শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে যা খাওয়া প্রয়োজন



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন কমানো একেবারেই সহজ কোন বিষয় নয়।

এর জন্য সঠিক নিয়মে খাদ্যাভ্যাস ও সময়মতো শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। এই উভয়ের সংমিশ্রণেই ওজন কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে প্রচণ্ড ক্ষুধাভাব দেখা দেয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পরে। এ সময়ে কোন খাবারগুলো খেলে ডায়েটের উপর প্রভাব ফেলবে না এবং শরীর তার প্রয়োজনীয় শক্তি ফিরে পাবে, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে আজকের ফিচারে।

পানি ও পানীয়

স্মুদি

 

শরীরচর্চা, দৌড়ানো কিংবা হাঁটার সময় প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অল্প সময়ের মাঝে অনেক বেশি পানি বের হয়ে যায়। শরীরে পানির ঘাটতি কাটাতে শরীরচর্চা শেষে দ্রুত পানি ও স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করতে হবে। ফল ও সবজির তৈরি স্মুদিও এক্ষেত্রে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে কাজ করবে। স্মুদির পাশাপাশি রাখা যেতে পারে ফলের রস অথবা লেবু-মধুর শরবতও।

কলা

ফলের স্মুদি যদি পান করতে ইচ্ছা না করে তবে পানি পান করে দুইটি মাঝারি আকৃতির কলা খেয়ে নিতে হবে। শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ফলের মাঝে কলা সবচেয়ে বেশি উপকারিতা বহন করবে। কারণ কলাতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম ও উপকারী কার্ব শরীরে শক্তি যোগাবে।

ডিম

সহজে হাতের কাছে রাখা যায় ও দ্রুত খেয়ে নেওয়া যায় এমন খাবারের মাঝে ডিম থাকবে সবার উপরে। বিশেষত শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো একটি খাদ্য উপাদান এই ডিম। একটি মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যাবে ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন ও ৭০ ক্যালোরি। শরীরচর্চার ফলে ক্লান্ত শরীরকে শক্তি প্রদানে ডিম অন্যতম একটি উপকারী উৎস।

কুইনো

কুইনো

 

শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে প্রবল ক্ষুধাভাব দেখা দেয় এবং ক্লান্তি বোধ হয়। এ সময়ে ক্ষুধা নিবারণ ও ক্লান্তি দূর করার জন্য কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খুব চমৎকার কাজ করে। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের মাঝে কুইনো গ্রহণ করা হবে সবচেয়ে ভালো উপায়। কুইনো আমাদের দেশে কাউন চাল নামে পরিচিত। যা সাদা চালের ভাতের মতো ক্ষতিকর নয় একেবারেই। সাধারণ সবজি বা ডিমের সাথে এক কাপ পরিমাণ কুইনো খেয়ে নিলে অনেকটা রিফ্রেশ লাগবে।

মিষ্টি আলু

কুইনো যাদের পছন্দ নয় তারা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের জন্য রাখতে পারেন মিষ্টি আলু। অসংখ্য পুষ্টি উপকারিতা সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয়ে থাকে অন্যতম স্বাস্থ্যকর একটি সবজি। বিশেষত এতে থাকা স্বাস্থ্যকর কার্বের সাথে আরও থাকে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমূহ। যা শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে শরীরকে চাঙ্গা করতে উপকারী ভূমিকা রাখে।

বাদাম

বাদাম

 

দীর্ঘসময় শরীরচর্চায় কাটানোর পর শরীরে উপকারী ফ্যাটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। উপকারী ফ্যাটের মাঝে বাদাম থাকবে সবার আগে। কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তাবাদামের মতো উপকারী প্রাকৃতিক উপাদানকে হাতের কাছে রাখলে শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে সহজেই খেয়ে নেওয়া যাবে। খেয়াল রাখতে হবে একবারে ৭-৮ টি বাদামের বেশি খাওয়া উচিত হবে না।

   

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;

গরমেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে সুপারফুডে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মের এই সময়টাতে নিয়মিত সুপারফুড খাওয়ার অভ্যাস ত্বকের  সুস্থতা ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। গ্রীষ্মকাল সাধারণত সূর্যালোক এবং উচ্চ তাপমাত্রার এক্সপোজার নিয়ে আসে। এতে  পানিশূন্যতা ও সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব ত্বকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

