নিরপেক্ষদের ‘ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা’ নিয়োগের পরিকল্পনা ইসির



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের আগে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে কমিশন। সংসদ নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে ইসি।

কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিটি নির্বাচনের সময় পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা আনা হয়। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে এটি সম্ভব নয়। কারণ এই নির্বাচনে একসঙ্গে তিনশটি আসনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলে সংসদ নির্বাচনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যাংক অফিসার, সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও ইতোপূর্বে যারা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছে এবং যারা নিরপেক্ষ ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ নেই তাদেরকেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে কমিশন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, সরকারের উপ-সচিব পদ মর্যদার কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বিধান রয়েছে। আর অন্যদের প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী কর্মকর্তা ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন মনে করলে শুধু সরকারিই নয়, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিককেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেহেতু তিনশ আসনে নির্বাচন হবে তখন আমাদের অনেক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রয়োজন হবে। সে জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা, প্রাইমারি ও হাই স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিসসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়াও ইতোপূর্বে যারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং যারা নিরপেক্ষ ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে কোনো দলীয় তকমা লেগেছে, এমন কোনো অভিযোগ নাই, স্বাভাবিকভাবেই আমরা তাদেরকেই সঠিক ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করব।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘সচিব কী বলছেন, সেটা আমি জানি না। এখন এগুলো তো কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়। কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে, কী হবে না হবে। এ বিষয়ে এখনো কমিশন সভা হয়নি, সিদ্ধান্তও হয়নি। সচিব সাহেব বলছেন, তা হয়তো তার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল অনুযায়ী, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুসারে, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে একজন সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও দুজন পোলিং অফিসার নিয়োগ করতে হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে অতিরিক্ত প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। তা ছাড়া প্রতি জেলায় বা নির্বাচনি এলাকায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ফলাফল সংগ্রহ এবং নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য অধিকসংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রয়োজন হতে পারে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিস্তারিত তথ্যসহ নামের তালিকা সংগ্রহ করতে হবে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সব নির্বাচনেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার একাধিক তালিকা প্রণয়ন করে থাকে। এবারও তাই করা হচ্ছে। কেননা, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে অনেককেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্যদের নিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নামের তালিকা পাঠাতে শুরু করেছে। প্যানেল তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। তবে চূড়ান্ত তালিকা নির্ধারণ হবে ভোটের আগে। এরমধ্যেই ওই সব কর্মকর্তাদের সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদন নেওয়া হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল তৈরির কাজ এখনো শেষ হয়নি। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে উল্লেখ করা আছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার বিধি-বিধান তুলে ধরা হয়েছে। বিধানটিতে বলা হয়েছে-

(১) প্রিসাইডিং অফিসার: (ক) সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা; (খ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ/সমমানের মাদরাসার শিক্ষক, ক্ষেত্র বিশেষে ডেমনস্ট্রেটর/কর্মকর্তা; (গ) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বীমা, করপোরেশন অথবা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা; (ঘ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়/সমমানের মাদরাসার প্রধান শিক্ষক/সহকারি প্রধান শিক্ষক, ক্ষেত্র বিশেষে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক এবং (ঙ) প্রয়োজনবোধে বেসরকারি ব্যাংক, বিমা অথবা নির্ভরযোগ্য যেকোনো বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানের উক্তরূপ কর্মকর্তা/কলেজ শিক্ষক/প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা।

(২) সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার: (ক) সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা; (খ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ/সমমানের মাদরাসা ডেমনস্ট্রেটর/কর্মকর্তা; (গ) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বিমা, করপোরেশন অথবা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা; (ঘ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়/সমমানের মাদরাসার প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/জ্যেষ্ঠ শিক্ষক/শিক্ষক এবং (ঙ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়/রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

(৩) পোলিং অফিসার: (ক) সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী; (খ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ/সমমানের মাদরাসার কর্মচারী; (গ) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বিমা, করপোরেশন অথবা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী; (ঘ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়/মাধ্যমিক বিদ্যালয়/সমমানের মাদরাসার শিক্ষক/কর্মচারী; (ঙ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়/রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং (ঙ) প্রয়োজনবোধে বেসরকারি ব্যাংক, বিমা অথবা নির্ভরযোগ্য যেকোনো বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানের উক্তরূপ কর্মকর্তা/কলেজ শিক্ষক/প্রধান শিক্ষক/সহকারি প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা।

