সরকারি টিকাকেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়, প্রস্তুত বেসরকারি হাসপাতাল

  করোনা টিকা


মানসুরা চামেলী, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ প্রতিদিনই বাড়ছে। বাড়ছে সরকারি টিকাদান কেন্দ্রে মানুষের ভিড় আর চাপ। ফলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোও প্রস্তুত হচ্ছে টিকা প্রদানের জন্য। বার্তা২৪.কম'র সরেজমিন তথ্য ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে করোনা টিকাকরণের এই সর্বশেষে পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চলছিল টিকাদান কর্মসূচির ৭তম দিন। বনশ্রী থেকে সেঁজুতি রহমান ও তার মা মুগদা হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে যান। তার সিরিয়াল পড়ে ৮১১ নম্বর রুমে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর টিকা নেন সেঁজুতি ও তার মা। সেঁজুতির মতো আরও অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিকা গ্রহণ করছেন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশে গণহারে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিনেই দ্বিগুণ হারে বাড়ছে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা। সরকারি হাসপাতালের কেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে চাপ। ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য সরকার টিকা কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

টিকা গ্রহীতাদের চাপ সামাল দিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে টিকাদান কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তারা সরকারের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে ২০ টি প্রাইভেট মেডিকেল ও হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চাহিদা অনুসারে সরকার চাইলে এর সংখ্যা বাড়ানো হবে।

বেসরকারি হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে চিকিৎসা সেবার ৬০-৬২ ভাগ দিয়ে থাকে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। হাসপাতালগুলোতে টিকা দেওয়া শুরু হলে মানুষ আরো উৎসাহিত হবেন। ইতিমধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। এখন সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।

বেসরকারি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম শুরু বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে আমরা করোনা টিকা দেব। তারা আমাদের কাছ থেকে কিনে নিবেন। বিষয়টি আমরা প্রসেস করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েছি। তাদের আমরা বেশি দেব না। ওরা চাচ্ছে তাই অল্প ভ্যাকসিন দেব। তাতে আমাদেরও লোড কম হবে। এসব টিকা শুধু ‘ভালো মানের’ হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজগুলোকে দেওয়া হবে। সেগুলো আমরা অনুমোদন করে দেব। তারাই শুধু ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) সভাপতি এম এ মুবিন খান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ ব্যাপক বেড়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলো ক্রমবর্ধমান ভিড়ের কারণে অনেক চাপে রয়েছে। সরকারের পক্ষে একা এত বড় কার্যক্রম সামলানো সম্ভব না। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি। এখন সরকার অনুমোদন দিলে কার্যক্রম শুরু করতে পারব। সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিলে সেই টাকা নিয়ে টিকা প্রদান করা হবে। আর যদি সরকার আমাদের ফ্রি দেয়- তাহলে আমরা শুধুমাত্র সার্ভিস চার্জটা নেব।

করোনা টিকার দাম, টিকা নিতে গেলে কত খরচ পড়বে- এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে টিকা আবিষ্কারের শুরু থেকে ব্যাপক আশঙ্কা ছিলো। কিন্তু জনগণের সব দুশ্চিন্তা দূর করে সরকার সারা দেশে বিনামূলে এই টিকা প্রদান করছে।  

সরকারের কাছে টিকার দামের বিষয়ে বেসরকারি মেডিকেল ও হাসপাতালগুলো কোন প্রস্তাবনা আছে কিনা- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করে দিবে আমরা সেভাবেই টিকা প্রদান করব। তবে সার্ভিস চার্জ বা মূল্য যেটাই নির্ধারণই হোক আমরা চাইব-সেটা যেন যৌক্তিক হয়। যেমন করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে সরকার যেটা নির্ধারণ করে দিয়ে আমরা সেভাবেই নিচ্ছি। কোন সমস্যা হচ্ছে না।

কবে নাগাদ এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে-এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরোটাই সরকারের উপর নির্ভর করছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০টি হাসপাতালে টিকা কার্যক্রম শুরু করব। প্রয়োজনে বাড়ানো হবে।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়ে এম এ মুবিন খান বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশের অনেক সম্পদশালী ব্যক্তি দুবাই যাচ্ছেন টিকা নিতে। বেসরকারি হাসপাতালে টিকা কার্যক্রম চালু হলে তারা দেশেই নিবেন। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের কথা চিন্তা করেন, তাদের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেওয়া কষ্টকর। তারা বাড়ির কাছে বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে পারবেন। একই সঙ্গে টিকা সংরক্ষণে ও প্রয়োগে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ ও নির্ভরশীলতা কমবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে বিপিএমসিএ’র করা আবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরে জমা হয়েছে। আরও ব্যাপকতার জন্য অধিদফতরও চাচ্ছে বেসরকারি মেডিকেলগুলোকে টিকাদান কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করতে।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কর্তৃপক্ষ থেকে একটি আবেদন পেয়েছি। আগামীকাল রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাব সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে ডিজি বলেন, আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মাত্র ছয়দিনে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন। আশা করি সামনে আরও সাড়া পাব।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। গণ হারে টিকাদানের প্রথম দিন ৭ ফেব্রুয়ারি মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬ লাখ ৮ হাজার ৯০১ জনকে করোনা টিকা প্রদান করা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, প্রতি মাসে ভারত থেকে ৫০ লাখ টিকা আমদানির বাইরেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ তৈরি হয়েছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা পাওয়ার। স্বাস্থ্য অধিদপতরের তথ্য মতে সরকার দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ তথা ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রতিজনকে দেওা হবে দুই ডোজ টিকা।