এই সময়ে ডায়েটে পুষ্টিকর সুপারফুড অন্তর্ভুক্ত থাকলেই মিলবে সমস্যার সমাধান। ত্বককে সুরক্ষা এবং পুষ্টি সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেশন সরবরাহ করতে পারে এসব সুপারফুডগুলো। 

গ্রীষ্মকালীন এমন প্রয়োজনীয় সুপারফুডগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এসব খাবার স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডায়েটে যোগ করতে পারেন আপনিও।

উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গ্রীষ্মকালীন ১০টি সুপারফুড:

১. বেরি

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরি জাতীয় খাবার ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ; যা ফ্রি র‌্যাডিকেলের সাথে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। স্যালাড, স্মুদি বা স্ন্যাক হিসাবে এগুলো তাজা খাওঅর চেষ্টা করুন।

২. তরমুজ

এই হাইড্রেটিং ফলের মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করে ত্বককে স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এর সতেজ রস শরীরের ও ত্বকের সুস্থতা বাড়ায়।

৩. শসা

উচ্চ পানিগ্রাহী খাবার শসা আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং টক্সিনগুলোকে বের করে দেয়। শসায় সিলিকাও রয়েছে, যা দৃঢ় এবং কোমল ত্বকের জন্য কোলাজেন উত্পাদনকে উত্সাহ দেয়। সালাদ, তরকারি বা নাস্তার উপাদান  হিসেবে শসা উপভোগ করুন।

৪. টমেটো

লাইকোপেন সমৃদ্ধ টমেটো ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের গঠন উন্নত করে। রান্না করা টমেটো বা টমেটো পেস্ট আরও বেশি উপকারী; কারণ লাইকোপিন আরও জৈব উপলভ্য হয়ে ওঠে। সালাদ, স্যুপ বা সস হিসেবেও টমেটো খেতে পারেন।

৫. অ্যাভোকাডো

স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ই দিয়ে পরিপূর্ণ, অ্যাভোকাডোস ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে এবং অকাল বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। টোস্টে, সালাদে, বা ক্রিমি স্মুদিতে মিশ্রিত করে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।

৬. পালং শাক

এই সবুজ পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকের মেরামত এবং পুনর্নবীকরণ করে। এতে আয়রন এবং ক্লোরোফিলও রয়েছে, যা ত্বককে ডিটক্সিফাই করে এবং বর্ণ উন্নত করে। সালাদে কাঁচা, ভাজা বা স্মুদিতে মিশিয়ে পালং শাক খেতে পারেন।

৭. সালমন

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্যামন ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এটিতে অ্যাটাক্সান্থিনও রয়েছে, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। একটি সুস্বাদু এবং ত্বকের জন্যও পুষ্টিকর- এমন খাবারের জন্য গ্রিলড, বেকড বা পোচড খেতে পারেন।

৮. নারকেল

নারকেলের পানি বা তেল বা মাংসের অংশ সবকিছুই হাইড্রেটিং করে এবং এতে মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। নারকেল তেলকে ময়শ্চারাইজার হিসেবে বা স্কিনকেয়ার রেসিপিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৯. হলুদ

এই সোনালি মশলাটিতে কারকিউমিন রয়েছে, যার মধ্যে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একটি পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল বর্ণকে উন্নীত করে।ত্বকের উন্নতির জন্য তরকারি, স্মুদি বা গোল্ডেন মিল্কের সাথে এটি যোগ করতে পারেন।

১০. ডার্ক চকোলেট

কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোকোসহ উচ্চমানের ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা ত্বকে রক্ত​​প্রবাহ উন্নত করে একটি স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এটি পরিমিতভাবে খেতে পারেন বা স্মুদি বা ডেজার্টে কোকো পাউডার হিসেবে যোগ করতে পারেন।

মনে রাখবেন, যদিও এই সুপারফুডগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত করতে সক্ষম, তবে সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং পুরো শস্য সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, হাইড্রেটেড থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া এবং ত্বকের যত্নের ভালো অভ্যাস অনুশীলন করা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

;

গরমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড রোদে চারদিকে সবার অবস্থা যখন নাজেহাল তখন উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অবস্থা আরও করুণ। কারণ অতিরিক্ত গরমে এসব রোগীদের শারীরিক অবস্থা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে রোদে বের না হওয়াই ভালো। কারণ রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আবার কেউ কেউ মাথার যন্ত্রণারও শিকার হতে পারেন।

