কলার হেয়ার মাস্কে হোক চুলের সঠিক যত্ন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চুলের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে বিভিন্ন কারণেই। নিয়মিত শ্যাম্পু করা ও তেল ব্যবহারই চুলের যত্নে যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি চুলের প্রয়োজন পুষ্টিকর হেয়ার মাস্কও। হেয়ার মাস্কের জন্য খুব বেশি ঝক্কি ঝামেলার প্রয়োজন নেই। ঘরে থাকা কলার সাহায্যেই তৈরি করে নেওয়া যাবে উপকারী হেয়ার মাস্ক।

কলা ও নারিকেল তেলের হেয়ার মাস্ক

চুলের জন্য নারিকেল থেকে পাওয়া যাবে হিলিং উপাদান, যা চুলের ক্ষতি ও সমস্যাকে দূর করতে কাজ করে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের গভীরে প্রবেশ করে চুলকে তরতাজা ও প্রাণবন্ত করে। নারিকেল তেলের সাথে কলার মিশ্রণ চুলকে দীর্ঘস্থায়ী উজ্জ্বলতা প্রদান করে। পাশাপাশি চুলের জন্য প্রয়োজনীয় আর্দ্রতাও পাওয়া যাবে এই হেয়ার মাস্ক থেকে।

বিজ্ঞাপন

এই হেয়ার মাস্ক তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে একটি মাঝারি আকৃতির পাকা কলা, এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল ও এক টেবিল চামচ নারিকেল দুধ। সকল উপাদান মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, সকল চুলের গোড়ায় যেন এই মাস্কটি ঠিকভাবে ম্যাসাজ করা হয়। ম্যাসাজ শেষে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর চুল শ্যাম্পু করে নিতে হবে।

hair

কলা ও ডিমের হেয়ার মাস্ক

হেয়ার মাস্ক মূলত ব্যবহার করাই হয় চুলকে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি দানের জন্য। সেদিক থেকে কলা ও ডিমের হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে। প্রোটিনের অন্যতম উৎকৃষ্ট উৎস হল ডিম, যা একই সাথে চুলের বৃদ্ধিতেও প্রয়োজন। ফলে যাদের চুল শুষ্ক ঘরানার এবং বৃদ্ধি তুলনামুলক কম, তাদের জন্য এই হেয়ার মাস্ক।

বিজ্ঞাপন

এই হেয়ার মাস্ক তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে একটি মাঝারি আকৃতির পাকা কলা, একটি ডিম, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও এক চা চামচ মধু। প্রথমেই বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে হাতের সাহায্যে চটকে নেওয়া কলা, মধু ও অলিভ অয়েল দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে হবে। হেয়ার মাস্কটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত অ্যাপ্লাই করতে হবে। এতে করে চুলের গোড়া পুষ্টি পাওয়ার পাশাপাশি পুরো চুলই উপকারিতা পাবে। হেয়ার মাস্ক ৪০-৬০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর শ্যাম্পু করে নিতে হবে।

কলা ও অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক

অ্যালোভেরায় থাকা ভিটামিন-এ, বি, সি ও ই চুলের আগা ফাটার সমস্যা ও চুল পড়ার সমস্যা কমায়। এছাড়া খুশকির সমস্যায় অ্যালোভেরা বিশেষ উপকারিতা বহন করে। অ্যালোভেরা চুলের প্রাকৃতিক রঙকে বৃদ্ধি করতে এবং চুলে কন্ডিশনারের প্রভাব আনে বিধায়, চুল কোমল থাকে। এর সাথে কলার মিশ্রণ নিঃসন্দেহে হেয়ার মাস্ক হিসেবে দারুণ একটি কম্বিনেশন তৈরি করে।

ব্যবহারের জন্য দুইটি মাঝারি আকৃতির পাকা কলা এবং দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল প্রয়োজন হবে। সকল উপাদান মিশিয়ে চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে অ্যাপ্লাই করতে হবে। চুল শুকিয়ে আসলে শ্যাম্পুর সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে হবে।