নতুন বছর শুরু হোক সাধারণ ‘রেজ্যুলিউশন’ নিয়ে



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
নতুন বছরের শুরুটা হোক নতুন পরিকল্পনা নিয়ে

নতুন বছরের শুরুটা হোক নতুন পরিকল্পনা নিয়ে

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন বছর মানেই নতুন রেজ্যুলিউশন, নতুনভাবে নতুন বছরকে সাজানোর পরিকল্পনা। কী করা হবে নতুন বছরে তার প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়া হয় আবেগের বশবর্তী হয়ে। যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেজ্যুলিউশ অপূর্ণ রয়ে যায়।

এই সমস্যা থেকে বের হয়ে কীভাবে নতুন বছরটি বিগত বছরের চেয়ে ভালোভাবে কাটানো যাবে সেটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সহজভাবে বলতে- আপনি ঠিক করলেন যে নতুন বছরে আপনি নিজেকে সুস্থ রাখবেন। নিজেকে সুস্থ রাখার বিষয়টি অনেক বড় পরিসরে আসে। বিধায় এর পেছনে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন, তা ঠিকভাবে করা হয়ে ওঠে না।

রেজ্যুলিউশন ঠিক করার সময় এইভাবে না বলে ছোট পরিসরে নিয়ে আসতে হবে। যেমন- এ বছরে বেশি ফল ও সবজি গ্রহণ করবো। নিয়মিত দাঁতের চেকআপ করাবো। অল্প দূরত্বে হেঁটে যাতায়াত করবো। একদম সাধারণ ও ছোট এই রেজ্যুলিউশনগুলোই বড় ও ইতিবাচক ফল এনে দেবে।

এমন কয়েকটি রেজ্যুলিউশন এই ফিচারে উল্লেখ করা হলো সবার সুবিধার্থে। নিজেকে এই সকল রেজ্যুলিউশনের সাথে মানিয়ে নিতে পারলে শুরু থেকেই বছরটা কাটবে সুন্দরভাবে।

১. এতো বছরের খাদ্যাভ্যাসকে একদিনের মাঝেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। কিন্তু খাদ্যাভ্যাসের উপরেই সুস্থ থাকা অনেকখানি নির্ভরশীল। তাই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাঝে প্রথমেই রাখুন সবজি ও ফল নিয়মিত খাওয়া এবং বাইরের খাবার যথাসম্ভব কম খাওয়া। যখনই বাজার করবেন রংবেরংয়ের সবজি ও ফল কেনার চেষ্টা করবেন। এতে করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে আগ্রহ জন্মাবে।

২. ঢাকার শহরের দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়া দায়। সুস্থ থাকার জন্য নিয়ম মেনে চললেও নিজেকে সুস্থ রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। নতুন বছরে তাই নিজেকে উপহার দিন গাছ। ঘরের জন্য ইনডোর প্ল্যান্ট, সহজে বেড়ে উঠবে এমন গাছ বারান্দার জন্য এবং ছাদের জন্য নিতে পারেন মাঝারি আকৃতির গাছ। যদি গাছের পরিচর্যার জন্য পর্যাপ্ত সময়ের অভাব থাকে তবে এমন গাছ নির্বাচন করুন, যার জন্য খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হবে না।

new

৩. আপনি যেখানে থাকেন, অর্থাৎ আপনার বাড়ি ও ঘর আপনার উপর অনেকখানি প্রভাব তৈরি করে। এ কারণে নতুন বছরে নিজের সাথে নিজের ঘরকেও প্রাধান্য দিতে হবে। ঘর যতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে, নিজেকে ততই সুস্থ রাখা সম্ভব হবে এবং মন ভালো থাকবে। ঘরকে শুধু পরিষ্কার রাখাই যথেষ্ট নয়। সাথে ঘরে রঙিন ও উজ্জ্বল বর্ণের পর্দা ও কভার রাখতে হবে। সাথে সেন্টেড ক্যান্ডেল ঘরের পরিবেশকে বদলে দিতে পারে সম্পূর্ণভাবে।

