দখলমুক্ত রামপুরার ডিআইটি রোডের ফুটপাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দখলমুক্ত হয়েছে রামপুরার ডিআইটি রোডের ফুটপাত

দখলমুক্ত হয়েছে রামপুরার ডিআইটি রোডের ফুটপাত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন পর রামপুরা কাঁচাবাজারের দখল থেকে মুক্ত হয়েছে ডিআইটি রোডের ফুটপাত। স্থানীয়রা বলছেন, কাঁচা বাজার উচ্ছেদে পর, স্বস্তি ফিরেছে ফুটপাতের পথচলায়। সদ্য কার্যক্রম শুরু হওয়া হাতিরঝিল থানা বলছে, এটি তাদের অন্যতম সফলতা।

রোববার (৭ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ডিআইটি রোডের ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। এই ফুটপাত আগে কাঁচা বাজারের দোকানদারদের দখলে ছিল, সেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।

পথচারীরা বলছেন, ফুটপাত কয়দিন আগেও পথচারীদের ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। কাঁচা বাজার, টং দোকান, খাবারের দোকানসহ নানা ধরনের দোকানের দৌরাত্ম্যের কারণে কোথাও পা ফেলার উপায় ছিল না। পথচারীরা বাধ্য হয়েই সড়কে নেমে পড়তেন।

২৬০/এ ডিআইটি রোডের আবু সাঈদ হোটেলের মালিক খালেক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার দোকান তো প্রায় বন্ধ হতে যাচ্ছিল। সকাল থেকে সন্ধ্যা ফুটপাত জুড়ে, সে কাঁচাবাজারের লম্বা লাইন। মানুষ দোকানে ঢুকবে, সে সুযোগ ছিল না। কাঁচা মাছের গন্ধে কেউ দোকানে বসতে পারতো না। এখন, কাঁচাবাজারের দোকানদাররা পাশে জায়গা করে বসে। ফুটপাত তারা ছেড়ে দিয়েছে। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/07/1538923369609.jpg

বেসরকারি চাকরিজীবী জান্নাত আরা বার্তা ২৪.কমকে বলেন, আমি এই এলাকায় ৪ বছর ধরে থাকি। আপনি ধারণা করতে পারবেন না যে, কতদিন এ রোডের মানুষের ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, দেখতাম মাঝে মাঝে এই ফুটপাত দখলমুক্ত হয়। আবার কয়েকদিন পর তারাই দখল করে। এবার শুনলাম হাতিরঝিল থানা এটা দখল মুক্ত করেছে। এখন পর্যন্ত আবার দখল হয়নি, দেখার বিষয় কতদিন চলে।

এদিকে কাঁচাবাজার সরে দিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করার বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সালমান হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই এই ফুটপাত নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল। হাতিরঝিল থানার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর, মানুষদের এই অভিযোগ গুলো আমলে নিয়ে  ফুটপাত দখল মুক্ত করি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিসি নির্দেশে এডিসি এই উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। 

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার হাফিজ আল ফারুক এ বিষয়ে বলেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, হাতিরঝিল থানার প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল, এই ফুটপাত দখল মুক্ত করে, মানুষের চলাচলের সুবিধা করে দেওয়া। তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকারের নির্দেশে, আমরা এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। এতে ঐ রোডে সাধারণ পথচারি উপকৃত হবে বলে আমরা আশা করি। 

   

২শ মৎস্যজীবীর আয়ের উৎস কাফ্রিখাল বিল ফিরে পেতে মানববন্ধন



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে ২'শ মৎস্যজীবীর জীবন-জীবিকার আয়ের উৎস কাফ্রিখাল বিল ফিরে পেতে ইজারা চেয়ে মানববন্ধন করেছে বৈধ মৎস্যচাষীরা।

রবিবার (২ জুন) বিকেলে মিঠাপুকুর কাফ্রিখাল বিলের পাড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীদের পক্ষে সমিতির সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ৭০/৭৫ বছর ধরে এই বিলে মাছ চাষ করে আসছি আমরা। সম্প্রতি কয়েক মাস পূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি প্রভাবশালী মহল এই বিল ইজারা নেয় যা আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীরা জানিনা। বরং রংপুর জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রক্রিয়াগত ভাবে বিল ইজারা দেয়ার দরপত্র আহ্বান করে। আমরা সেই নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র কিনে সরকারি কোষাগারে ৮ লক্ষ টাকা জমা করি। এবং ওই দরপত্রে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয় আমাদের কাফ্রিখাল বিল সমাজ ভিত্তিক মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। অথচ জেলা প্রশাসক আমাদেরকে ইজারা না দিয়ে কথিত একটি সংগঠনকে এই বিল ইজারা দেয়া হয়।

যে সংগঠনের লোকজন প্রকৃত মৎস্যজীবী নয়। একটি বহিরাগত প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের ইজারা না দিয়ে তথাকথিত মৎস্যজীবীদের ইজারা দেয়। এর জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানান মানববন্ধন অংশ নেয়া মৎস্যজীবীরা।

