শহুরে জীবনে শখের বাগান!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
শহুরে জীবনে বাগান।

শহুরে জীবনে বাগান।

  • Font increase
  • Font Decrease

সবুজ মানেই সতেজতা। সবুজ মানেই প্রশান্তি। যান্ত্রিক এই শহরে সবুজের এতটুকু উপস্থিতিও যেন, অনেকখানি প্রশান্তি এনে দেয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি, ক্রমেই নিষ্প্রাণ হয়ে উঠছে এই শহর। নাগরিক কোলাহলের এই শহর সজীবতা হারাচ্ছে প্রতিদিন।

তবে দারুণ ব্যাপার হলো, বর্তমান সময়ে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন নিজের বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দার ছোট্ট জায়গাতেই শখের বাগান তৈরি করার প্রতি। খেয়াল করে দেখবেন, অধিকাংশ বাড়ির ছাদে সবুজের ছোঁয়া রয়েছে।

নিজ বাড়ির ছাদে শখের ও ভালোবাসার বাগান তৈরি করতে ইচ্ছুক হন তবে প্রয়োজনীয় তথ্য, সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আপনিও দারুণভাবে নিজ হাতে গড়ে তুলতে পারবেন শখের বাগান।

/uploads/files/fjD7YYD5F2ODjSjijJeobdRD7j9VDPNbohN4SMyg.jpeg

ছাদে বাগান তৈরি করলে ছাদের কোনো সমস্যা হবে কী?

বাড়ির ছাদে শখের বাগান তৈরি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করলে, এই প্রশ্নটি অবশ্যই মনের মাঝে উঁকি দিবে। শখের বাগানের জন্য নিশ্চয় নিজের বাড়ির ক্ষতি করতে চাইবেন না কেউ। তাই ছাদে বাগান তৈরি করার প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির ছাদের কোন ধরণের ক্ষতি যেন একেবারেই না হয়। এক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে রোপনকৃত গাছের পাত্রগুলো ছাদে বীমের কাছাকাছি রাখার জন্য। একইসাথে খেয়াল রাখতে হবে পাত্রগুলো যেন ছাদের উপর সরাসরি রাখা না হয়। নয়তো ছাদে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দেখা দিতে পারে। তাই টব কিংবা গাছের অন্যান্য পাত্র ইটের উপরে স্থাপন করতে হবে। এতে করে ছাদে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব তৈরি হবে না এবং পাত্রের নিচের স্থান দিয়েও যথেষ্ট আলো-বাতাস চলাচল করতে পারবে।

গাছরোপনের জন্য বিভিন্ন ধরণের টব

টব ব্যবহারের দারুন কয়েকটি উপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলো, টব স্বাচ্ছন্দ্যে পছন্দমতো ও সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেওয়া যায়। একইসাথে টবে লাগানো গাছে পরিমানমতো সার ও মাটি দেওয়া যায়। ছোট কিংবা বড় যেকোন মাপের ছাদেই টব সকলের প্রথম পছন্দ। সাধারণত পোড়ামাটির টব ব্যবহার করা হলেও এখনকার সময় প্লাস্টিকের বিভিন্ন ধরণের ও আকারের টব পাওয়া যায়। যা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিরাপদ।

তবে টবে গাছ রোপন করার পাশাপাশি অনেকেই ড্রাম কিংবা বেডিং এর মাধ্যমে গাছ রোপন করে থাকেন।

/uploads/files/4y8lYxG6JzNBP8Ch52pE8cJeR3fb2p0AJMluQPs3.jpeg

কী ধরণের গাছ রোপন করবেন ছাদে?

ছাদে বাগান তৈরির পেছনে মূল উদ্দেশ্য থাকে ছাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, নিজের আবাসস্থলের মাঝে সবুজের ছোঁয়া নিয়ে আসা ও শখ। যেহেতু বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ছাদে বাগান করা হয় না, সেহেতু গাছ ও গাছের চারা নির্বাচন করতে হবে সতর্কতার সাথে।

প্রথমেই ফুলের গাছের কথায় আসা যাক। বাগানের জন্য ফুলের গাছ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। কারণ ফুলের গাছের জন্য খুব বেশী স্থান প্রয়োজন হয় না। একই ব্যাপার যেকোন সবজী প্রজাতির গাছের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পছন্দমতো সবজীর চারা রোপন করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে।বাগান তৈরির প্রথম পর্যায়ে বারমাসি সবজী কিংবা শীতকালীন সবজী রোপন করা যেতে পারে।

ফলের ক্ষেত্রে লেবু, জামরুল, করমচা, পেয়ারা, আম, লিচু সহ বিভিন্ন গাছ রোপন করা যাবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে ঝাড় বা বাঁশ প্রজাতির কোন গাছ রোপনের ক্ষেত্রে। কারণ এই প্রকৃতির গাছ ছাদের জন্য একেবারেই উপযোগী নয়। এছাড়াও শখের বশে ঝুলিয়ে দিতে পারেন মানি প্ল্যান্টের লতা ছাদের কার্নিশ ও রেলিং জুড়ে।

/uploads/files/FeM3HelJicOHZj3Nae6RjHTDRLuF00OVM5Hs93Y8.jpeg

গাছের পরিচর্যা করুন নিয়মিত

টবে রোপন করার ফলে স্বল্প স্থানের মাঝেই বেড়ে ওঠে গাছ। যে কারণে টবের যেকোন গাছের প্রতি বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। সঠিক গাছের জন্য সঠিক সার নির্বাচন করা, সঠিক পরিমানে সার দেওয়া, নিয়মিত ও পরিমিত পরিমানে পানি দেওয়া, কীটনাশক প্রয়োগ করা, আবহাওয়া ভেদে টবের স্থান বদল করার মতো ব্যাপারগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।

পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, প্রতি বছরে অন্তত একবার টবের পুরনো মাটি বদলে নতুন মাটি দেওয়ার প্রতিও।

তবে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে রোগাক্রান্ত গাছের ব্যাপারে। যেকোন ধরণের পুরনো, বয়স্ক, পোকা আক্রান্ত কিংবা রোগাক্রান্ত গাছের পাতা ও ডাল ভালোভাবে ছেঁটে অন্য স্থানে জড়ো করতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্ত গাছের টবটি অন্যান্য সুস্থ গাছের টব থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এতে সুস্থ গাছগুলো আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকবে না।

ছাদ হোক কিংবা বারান্দা ছোটখাটো ভাবে শখের বাগান তৈরি করতে চাইলে কিছু সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতেই হবে। সাধারণত সঠিক পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমেই মনোহর বাগান তৈরি করে ফেলা সম্ভব। নিজেকে সবুজ ও সজীবতার কাছাকাছি রাখতে চাইলে ছোট করেই তৈরি করে নিতে পারেন শখের বাগানটি।

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;