   

এইচএসসিতে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে বাধ্যতামূলক এই টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ফরম পূরণের সাথে হোম ভিজিটের নামে অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ।

জানা যায়, চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী বিষয়ে এবং চর্তুথ বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয় প্রতি আরও ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। কিন্তু এ কলেজে সুকৌশলে নির্ধারিত ফি নেওয়ার পরও বিবিধ নাম দিয়ে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আরও ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

এ বছর ওই কলেজ থেকে ১০৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছে বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে অতিরিক্ত বিবিধ নাম দিয়ে কিভাবে টাকা নিচ্ছেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আরিফ পাঠান। তিনি দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের হোম ভিজিট বাবদ ২০০০ টাকা,পরীক্ষায় পাস করার পর প্রশংসাপত্রসহ সনদের জন্য ১০০০ টাকা ও বাকি টাকা নতুন বিল্ডিং নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে নেয়া হচ্ছে ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, 'কলেজ থেকে এইচএসসি ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও হোম ভিজিটের নামে অতিরিক্ত টাকা রশিদের মাধ্যমে নিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কষ্ট হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত টাকা রশিদের মাধ্যমে জমা দিয়েছি। কিন্তু টাকাগুলো কোন খাতে কত টাকা আমাদের বলা হয়নি। এছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিভাবকরা ।'

জানতে চাইলে পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আরিফ পাঠান জানান, 'এটি প্রাইভেট কলেজ। এখানে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। বিবিধ নামে যে টাকা আদায় করা হয়েছে, সেগুলো হোম ভিজিট, প্রশংসাপত্র ও কলেজ উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।'

এদিকে পলাশ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিলন কৃষ্ণ হালদার জানান, 'নির্ধারিত টাকার বাহিরে অতিরিক্ত কোনো ধরণের টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। আর হোম ভিজিটের নামে টাকা আদায় করারও কোন বিধান নাই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

  করোনা টিকা

;

দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ৫ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল এবং ময়মনসিংহ জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এ অবস্থায় সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

  করোনা টিকা

;

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ভারতে গিয়ে চার দিন ধরে নিখোঁজ বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

পরিবারের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) জানানো হয়েছে, চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ নিয়ে স্বজনেরা উদ্বিগ্ন।

আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস রবিবার বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে যান। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান।

মুমতারিন ফেরদৌস ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবা ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। বিষয়টি জানাতে তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন।

ডিবি মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ভারতে একটি বাংলাদেশি মুঠোফোন ও একটি ভারতীয় মুঠোফোন ব্যবহার করেন। নম্বর দুটি কখনো বন্ধ আবার কখনো খোলা পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। আনোয়ারুল আজিমের কী হয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা চলছে।’

আনোয়ারুল আজিমের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ সাংবাদিকদের বলেন, গত ১২ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। ১৪ মে পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তবে ১৬ মে সংসদ সদস্যের মুঠোফোন থেকে আবদুর রউফের কাছে ফোন আসে। তিনি ফোন ধরতে পারেননি। পরে আবার তিনি ফোন করলে মুঠোফোনটি বন্ধ পান। এর পর থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সাল থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তিনি।

  করোনা টিকা

;

র‍্যাব হেফাজতে মৃত্যু, নান্দাইল থানার এসআই প্রত্যাহার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ময়মনসিংহ
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

র‍্যাব হেফাজতে সুরাইয়া খাতুন (৫২) মৃত্যুর ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) রাতে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে নান্দাইল থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) রাতে নান্দাইল মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নান্দাইলে গৃহবধূ রেখা আক্তার (২০) মৃত্যু মামলার আসামি তার শ্বশুর আজিজুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই নাজমুল হাসান। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই আসামিকে নান্দাইল মডেল থানায় ডেকে নেন এসআই নাজমুল। সেখানে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কিছুক্ষণ পরে তাদের ছেড়ে দেন। থানার সামনে আসতেই র‍্যাবের একটি দল আজিজুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়ে সুরাইয়াকে আটক করে ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এর পর শুক্রবার সকালে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরাইয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করে।

এ মৃত্যুর ঘটনায় সুরাইয়া খাতুনের স্বামী আজিজুল ইসলাম র‍্যাবের হেফাজতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন শনিবার দুপুরে সুরাইয়া খাতুনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয় উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দা গ্রামে।

নান্দাইল মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসআই নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন। এর চাইতে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. শামীম হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করেন, কাজের প্রতি তার আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। তাই, তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

  করোনা টিকা

;