ফাঁকিবাজ রাহাত স্যার!



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ): নাম রাহাত হোসেন শাকিল। তিনি গৌরীপুর চান্দের সাঁটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান না। হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। মাঝে মধ্যে দুই-একদিন কর্মস্থলে আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়েই চলে যান। তবে মাস শেষে ঠিকই বেতন উত্তোলন করেন।

সম্প্রতি এই শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম খান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অনুমতি ছাড়া রাহাতের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আর রাহাতের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাহাত হোসেন শাকিলের বাড়ি পৌর শহরের নয়াপাড়া মহল্লায়। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি চান্দের সাঁটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। সেখানে কয়েক বছর ভালোভাবে চাকরি করার পর হঠাৎ করেই বিদ্যালয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন শিক্ষক রাহাত। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে মাস শেষে বেতন উত্তোলন করতেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার রহস্যজনক কারণে এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করতেন।

তবে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল নাসরিন বিনতে সুলতানা ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলে কপাল পুড়ে রাহাতের। তিনি রাহাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাকে বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসার নির্দেশ দেন। এতেই বিরোধ শুরু হয় দুজনের মধ্যে। এর জের ধরে কিছুদিন আগে প্রধান শিক্ষককে হুমকিও দেন রাহাত।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত চান্দের সাঁটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২১৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এখানে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকের সংখ্যা রয়েছে ছয়জন। এরমধ্যে সহকারী শিক্ষক রাহাত অনিয়মিত হওয়ায় পাঁচজন শিক্ষক নিয়েই চলছিল এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক নাসরিন নিজের টাকায় দুজন খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছরের ৫ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত পিটিআইয়ে প্রশিক্ষণে ছিলেন প্রধান শিক্ষক নাসিরন। আর এই সুযোগে রাহাত হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করে চলে যেতেন। পরে বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোসেন ও মুজাহিদুল হক ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিষয়টি লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে খাতায় লিপিবদ্ধ করেন। ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে চান রাহাত। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বাধা দিলে তিনি হাজিরা খাতার পাতা ছিড়ে নিয়ে আসেন। ১৬ সেপ্টেম্বর ‘মা সমাবেশ’ পরিদর্শন করতে গিয়ে বিদ্যালয়ে রাহাতকে অনুপস্থিত পান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম খান। এরপর ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর বিনা অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে রাহাতকে শোকজ করেন প্রধান শিক্ষক। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর তার বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ের দাতা কমিটির সদস্য আব্দুল মোতালেব বলেন,‘রাহাত আমাদের গ্রামের সন্তান। সে ভালো কিছু করলে গ্রামের সুনাম, খারাপ কিছু করলে গ্রামের দুর্নাম। রাহাতের জন্য স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে এটা কখনোই কাম্য নয়। সে স্কুলে যে অনিয়ম করে যাচ্ছে, সেটা শুধরে নিয়ে যদি স্কুলে নিয়মিত আসে তাহলে আমরা ও এলাকাবাসী খুশি হব।’

প্রধান শিক্ষক নাসরিন বিনতে ইসলাম বলেন, ‘রাহাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে আমাকে গালমন্দ করে হুমকি দিয়েছে। হাজিরা খাতার পাতা ছিড়ে নিয়েছে। তাই শোকজের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। চাকরি করতে হলে রাহাতকে নিয়িমত স্কুলে আসতে হবে। নয়তো সে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যাক।’

এ বিষয়ে রাহাত হোসেন শাকিল বলেন,‘প্রধান শিক্ষকের শোকজের জবাব দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সেটা মীমাংসা হয়ে গেছে।’

জেলা শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন বলেন,‘রাহাতের বিরুদ্ধে পাঠদান ফাঁকি দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলন করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

   

রাজধানীতে ৬৫ বোমাসহ গ্রেফতার ৩ কারিগর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা হজী বাড়ি এলাকায় বোমা তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৬৫ বোমা ও বোমা তৈরীর তিন কারিগর আটক করেছে র‍্যাব-৩। 

