চট্টগ্রামে চা বাগানে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার হাতছানি



আবদুস সাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির একটি চা বাগান/ ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির একটি চা বাগান/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চা বাগানকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে চট্টগ্রামে। এই অঞ্চলের চা বাগানগুলোতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ পর্যটকের সমাগম ঘটে। চা বাগানগুলোকে পর্যটন শিল্পের আওতায় আনা হলে চা উৎপাদনের পাশাপাশি পর্যটনখাত থেকেও সরকার রাজস্ব আয় করতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রকৃতির অপূর্ব লীলাভূমি ও সবুজের সমারোহ চট্টগ্রামের চা বাগানগুলোতে বছরের সব সময়ই দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে। প্রত্যেকটি বাগানেই রয়েছে দর্শনীয় লেক, নিজস্ব বাংলো, শ্রমিক শেড। সেই সাথে চা বাগানে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা বৈচিত্র্য যে কাউকে মুগ্ধ করে।

জানা যায়, দেশের ১৬২টি চা বাগানের মধ্যে ২১টি রয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে ফটিকছড়িতে ১৮টি, বাশঁখালিতে ১টি, রাঙ্গুনিয়ায় ১টি ও রাঙ্গামাটিতে ১টি রয়েছে। এ ২১টি চা বাগান জাতীয় অর্থনীতিতে অন্যন্য ভূমিকা রাখছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/27/1538038100330.jpg

প্রত্যেক চা বাগানে রয়েছে সবুজের সমারোহ সারি সারি চা গাছের ভ্যালি। যা যে কোন দর্শনার্থীর মনকে নাড়া দেয়। চা বাগান গুলোতে দেখার মতো অনেক দর্শনীয় স্থান থাকলেও অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব ও পর্যটন স্পট হিসেবে ঘোষিত না হওয়ায় এখান থেকে পর্যটনখাতে আয় করা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রামের চা বাগানগুলোকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার মতো রয়েছে অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্যের দর্শনীয় স্থান। সবুজের বিস্তীর্ণ সমারোহে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সাজিয়েছে এসব চা বাগানকে। তার ভিতর আরো সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে চা বাগান, রাবার বাগান বৃক্ষ বাগানসহ চিরযৌবনা খাল, নদী, ছড়া, সবুজে ঘেরা পাহাড় ও পুরনো স্থাপত্যসমূহ। 

চট্টগ্রামের ২১টি চা বাগানের প্রতিটিতে ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। প্রতিটি চা বাগানই আপন আপন সৌন্দর্য্যে সমৃদ্ধ। চা পাতা তোলার অপরূপ দৃশ্য, নজরকাড়া বাংলো, লেক, বিভিন্ন বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, মৎস্য খামার সব মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

এশিয়ার বৃহত্তম রাবার বাগানসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি রাবার বাগান। বাগানের সারিবদ্ধ গাছ, রাবার গাছের নির্যাস পড়ার দৃশ্য খুব সহজে মনকে রাঙ্গিয়ে তোলে। সরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বৃক্ষ বাগান। যেগুলো দেখলে নিমিষেই চোখ জুড়িয়ে যায়। তাছাড়া রয়েছে পাহাড়, পর্বত ও সবুজে ঘেরা বৃক্ষরাজি। নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রকৃতির একান্ত সুর এখানে পাওয়া যায়। 

কৃষক-কৃষাণীদের মাঠে কাজ করার দৃশ্য, রাখালের বাঁশির সুর ও গরুর পাল নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য, নৌকা ভাসিয়ে মাঝির ভাটিয়ালী গান সব মিলিয়ে বাংলার প্রকৃত রূপ এখানে ফুটে উঠেছে। রয়েছে বিভিন্ন জাতের মানুষের বসবাস। বিশেষ করে উপজাতীয়দের বৈচিত্রময় জীবন মনকে নাড়া দেয়।

সবকিছু মিলিয়ে সৌন্দর্য্যের আধার চা বাগান গুলো। পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠার এক সম্ভাবনাময় স্থান এসব বাগান। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, হোটেল-মোটেল, নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/27/1538038135619.jpg

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাবীব রহমান বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই ফটিকছড়ির কর্ণফুলী চা বাগানে গিয়ে বেশ ভালোই লেগেছে। চা বাগানে গেলে যে কারোরই বিষণ্ন মন ভালো হয়ে যাবে। তবে এসব চা বাগানকে পর্যটন স্পট হিসেবে ঘোষণা দিলে সরকারের আয় বৃদ্ধি করা যেত।’

ফটিকছড়ির হালদাভ্যালি চা বাগানের ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এমনিতেই সারা বছর দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে চা বাগানগুলো। অনেক বিদেশি মেহমান বাংলাদেশে আসলে চা বাগান দেখার জন্য এখানে আসেন। দেশি দর্শনার্থী তো আছেই। চা বাগানকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিতে হলে এখানে সরকারিভাবেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে।’  

