতে চলে আসবে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদাছছের হোসেন জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও রাঙামাটিবাসীকে নিরাপদে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এপর্যন্ত বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হওয়ায় তাদের নিরাপদে পৃথকভাবে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সর্বশেষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে একদিনে ১৯ জন। সোমবার এই সংখ্যা ছিলো ৩০ জনে। এপর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়েছে সর্বমোট এক হাজার ৮৪৭ জন। সুস্থ্যতা লাভ করেছে এক হাজার ৫৯৭ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে করোনা সনাক্তের পর হতে এখন পর্যন্ত রাঙামাটিতে মৃত্যুবরণ করেছে ১৯ জন। এপর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করেছেন ১৩ হাজার ৩২৮ জন এরমধ্যে নেগেটিভ এসেছে ১১ গাহার ৩৭৪ জন।

রাঙামাটির করোনার সার্বিক চিত্রানুসারে ক্রমান্বয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অত্রাঞ্চলের মানুষের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা প্রাপ্তিতে উৎকন্ঠাভাব বিরাজ করছে। জেলায় করোনা আক্রান্তদের জন্য দীর্ঘ একবছরেও আইসিও বেড ও সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রার্ন্তিকজনগোষ্ঠি নির্ভর এই জেলার অর্থনৈতিক অবস্থাও বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

শহরের উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে ব্যয়বহুল করোনা চিকিৎসা করাতো অনেক দূরের কথা? প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম থেকে রাঙামাটি শহরে আনতেই বর্তমান লকডাউন সময়ে ১০-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় করোনা আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে রাঙামাটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও আইসিইউ বেড স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;