বুধবার (২২ মে) রাতে অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।

তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে বিপুল পরিমাণ হাত বোমা উদ্ধার করেছি। বোমাগুলো শূন্যে বিস্ফোরণ ঘটানো যেতো৷ প্রতিটি বোমা বিস্ফোরণে ৩০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেত। সবকিছু বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বিপদজনক বিস্ফোরক দ্রব্য। 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে ফিরোজ কবীর বলেন, জঙ্গিরা মূলত কাট আউট পদ্ধতিতে কাজ করে। মূলত আজকে যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা টাকার বিনিময়ে কাজটি করে আসছিল। কোথায় এগুলোর ব্যবহার হবে তা তারা আমাদের জানাতে পারে নি। আমরা ধারণা করছি, আজকেই বোমাগুলো পাঠানোর কথা ছিল। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ বলেন, ‘আমার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কয়েকজন জঙ্গি বোমা তৈরি করে। গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারহ করে আসছে। এই তথ্য পাওয়ার পর গত ৮ থেকে ১০ দিন তাদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ২ থেকে ৩ দিন আগে আমরা একটা অভিযান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জঙ্গিদের নিজেদের মতানৈক্যের কারণে সেটি সম্ভব হয় নি। আজ বিকেলে এই স্থানের তথ্য পেয়ে অভিযান চালাই। তারা বাড্ডার এই বাসায় হাত বোমা তৈরি করছিলো। অভিযানে বোমা তৈরির সময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার তিনজন জানিয়েছেন, তারা সজিব নামের একজনের মাধ্যমে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার কাজের চুক্তিতে আসেন। তারা তিনজনেই জুতার কারখানায় কাজ করেন। ২৬ হাজার টাকার চুক্তিতে তারা এ কাজে আসেন। এখানে ছোট একটি ঘরে বোমাগুলো তৈরি শেষে ঘরটি তালা মেরে চলে যাবে। আর চাবি নির্দিষ্ট স্থানে মাটি খুড়ে রেখে যাওয়ার কথা ছিল। এই তথ্য সজিব ছাড়া কেউ জানবে না কোথায় চাবি। বোমাগুলো আজ রাতেই গাজীপুর যাওয়ার কথা ছিল। গাজীপুর থেকে কার কাছে যাবে সেটা মাসুম নামে একজন জানে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বোমাগুলোর গঠন, ওজনসহ বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে, বোমাগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই বোমাগুলো শূন্যে বিস্ফোরণ ঘটাতে সম্ভব৷ প্রতিটি বোমা বিস্ফোরণে ৩০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম ছিল। সবকিছু বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বিপজ্জনক বিস্ফোরক দ্রব্য। 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে ফিরোজ কবীর বলেন, ‘জঙ্গিরা মূলত কাট আউট পদ্ধতিতে কাজ করে। আজকে যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা টাকার বিনিময়ে কাজটি করছিল। যেহেতু সামনেই উপজেলা নির্বাচন ও ঈদসহ বেশকিছু রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান ছিল, তাই সেসময়ে বোমাগুলো ব্যবহারের কথা থাকতে পারে। আমরা সজিব ও মাসুম নামের দুজনের নাম পেয়েছি। তাদের পেলে মাসুমের ওপরে কারা আছে সে ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যাবে।’

বাড়িটিতে কতদিন ধরে ছিল জানতে চাইলে ফিরোজ কবীর বলেন, ‘তারা তিন স্থানে বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছিল। ডেমরা, সাভার ও গাজীপুরের মধ্যবর্তী একটি এলাকায় প্রস্তুতি নিয়েছিল। সজিব মূলত বাসা ঠিক করার দায়িত্ব পালন করে। তার সিগন্যালেই বাসা ঠিক করা হয়। পরবর্তীতে কারিগররা এসে কাজ শুরু করে। আজ সন্ধ্যায় এই স্থানটির নাম পেয়েছি। এর আগে ডেমরায় কাজ করার কথা ছিল। পরবর্তীতে এই বাসায় এসে কারিগররা এসে কাজ শুরু করে। এই বাসায় সজিব উপস্থিত ছিল। কিন্তু র‌্যাবের উপস্থিতি পেয়ে সটকে পড়েছে।  এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে কাজ করছি।’

বোমা তৈরির সরঞ্জাম তৈরির ‍সংগ্রহ হতো কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক পণ্য আছে যেগুলো সরাসরি অবৈধ না। যেমন ম্যাচ, সাইকেলের বল, কাচের টুকরো অবৈধ না। এগুলো আলাদাভাবে কেনা অবৈধ না। যখন এটা কিনে এনে জন-ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তখন এটা অবৈধ। আমরা বেশ কিছু দিন ধরে তাদের নজরদারি করেছি। আমরা দেখেছি বোমা তৈরির সরঞ্জাম বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে। কেমিক্যাল রাজশাহী থেকে এসেছে। কাচের টুকরো যাত্রাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ আলাদা আলাদা স্থান থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর সমন্বয় করেছে সজিব। আজ বিকেল থেকেই কাজ শুরু করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের অভিযান চলমান। বোম ডিসপোজাল ইউনিট সিদ্ধান্ত নেবে বোমাগুলো বহন করে দূরে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব হলে দূরে কোথায় এগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে, বুধবার (২২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারখানা অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) ইমরান খান।