   

লালমনিরহাটে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিস্তা নদীতে চার বন্ধু মিলে গোসল করতে গিয়ে জিহাদ (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে ) বিকেলে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুন্সির বাজার তিস্তা পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জিহাদ মিয়া উপজেলার কাশিরাম গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

স্থানীয়রা বলেন, আজ বিকেলে বাড়িতে না জানিয়ে চার বন্ধুর সঙ্গে তিস্তা নদীতে গোসল করতে যায় জিহাদ। গোসল করে সবাই উঠে এলেও জিহাদকে না পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অনেক সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করে বন্ধুরা। পরে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জিহাদকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, নিহতের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

;

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন জেলায় বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে নরসিংদীতে চারজন, টাঙ্গাইলে দুইজন ও গাজীপুরে একজনের মৃত্যু হয়। বার্তা২৪.কমে'র জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর...

নরসিংদী

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়া ও শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২)। এ ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। তারা সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

গাজীপুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে ধান শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে ফাতেমা আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার বাসিন্দা মোঃ নূর হোসেনের স্ত্রী।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতরা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

;

পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে পুকুরে লরি, মৃত্যু বেড়ে তিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা বিমানবন্দর সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি পুকুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি আছে আরও তিনজন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাসফিয়া আক্তার (২০) নামের এক তরুণী।

এর আগে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে পতেঙ্গায় বাটারফ্লাই পার্কের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি লরির ধাক্কায় পুকুরে চাপা পড়েন তাসফিয়া, তার স্বামী আনিসুজ্জামান সানি, বোন নুসরাত (৩৫) ও বোনের ৪ বছর বয়সী ছেলে নাজমুস সাবিকসহ ৬ জন পথচারী। পরে স্থানীয়দের সহযোহিতায় তাসফিয়া ও তার স্বামী সানিসহ ৫ জনকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক সানিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে পুুকুরে লরির নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ সাবিককে রাত ১২টায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আর আহত অবস্থায় এখনও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাসফিয়ার বোন নুসরাত, মো. ইমরান (৮) ও নুরুল আমিন (২১)।

জানা গেছে, তিন মাস আগে বিয়ে করেন সানি-তাসফিয়া। শুক্রবার পতেঙ্গার নাজির পাড়া এলাকায় তাসফিয়ার বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন তারা। এদিন বড়বোনের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নেভাল এলাকায় ঘুরতে যায় তারা। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফুটপাত ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। ওই সময় নিয়ন্ত্রণ হারানো লরিটি তাদের চাপা দিয়ে বাটারফ্লাই পার্কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়।

তিনজন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। চালকের সহকারী কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, লরিটি মূলত চালক সহকারী কামাল হোসেন চালাচ্ছিল। এক পর্যায়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের উপর দিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।

;

ঝিকরগাছায় যৌতুকবিহীন ৫০ বিয়ে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের ঝিকরগাছায় জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যৌতুকবিহীন ৫০ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে এসসিআই বাংলাদেশ-এর তত্ত্বাবধানে ও এসসিআই আরব আমিরাতের অর্থায়নে যশোরের ঝিকরগাছা গাজীরদরগাহ কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্সে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।

খুলনা বিভাগের অসহায়, এতিম ও আর্থিক সংকটে বিবাহ হচ্ছে না, এমন ৫০ জোড়া পাত্র-পাত্রীকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য বরকে একটি করে ভ্যানগাড়ি ও কনেকে একটি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে সংসার করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও দেওয়া হয়েছে।

গণবিয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্স গাজীরদরগাহ ঝিকরগাছার পরিচালক মুফতি নাসিরুল্লাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।

গণবিয়ের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজ থেকে যৌতুক উচ্ছেদের সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করতে হবে। যৌতুকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের প্রকৃত আদর্শিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে কলুষমুক্ত করতে হবে।

এসময় যৌতুকমুক্ত সমাজ গঠনে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।

;