অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি মজুচৌধুরীর হাট



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি মজুচৌধুরীর হাট। ছবি: বার্তা২৪.কম

অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি মজুচৌধুরীর হাট। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট, যেখানে রয়েছে মেঘনা নদীর বিস্তীর্ণ জলরাশি। মনে হয় কিছুদূরেই নদীতে মিশে আছে বিশাল আকাশ। ইচ্ছে হয় ছুটে গিয়ে আকাশ স্পর্শ করতে। সূর্যের আলোয় মেঘনার পানিতে সৃষ্টি হওয়া আলোকরশ্মি সবার মন কেড়ে নেয়। চাহনি থাকে নদীতে ভেসে থাকা মাছের দিকে। অতীতের কষ্ট ও গ্লানিগুলো মুছে যায় নদী থেকে ভেসে আসা হিমেল বাতাসে। প্রকৃতি আর মেঘনার সৌন্দর্যে একাকার এই এলাকাটি। আর এসব সৌন্দর্যেই মুগ্ধ হয়ে ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা।

সবুজের সমারোহ আর মেঘনার সৌন্দর্য দেখতেই দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে মজুচৌধুরীর হাটের মেঘনা নদী এলাকা। প্রতিদিনই এখানে দর্শনার্থীদের পদচারণা থাকে। তবে ধর্মীয় উৎসব কিংব ছুটির দিনে এই এলাকা দর্শনার্থীদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/11/1536670967599.jpg

নদী কিংবা সাগর সব সময়ই মানুষকে আকৃষ্ট করে। বিশেষ করে ভ্রমণ পিপাসুদের। আবার অনেকেই শত ব্যস্ততার মাঝেও মনকে সতেজ করতে এ জায়গায় ঘুরতে আসে। ছুটির দিনে পরিবার নিয়েও ঘুরতে দেখা যায় অনেককে। সবারই পছন্দনীয় স্থানের মধ্যে থাকে নদী উপকূলীয় এই এলাকা।

মেঘনার মতো দর্শনার্থীদেরও ঢেউ উঠে এখানে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকাটি দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে। এখানে রয়েছে নদীর বিশাল জল¯স্রোত। যেখানে গড়ে ওঠেছে মেঘনা নদী ও রহমতখালী খালের সেতুবন্ধন স্লুইচ গেট। যার ওপর দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর গোধূলীর অপরূপ দৃশ্য দেখে শীতল হয়ে ওঠে মন। আর অতীতের সকল গ্লানি মুছে দিয়ে যায় দক্ষিণা বাতাস। মেঘনার বিশাল ঢেউ দেখতে ও নদীতে ঘুরতে রয়েছে নৌকা ভ্রমণের সুবিধা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/11/1536671000822.jpg

সদর উপজেলার চররমনিমোহন ইউনিয়নের অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে মজুচৌধুরী হাটের মেঘনা নদীর এই অংশ। জেলাবাসীর কাছে এটি জনপ্রিয় স্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা এ স্থানটিতে আশপাশের জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা এসে ভিড় জমায়।

জেলা শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে এই পর্যটনকেন্দ্রটি অবস্থিত। তবে দর্শনার্থীদের সমাগমেই এটি অঘোষিত পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এখানে আসার সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। শহরের উত্তর তেমুহনি ও গোডাউন রোড এলাকা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে যাওয়া যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/11/1536671036279.jpg

আবার অনেকে রিকশাযোগে মজুচৌধুরীর হাটে ঘুরতে যান। সড়কের দুইপাশে বনবিভাগের গাছের সারির সৌন্দর্যের আভাস তাদের মুগ্ধ করে। শিশু কিশোররা ছবি তোলার জন্য সড়কের দু’পাশে ভিড় জমায়। তারা এ পরিবেশটি নিজেদের মতো করে উপভোগ করেন।

মেঘনা নদীকে ঘিরে আশপাশে গড়ে ওঠেছে জনবসতি। এখানে অনেক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায় হচ্ছে নদী। কেউ মাছ ধরে, কেউ পর্যটকদের নদী ভ্রমণে নিয়ে গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এটি লক্ষ্মীপুর জেলার একমাত্র লঞ্চ ও ফেরিঘাট। যেখানে ২১ জেলার হাজার হাজার যাত্রী প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/11/1536671074229.jpg

ঘুরতে আসা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার ইমরান মিরন বলেন,‘মজুচৌধুরীর হাট মেঘনা এলাকা আমার পছন্দের জায়গা। প্রায়ই বন্ধুদের সঙ্গে এখানে আসা হয়। এখানে এসে মনকে সতেজ করা ও অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার মতো পরিবেশ রয়েছে। এলাকার মানুষগুলোও দর্শনার্থীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেন।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের মাস্টার্স শেষ পর্বের ছাত্র জাবেদ হোসেন জানান, এখানে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসা-যাওয়া করে থাকে। তবে পরিকল্পিতভাবে এই এলাকাটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা গেলে দর্শনার্থীদের পদচারণা আরও বাড়বে। এতে পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরে আরও উন্নতি হবে।

   

গরিব জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখলে লজ্জা লাগে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমুখী উদ্যোগের ফসল এই মেট্রোরেল। বাংলাদেশকে স্মার্ট করতে হলে ঢাকাকে স্মার্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেল এর ব্রান্ডিং সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এখান থেকে বের হয়ে যখন রাস্তায় যাবো তখন গরিব গরিব চেহারার জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখা যাবে। এসব দেখলে আসলেই লজ্জা লাগে। আমাদের এতো সুন্দর মেট্রোরেলের যুগে এমন জরাজীর্ণ বাসগুলো কি মালিক সমিতির লোকেরা দেখেন না? তারা কি বিদেশ যান না?

;

বগুড়ায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের (৪০) স্ত্রী আনু বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) রাতে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন কৃষক।

রোববার (১৯ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান।

শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান।

এসময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু'জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলা সামান্য কেটে দেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের লাশ হেফাজতে নিয়ে আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে মনে হয়েছে, আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে গলায় সামান্য কেটে দেওয়া হয়।

ওসি আরো বলেন, গলায় যে যতটুকু কাটা দাগ রয়েছে, তাতে গলা কাটার কারণে তার মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;

লাঠি হাতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে অটোচালকদের বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিরপুরে লাঠিসোটা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালকেরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ ও মিরপুর ১০ নম্বর সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বরগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে মিরপুর সাড়ে ১১-তে গিয়ে দেখা যায়, রিকশাচালকরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তারা পূরবী এলাকা দিয়ে কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না। কেউ যানবাহন নিয়ে যেতে চাইলে তাকে ধাওয়া দিচ্ছেন।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকায় কয়েকশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রিকশাচালকদের বিক্ষোভের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

;

উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে মেট্রোরেলের ৫টি স্টেশন: এমএএন সিদ্দিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুটে নতুন ৫টি স্টেশন হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, রাজধানীর দ্রুতগামী গণপরিবহন হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬। বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষে যাত্রীরা চলাচল করছেন এ রুটে।

এই রুটে বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এমএএন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এই রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭.৫ কিলোমিটার। এ রুটে হবে নতুন ৫টি স্টেশন। এগুলো হলো- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

এসময় এমআরটি রুট অ্যালাইনমেন্ট বরাবর যানজট কমে গেছে দাবি করেন মেট্রোরেল এমডি।

;