উল্লেখ্য, বাড্ডা থানার টেকপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে হাতবোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে বাড়িটি ঘিরে রেখেছিল র‍্যাব। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

;

খুলনা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুন্না, সম্পাদক মিলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি এবং তিন সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের খুলনা ব্যুরো এডিটর মাহবুবুর রহমান মুন্নাকে সভাপতি এবং ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা মোহাম্মদ মিলনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।  

বুধবার (২২ মে) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক হারুন সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে তিন বছর মেয়াদি নতুন এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের তিন সদস্যের উপদেষ্টারা হলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা ও এনটিভিবিডিডটকমের খুলনা ব্যুরো প্রধান মুহাম্মদ আবু তৈয়ব।  

কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হান্নান (জাগো নিউজ টোয়েন্টি ফোরডটকম), সহ-সভাপতি মাহমুদ সোহেল (খুলনা নিউজ ডট কম), যুগ্ম সম্পাদক হাসানুর রহমান তানজির (আমাদের সময় ডট কম), কোষাধ্যক্ষ একরামুল হোসেন লিপু (খুলনা গেজেট), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম (খুলনা গেজেট), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বেলাল হোসেন সজল (সময় নিউজ), তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানজীম আহমেদ (সময় নিউজ)।  

এছাড়া নির্বাহী সদস্যরা হলেন, হুমায়ুন কবীর (এসবি নিউজ), সোহেল মাহমুদ (পূর্বাঞ্চল ডট কম), বিমল সাহা (উষার আলো), এসএম মাহবুবুর রহমান (নতুন সকাল ডট কম), আশাফুর রহমান কাজল (বার্তা২৪), ফেরদৌস আলম (ঢাকা টাইমস), নিপা মোনালিসা (খুলনা গেজেট), ইমরান খান (সময়ের খবর ডট কম) ও ইয়াসিন আরাফাত মীম (উষার আলো)।

;

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো অজ্ঞাত নারীর মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী মেরিন ড্রাইভ সড়কের মেম্বার ঘাটা নামক এলাকায় সমুদ্রের পানিতে ভেসে এসেছে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ। মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

বুধবার (২২ মে) রাত ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ -এ কল পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, মানুষজন জড়ো হতে দেখে সেখানে গিয়ে দেখলাম সমুদ্রের পানিতে উঠানামা করছে একজনের মরদেহ। পরে ৯৯৯ -এ কল দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯৯৯ -এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। নারীর মরদেহটি কার পরিচয় তৎক্ষনাৎ পাওয়া যায়নি। মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিচয় না মেলায় নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। 

;

যশোরে জেলি পুশ করা ২৬০ কেজি চিংড়ি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর থেকে ২৬০ কেজি জেলি পুশ করা বাগদা চিংড়ি মাছ জব্দ করেছে র‌্যাব-৬। 

বুধবার (২২ মে) বিকেলে রাজারহাট বাজারে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি এ এস পি হাবিবুর রহমান। মাছ ধ্বংস করার সময় উপস্থিত ছিলেন- যশোর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ।

একই সাথে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ওই মাছের মালিক খুলনা পাইকগাছা উপজেলার শামুকপোতা গ্রামের মা ফিশের প্রশান্ত মন্ডলকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

যশোরের কোম্পানি এ এস পি হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে তারা জানতে পারেন একটি ট্রাকে জেলি পুশ করা চিংড়ি মাছ পাইকগাছা থেকে মণিরামপুর হয়ে যশোরের দিকে আসছে। তখন আমরা ১৬ জন সদস্য বিশিষ্ট তাৎক্ষণিক রাজার হাট এলাকায় অবস্থান করি। ট্রাকের মধ্যে ১৮ ট্রেতে জেলি পুশ করা চিংড়ি মাছের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এক পর্যায় গাড়িতে থাকা কামাল হোসেন স্বীকারও করেন। পরে তাদেরকে জরিমানা করে জেলি পুশ করা সব মাছ ধ্বংস করা হয়।

যশোর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ বলেন, চিংড়ি মাছের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য কিছু অসৎ ব্যবসায়ী জেলি পুশ করে। কিন্তু তারা বোঝে না জেলি মানব দেহের জন্য কি পরিমাণ ক্ষতি। এ জেলিতে ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ হওয়ার সম্ভবনা খুব বেশি। তবে এ ধরনের অন্যায় মাছ চাষিরা করে না। এগুলো করে একটি অসৎ ব্যবসায়ী চক্র। আমরা গোপন তথ্যের মধ্য দিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। ‘মা ফিশ’র প্রশান্ত মন্ডলকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

;