শ্রীমঙ্গলের সেরা চা দেশব্যাপী পৌঁছাতে ‘চা কন্যা’



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘বিটিআরআই গ্রিন টি’র নমুনা। ছবি : বার্তা২৪

‘বিটিআরআই গ্রিন টি’র নমুনা। ছবি : বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীমঙ্গল: বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পানীয় চা। দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির বিস্ময়কর চমক যেদিন থেকে আবিস্কৃত হয়েছে- তারপর থেকে আজ পর্যন্ত সারা পৃথিবীর চাপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখেছে সে।

বাঙালির সাথেও চায়ের সখ্যতা আজকের নয়, বহু পুরোনো। কাজের ব্যস্ততায়, গল্প-আড্ডায়, বাড়ি কিংবা অফিসে অতিথির স্মার্ট আপ্যায়ন হিসেবে চা চাই-ই চাই। এর কোনো বিকল্প নেই। চুমুকে চুমুকে যেন প্রশান্তি।

তাই গত বছর (২০১৯) সালের দেশের চা শিল্পের ১৬৫ বছরের ইতিহাসে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।উৎপাদন করেছে ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি (৯ কোটি ৬০ লক্ষর কিছু বেশি) চা।

বাংলাদেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রচুর। এক চায়ের ভেতরেই রয়েছে নানা জাত, নানা দাম। সাধারণ ক্রেতারা কোনটি ভালো মানের চা, সেটা হুট করে বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে না বুঝেই যেকোন ধরনের চা কিনে ফেলেন এবং চা পান করে বুঝতে পারেন আসলে চা-টা ভালো হয়নি।

চা

দেশসেরা চা ‘টি গোল্ড’ (টিজি)। ছবি : বার্তা২৪

এমন প্রেক্ষাপটের অবসান ঘটাতে ‘শ্রীমঙ্গলের সেরা চা’ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সম্প্রতি ১০ মার্চ চালু হয়েছে ‘চা কন্যা’। শ্রীমঙ্গলের চায়ের বাজার থেকে উন্নতমানের চা কিনে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশব্যাপী শ্রীমঙ্গলের উন্নতমানের চাগুলো পৌঁছে দেয়া হয়।

চা কন্যার স্বত্বাধিকারী তনুশ্রী বার্তা২৪.কমকে এ ব্যাপারে বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলের চায়ের সুনাম সর্বত্র। কিন্তু দুঃখের কথা হচ্ছে অনেকেই নিম্নমানের চা অনেক দাম দিয়ে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। চাপ্রেমীরা তাদের কষ্টে উপার্জিত টাকায় যেন সর্বোচ্চ উন্নতমানের চা কিনতে পারেন তার শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা। অত্যন্ত সাশ্রয় মূল্যে গ্যারান্টেড চা বিক্রি করছি। ব্ল্যাক টি এবং গ্রিন টি দুটো রয়েছে আমাদের তালিকায়।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের ‘চা কন্যা’ নামক ফেসবুক আইডি  কিংবা শ্রীমঙ্গলের সেরা- "চা কন্যা" নামক পেইজে চা কন্যার ৭টি ক্যাটাগরির চায়ের নাম ও মূল্যসহ বর্ণনা দেয়া রয়েছে। আগ্রহীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী চা বাছাই করে আমাদের মোবাইল ফোনে (০১৭১৯ ৪৩২ ৯৯৯) অর্ডার করে থাকেন।

চা

চা কন্যার মূল্য তালিকা। ছবি : বার্তা২৪

এক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী চা এবং পরিমাণ নির্বাচন করে টাকা উত্তোলন চার্জসহ বিকাশ বা নগদে অগ্রিম প্রেরণ করতে হয়। টাকা পাবার পরই আমরা দ্রুত চাগুলো বুকিং করে থাকি। পরের দিনই চা ক্রেতারা হাতে পেয়ে যান। চা পান করেই দু-একজন ক্রেতা ফোন করে তাদের ভালোলাগার কথা জানান। খুব ভালো লাগে তখন। এভাবেই চলছে ‘চা কন্যা’ আমাদের কার্যক্রম।

দেশের সেরা চা ‘টি গোল্ড’ সম্পর্কে তনুশ্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই চা বাংলাদেশের সেরা চা। এটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিটিআরআই)। এটি ‘গোল্ডেন ব্রোকেন অরেঞ্জ পিকো’ বা ‘জিবিওপি’ গ্রেডের চা। যারা ফ্লেভার (ঘ্রাণ) পছন্দ করেন আবার স্ট্রং লিকারের (কড়া রং) চা চান তাদের কাছে এ চা খুবই পছন্দের। এটি স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় এবং কড়া লিকারযুক্ত। এই চায়ের ফ্লেভার (ঘ্রাণ) এবং টেস্ট (স্বাদ) দু’টিই চমৎকার। টিজি’র কেজি প্রতি মূল্য ৬৫০ টাকা।

চা

জিবিওপি গ্রেডের দেশের সর্বোচ্চ চা ‘টি গোল্ড’। ছবি : বার্তা২৪

বিটিআরআই গ্রিন-টি অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, গ্রিন-টি পানের উপকারিতা অনেক বেশি। ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা দূর করে, শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সহায়তা করে, ত্বকে সতেজতা আনে, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়, বার্ধক্যজনিত হাড়ক্ষয়ের পরিমাণ কমে যাওয়াসহ নানান উপকার পাওয়া যাবে এই পানীয় থেকে।

‘বিটিআরআই গ্রিন-টি’ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ গ্রিন টি। এটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিটিআরআই)। গরম পানিতে এর পাতাগুলো চা গাছের পাতার মতোই মেলে যায়। উন্নতমানের ক্লোন চা গাছের শুধুমাত্র একটি কোমল কুঁড়ি উত্তোলন করা হয়। তারপর বিটিআরআই গ্রিন-টি ফ্যাক্টরির ছোট-বড় ১৬টি মেশিনের মাধ্যমে গ্রিন টি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এই চায়ের প্রতি কেজির মূল্য দু’হাজার টাকা। চা কন্যাতে ২৫০ গ্রাম প্যাকেট প্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয় বলেও জানান তিনি।

চা

‘বিটিআরআই গ্রিন টি’র নমুনা। ছবি : বার্তা২৪

সারাদেশের চাপ্রেমীদের উন্নতমানের চা পান করানোর লক্ষ্যে কাজ করছে ‘চা কন্যা’। শুধু একবার পেইজে গিয়ে পছন্দমত অর্ডার করে চা পান করলেই বুঝতে পারবেন আমাদের চায়ের কোয়ালিটি কেমন, এমনটাই বলেন তনুশ্রী।

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;