আদালতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, এনওসিএস‘র সব স্টাফ বরখাস্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অবস্থিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে (অস্থায়ী) গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট সৃষ্টি হওয়ায় লালবাগ এনওসিএস‘র সকল স্টাফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

বহুল আলোচিত গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১০ অক্টোবর) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষেণা করেন। তবে রায় ঘোষণার সময় অন্ধকারে ছিল আদালত কক্ষ।

বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন। ওই সময়েই আদালত কক্ষের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায় পড়া চালিয়ে যান। এসময় আদালতের একজন কর্মকর্তা মোবাইলের টর্চ বের করে আলো দিতে থাকেন। এর মধ্যে একবার বিদ্যুৎ এলেও কয়েক মিনিট পরেই আবারো চলে যায়।

এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় রায় শোনার জন্য আদালতে উপস্থিত জনতা উৎসুক হলেও বিচারকের কণ্ঠ তারা শুনতে পাইনি। এজন্য কারো কারো মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণার দিনে আদালত চত্বরে বিদ্যুৎ না থাকায় দায়িদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কর্মকর্তাদের বরখাস্তের পাশাপাশি তদন্ত কমিটিও গঠন করারও নির্দেশ দিয়েছে।

সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, ডিপিডিসির প্রধান প্রকৌশলী সারয়ার ই কায়নাতকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব ফায়জুল করীমকে প্রধান করে পৃথক কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে বৃহস্পতিবারের (১১ অক্টোবর) মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লালবাগ এনওসিএস এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আহসান উজ জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, কমলদহ ফিডার ট্রিপ করায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। পরে চালু করলেও আবার লালবাগ থানার কাছে লাইনে আগুন ধরে যায়। রায়ের বিষয়ে আমরা আগে থেকেই এলার্ট ছিলাম। দ্রুত লাইন মেরামত করে সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আহসান উজ জামান আরও জানান, ঘটনাস্থলটি মিডফোর্ড সাব স্টেশনের অধীনে কমলদহ ফিডার নামে পরিচিত। এই ফিডারটি দিয়ে কারাগারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফিডারের চকবাজার নুরানী কোল্ডড্রিংকসের কাছে এরিয়াল ক্যাবলে ফল্ট হয় ১১ টা ৪২ মিনিটে। সাধারণত বৃষ্টিতে এ ধরণের সমস্যা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের একটি টিম আগে থেকেই কারাগার এলাকায় ছিলো। তারা ১২টা ৩ মিনিটে সরবরাহ চালু করে। পরে আবার ১২ টা ৮ মিনিটে বনফুলের সামনে আগুন ধরে যায়। এরপর ৫মিনিট বন্ধ রেখে মেরামত করা হয়।

এ ঘটনায় ডিপিডিসিও তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে।

   

ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে গেছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আসেন তিনি।

বিষয়টি ডিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারের সময় জব্দকৃত নিজের মোবাইল ফোন নিতে ডিবি কার্যালয়ে আসেন মাওলানা মামুনুল হক।

গত ৩ মে সকাল ১০টার দিকে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মামুনুল হক।

;

বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ

বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ'র (বিএমপি) ট্রাফিক পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে বরিশাল নগরীর সাগরদী এলাকার মেসার্স ডোস্ট ট্রেডার্স ফিলিং স্টেশন ও এলপিজি কনভারসন সেন্টারে এ অভিযানের উদ্বোধন করেন বিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা।

এসময় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও পেট্রোল পাম্পগুলোতে জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার সাঁটানো হয়েছে। পাম্প কর্তৃপক্ষকে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালকদের জ্বালানি না দিতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিএমপির ট্রফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা বলেন, সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে বিএমপির ট্রাফিক পুলিশ। হেলমেট ছাড়া জ্বালানি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি মোটরসাইকেলে চালকসহ দুজনের বেশি বহন করা যাবে না। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমপির ট্রাফিক পুলিশের টি আই আঃ রহিম, টি আই পল্লব, সার্জেন্ট জাকির, পুলিশ সদস্য সোহেল সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা।

;

শিগগিরই মাগুরায় রেলপথ চালু হবে: রেলমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিগগিরই মাগুরায় রেলপথ চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মধুখালি হতে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করে এ কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী। 

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিদের্শ দিয়েছেন মাগুরায় নির্মিতব্য রেলপথ মাগুরা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই রেললাইনটি মাগুরা থেকে সম্প্রসারিত হয়ে কালীগঞ্জ অথবা ঝিনাইদহের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে মধুখালি হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণের প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ যত দ্রুত শেষ করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ফরিদপুর অংশে জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের মাগুরা অংশের জমি অধিগ্রহণের জটিলতা নিরসনের জন্য সরেজমিনে দেখার জন্য এসেছি। জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। সব কিছু সমাধান করে আমারা যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, প্রকল্প পরিচালক মো. আসাদুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু প্রমুখ।

;

দুর্নীতি এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে তরুণদের রুখে দাঁড়াতে হবে: মেনন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানের তরুণ সমাজকে গোষ্ঠীতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতি-বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন, আজকের তরুণদের সামনে আমি বলি, যে রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি সেই রাষ্ট্রে আজকে তরুণদের মূল্য কি? আজ সেখানে যে শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে, সেই শাসন ব্যবস্থার স্বরূপটি কি। দুর্নীতি লুটপাট এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে আজকের তরুণ সমাজকে লড়াই করতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ও বাংলাদেশ যুব মৈত্রী আয়োজিত বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এর ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ৫২ থেকে ৭১-এ দেশের প্রতিটি লড়াইয়ে অনন্য অবদান রেখেছেন এদেশের তরুণ সমাজ। ৮০-র দশকে এরশাদ বিরোধী সংগ্রাম, ৯০-এর দশকে গণঅভ্যত্থানেও তরুণ সমাজ মূল ভুমিকায় ছিলেন।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরান্বিত হয়েছিল তরুণদের লড়াইয়ের কারণেই। তাই আজকের সে সমস্যা ও সংকট তা থেকে উত্তরণে তারুণ্যকেই এগিয়ে আসতে হবে।

মেনন বলেন, কেবল বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেও তারুণ্যের শক্তির কারণেই লড়াইয়ে বিজয় অর্জিত হয়েছে। আজকেও ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে পৃথিবীর দেশে দেশে ইসরায়েল ও সাম্রাজ্যবাদী লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তরুণ সমাজ। তারুণ্যের উত্থান ছাড়া অতীতে যেমন কোনো লড়াইয়ে বিজয় অর্জিত হয়নি, আগামীতেও তারুণ্যের জাগরণ ছাড়া মুক্তি আসবে না।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী আগ্রাসন চলছে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নানাভাবে দেশটাকে গ্রাস করছে, আর দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে ধনী-গরিবের বৈষম্য বেড়ে চলছে। তার বিরুদ্ধে তারুণ্যের উত্থান ঘটিয়ে লড়াইকে জোরদার করতে হবে। আমার বিশ্বাস তরুণরা ঘুরে দাঁড়াবেই।

বাংলাদেশ যুব মৈত্রী’র সভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা। বাংলাদেশ যুব মৈত্রী’র সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’র সভাপতি অতুলন দাস আলোসহ প্রমুখ।

এছাড়াও সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’র সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি।

;