৪. কাজ তো থাকবেই, কিন্তু তার মাঝ থেকে সময় বের করতে নিজের জন্য। বিরতি নিতে হবে, অবকাশ যাপন করতে হবে। তাই আগত বছরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। খুব দূরে হতে হবে তা নয়। নিজের সাধ্যের মধ্যে কোন কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া সম্ভব,ছুটির দিন দেখে সেটা বের করে ফেলুন। যত বেশি ঘোরা সম্ভব হবে, মন প্রফুল্ল থাকবে এবং মনোযোগের সাথে নিজের কাজ করা সম্ভব হবে।

৫. বই পড়ার চল উঠেই গেছে এখন। প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে বইয়ের প্রতি আকর্ষণ। সামনের বছরটিতে তাই বইয়ের দিকে ঝোঁকার চেষ্টা করুন। বই হাতে নিয়ে পড়ার অভ্যাসটি যদি অনেকদিন না থাকে তবে অডিওবুক শোনার মাধ্যমে এই অভ্যাসে ফিরে আসা যেতে পারে। শরীরচর্চা, রান্না কিংবা ঘর গোছানোর সময় অডিওবুক শোনার অভ্যাসটি বই পড়াকে নতুন রূপ দিবে।

new

৬. এবারের পয়েন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ডিক্লাটার। আপনার আশেপাশের সব অব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় জিনিস ডিক্লাটার করার পরিকল্পনা করুন সামনের বছর। যে জিনিসগুলো বছরের পর বছর ধরে ঘরে পরে আছে, সেগুলোকে সরিয়ে ফেললে শুধু যে ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা তৈরি হবে তাই নয়। সাথে নিজেকেও ফুরফুরে মনে হবে। এছাড়া ঘরে যত বেশি জিনিস থাকবে, এতে ধুলাময়লা জমবে এবং অসুস্থতাও বেশি দেখা দেবে।

৭. রুটিন মাফিক জীবনে ব্যতিক্রম ও ভিন্ন কিছু করা হয়ে ওঠে কি কখনো! নতুন বছরে এই বিষয়টি মাথায় রাখুন। একেবারেই নতুন কোন কাজ করুন, শখ গড়ে তুলুন। সেটা হতে পারে ছবি আঁকা, ছবি তোলা, বই পড়া কিংবা নতুন স্থানে ভ্রমণ। মূল কথা, নিজের পছন্দ অনুযায়ী নতুন কোন কাজকে স্বাগত জানান নতুন বছরে।

   

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;

গরমেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে সুপারফুডে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মের এই সময়টাতে নিয়মিত সুপারফুড খাওয়ার অভ্যাস ত্বকের  সুস্থতা ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। গ্রীষ্মকাল সাধারণত সূর্যালোক এবং উচ্চ তাপমাত্রার এক্সপোজার নিয়ে আসে। এতে  পানিশূন্যতা ও সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব ত্বকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

এই সময়ে ডায়েটে পুষ্টিকর সুপারফুড অন্তর্ভুক্ত থাকলেই মিলবে সমস্যার সমাধান। ত্বককে সুরক্ষা এবং পুষ্টি সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেশন সরবরাহ করতে পারে এসব সুপারফুডগুলো। 

গ্রীষ্মকালীন এমন প্রয়োজনীয় সুপারফুডগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এসব খাবার স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডায়েটে যোগ করতে পারেন আপনিও।

উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গ্রীষ্মকালীন ১০টি সুপারফুড:

১. বেরি

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরি জাতীয় খাবার ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ; যা ফ্রি র‌্যাডিকেলের সাথে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। স্যালাড, স্মুদি বা স্ন্যাক হিসাবে এগুলো তাজা খাওঅর চেষ্টা করুন।

২. তরমুজ

এই হাইড্রেটিং ফলের মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করে ত্বককে স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এর সতেজ রস শরীরের ও ত্বকের সুস্থতা বাড়ায়।