এসময় মানববন্ধনে অন্যান্য মৎস্যজীবীরা বলেন, অনতিবিলম্বে ভুমি মন্ত্রণালয়ের দেয়া ইজারা বাতিল করে পুনরায় কাফ্রিখাল বিল সমাজ ভিত্তিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে নতুন করে ইজারা দেয়ার জন্য রংপুর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

;

গাইবান্ধায় ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় মাটি ভর্তি ডাম্প ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক গম ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালক লুৎফর রহমান।

রোববার (২ জুন) বিকেলে উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের খোলাবাড়ী বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

৫২ বছর বয়সী নিহত গম ব্যবসায়ীর নাম গোলাম মাওলা। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা (সোনারপাড়া) গ্রামের মৃত আকবর আলী প্রধানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে নিহত গম ব্যবসায়ী গাইবান্ধা শহর থেকে গম ক্রয় করে বস্তাভর্তি গম নিয়ে ছাদ খোলা একটি অটোরিকশা যোগে সাদুল্লাপুরের বাড়ি ফিরছিলেন। অটোরিকশাটির বস্তার ওপর বসা ছিলেন ব্যবসায়ী গোলাম মওলা। ফেরার পথে তাদের অটোরিকশাটি গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের খোলাবাড়ী বাজার এলাকায় পৌঁছালে মাটি ভর্তি বেপরোয়া গতির একটি ডাম্প ট্রাক অটোরিকশাটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে গম ভর্তি অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এসময়

ব্যবসায়ী গোলাম মওলা অটোরিকশা থেকে ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে এবং ওই ডাম্প ট্রাকটির পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অপরদিকে, অটোরিকশা চালক রাস্তার বিপরীত পাশে পড়ে গুরত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত চালককে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সেরাজুল ইসলাম মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, "ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

;

মেহেরপুরে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর শহরের একটি পুকুরে গোসল করতে নেমে তৌফিক হোসেন (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তৌফিক হোসেন মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র এবং শহরের নতুনপাড়ার তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

রোববার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ বিষয়ে তৌফিকের বন্ধু রিফাত আলী জানায়, সে নিজে, তৌফিক, মিতুল, অয়ন ও তানিম স্কুলে যাওয়ার জন্য সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুলে না গিয়ে তারা শহরের মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে শুরু করে। সকাল ১০টার পর সেখান থেকে তারা শহরের গড়পুকুরে যায়।

একপর্যায়ে তারা সবাই পুকুরের সিঁড়ির নিচে অল্প পানিতে গোসল করতে নামে। গোসলের সময় হঠাৎ করে পা ফসকে গভীর পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে তৌফিক ও রিফাত। রিফাতকে অন্য বন্ধুরা উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও তৌফিককে কোনোভাবেই উপরে তুলতে পারেনি।

তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তৌফিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদেরও খবর দেওয়া হয়।
টানা এক ঘণ্টার চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তৌফিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এরপর তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনী মিয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। আর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।

;

থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতেই রিকশাচালককে খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা এলাকায় রিকশাচালক আলমগীর ফকির (৬৫) খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত রিকশাচালক মো. আরিফকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, লুডু খেলায় বাকবিতণ্ডা জের ধরে খাওয়া থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আরিফ।

গ্রেফতার মো. আরিফ ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন থানার দেওয়ানপুর গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মৃত আবদুল পাটোয়ারীর ছেলে। তিনি নগরের বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার ধুপপুলে গনি মাজনের বাড়িতে বাড়ায় থাকেন। পেশায় তিনি রিকশাচালক।

রোববার (২ জুন) এই তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা।

পুলিশ জানায়, নিহত আলমগীর এবং গ্রেফতার আরিফ একই গ্যারেজের রিকশা চালাতেন। গ্যারেজের ভেতরে লুডু খেলার একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তারা। এসময় নিহত আলমগীর আরিফকে একটি থাপ্পড় মারেন। এরপর তিনি প্রতিশোধের নেশায় গত ৩০ মে রাত আড়াইটার পর আলমগীরের রিকশায় চড়ে তাকে নিয়ে কাস্টম ব্রিজের ঢালে যান। পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি লোহার রেঞ্জ দিয়ে মাথায় এবং বুকে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর তাকে টেনে হিঁচড়ে মরদেহ ঝোপের মধ্যে আড়াল করে। এরপর রিকশা নিয়ে খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহত আলমগীরের ছেলে মো. মিরাজ চমেক হাসপাতালে গিয়ে তার বাবার লাশ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা আসামিকে শনাক্ত করি এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মূলত লুডু খেলাকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনার সূত্রপাত। এই খেলা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে তার ক্ষোভ আসামি আরিফ তার মনে পুষে রাখে এবং প্রতিশোধ প্রবণ হয়। পরবর্তীতে প্রতিশোধ নিতেই কৌশলে ভিকটিম আলমগীরকে ডেকে নিয়ে লোহার রেঞ্জ দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। ভিকটিমের ছেলের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;