চা বাগানের মালিক নাদের খান বলেন, ‘চা বাগানগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে। প্রতি বছর স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকে বাগান দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। সরকার এই খাতকে পর্যটন খাত হিসেবেও ঘোষণা দিতে পারে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করা হলে বিদেশিদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে।’

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (অবকাশ) জাকির হোসেন সিকদার বার্তা২৪কে বলেন, ‘চা বাগানগুলো এমনিতেই পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। বিনোদন পাওয়ার জন্য দর্শানির্থীরা চা বাগানে যায়। কিন্তু এটিকে করপোরেশনের আওতায় আনতে হবে এমন কোন কথা নেই। করপোরেশনের সেই সক্ষমতাও নেই।’

তিনি বলেন, ‘চা বাগানগুলো সরকার লিজ দিয়ে ব্যক্তি মালিকানায় দিয়ে দিয়েছে। সুতরাং মালিক পক্ষ ইচ্ছে করলে টুরিষ্টদের আকৃষ্টের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।’

বর্তমানে বাংলাদেশের ১৬২টি চা বাগানে বিশ্বের ৩ শতাংশ চা উৎপন্ন হয়। এই খাত ৪০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।

   

আজ ৭০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদযাত্রার শেষ দিন রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ৪২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ও তিনটি স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৭০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ্ আলম কবির কিরণ।

রোববার (১৬ জুন) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব জানান তিনি।

শাহ্ আলম কবির কিরণ বলেন, রোববার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ট্রেন স্টেশন ত্যাগ করেছে সবগুলো ট্রেনই প্রায় নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে। শনিবার যেহেতু গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে সেহেতু ছুটির পর থেকে সবগুলো ট্রেনেই এমন ভিড় ছিল। আমরা বিগত ৫ দিন যাবৎ সুষ্ঠু, সুন্দর ট্রেন যাত্রা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই আমরা যাত্রী সেবা দেয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি।

আমরা ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে দিয়েছি। মোট আসনের বিপরীতে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট যাত্রীদের অনুরোধে কাউন্টার থেকে দেয়া হয়েছে। টিকিটসহ যাত্রী যারা যাচ্ছে তারা যেন তাদের আসনে বসতে পারে এবং যে স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটলো কাউন্টার থেকে সে যেন অন্তত দাঁড়িয়ে হলেও তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। তিনস্তর বিশিষ্ট টিকিট চেকিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রতিটি ট্রেন যেহেতু সঠিক সময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে সেহেতু আমরা চাই যাত্রীরা যেন তার গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছাতে পারে। শনিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত অনেক বেশি যাত্রীর চাপ আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা যাত্রীদের ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ সারাদিন ৪২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন, মেইল লোকাল কমিউটার ২৫ জোড়া এ ছাড়াও তিনটি স্পেশাল ট্রেনসহ ৭০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে। এবং প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ যাত্রী এই কমলাপুর স্টেশন থেকে যাতায়াত করবে।

ছাদে যাত্রীর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই চাই কোনো যাত্রী যেন ছাদে ও ইঞ্জিনে, ব্যাফারে ভ্রমণ না করে তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়েই যেন টিকিট কেটে ভ্রমণ করে। আপনারা জানেন যে টিকিট যার ভ্রমণ তার এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা প্রচুর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তারপরেও এত পরিমাণ যাত্রীদের চাপ, সেটা ঠেকাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। প্রত্যেক যাত্রী যেন তার আসনে বসে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এটা আমরা চেষ্টা করছি।

;

বৃষ্টি না তাপপ্রবাহ, ঈদের দিন কেমন থাকবে!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
আবহাওয়া অফিস / ছবি: সংগৃহীত

আবহাওয়া অফিস / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর ঘুরে আবার এলো ঈদুল আযহা। অন্যদিকে প্রাকৃতিক হিসাবে ঋতুচক্রের আবর্তনে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। আষাঢ়ের প্রারম্ভে ঈদ হওয়ায় সবার মধ্যে একটা কৌতূহল, কেমন থাকবে কোরবানির ঈদের দিন আবহাওয়া! সেই কৌতূহলের ব্যাখ্যা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জিলহজ্ব মাসে আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ায় কোরবানির ঈদ অনষ্ঠিত হবে আগামীকাল ১৭ জুন।  

অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, ‘বর্ষার শুরুতে দেশের সব অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তাই ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় একেক রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,দেশের ঈদের দিন তিন বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া অন্য বিভাগগুলোরও কোনো কোনো অঞ্চলে কম-বেশি বৃষ্টি থাকতে পারে।’

ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘ঈদের দিন, অর্থাৎ ১৭ জুন দেশের রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাত হবে। একই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বইতে পারে। সাথে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অনেক ভারী বর্ষণ হতে পারে।’

ঈদের দিন বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রার কেমন থাকবে এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।’

;

ঢাকায় মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ি ও পাটির বাজারে মন্দা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানি শুরু হতে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টারও কম সময় রয়েছে। কিন্তু কোরবানির মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত কাঠের গুঁড়ি এবং হোগলা পাতার পাটি বাজার মন্দার কথা জানিয়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ধারদেনার বিনিয়োগ করে চরম বিপাকে পড়েছেন। মুনাফা তো দূরের কথা মূলধন তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কারণে ধার পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন তারা।