উচ্চ রক্তচাপের রোগী হলে সাধারণ দিনেই নিজের যত্ন নিতে হয়। কারণ এই রোগের হাত ধরে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগ আসে। আর এই তীব্র গরমে প্রেশারের রোগীদের একটি বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কারণ প্রখর রোদে রক্তচাপ আরো বেড়ে যেতে পারে। গরমে রক্তনালী স্ফীত হয়ে যায়। এর জেরেই বাড়ে রক্তচাপ। তখন সাবধান না থাকলে ঘটতে পারে মৃত্যুও।

উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বাড়তি সতর্কতা মানতে হবে

হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখার মতোও উপসর্গ দেখা দিতে পারে। রাস্তায় বেরিয়ে এমন ঘটনা ঘটলে কী করবেন?

রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে বা মাথা ঘোরা অনুভব করলে সাবধান হয়ে যান। তখন রোদ থেকে সরে দাঁড়ান। গাছের নিচে বা কোনো ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিতে পারেন। এই কারণে চিকিৎসকেরা বলছেন, রোদে বের হলে ছাতা ও পানির বোতল সাথে রাখা ভীষণ জরুরি। রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে শরীরে মারাত্মক অস্বস্তি তৈরি হয়। তখন শীতল কোনো জায়গায় বসে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিন। ঠান্ডা পানি পান করুন। মুখে-চোখে, ঘাড়ে পানি দিন। এরপরও যদি অস্বস্তি না কমে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

এই গরমে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েকটি পরামর্শও মেনে চলতে পারেন।

১. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন প্রেশারের ওষুধ খেতেই হবে। এক্ষেত্রে একদিন প্রেশারের ওষুধ না খেলেই মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

২. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

৩. লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময় নোনতা জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। ৪. গরমে বাইরের খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।

৫. গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে দিনে দুইবার গোসল করুন।

 

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা 

;

গরমে যে ৫ সবজি শরীর ঠান্ডা রাখে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসহনীয় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খেতে হবে সবজি। যে হারে গরম বাড়ছে, তাতে শরীর যেন ঠান্ডা থাকে, সে দিকেও নজর দিতে হবে। পেট ঠান্ডা রাখতে অনেকেই ডাবের জল, লেবু কিংবা পুদিনার শরবত খাচ্ছেন। শরীরের ভেতরে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে বলে ঘন ঘন আইসক্রিমও খাচ্ছেন।

তবে কী খেলে এই গরমে শরীরের ভেতর ঠান্ডা থাকবে জেনে নিন। 

শসা

এই গরমে শসা না খেলে পেটের সমস্যা অবধারিত। শসাতে জলের পরিমাণ বেশি। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এই ফল। শরীরে যে তাপ উৎপন্ন হয়, শসা তা শোষণ করে নিতে পারে। হজমের গোলমাল কমাতেও শসা উপকারী।

লাউ

গরমে লাউ খেতে পারেন। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে। এই সময়ে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। লাউ কিন্তু সেই ঘাটতি পূরণ করবে। তা ছাড়া, পেটের সমস্যা যাদের রয়েছে, লাউ তাদের জন্য বেশ উপকারী।

ঝিঙে

রুই মাছ দিয়ে ঝিঙের ঝোল বাঙালির আলাদা একটা প্রেম আছে। এই সবজি রান্না করার সময়ে যে পরিমাণ জল বেরোয়, তাতেই বোঝা যায় এতে কতটা পরিমাণ জল আছে। গ্রীষ্মকালীন নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমায় ঝিঙে।

বিট

বিট শীতকালীন সবজি। তবে সারা বছরই বাজারে চোখে পড়ে বিট। ‘হিট ওয়েভ’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুস্থ থাকতে বিট খাওয়া জরুরি। বিট পেটের গোলমাল কমায়। শরীরের ভেতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। বিট খেলে হজমের সমস্যাও কমে।

লেটুস

বাজারে গিয়ে লেটুস দেখতে পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কিনে নিন। গরমে লেটুস খাওয়া সত্যিই উপকারী। লেটুস পাতায় জলের ভাগ বেশি। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে এই পাতা। এ ছাড়া, শরীরের তাপমাত্রা কমাতে লেটুসের জুড়ি মেলা ভার। পেটের সমস্যাও কমায় এই পাতা। লেটুসের গুণে গরমেও চাঙ্গা থাকা যায়।

সূত্র: আনন্দবাজার

 

;