৩. শসা

উচ্চ পানিগ্রাহী খাবার শসা আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং টক্সিনগুলোকে বের করে দেয়। শসায় সিলিকাও রয়েছে, যা দৃঢ় এবং কোমল ত্বকের জন্য কোলাজেন উত্পাদনকে উত্সাহ দেয়। সালাদ, তরকারি বা নাস্তার উপাদান  হিসেবে শসা উপভোগ করুন।

৪. টমেটো

লাইকোপেন সমৃদ্ধ টমেটো ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের গঠন উন্নত করে। রান্না করা টমেটো বা টমেটো পেস্ট আরও বেশি উপকারী; কারণ লাইকোপিন আরও জৈব উপলভ্য হয়ে ওঠে। সালাদ, স্যুপ বা সস হিসেবেও টমেটো খেতে পারেন।

৫. অ্যাভোকাডো

স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ই দিয়ে পরিপূর্ণ, অ্যাভোকাডোস ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে এবং অকাল বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। টোস্টে, সালাদে, বা ক্রিমি স্মুদিতে মিশ্রিত করে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।

৬. পালং শাক

এই সবুজ পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকের মেরামত এবং পুনর্নবীকরণ করে। এতে আয়রন এবং ক্লোরোফিলও রয়েছে, যা ত্বককে ডিটক্সিফাই করে এবং বর্ণ উন্নত করে। সালাদে কাঁচা, ভাজা বা স্মুদিতে মিশিয়ে পালং শাক খেতে পারেন।

৭. সালমন

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্যামন ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এটিতে অ্যাটাক্সান্থিনও রয়েছে, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। একটি সুস্বাদু এবং ত্বকের জন্যও পুষ্টিকর- এমন খাবারের জন্য গ্রিলড, বেকড বা পোচড খেতে পারেন।

৮. নারকেল

নারকেলের পানি বা তেল বা মাংসের অংশ সবকিছুই হাইড্রেটিং করে এবং এতে মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। নারকেল তেলকে ময়শ্চারাইজার হিসেবে বা স্কিনকেয়ার রেসিপিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৯. হলুদ

এই সোনালি মশলাটিতে কারকিউমিন রয়েছে, যার মধ্যে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একটি পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল বর্ণকে উন্নীত করে।ত্বকের উন্নতির জন্য তরকারি, স্মুদি বা গোল্ডেন মিল্কের সাথে এটি যোগ করতে পারেন।

১০. ডার্ক চকোলেট

কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোকোসহ উচ্চমানের ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা ত্বকে রক্ত​​প্রবাহ উন্নত করে একটি স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এটি পরিমিতভাবে খেতে পারেন বা স্মুদি বা ডেজার্টে কোকো পাউডার হিসেবে যোগ করতে পারেন।

মনে রাখবেন, যদিও এই সুপারফুডগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত করতে সক্ষম, তবে সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং পুরো শস্য সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, হাইড্রেটেড থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া এবং ত্বকের যত্নের ভালো অভ্যাস অনুশীলন করা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

;

গরমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড রোদে চারদিকে সবার অবস্থা যখন নাজেহাল তখন উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অবস্থা আরও করুণ। কারণ অতিরিক্ত গরমে এসব রোগীদের শারীরিক অবস্থা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে রোদে বের না হওয়াই ভালো। কারণ রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আবার কেউ কেউ মাথার যন্ত্রণারও শিকার হতে পারেন।

উচ্চ রক্তচাপের রোগী হলে সাধারণ দিনেই নিজের যত্ন নিতে হয়। কারণ এই রোগের হাত ধরে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগ আসে। আর এই তীব্র গরমে প্রেশারের রোগীদের একটি বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কারণ প্রখর রোদে রক্তচাপ আরো বেড়ে যেতে পারে। গরমে রক্তনালী স্ফীত হয়ে যায়। এর জেরেই বাড়ে রক্তচাপ। তখন সাবধান না থাকলে ঘটতে পারে মৃত্যুও।

উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বাড়তি সতর্কতা মানতে হবে

হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখার মতোও উপসর্গ দেখা দিতে পারে। রাস্তায় বেরিয়ে এমন ঘটনা ঘটলে কী করবেন?

রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে বা মাথা ঘোরা অনুভব করলে সাবধান হয়ে যান। তখন রোদ থেকে সরে দাঁড়ান। গাছের নিচে বা কোনো ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিতে পারেন। এই কারণে চিকিৎসকেরা বলছেন, রোদে বের হলে ছাতা ও পানির বোতল সাথে রাখা ভীষণ জরুরি। রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে শরীরে মারাত্মক অস্বস্তি তৈরি হয়। তখন শীতল কোনো জায়গায় বসে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিন। ঠান্ডা পানি পান করুন। মুখে-চোখে, ঘাড়ে পানি দিন। এরপরও যদি অস্বস্তি না কমে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

এই গরমে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েকটি পরামর্শও মেনে চলতে পারেন।

১. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন প্রেশারের ওষুধ খেতেই হবে। এক্ষেত্রে একদিন প্রেশারের ওষুধ না খেলেই মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

২. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

৩. লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময় নোনতা জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। ৪. গরমে বাইরের খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।

৫. গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে দিনে দুইবার গোসল করুন।

 

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা 

;

গরমে যে ৫ সবজি শরীর ঠান্ডা রাখে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসহনীয় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খেতে হবে সবজি। যে হারে গরম বাড়ছে, তাতে শরীর যেন ঠান্ডা থাকে, সে দিকেও নজর দিতে হবে। পেট ঠান্ডা রাখতে অনেকেই ডাবের জল, লেবু কিংবা পুদিনার শরবত খাচ্ছেন। শরীরের ভেতরে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে বলে ঘন ঘন আইসক্রিমও খাচ্ছেন।

তবে কী খেলে এই গরমে শরীরের ভেতর ঠান্ডা থাকবে জেনে নিন। 

শসা

এই গরমে শসা না খেলে পেটের সমস্যা অবধারিত। শসাতে জলের পরিমাণ বেশি। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এই ফল। শরীরে যে তাপ উৎপন্ন হয়, শসা তা শোষণ করে নিতে পারে। হজমের গোলমাল কমাতেও শসা উপকারী।

লাউ

গরমে লাউ খেতে পারেন। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে। এই সময়ে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। লাউ কিন্তু সেই ঘাটতি পূরণ করবে। তা ছাড়া, পেটের সমস্যা যাদের রয়েছে, লাউ তাদের জন্য বেশ উপকারী।

ঝিঙে

রুই মাছ দিয়ে ঝিঙের ঝোল বাঙালির আলাদা একটা প্রেম আছে। এই সবজি রান্না করার সময়ে যে পরিমাণ জল বেরোয়, তাতেই বোঝা যায় এতে কতটা পরিমাণ জল আছে। গ্রীষ্মকালীন নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমায় ঝিঙে।

বিট

বিট শীতকালীন সবজি। তবে সারা বছরই বাজারে চোখে পড়ে বিট। ‘হিট ওয়েভ’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুস্থ থাকতে বিট খাওয়া জরুরি। বিট পেটের গোলমাল কমায়। শরীরের ভেতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। বিট খেলে হজমের সমস্যাও কমে।

লেটুস

বাজারে গিয়ে লেটুস দেখতে পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কিনে নিন। গরমে লেটুস খাওয়া সত্যিই উপকারী। লেটুস পাতায় জলের ভাগ বেশি। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে এই পাতা। এ ছাড়া, শরীরের তাপমাত্রা কমাতে লেটুসের জুড়ি মেলা ভার। পেটের সমস্যাও কমায় এই পাতা। লেটুসের গুণে গরমেও চাঙ্গা থাকা যায়।

সূত্র: আনন্দবাজার

 

;