কল্যাণপুরে বিগত ১০ বছর ধরে পাটি ও খাটিয়ার ব্যবসা করে আসছেন মাহবুব মিয়া। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে কখনও এমন বাজার দেখিনি। আমি ৬টি ঢোপ (প্রতিটিতে ৪০টি) পাটি এনেছি, এখন পর্যন্ত ১টিও বিক্রি হয় নি। আবার মাংস কাটার খাটিয়া (কাঠের গুঁড়ি) বাজারও খারাপ। ২০০ খাটিয়া এনেছিলাম এখন পর্যন্ত ৫০টিও বিক্রি করতে পারিনি। অথচ অন্যান্য বছর আগের দিন থেকেই বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠতো। ঈদের আগের দিন বিকেলের মধ্যেই বেচাকেনা শেষ হয়ে যেতো।

মাহবুব মিয়ার পাশেই কাঠের গুঁড়ি ও পাটির পসরা সাজিয়ে বসেছেন আসাদুল ইসলাম। বেচাকেনা না থাকায় তারও মুখ মলিন। অন্য সময়ে সবজির ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম ধার করে ৪০ হাজার টাকার বিনিয়োগ করেছেন। এখন পর্যন্ত অর্ধেক পাটিও বিক্রি করতে পারেন নি। পাটি ও কাঠের গুঁড়ি নিয়ে মহা টেনশনে রয়েছেন। ঈদের চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিলেও ধারের টাকা পরিশোধ নিয়ে টেনশন মুক্ত হতে পারছেন না।

আসাদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, অর্ধেকের বেশি যদি বেচা না হয় তাহলে কি করব বুঝতে পারছি না। যেখান থেকে কিনে এনেছি তারাতো ফেরৎ নেবে না। আর এসব রাখবোই বা কোথায়।


তিনি বলেন, প্রতিটি পাটি কিনে এখানে আনতে ৮০ টাকার মতো খরচ পড়েছে। দেড় থেকে দুই’শ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন আরও কমে ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু তারপরও ক্রেতা নেই।

কম বিক্রি হওয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুল ইসলাম বলেন, কোরবানির গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কম কোরবানি দিচ্ছে। কারো কাছে হয়তো ১ লাখ টাকা আছে কিন্তু তাতে হচ্ছে না। আবার ঈদের আগে পরে শুক্রবার শনিবার থাকায় বেশি লোক গ্রামে গেছেন।

এক প্রশ্নের জাবে আসাদুল ইসলাম বলেন, ছেলে-মেয়ের জন্য নতুন কাপড় থাকলো দূরের কথা ঈদের জন্য যে একটু মাংস কিনবো সেই অবস্থা আর থাকলো না। ধারের টাকা ঈদের আগেই শোধ দিতে হবে। সেভাবে ওয়াদা দিয়ে নিয়েছি, এখন খুবই চিন্তা হচ্ছে। আগের বছর যারা ব্যবসা করেছে, তারা অনেক মুনাফা করেছে। তাই শুনে এই পথে নেমে ফেঁসে গেছি।

তেঁতুল কাঠের গুঁড়ি সদরঘাট থেকে আর হোগলা পাতার পাটিগুলো এনেছেন মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ থেকে। সাধারণত কল্যাণপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ও গাবতলীয় থেকে কোরবানির পশু কিনে ফেরার পথে পাটি ও কাঠের গুঁড়ি নিয়ে যান। বেচাকেনা না থাকায় মৌসুমী এসব ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।

প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী করোনা মহামারীর আগপর্যন্ত প্রতিবছর কোরবানি দেওয়া পশুর সংখ্যা বাড়ছিল। ২০১৯ সালে দেশে ১ কোটি ৬ লাখ ১৪ হাজার ২৮১ পশু কোরবানি দেওয়া হয়। করোনার সংক্রমণ দেখা দিলে ২০২০ সালে কোরবানি সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে পশু কোরবানির সংখ্যা আরও কমে (৯০ লাখ ৯৩ হাজারের কিছু বেশি) যায়। তবে ২০২২ সালে কোরবানি দেওয়া পশুর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে হয় ৯৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭২টি। সবশেষ ২০২৩ সালে পশু কোরবানি দেওয়া হয় ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি।

গত ১৬ মে সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এবার ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি, যা গতবারের চেয়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। আর চাহিদার তুলনায় ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি বেশি।

;

কবিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৫০০ পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
কবিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৫০০ পরিবার

কবিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৫০০ পরিবার

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কবিরহাটে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে ৩ হাজার ৫ শত ‍অসহায় পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের চাল পেয়ে খুশি এসব পরিবারগুলো।

রোববার (১৬ জুন) সকাল ৯টায় কবিরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে এই চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র জহিরুল হক রায়হান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কবিরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রতন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মামুনুল হক মামুন প্রমুখ।

মেয়র জহিরুল হক রায়হান বলেন, গরিব ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা যেন স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের আগে চাল পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

;